আকাশে মেঘ জমলে অন্ধকার ঝুপ করে এসে বসে।
বেড়ে যায় তীব্র শীতের হিমেল হাওয়া।
বেলা অনেকটা।
পশ্চিমা সূর্য ধীরে ধীরে দক্ষিণায়নে হেলে পড়ছে।

নতুন বইয়ে শিল্পীর তুলির আঁচ।
কিন্তু এখনো আমাদের কবিতা লেখা হয়নি।
তৈরি করা হয়নি পাণ্ডুলিপি।

জানালার ফাঁক দিয়ে ফুরফুরে করে বাতাস ঢুকছে।
মৃদুমন্দ ঠাণ্ডা হাওয়ায় শরীর জুড়ে শীতার্ততা জানান দেয় হেমন্তের বুকে শীত এসেছে।
সবুজাভ ঘাসের পাতায় জমেছে শিশির।

জমির আলপথ দিয়ে হরিণের পদচিহ্ন আর হেমন্তের মাঠ জুড়ে ইরিধানের সমারোহ। রাখালিয়া বাঁশির রাগিণীর সুরে জেগে ওঠে মহামায়া।

নদীর স্রোতহীনে শাপলা ফুল ফুটে উঠেছে
কাব্য পাঠে সকাল নামবে বলে।
আমরা কবিতা লিখব বলে ব্যাকরণে দাঁড়ি , কমা খুঁজি। শব্দরা তখন মুখ লুকিয়ে থাকে।

আমরা আর পারিনা কবির মতো কবিতা লিখতে।
পারিনা শব্দ দিয়ে ছন্দ সাজাতে।

সে পাড়ায় কবিতা লিখতে শব্দের বাহার বাড়ে না ,
বাড়ে সিদ্ধ ধানের সুগন্ধি। বরং আমরা সে সিদ্ধ ধানের সুগন্ধি দিয়ে কবিতার পাণ্ডুলিপি সাজাই।

সে শরতে চিঠি লিখতে গিয়ে অনেকটা শব্দ হারিয়েছি।
কিন্তু কবির মতো শব্দ সাজিয়ে কবিতা লিখতে পারিনা। শূন্য বুক জুড়ে জমে আছে অবাধ সংশয়।
সংশয় নিয়ে শব্দ সাজিয়ে কবিতা লেখা যায়না।

তাই চিরাচরিত ব্যাকরণের নিয়ম ভেঙে আমরা প্রকৃতিতে ছুটে যাই।
যেখানের মাঠ জুড়ে আছে হেমন্তের অদৃশ্য লাবণ্যের অমিত আচ্ছাদিত ছায়া ,
আর জীবনানন্দের সবুজাভ রাজত্ব।

0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ