আনন্দ-তৃষিতা নিয়ে পা-ফেলি এদিক ওদিক,
এখানে-ওখানে-সেখানে, বিক্ষিপ্ত ভাবে;
বুঁদ হয়ে ডুবে থেকে, পাতা-ঝারাদের রেশমি শব্দের গান
একটু যদি ভেসে আসে; সময়ের ধুলো-স্রোত আঙিনায়;

লক্ষ্যচ্যুত লক্ষ্য-শূন্য অবিশ্রান্ত ডামাডোলে আঁটকে থাকে নিঃশ্বাস;
প্রাণান্তকর হাঁসফাঁস, নুয়ে পড়ে;

দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতম অপেক্ষা, একটি অত্যুজ্জ্বল ঋতু, ক্ষিপ্রতায় জ্বলজ্বলে,

আহ্লাদিত হাস্যোজ্জ্বল জলবালিকারা ইচ্ছের কালো কালো পোশাক-আশাকে
আজ ম্রিয়মাণ, কেলো-ভূতের মত; চিরায়ত পর্যটকেরা পালিয়েছে নিঃশব্দের মিছিলে;
যতই চেঁচিয়ে বলি, ওহে পর্যটক একটু দাঁড়াও, কাহিনীটি একটু শোনাও,
নিভে গিয়ে সুনসান হবে এখুনি, জানি;

কতশত ষড় ঋতু এলো-গেলো, ঝুলে থাকা বসন্ত-হাসি এখন ও
হাসি-হাসি হয়েই রয়ে গেল, ডুবে থাকা টইটুম্বুর পুকুর-নিঃসঙ্গতা ও;

শুভ্রতার দরজায় ইতস্তত কড়া নাড়ি, নিষিদ্ধ সুগন্ধের গান
যদি এইবার একবার একটু শুনতে পাই, এই নিষ্ঠুর আগস্টে;

ছবি নেটের।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ