মা

মোঃ মজিবর রহমান ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪, বুধবার, ০১:৩৪:০০অপরাহ্ন বিবিধ ১৯ মন্তব্য

আমার জিবনে ক্লাশ চতুর্থ শ্রেনী হতে ঘর ছাড়া। পেটের দায়ে হোক আর বড় ভাইয়ের ব্যাবস্যা প্রতিষ্ঠানে থাকা ও স্কুলে পড়ার কারনে মায়ের কোল বা ভালবাসা বঞ্চিত।

বাবা - মার স্নেহ আদর থেকে বিদায় নিয়ে ভাইয়ের নিকট থাকতাম। দাদা-দাদীর আদর ও দুষ্টামি থেকেও দূরেছিলাম। এই যাত্রিক শহর ছেড়ে যে মায়ের কাছে যাব সম্ভব হয়না চাকরীর জন্য। যায় প্রতি ঈদে। গত ঈদে মা বলল আমাকে নিয়ে জাবিনা। আমি দুঃখের সঙ্গে বলেছি না। ইচ্ছে করলেই  ঐই মুহুরতই বাসের টিকিট সংগ্রহ করা সম্ভব নয় অসম্ভব।কারণ অফিস শুরু হবে।

এই মাসের প্রথম সপ্তাহে মা আমার হল, ঢাকায় আনলা।ম।  প্রায় প্রতিদিন অফিস থেকে গিয়ে মা বসে থাকে মায়ের ঊরুর উপর বা পায়ের উপর মাথা দিয়ে শুয়ে থাকি। মা আমার মাথায় হাত বুলায় আর আদর করে এ কেমন অনুভূতি বোঝাতে পারবনা।  মা আমার চুলগুলো আস্তে আস্তে বিলিয়ে দেয় খুব তৃপ্তি পায় অসাধারণ সে এক অনুভূতি।

মা থাকবে, আমি মাকে রাখার জন্য আনলাম মা থাকবে না তা কি হয়? কি হল, চালালাম অভিযান।  আমার বড় ভা্‌ই থাকে ঢাকার মোহাম্মাদ পুর্‌  সেখানে কয়েকদিন থেকে আসার পর মায়ের অনুভূতি আলাদা। থাকবনা! গ্রামে রেখে আয়।

যথারীতি অফিস থেকে ঘরে ফিরে দেখি মা একা বসে বউ বাহিরে গেছে। এই সুযোগ কি হাত ছাড়া করা যায়, না আমিও সুযোগ কাজে লাগালাম। মায়ের পায়ের উপর শুয়ে মায়ের শরিরে ও পায়ে হাত বুলায়ে চলেছি। মা তুমি থাকবে না কেন , কি হয়েছে, হাজার প্রশ্ন।

মায়ের সেই একই রোগ না বাবা আমার কিছুই হয়নি আমি বাড়ি যাব গ্রামে থাকব। এখানে একটি রুম থাকার সমস্যা হবে। হাবি যাবি উত্তর। আমি নাছড় বান্দা ।

এক পর্যায়ে মা কাদার মত করে বলেই ফেলল বাবা তুই আমাকে দুই মুঠো ভাত দিয়ে রাখতে পারবিনা? আমার চোখে জল আসার উপক্রম তা আটকিয়ে বললাম এভাবে কথা বলছ কেন মা তোমাকে রাখার জন্যই তো এনেছি!

ছোট থাকতে পাইনি এখন পাব আল্লাহ যে কয়দিন বাচিয়ে রাখে। এখন মা আমার নিকট আছে প্রতিদিন বাড়ি গিয়ে শুয়ে থাকি মায়ের পায়ের উপর। মায়ের এই আদর পেতে এখন খুব ইচ্ছা হয়।

 

 

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ