ভোরেরা

বনলতা সেন ৩ আগস্ট ২০১৪, রবিবার, ১১:৪৮:২২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪৮ মন্তব্য

কাকতাড়ুয়া ভোর,সেজেছো তো বেশ। হাতে পেলে ঘাড় মটকে দেবো,জেনো।
অধরা। বহু যুগ বহু কাল। দীর্ঘকায়,বেঁটে,বোবা বা চতুর ভোরেরা। আপাদমস্তক মসলিন –মিহিতে মুড়ে ফেলা ভোর যেন প্রস্তর মূর্তি। চাঁদমারি করে রক্তগঙ্গা বইয়ে দেব এ যাত্রা।

কিন্তু তা ই বা কী করে করি ! কল্পনার অধরা বরপুত্র/বরকন্যা ভোর আমার। দেখাতো হয়েছিল কোন এক বেসামাল বোশেখ ,অঘ্রান বা নবীন ফাগুনের জোনাক জ্বলা ভরা পূর্ণিমায় অরণ্যের ক্রমাগত গভীরে।
ঝিনুক কুড়ানোর ভোরস্মৃতি এখনও উঁকি দেয় বালিয়াড়ির লোনা জলের ঝাপটার চোরাবালি এড়িয়ে।
ভোরের কাঠবিড়ালিরা একদৃষ্টে এখনও আমাকেই খোঁজে। নীল ট্রাউজার আর হাই-বুটে শিশিরের জড়াজড়ি দেখিনা কত কাল। মঠবাসী সন্ত আমি নই।
এই তো ক’পা এগোলেই আমার নিভাঁজ মায়াবী চোখ দেখতে পাবে ভোরের ছায়া-কায়া,দেখতে পাবে স্বর্গীয় উদ্যানে ভোরের নিরিবিলি চেয়ে থাকা রোদ-বৃষ্টি উপেক্ষা করে।

ভোরের বিষপাত্র নিষ্পলক চোখে নিমিষে উধাও সেই কখন। লুটেরা ভোর ! ভেবোনা ব্যাকুলতার সিঁদ কেটে এক বুক যন্ত্রণা দেবে হৃদয়ের ঘর গেরস্থালিতে।অনুরাগের নিক্তিতে দেখছি মেপে,সবই প্রহেলিক শূন্যতা ।
সালঙ্কারা শিউলি ভোর , হাতি মায়ের গা ঘেঁষে পায়ে পায়ে জড়িয়ে উৎফুল্ল হাতি শিশুর পথ চলা।

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

অনীহা আমার নৈবদ্যে বাগদেবীর । ভাবছি চুলোচুলিটা সেরেই ফেলব।(ভয়ে ভয়ে বলছি)
সহজ কথা সহজ করে যায় না বলা সহজে ।

0 Shares

৪৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ