দিন-ক্ষণের নিরিখ নেই, নেই দিন বা রাত্রির ঘণ্টা-মিনিট,
বৃষ্টি বা ঘন-তাপ, আনন্দ-বেদনা হাসি-তামাসা কটু-ফুর্তি,
খেতে খেতে ঘুমুতে ঘুমুতে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে শুধুই
পড়তে/লিখতে ইচ্ছে করে; ইদে-ও;
গাছ-পাথর লতা-পাতা ফুল-পাখি ইট-কাঠ নিরেট দেয়াল,
সবার সাথে কথা বলতে/শুনতে ইচ্ছে করে, শুনি, শুনে শুনে লিখিও;
এ এক অনিন্দ্য সুন্দর বন্ধুত্ব, দ্বিধা দ্বন্দ্বের বর্হি-সীমায়,
সবুজ-গোলাপ ভালোবাসা;
উঁচু চৈতন্যের আদিখ্যেতা নেই, সামান্যের খড় বিচুলিতে
শুধুই জাবরকাটা, শিশু-আকাশের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে
অবিচ্ছিন্ন থেকে সুশ্রী-ধুলোবালিতে সারাক্ষণের গড়াগড়ি
সময়-হীন কাল ধরে, নিঃশ্বাস প্রশ্বাসে শুধুই পড়ে-লিখে যাওয়া;
রমণীয় ভাস্কর্যে চোখ লাগিয়ে হাসাহাসি করা,শৈল্পিক শৃঙ্খলা ভেঙ্গে,
মিথ্যে-মিথ্যির খোলস তুলে, অবরুদ্ধের দেয়াল টপকে
শুধুই লিখে যাওয়া, নিদ্রা-হরণ নটীদের পাশ কাটিয়ে।
ছবি নেটের।
১৪টি মন্তব্য
সুরাইয়া পারভীন
এতো যে মহান রাব্বুল আলামীন প্রদত্ত পরম আর্শীবাদ আপনার তরে। তাই তো ক্লান্তি নেই, নেই কোনো উদাসীনতা
যখন যেমন ইচ্ছে লিখে যাচ্ছেন খেয়ালখুশিতে। কথা বলতে পারছেন গাছ-পাথর লতা-পাতা ফুল-পাখি ইট-কাঠ নিরেট দেয়াল এমনকি খড় বিচুলির সঙ্গেও।
ভালো থাকুন সবসময়
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা সব সময়ের জন্য আদায় করি। আর মনের ভাব প্রকাশ করতে
ভাল-মন্দ সুন্দর -অসুন্দরতা নিয়ে একটু ও ভাবি-না। কী লিখছি কেমন হচ্ছে লেখার সময় ভাবনায় আসে না,
শুধু মনে চাইলেই হলো, লিখবো, লিখে ফেলি।
পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
এমন পরিবেশে পড়তে ভালো লাগবেই,
লিখতেও।
তবে পাশ কাটানো খুব কঠিন কাজ।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
.পড়া কিন্তু সহজ কোন বিষয় নয়।
চাইলে সব নটীদের কচুকাটা করা যায়, ব্যাপার না।
ধন্যবাদ।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
আপনি তো যেকোনো সময় ই লিখতে পারেন তাইতো আপনি রাইটার্স ব্লক আমন্ত্রণ জানান। লিখুন , পড়ুন আরো বেশি করে। আহ্ এমন করে যদি লিখতে পারতাম। ঈদ কেমন কাটলো জানাবেন। আমি একা একা কাটাচ্ছি নিরামিষ হয়ে। অফুরন্ত শুভকামনা রইলো
ছাইরাছ হেলাল
আসলে রাইটার্স ব্লককে আমন্ত্রণ জানিয়ে বোঝাতে চাই, ভয়ের কিচ্ছু নেই,
একটু মন দিন পড়া-লেখায়, আর এক ঝটকায় লিখে ফেলুন কিছু ঝলক।
রাত-দিনের শ্রমে শ্রমে
কত কথা মনে আসে,
অজেয় অক্ষমতাকে স্বেদে ফেলে
সবুজ ঠিকানার রাজ্যপাটে,
স্বপ্ন গড়ি দিন শেষের অপরূপ ছবিতে।
ভাল থাকুন।
নিরামিষ কে আমিষ বানানোর এই তো মহা ক্ষণ।
আরজু মুক্তা
কুনো ব্যাপার না। কলম আর খাতা থাকলেই হবে। তবে ঘুমকে পাশ কাটিয়ে নয়। ৬ ঘণ্টা ঘুম লাগবেই। না হলে নিদ্রা দেবি বিষণ্ন হবেন। চোখ খোলা রাখলে মন বসানো কঠিন লেখার পাতায়। তবে, ঐসব কথার বাহারিদের জবাবের জন্য কলম উপযুক্তই বটে।
চলুক কলম। আমরা পড়ে পড়ে শিখি।
ছাইরাছ হেলাল
পড়া চালু আছে, আমি তো আপনাদের পড়ে পড়েই লিখি-ফিখি!! ঘুম সবার ই লাগে,
তবে কেউ কেউ ঘুমিয়ে ঘুমিয়েও পড়ে -লেখা!!
ভাল থাকবেন আপনিও লিখে-লিখে।
রোকসানা খন্দকার রুকু
এমন মানুষের জন্যই লেখা/ লেখি বেঁচে আছে। কলম চলুক,, আপনার সাথে তৈরি হোক লক্ষ লক্ষ সৃষ্টি।
শুভ কামনা ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
আরে ভাই, সৃষ্টি-ফৃষ্টি কিচ্ছু-না, অনাসৃষ্টি বললে শুনতে ভালো লাগবে।
আপনার জন্য শুভ কামনা সুস্বাস্থ্য সহ।
নিতাই বাবু
লিখতে যাদের ইচ্ছে করে, তারা দিনরাত আর ঈদ পূজোয় ভরেই লিখে যায়। লেখাতেই লেখকের প্রেম!
ছাইরাছ হেলাল
এক দম ঠিক বলছেন, শুধুই পড়তে-লিখতে ইচ্ছে করে। পড়ি-লিখিও।
ভাল থাকুন সারাক্ষণ।
হালিমা আক্তার
ইশ আপনার মতো পড়তে ও লিখতে পারতাম। এভাবেই আপনার কলম চলতে থাকুক। সৃষ্টি হোক নতুন থেকে নতুনত্ব। আমরা পড়ে পড়ে পূনরায় পাঠ অভ্যাস গড়ে তুলি। শুভ কামনা অবিরাম।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো আপনাদের পড়ে পড়ে আরও সুন্দর সুন্দর লেখা ও মন্তব্য করতে চাই।
ভাল থাকবেন এ সময়ে।