জৈষ্ঠ্য মাস এসে ঢুকলো আজ প্রায় ৮ দিন। আবহমান বাংলায় এ মাসটিকে মধুমাস বলা হয়। প্রকৃতির অপার মহিমায় ষড়ঋতুর দেশ এই বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালের শুরুতে গাছ-গাছালি মৌসুমী ফলে পূর্ণ হয়ে উঠে। জৈষ্ঠ্যের প্রথম থেকে তা বাজারে আসতে শুরু করে। মধুমাসের এই ভরা মৌসুমকে কেন্দ্র করে একশ্রেনির অতি মুনাফালোভী, অসাধু কিছু ব্যবসায়ীদের শুরু হয় রমরমা বানিজ্য।
ফলের ভরা মৌসুম হলেও ফরমালিন ছাড়া কোন ফল বাজারে পাওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই থাকে না। অতি মুনাফালাভের জন্য ফলকে এরা দীর্ঘক্ষন তাজা রাখতে ব্যবহার করে ফরমালিন। অন্যদিকে রাসায়নিক দ্রব্য কারবাইড ব্যবহার করা হয় সহজে ফল পাকানোর জন্য। অতিমাত্রায় মুনাফা লাভের নেশায় আম গাছে না পাকিয়ে কাচা আম পেড়ে ফেলা হয় আর সুবিধামতো দূরদূরান্তে পার্সেল করার সময় কারবাইড মিশিয়ে পার্সেল করা হয়, যাতে এক রাতের মধ্যে আমগুলো পেকে যায়।
অথচ যারা এই বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান মেশান তারা যেনো অনেকটা এরকম যে, কাকের চোখ বন্ধ করে খাবার লুকানোর মতোই কাজটি করেন। একবারও ভাবেন না এই খাবারই যে আবার ঘুরেফিরে তাদের নিজেদের ঘরেই যাচ্ছে।
কৃষি ও স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী ফরমালিন দেহে গেলে ক্যান্সার, লিউকেমিয়া, কিডনি, চর্ম ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগ হয়। কার্বাইড মেশানো আম খেলে জন্ডিস, গ্যাসট্রিক, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া ও ক্যান্সার সমস্যা দেখা দেয়। নষ্ট হয়ে যায় কিডনি ও লিভার। গর্ভবর্তী মা এইসব বিষ মেশানো খাবার খেয়েই তার গর্ভের শিশুটিকে জন্ম দিবেন, ফলশ্রুতিতে আমরা পাবো অসুস্থ, অপুষ্ট ও বিকলাঙ্গ শিশু, যারা আগামীর ভবিষ্যত। চোখ বন্ধ করে একবার আগামীর বাংলাদেশকে দেখুন ভয়াবহতা টের পাবেন।
মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ নীরব এই গণহত্যা চালাচ্ছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই গণহত্যা।
শুনেছি বিশ্বের সবচেয়ে বড় খুচরো পন্য বিক্রেতা আমেরিকার ওয়ালমার্ট তাদের লন্ডন শাখার জন্য বাংলাদেশ থেকে আম কিনবে। জানা যায়, গত বছর ওয়ালমার্টের প্রতিনিধিসহ একটি বিদেশী দল রাজশাহী, সাতক্ষীরাসহ কয়েকটি জেলায় উৎপাদনের প্রতিটি পর্যায় দেখার জন্য সরেজমিন পরিদর্শন করে। আমে কোন ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহৃত হয়েছে কিনা সেটা নিশ্চিত করার পর ওই আম জনস্বাস্থ্য বিভাগের পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করে নিরাপদ হিসেবে প্রমাণিত হওয়ার পরই ওয়ালমার্টে রফতানির অনুমতি পায়। অথচ আমার দেশে অতি মুনাফাখোর কিছু সরবরাহকারী নির্দ্বিধায় আম কে দীর্ঘক্ষণ সংরক্ষণের জন্য আমে বিভিন্ন রকম কেমিক্যাল মিশ্রণ করে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে রন্দ্রেরন্দ্রে দুর্নীতি মারাত্মকভাবে ছেয়ে আছে। এখানে সমস্টিগত উদ্যোগ ছাড়া রাষ্ট্র বা সরকারের একার পক্ষে এ অবস্থার পরিবর্তন আদৌ সম্ভব নয়। সরকারী উদ্যেগের পাশপাশি গণসচেতনতা না থাকলে সরকারী উদ্যোগও একসময় মুখ থুবড়ে পড়ে।
গতবছর এই মৌসুমী ফল নিয়ে ব্যাপক হাঙ্গামা হয়েছিলো। বোঝাই বোঝাই ট্রাকভর্তি আম নষ্ট করে ফেলা হয়েছিলো। রাজধানীতে ঢুকার চারটি পয়েন্টেই চেকপোষ্ট বসানো হয়েছিলো। তাতে যদিও বা আপাতদৃষ্টিতে দেখা গেছে ফল ব্যবসায়ীদের প্রচুর ক্ষতি হয়েছে, কিন্তু প্রকারান্তরে পুলিশের ওই সাঁড়াশি অভিযান মানুষকে দীর্ঘমেয়াদী বিষের ছোবল থেকেই বাঁচিয়েছে।
তাই বলছি, সজাগ হোন; ফলের নামে বিষ খেতে যাবেন না। আদর করে আপনি আপনার প্রিয় সন্তানটির জন্য বা অসুস্থ মা-বাবার জন্য সীজনাল ফল কিনে নিয়ে যাচ্ছেন অথবা ভাবছেন সীজনের ফল কি করে সন্তানদের না খাওয়াই, সাহস করে তাই কিনেই নিলেন। চোখ বন্ধ করে একবার দেখুন তো আপনি ফলের নামে জেনেশুনে তাদের মুখে বিষ তুলে দিচ্ছেন কি না?
বিষমিশ্রিত বলে হয়তো ২/৩ সীজন আপনি ফল কিনতেই পারলেন না, তাতে কি? ফলের নামে আপনজনদের বিষ তো আর খাওয়াচ্ছেন না। এভাবে পরপর কয়েক বছর ব্যবসায়িক মার খেলে হয়তো অতি মুনাফালোভীদের চৈতন্য আসতেও পারে।
লিখে কিছু হোক বা না হোক, তাই বলেতো আর চুপ করে বসে থাকলে হবে না, যে যার জায়গা থেকে সরব থাকলে কিচ্ছু হবেনা এমনটা আমি বিশ্বাস করিনা। দেশের সিংহভাগ লোক না হয় অসচেতন কিন্তু সচেতন যারা তারাও হাত গুটিয়ে বসে আছে বলেই দিনকে দিন এদের দৌড়াত্ম্য বেড়েই চলেছে। গতবছর রাজধানীতে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযানের কারনে এবার হয়তো বিষ প্রয়োগের মাত্রা কমলেও কমতে পারে। তবে বাঙালীর তো আবার গোল্ডফিসের মেমোরী!
তাই বলছি, সজাগ হোন; সরব থাকুন।
২৭টি মন্তব্য
স্বপ্ন
আমাদের সচেতনেতার অভাব আছে এ বিষয়ে।অনেকেই বলে থাকেন ফল যাতে নষ্ট না হয় তাই ফলে মেডিসিন দেয়,এতে সমস্যা কি?আসলে ফরমালিন কি এটা অনেকেই জানেন না।ফলের দোকানে বিক্রি বেশ ভালো।সবাই যে বিষ কিনছেন এতে কোন সন্দেহ নেই।
ফল না কিনলেই হয়। ক্রেতারা এক বছর ফলনা কিনুক,বিক্রেতারা ফল নিয়ে কান্না কাটি করবে।অবশ্য ফরমালিন বেশী মিলালে হয়ত এক বছরও ফল তাজা থাকতে পারে।আইনের শাসন না থাকায় এটি সম্ভব হচ্ছে দেশে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ফরমালিন যে নীরব ঘাতকের কাজ করে যাচ্ছে, তা অনেকেই জানেন না বা জেনেও মানেন না। বর্তমানে দেশে ক্যান্সার, লিভারজনিত সমস্যা, কিডনী রোগীর সংখ্যা ব্যাপক আকারে বেড়ে গেছে। এর একমাত্র কারনই হচ্ছে খাদ্যের সাথে এই ফরমালিন, কারবাইড, ইউরিয়া জাতীয় বিষাক্ত কেমিক্যালের মানবদেহে প্রবেশ।
বাজারের যে কোন পণ্য যদি ভোক্তাপর্যায়ে ব্যবহার কমে যায়, তবে তা উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিপণনকারী পর্যন্ত নাড়া খায়। কাজেই ভোক্তা সজাগ থাকলে, তারাও সচেতন থাকতে বাধ্য। আবার ভোক্তা সরব থাকলে সরকারও সজাগ থাকবে।
প্রজন্ম ৭১
আমাদের দেশের তাদারককারীগন গতবার ফলে ফরমালিন আছে কিনা, তা পরীক্ষা করে বললেন যে নেই।কি করবো আমরা তাহলে?বিষই তো খেতে হবে দেখছি।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, গতবার মৌসুমী ফল বাজারে আসার পর ব্যাপক হাঙ্গামা হয়েছিলো, ট্রাকভর্তি অনেক ফল নষ্ট করে ফেলা হয়েছিলো। রাজধানীর 8টি প্রবেশমুখে চেকপোষ্ট বসিয়ে ফলবোঝাই ট্রাক চেক করে যেগুলোতে বিষাক্ত কেমিক্যাল পাওয়া যায়নি সেগুলো ঢুকতে দেয়া হয়েছিলো আর যে যেগুলোতে পাওয়া গিয়েছিলো সেগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিলো। এবারও টিভিতে দেখলাম, সরকার যথেষ্টই সক্রিয়। তবুও আমরা যদি উদাস থাকি সরকারও হাল ছেড়ে দেবে। পরপর কয়েকবার এমন হলে মৌসুমী ফলকে কেন্দ্র করে এরকম কেমিক্যালের ব্যবহার অনেকটাই কমে যাবে।
অলিভার
সম্ভবত গত বছরের শেষের দিতে একটা আর্টিকেল পড়েছিলাম কোন পত্রিকায়। সেখানে দেখানো হয়েছিল কিভাবে উন্নত শহর গুলিতে তরতাজা ফল/সবজি কোনরূপ ক্যামিকেল ব্যবহার না করেই পৌঁছানো হয়। ব্যাপারটা এখনই চিন্তা করলে আমাদের জন্যে খুব সহজ কিছু নয়, কিন্তু সরকার যদি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এই খাতে তাহলে বছর কয়েক পরে কৃষক নিজ উদ্যোগেই ফলে ক্যামিকেল মেশানো বন্ধ করবে।
আমরা সবাই একদিক হয়ে ফল ব্যবসায়ী আর ফলের উৎপাদনকারীকে দোষারোপ করছি। কিন্তু তারা পুরো ব্যাপারটা আমাদের উৎসাহ পেয়েই করে থাকে। আমরা লোভনীয় রঙ এর ফলমূল ক্রয় করতে চাই, কিন্তু বিপরীতে রঙ ভিন্ন হলে সেই ফলের দিকে ফিরেও তাকাই না। এখন যেহেতু দীর্ঘ সময় একে সাধারণ উপায়ে সংরক্ষণ করার পদ্ধতি আমাদের নেই, তাই তারা বাধ্য হয়েই ঐ পথে পা বাড়াচ্ছে।
আমার কথার অর্থ এই নয় যে আমি তাদের এই ক্যামিকেল মেশানোকে সাপোর্ট করছি। আমার বলার কারণ তারা যেন সেই কাজ করতে উৎসাহই না পায় সেই দিকটা তুলে ধরার জন্যে। ট্রান্সপোর্ট এবং সংরক্ষণ সুবিধা যদি তাদের সাধ্যের নাগালে চলে আসে, তবে আমার বিশ্বাস এই ধরণের পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে তারা যেতে আগ্রহী হবে না। পাশা পাশি আমাদের ভোক্তার পছন্দেরও পরিবর্তন আনতে হবে। আর তারপরই এই পুরো সমস্যাটা থেকে আমরা বের হয়ে আসতে পারবো।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক। সেদিক বিবেচনা করলে প্রথমেই আসে পাবলিক সচেতনতা। আপনার, আমার প্রত্যোকেরই দায়িত্ব এ ব্যাপারে যতটুকু সম্ভব সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া। ভোক্তা পর্যায়ে নাড়া খেলে বাজারে তার প্রভাব পড়বেই আর এমন হলে সরকারও পজেটিভ পদক্ষেপ গ্রহন করতে বাধ্য হবে।
শুন্য শুন্যালয়
পরীক্ষাগারে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়না, ফরমালিনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত গেলে, উল্টো ফরমালিন ব্যবহারকারীরা মারধোর করে। এমন এমন হাজার প্রতিবন্ধকতা, কিভাবে ফরমালিন নির্মুল হবে, জানিনা।
ব্যবসায়িক মার খেলেই নির্মুল সম্ভব, এটাই একমাত্র পথ।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমাদের সমাজের রন্দ্রেরন্দ্রে দুর্নীতি। তাই পরীক্ষাগারে ফরমালিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়না, ভ্রাম্যমান আদালত মার খায় অথবা তারাও দুর্নীতির বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ে। কিন্তু সাফার করে ভুক্তভোগীরা, কাজেই যারা ভুক্তভোগী তারা যদি সোচ্চার না থাকে তবে কোনদিনও এসব নীরব ঘাতকের হাত থেকে মুক্তি নেই।
জিসান শা ইকরাম
পচে যাওয়া সমাজের এটি একটি অংশ মাত্র
কেবল মাত্র এই অংশ কেটে ফেললেই কাজ হবে না
একটির সাথে অন্যটি সম্পর্কযুক্ত।
তবে আমার পরিবার গত দুই বছর যাবত কোন ফল ক্রয় করিনা
কেউ বাসায় নিয়ে এলে তাকেই আবার দিয়ে দেই।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হাল ছাড়লে তো হবে না।
আর হ্যাঁ, ফল না খেলে মারা পড়বেন না বরং বিষমেশানো ফল খেলেই ধীরে ধীরে মরনব্যাধিতে আক্রান্ত হবেন।
কৃন্তনিকা
এইতো কিছুক্ষণ আগেও একটা মাল্টা খেলাম। আপনার লেখা পড়ে দুশ্চিন্তা হচ্ছে। আসলেই তো… এরকম চললে আমরা কি খেয়ে থাকবো? 🙁
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বাজার থেকে কেনা ফলমুল থেকে ফরমালিনের তেজস্ক্রিয়তা কমানোর কিছু পদ্ধতিও জানা উচিত। কমপক্ষে ৫/৬ ঘন্টা সিরকা-পানিতে ভিজিয়ে রাখলে কিছুটা তেজস্ক্রিয়তা কমে। কিন্তু এভাবে কেনো?
মৌসুমী ফলে ফরমালিন, কারবাইড এর ব্যবহার গত কয়েক বছর যাবৎ অনিয়ন্ত্রিতভাবেই বেড়ে গিয়েছিলো।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
আমাদের সচেনতাই আনতে পারে বিশুদ্ধ খাদ্যের আগমন।লেখাটি চমৎকার হয়েছে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ধন্যবাদ।
আশা জাগানিয়া
ফরমালিন খেতে খেতে আমাদের পাকস্থলী বিষময় হয়ে গিয়েছে আপু।আমরা মারা গেলেও পাকস্থলীর পচন হবে না 🙂
মারজানা ফেরদৌস রুবা
যারা মারা যাবো, তারা তো চলেই যাবো। কিন্তু এই ভয়ংকর বিষক্রিয়া বিকলাঙ্গ শিশুরও জন্ম দিচ্ছে।
স্বপ্ন নীলা
গতবারেও আম খুবই কম কিনেছিলাম, এবারো আম কিনতে ভয় লাগছে, দোকানে এত এত আম শুধু চেয়ে চেয়ে দেখি — লোভ হয়, মনে হয় কিনেই ফেলি —
সবাই মিলে এক বছর আম না কিনলে আম ব্যবসায়ীদের বারটা বাজবে, তবে মনে হয় একটু হুস হবে
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আগে পর্যবেক্ষণ করুন। গতকাল খবরে দেখলাম মৌসুমী ফল নিয়ে সরকার এবারও বেশ সোচ্চার। যদি গতবারের মতো তৎপর হয়, তবে কিছুটা হলেও মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকবে।
ব্লগার সজীব
না খাবো না।আমাদের বাসায় ফল কিনি না।সবাইকে বলি না কিনতে।তবে অধিকাংশ মানুষই কথা অগ্রাহ্য করে।
নীলাঞ্জনা নীলা
এমন বিষ খাবার ফলে দিতে এদের হাত কি কেঁপে ওঠেনা একবারও!
মারজানা ফেরদৌস রুবা
যারা মেশায় তারা এর ভয়াবহতা সম্পর্কে তেমন ধারনা রাখে না।
মুলতঃ সচেতনতার অভাব।
খেয়ালী মেয়ে
সচেতনতা বাড়াতে হবে–কিন্তু অনেকে জেনেশুনেও এই বিষ কিনছে–আর এও বলছে যে সবকিছুতেই তো ভেজাল বিষ মিশানো..সব খাওয়া ছেড়ে দিলে চলবে কি করে?….
আমরা যদি সবাই মিলে এইসমস্ত বিষ মিশানো ফল কিনা ছেড়ে দিতাম তবে অনেক আগেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেতো….কিন্তু আমাদের একটা বিরাট অংশই চায় না এই সমস্যার সমাধান হোক 🙁
মারজানা ফেরদৌস রুবা
ঠিক। সচেতনতা বাড়াতে হবে। আমরা নিজেরা সচেতন না থাকলে সরকার কতোটুকু ই-বা কি করতে পারবে।
খেয়ালী মেয়ে
সেটাই তো—
স্বদেশী যোদ্ধা
আমি বুঝিনা ব্যাবসায়ীরা এত কিছুতে ভেজাল দ্রব্য মেশায় । অথচ ফরমালিনে ক্যান ভেজাল মেশায় না !!!
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হাহাহা। ফরমালিনে ভেজাল?
মারজানা ফেরদৌস রুবা
আমার বাসায় আজ আম নিয়ে এসেছি।সাধারনত গত কয়েকবছর যাবত নির্দিষ্ট এক ব্যাক্তির মাধ্যমে সরাসরি রাজশাহীর বাগান থেকে আম আনিয়ে খাই। কিন্তু গত বছর একেবারেই আম কেনা হয়নি। এবার সেই ব্যক্তির কাছে জানতে চাইলাম আমের খবর কি? উত্তরে সে বললো ”ম্যাডাম, আম তো এবার বাগান থেকেই নামেনি। সরকারীভাবে টাইম বেধেঁ দেয়া আছে, সময় হলে নামানো হবে। আর ঢাকার বাজারেও কড়া নজরধারী।“
শুনে আশ্বস্ত হলাম যে, এবার তাহলে একটু নিশ্চিন্তমনেই আম খাওয়া যাবে। গতকাল সে লোক খবর জানিয়েছে আজ আম নিয়ে আসবে।
জনসচেতনতাই সরকারকে কঠোর নজরধারীতে উদ্ভুদ্ধ করেছে।