শ্বাপদ সংকুল এদেশে নারী বা কন্যাশিশু কেউই নিরাপদ নয়।
কাকে দোষ দেবো বুঝে উঠতে পারছি না!
ওই কিশোর ছেলেগুলোকে? কিশোরী মেয়েটিকে?
সমাজ কাঠামোকে? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে? পুরুষতান্ত্রিক কাঠামোকে? ছেলেগুলোর বেড়ে ওঠা পরিবারের অভিভাবকদের? নাকি মেয়েটিকে নানাবাড়ির জিম্মায় রেখে যাওয়া অভিভাবকদের? নাকি ঈশ্বরকেই?

কিশোরীর মা ঢাকায় ক্যান্সার আক্রান্ত স্বামীর চিকিৎসায় সেবা দিতে এসে লাশ নিয়ে বাড়ি ফিরেন। ওদিকে মেয়েও লাশ।

ঢাকায় আসাকালে মেয়েটিকে নানাবাড়ি রেখে আসা হয়। ঘটনার দিন মেয়ে একাই বাড়ি আসে। দিনের কোনো একসময় সে নিজঘরে ধর্ষণের শিকার হয়। ধর্ষণের পরে মেয়েটিকে শ্বাসরোধ করে মেরে রেখে যায় কিশোর চার ধর্ষক।

কন্যাশিশুর মায়েরা শোনো,
মেয়ে জন্ম দেয়ার পর থেকেই জেনে রেখো, চারপাশে মানুষরূপী অচেনা ধর্ষকের চোখ সর্বক্ষণ সুযোগ খুঁজে বেড়ায়। সুতরাং মেয়ে নিজ দায়িত্ব বুঝার মতো পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত একটা চোখ সর্বক্ষণ মেয়ের ওপর রেখে দিতে হবে, তা সে যে অবস্থায়ই হোক। কোনো অবস্থাতেই সে চোখ সরানো যাবে না। গহীন বনের হিংস্র কোনো বাঘ-সিংহ বা হায়েনা-কুমির নয়, লোকালয়ের মানুষই নারীর জীবনে অধিক ভয়ংকর। সুযোগ পেলে যেকোনো সময়ই  হিংস্রতা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তার জীবনকে দোজখ বানিয়ে দিতে পারে। জন্মের পর যেকোনো সময় হিংস্র থাবা ধেয়ে আসতে পারে। এ পৃথিবীর প্রতিটা মুহূর্ত কন্যাশিশু তথা নারীর জন্য বিপদজনক।

0 Shares

১৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ