প্রিয় রূপ
নিশ্চয় তুমি গভীর রাত্রিতে উত্তাল সাগরের ঢেউয়ের আওয়াজ শুনেছ ?
যে ঢেউয়ে হৃদয়ের বাঁধ ভেঙ্গে যায়।
যেখানে জোনাকিরা সুপ্ত আলোর প্রতিভা ছড়ায়।
রূপ নিশ্চয় তুমি দেখেছ পূর্ণিমা রাত্রির ষোড়শী?
যার মোহনীয় আবরণের স্নিগ্ধ কিরণে তুমি বাজাও বাঁশি !
আজকাল তোমায় সেই কৃষ্ণ রূপে দেখা যায়না।
পাই না আর নীলচে খামের গায়ে তোমার হাতে প্রিয়া নামক লেখা চিঠিটা।
ভরদুপুরে তোমার জলদগম্ভীর কন্ঠ শোনা যায়না।
তোমার বড্ড অভিমান তাই না রূপ ?
রূপ জানো,
প্রতিটা ঘুমহীন নিস্তব্ধ রাতের ক্লান্ত আঁধারে,
আমার চোখের কোণে অজস্র নদী বহে।
আর
অতীতের স্মৃতি জমাট বাঁধে আমার বেবাক নগরীতে,
তোমার ভালোবাসার ঘোরে।
তুমি না বলেছিলে "তোমায় ভালোবাসি নীরা " !
আর বলেছিলে "তুমি পাশে থেকো নীরা জন্মভর"!
রূপ জানো,
আমার কবিতার প্রতিটা লাইন--- প্রতিটা ছন্দ তোমার জন্য উৎসর্গ করে দিয়েছি। শুধু তোমার জন্য।
শুধু তোমায় ভালোবাসি বলে!
মন জুড়িয়ে যেতো তোমার জলদগম্ভীর কন্ঠে
প্রকৃতিকবি জীবনানন্দ দাশের কবিতা আবৃত্তি , শ্রীকান্ত আচার্যের গান
যা শোনাতে আমায় তুমি রোজ রোজ !
প্রতিনিয়ত তুমি আমায় সুন্দর একটি দিন উপহার দিতে।
সত্যি'ই তোমার কাছে আমি ঋণী ।
রূপ আমার সমস্ত ভালোবাসা ছিলো
শুধুই তোমার জন্য।
অমাবস্যা রাত্রিতে যখন পাখিরা স্তব্ধ হয়ে যায়... চরিদিক জনমানব হীন.....
তখন পাশবালিশে মাথা ঠেকিয়ে তোমার জন্য অজস্র কবিতা লিখতে বসি।
জানি না আমি.... কিছুই জানি না।
না মেলাতে পারছি নিজেকে
না মেলাতে পারছি কবিতাকে!
নিমেষে সকল কিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে রূপ !
শুনতে পাই না আর তোমার
ঐ ভুবন ভোলানো সুর।
যে সুরে আমার মন ভুলিয়ে দিতে।
যে সুরে ভালোবাসার স্পর্শতা বয়ে দিতে।
রূপ তুমি না বলেছিলে পূর্ণিমার রাত্রিতে চাঁদের আলোকিত স্নিগ্ধ কিরণে .....
জ্যোৎস্না গায়ে মাখব বলে আমায় নিয়ে যাবে আমার পছন্দের ফুল শিউলি তলায় ?
আজ তুমি আমায় ভুলে গড়েছ অভিমানের পাহাড়।
আজ তুমি থাকো আমার থেকে
বহু আলোকবর্ষ দূরে।
সাগরের জলের ন্যায় তুমি নিজেকে
নোনা করে রেখেছ !
রেখেছ আমায় তুমি অভিমানে ঘেরা অশ্রুসজলে।
ভালো থেকো রূপ !
পোড়ামাটির ছিন্নভেদে খুঁজেছি তোমায় ধুসরে,
বেসেছি তোমায় ভালো দিবস রজনীর চিরকুটে।
তুমি আমায় নাইবা ভালোবাসলে .....
আমি তো তোমায় ভীষণ ভালোবাসি রূপ !
রূপ
আমি চলে যাব যেদিন
সেদিন খুঁজবে তুমি আমায় বিনিদ্র রজনী,
আমার অন্তিম শয্যার আকুল চিত্তে তোমার কাছে এ আমার মিনতি থাকলো
..
ইতি তোমারি নীরা
১৮টি মন্তব্য
শিরিন হক
তুমি যদি আমাকে ভালোবাসো
প্লিজ লক্ষিটি আমার জন্য তুমি কেঁদোনা।
আমি স্বর্গের অসীম রহস্যের ওপার হতে তোমাকে ভালোবেসে যাবো।
শেষ বিদায়ের আকুল মিনতি মন্দ হয়নি।
শুভকামনা ভাই।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রেমময়ী
তুমি বাসো বা না ভালো বাসো তাতে দুঃখ নাই,
আমি যে তোমায় বাসিব ভালো এই ভিক্ষা চাই।
বাহ্!
অজস্র ধন্যবাদ দিদি।
মাসুদ চয়ন
আপনার কবিতার বোধ মোটামুটি ভালোই-সর্বনাম সূচক শব্দ এবং উপমাসূচক শব্দের ব্যবহারে আরেকটু সচেতনতা অবলম্বন করলে-লেখাগুলো আরও বেশী প্রানবন্ত মনে হবে।কাব্যের চিত্রকল্পে মাত্রাবিহীন ছন্দ আনুলে পাঠকেরা অন্যরকম কিছু উপহার পাবে।এমন কিছুও লিখতে পারেন মাঝে মাঝে।আপনার জীবনমুমুখি লেখা পাঠ করে ভালোই লেগেছে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
অজস্র ধন্যবাদ আপনাকে।
শুভকামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
ইদানীং খালি বিরহ-ব্যথার কবিতা লিখছো কেন? বর্ষাতে কি কেবল বিরহই আসে !?
প্রদীপ চক্রবর্তী
হাহাহা।
না না দিদি ভালোবাসাও আসে!
.
প্রেম,ভালোবাসা,বিরহ,
এই তিন থেকে আমি প্রায়ই বঞ্চিত।
বন্যা লিপি
পুরো একান্ত অনুভূতি পড়ে যা বুঝলাম…… বলবো? নাহ্….. থাক বললাম না।
এত এত আকুতি ভরা চিঠিখান এইবার ঠিকানা লেইখ্খা পোষ্ট কইরা দেন। রুপ ছুটে চলে আসবে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বিষণ আকুতি!
নিশ্চয় রূপ চলে আসবে।
.
অজস্র ধন্যবাদ দিদি।
ভালো থাকুন সবসময়…..
আরজু মুক্তা
এতো আবেগ।
একটা ই মেইল করেন রূপকে, ও চলে আসুক।
তবে এমন লিখা পেতে গেলে রূপ দূরে থাকলেই ভালো।
ভালো লাগলো
শুভকামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
নিশ্চয় দুজনের দুএকে দেখা হবে।
.
অজস্র ধন্যবাদ দিদি।
শামীম চৌধুরী
অমাবস্যা রাত্রিতে যখন পাখিরা স্তব্ধ হয়ে যায়… চরিদিক জনমানব হীন…..
তখন পাশবালিশে মাথা ঠেকিয়ে তোমার জন্য অজস্র কবিতা লিখতে বসি।
অজস্র কবিতা লিখে যান ভাই। আমরা পড়তে থাকি। কবিতাটি ভালো লাগলো।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রাপ্তি,
অজস্র ধন্যবাদ দাদা।
জিসান শা ইকরাম
একজন পুরুষ হয়ে নারীর এমন আকুলতা পুর্ণ চিঠি লেখা অনেক কঠিন একটি কাজ,
একজন নারী তার প্রেমিকের কাছে এমন ব্যকুল হয়ে চিঠি দিলো যে মুগ্ধ হয়ে পড়লাম শুধু।
এমন চিঠি লেখক কি পেয়েছে নাকি কারো কাছ থেকে? 🙂
শুভ কামনা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রিয়জনের প্রশংসা কখনো কখনো অর্ন্তবেক্ষণ করে তার কাছে এমন চিঠি পৌঁছে দিতে হয়।
লেখক এখনো পায় নি নিশ্চয়!
.
অজস্র ধন্যবাদ দাদা।
ছাইরাছ হেলাল
জান কোরবান ভালবাসা!!
ভালবাসার দারুন আবেগ।
সুন্দর কবিতা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভালোবাসা দীর্ঘজীবী হউক।
.
শুভকামনা দাদা।
শাহরিন
ভালো বাসতে বাসতে হয়রান হয়ে গেছেন নাকি লেখক, সেটা না জানলেও পড়তে কিন্তু বেশ ভালো লেগেছে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
ভালোবাসাটা প্রাপ্তি বটে।
.
অজস্র ধন্যবাদ দিদি