নয়ঃ

অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে পড়লাম। রুপন্তীর ডায়েরি পড়তে পড়তে আর কেসটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম টেরও পাইনি। মনে পড়লো গত সাতদিন ধরে মেয়েটা নিখোঁজ। তাড়াতাড়ি কিছু করতে না পারলে আরো খারাপ হতে পারে অবস্থা।

সকাল সকাল ডায়েরিগুলো নিয়ে অফিসে চলে আসলাম। অফিসে গিয়েই ফোন দিলাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসপি মুশফিকুর রহমানকে। ওনাকে বললাম উনি যেন হৃদয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আমাকে জানান।

ভাবছি কি করা যায় ... হটাত করেই মনে হলো ২০০৯ এর ১ এপ্রিল যদি তাদের রিলেশনের দ্বিতীয় অ্যানিভার্সারি হয় তাহলে রিলেশন শুরু হয়েছিল ২০০৭ এর ১ এপ্রিল। কি আজব দিন ! এপ্রিল ফুলের দিন নাকি অ্যানিভার্সারি !

রূপন্তীর ২০০৭ এর ডায়েরিটা নিয়ে পাতা উল্টাতে লাগলাম।

১ এপ্রিল ২০০৭

আজকে হাদারামটাকে প্রপোজ করেছি। ওর চেহারার যে হাল হয়েছিল, আল্লাহ ! আমি তো দেখে হাসতে হাসতেই শেষ। মেয়েদের মত লজ্জা পাচ্ছিল ছেলেটা। কিন্তু লজ্জা পেলে ওকে অনেক কিউট লাগে। এত্তগুলা কিউট। প্রায় ৮ মাসের পরিচয়ে ঘটলো আমাদের প্রণয়।

৮ মাস ! তারমানে ২০০৬ সালের জুলাই/ অগাস্টে তাদের পরিচয় ! এবার ২০০৬ এর ডায়েরি ঘাটতে শুরু করলাম। জুলাইতে এসেই পেয়ে নয়ঃ

অ্যালার্মের শব্দে ধড়মড়িয়ে উঠে পড়লাম। রুপন্তীর ডায়েরি পড়তে পড়তে আর কেসটা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম টেরও পাইনি। মনে পড়লো গত সাতদিন ধরে মেয়েটা নিখোঁজ। তাড়াতাড়ি কিছু করতে না পারলে আরো খারাপ হতে পারে অবস্থা।

সকাল সকাল ডায়েরিগুলো নিয়ে অফিসে চলে আসলাম। অফিসে গিয়েই ফোন দিলাম জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এএসপি মুশফিকুর রহমানকে। ওনাকে বললাম উনি যেন হৃদয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য আমাকে জানান।

ভাবছি কি করা যায় ... হটাত করেই মনে হলো ২০০৯ এর ১ এপ্রিল যদি তাদের রিলেশনের দ্বিতীয় অ্যানিভার্সারি হয় তাহলে রিলেশন শুরু হয়েছিল ২০০৭ এর ১ এপ্রিল। কি আজব দিন ! এপ্রিল ফুলের দিন নাকি অ্যানিভার্সারি !

রূপন্তীর ২০০৭ এর ডায়েরিটা নিয়ে পাতা উল্টাতে লাগলাম।

১ এপ্রিল ২০০৭

আজকে হাদারামটাকে প্রপোজ করেছি। ওর চেহারার যে হাল হয়েছিল, আল্লাহ ! আমি তো দেখে হাসতে হাসতেই শেষ। মেয়েদের মত লজ্জা পাচ্ছিল ছেলেটা। কিন্তু লজ্জা পেলে ওকে অনেক কিউট লাগে। এত্তগুলা কিউট। প্রায় ৮ মাসের পরিচয়ে ঘটলো আমাদের প্রণয়।

৮ মাস ! তারমানে ২০০৬ সালের জুলাই/ অগাস্টে তাদের পরিচয় ! এবার ২০০৬ এর ডায়েরি ঘাটতে শুরু করলাম। জুলাইতে এসেই পেয়ে গেলাম।

১৩ জুলাই ২০০৬

আজকে আমার ছোট্ট কিউট বোনটার জন্মদিন। কিন্তু ওর জন্মদিনে যে ফটোগ্রাফারটা ছিল না ! আল্লাহ মানুষ এত্ত কিউট হয় কেমনে ? পুরাই কিউটের ডিব্বা !

এরপরের দিনগুলোতে হৃদয়কে নিয়ে লেখা আছে অনেককিছু। কিভাবে সে বের করে হৃদয়ের পরিচয়, কিভাবে প্রথম সাক্ষাৎ।

হৃদয় ছেলেটা নরসিংদী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থের ছাত্র। থাকে শহরের একটা মেসে। টিউশনি করে আর ফটোগ্রাফি করে নিজের খরচ চালায়। গ্রামে তার মা আর ছোট বোন থাকে। বাবা মারা গেছে প্রায় ১০ বছর আগে। প্রচণ্ড অভাবের সংসার তাদের। এর মধ্যে থেকেও তার মা তাদের পড়ালেখা করাচ্ছে। হৃদয় তার জমানো টাকা দিয়ে চেষ্টা করে বাড়িতেও কিছু পাঠাতে।

হৃদয়ের সম্পর্কে এই প্রথম বিস্তারিত কিছু পাওয়া গেলো। আচ্ছা এরপরে কি হয়েছিল তাহলে,
ভাবতে না ভাবতেই একটা ফোন আসলো ...

" হ্যালো "
- হ্যালো, স্যার আমি এএসপি মুশফিক।
- ও হ্যা বলেন।
- স্যার, আপনি যে হৃদয়ের খবর চেয়েছিলেন ওনাকে ২০০৯ সালের ২ এপ্রিল ডিসির পার্কের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়।

ধাক্কা খেলাম একটা।

" কিসের অপরাধে ? "
- ওনার মেসে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু অবৈধ মাদকদ্রব্য পেয়েছিল। এছাড়াও বোমা তৈরির সরঞ্জামও পরবর্তীতে উদ্ধার হয়। এই দুই অপরাধে তার ৯ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল নরসিংদীর আদালত। পরে হাইকোর্টে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বছরখানেক আগে সে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছে। এরপরে তার কোন রেকর্ড নেই আর। ওনার ডিটেইলস তথ্যের ফাইল আপনার অফিসে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
- ঠিক আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

হৃদয় একজন অপরাধী ছিল ? বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেলাম আমি।

দশঃ

যে করেই হোক এখন এই হৃদয়কে আমার খুঁজে বের করতে হবে। ওকে পেলেই সম্ভবত কেসটা সমাধান সম্ভব।

কিন্তু ওকে খুঁজে পাবোই বা কোথায়। ওর গ্রামের বাড়ি গিয়ে দেখতে হবে। সাথে সাথেই রওনা দিলাম মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে। হৃদয়ের মা-বোন ওখানেই থাকতো।

গিয়ে হৃদয়দের বাড়ি খুঁজে বের করলাম। কিন্তু সেখানে হৃদয়ের মা-বোন কেউ নেই। যারা থাকে তারা জানালো এই বাড়ি এক ছেলে তাদের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। আশেপাশের প্রতিবেশীদের থেকে জানলাম হৃদয়ের মা মারা গেছে। আর তার বোনের খোঁজ কেউ জানে না। মা মারা যাওয়ার পরে একা হয়ে গেছিল সে। হটাত করেই নিখোঁজ হয়েছে। এলাকাবসীর ধারণা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে তাকে তুলে নিয়ে গেছে কারণ সেই ছেলে নাকি আগে থেকেই ওই মেয়েকে অনেক বিরক্ত করে আসছে।

বুঝলাম যে যেই ছেলে বাড়ি বিক্রি করেছে সে ওই চেয়ারম্যানের ছেলে। যাই হোক ওইখানের কেস ভিন্ন জিনিস। হৃদয়ের কোন খোঁজ না পেয়ে ফিরে আসলাম নারায়ণগঞ্জে। ভাবতে শুরু করলাম কোথায় যেতে পারে সে।

নিজেকে হৃদয়ের জায়গাতে কল্পনা করে ভাবতে শুরু করলাম। হটাত মনে পড়লো কথাটা।

আচ্ছা ওর কি জেলে কোন মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল ?

সাথে সাথেই ফোন দিলাম এএসপি মুশফিককে। উনি জানালেন জেলের মধ্যে জিশান নামের একজনের সাথে তার অনেক ঘনিষ্ঠতা ছিল।
জিশান দাগী আসামী, চাঁদাবাজি-হত্যা সহ বেশ কিছু মামলা তার নামে রয়েছে। যদিও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে জেল থেকে বের হয়ে গেছে।

এই জিশান থাকে নারায়ণগঞ্জ আর নরসিংদীর ঠিক সীমানা এলাকাটায়, জায়গাটার নাম কালীবাড়ি।
হৃদয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে আর কোথায় আছে সেটা জানার জন্য জিশানের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলাম।

হৃদয় কোথায় যেতে পারে সেটা তার জানার কথা।

এগারোঃ

কালীবাড়ি পৌঁছানোর পরেই আমাদের দেখে পুরো এলাকাজুড়ে সাড়া পরে গেলো। র‍্যাব দেখে অনেকেই ভড়কে গেলো। আর ছুটে আসলো জিশানের লোকজন। তার প্রচণ্ড ক্ষমতা আর প্রভাব রয়েছে এই এলাকাতে।

আমাদের উদ্দেশ্য জানতে পেরে জিশান নিজে চলে আসলো। তার বাড়ির উঠোনে আমাদের বসানো হলো।

ছোট-খাট গড়নের মানুষ এই জিশান। দেখে মনেই হয় না এই লোক কত ভয়ঙ্কর।

হৃদয়কে চিনে কিনা জিজ্ঞেস করতেই জানালো যে ভালো করেই চিনে। হৃদয়ের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাতেই মুখটা কালো হয়ে গেলো তার। রোষের সাথে বলতে লাগলো,

জেল থেকেই সে প্রতিশোধের পরিকল্পনা করে আসছে। ছেলেটা অনেক ভালো ছিল, স্যার। ওকে ওই সময়কার পুলিশের এসপি আর আশরাফ সাহেব মিলে ফাঁসিয়ে দিয়ে জেলে পাঠিয়েছেন। ছেলের পুরা ক্যারিয়ার নষ্ট করে দিয়েছেন তারা। অথচ তার কি কোন দোষ ছিল ! নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য এত ঘৃণ্য কাজ করেছেন আশরাফ সাহেব যে আমারও ইচ্ছা করে তাকে গুলি করে মারতে। যাই হোক, আশরাফ সাহেবের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার চিন্তা জেলে বসেই করে আসছিল সে। আমি অনেক মানা করেছি। বলেছি সব ভুলে যা। জেল থেকে বের হ তুই, আমি তোরে কাজের ব্যবস্থা করে দিবো। দাগী আসামী হওয়াতে কোন ভালো জায়গাতেও তার চাকরি সম্ভব ছিল না। এরপরে জেল থেকে বের হয়ে সে গ্রামে গিয়ে দেখে তার মা অসুখে ভুগে মারা গেছে, তার বোনের অবস্থা আরও করুণ। ওইদিনই সে আমার কাছে আসে প্রতিশোধের সাহায্যের জন্য। আমাকে বলে যে আশরাফ সাহেবের উপর প্রতিশোধ নিবে সে। তাই আমিও খুব একটা মানা করিনি। কিন্তু সেদিন আশরাফ সাহেব নয়, ভুল ইনফর্মেশনের কারণে তার গুলিতে মারা যায় রুপন্তীর স্বামী আর সন্তান। সে যে আশরাফ সাহেবকে মারেনি এজন্য আমার সাথে অনেক তর্কাতর্কি হয়। এরপরে রাগ করে এখান থেকে চলে যায়। আর দেখা হয়নি তার সাথে।

" ও এখন কোথায় থাকতে পারে, কোন ধারণা আছে ? "
- আমার জানামতে ও নবীনগরে। কারণ ওর যাওয়ার মত একটাই জায়গা আছে।
- কে থাকে ওখানে ?
- আক্কাস নামের একজন। যদিও কয়েকমাস আগে সে ক্রসফায়ারে মারা গেছে। তার বাড়ি খালিই থাকে। আর আক্কাসও হৃদয়কে অনেক স্নেহ করতো।
- ঠিক আছে, অনেক ধন্যবাদ।

এবার তাহলে যেতে হচ্ছে নবীবগর অভিযানে।

কিন্তু হৃদয় যে নবীনগরেই আছে সেটা নিশ্চিত হবো কি করে ? এসপি মোতালেবকে জানাতেই উনি বললেন ওনার নাকি এক ইনফর্মার আছে ওই এলাকার। তার কাছে ছবি পাঠিয়ে দিলে হয়তো বিস্তারিত জানা যাবে।

যেই ভাবা সেই কাজ। পরেরদিনই খবর পেলাম যে হৃদয় নবীনগরেই রয়েছে। তবে মেয়ে অপহরণের ব্যাপারটায় কিছু জানা গেলো না।

জানা মাত্রই প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলাম নবীনগরে অভিযানে যাওয়ার।
৮ গাড়ি র‍্যাব, আর এক প্লাটুন আর্মড পুলিশ সদস্য নিয়ে রওনা দিলাম নবীনগরের উদ্দেশ্যে।

নরসিংদীর একেবারে শেষ মাথায় গিয়ে পড়েছে এই নবীনগর এলাকাটা। ওখানে পৌঁছেই আমরা আক্কাসের বাড়িতে চলে গেলাম। র‍্যাবের গাড়ি দেখে হতভম্ব হয়ে গেছে সবাই। ওই বাড়িতেই পাওয়া যায় হৃদয়কে।

একরকম অপ্রস্তুত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় তাকে। উদ্ধার করা হয় রূপন্তীকে।

বারোঃ

রূপন্তীকে পুলিশের কাস্টাডিতে আবারো ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তার মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য। গ্রেফতারের পর হৃদয়কে নিয়ে আসা হয় নরসিংদীর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে। সেখানে তাকে আমি জিজ্ঞাসাবাদ করি ...

" কি পেলে তুমি এসব কাজ করে ? "
- কিছুই পাইনি।
- তাহলে লাভটা কি হলো ? খামোখাই জীবনটা নষ্ট করলে ?
- জীবন তো অনেক আগেই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে আমার, স্যার। জীবন একবারই নষ্ট হয়।
- রূপন্তীকে এতই ভালোবাসতে, ওকে অপহরণ করলে কেন ? প্রতিশোধ তো ওর বাবার উপরে নেওয়া উচিত ছিল।
- ওর বাবার উপরে নেওয়ার জন্যই এই কাজ করেছি। আর স্যার, জেলে গেলে ভালোবাসা বলে কিছু থাকে না।
যেখানে ভালোবাসার অপমৃত্যু হয় সেখানেই জন্ম নেয় প্রচণ্ড ঘৃণা।
আর স্যার ঘৃণা খুব খারাপ জিনিস, খুব খারাপ।
- তোমার এ ঘটনার জন্য আমি দুঃখিত।
- আপনি কেন দুঃখিত হবেন ? আপনি তো কিছু করেননি।
- তারপরেও ...
- ওসব থাক স্যার। আমার মা-বোন পুরা পরিবারটা ধ্বংস হয়ে গেছে স্যার। আমার স্বপ্নগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আমি আর বেঁচে থেকে কি করবো ! আমাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেন। আর আশরাফ সাহেবরা ভুড়িতে হাত বোলাতে বোলাতে গাল দিতে দিতে আরো কয়েকজন ছেলের জীবন নষ্ট করুক। আপনারা বসে বসে তাদের পা চাটতে থাকেন। এটাই তো পৃথিবীর নিয়ম। এখানে রাজত্ব কেবল ক্ষমতাধরদেরই।

আর কোন কথা বললাম না আমি। প্রচণ্ড রাগে শরীর কাঁপছে আমার। আশরাফ সাহেবকে এর জবাবদিহিতা করতেই হবে।

তারা সমাজের উন্নয়নের কোন কাজ তো করেই না আবার নিজেদের স্বার্থের জন্য মেধাবীদের জীবনগুলো নষ্ট করে দিচ্ছে। ছয় আগের সে কেসের তথ্য প্রমাণ জোগাড় করা শুরু করলাম। যারা সাক্ষ্য দিয়েছিল সবাই টাকার বিনিময় সাক্ষ্য দিয়েছিল আর অন্যান্য সব কিছুও যে পরিকল্পিত ছিল সেটার যথেষ্ট প্রমাণ পেতেই গ্রেফতারের নির্দেশ দিলাম তৎকালীন ওসি খলিল, পুলিশ কর্মকর্তা আতিককে। তারা দুজনেই এখন ঢাকায় কর্মরত। আর আমি নিজেই গেলাম আশরাফ সাহেবের শহরের বাড়িতে।

আমাকে দেখে তিনি অবাক হয়ে গেলেন। শান্ত কণ্ঠে জানালাম,

" আপনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। "

আরো বেশি অবাক হয়ে গেলেন। কারণটা জানতেই রাগে ফেটে পড়লেন। ছুটে এলো ওনার কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু এবার আমি আর ছাড় দিবো না। আমার দৃঢ়তা দেখে আরেক দফা অবাক হলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত উঠে দাঁড়ালেন। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে সব সাক্ষ্য প্রমাণ তুলে দিলাম।

ছয় বছর পরে আবার নতুন করে খোলা হলো একটা কেস।আশা করি, এবার সবাই ন্যায়বিচার পাবে।

আফসোস ! ছয় বছর আগে এই ন্যায়বিচারটা হলে হয়তো এতগুলো জীবন নষ্ট হতো না।

( সমাপ্ত )

0 Shares

একটি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ