পাগলা মসজিদ

কামাল উদ্দিন ৯ মার্চ ২০২০, সোমবার, ০১:২৭:১৭অপরাহ্ন ভ্রমণ ৩১ মন্তব্য

ভাবছেন এই মসজিদে সব পাগলরা নামাজ পড়ে? কিংবা পাগলদের আখড়া? তেমন কিন্তু নয়। কথিত আছে পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিতু হন এবং তাকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। ওই পাগলের মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে পরবর্তীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। ফলে কালক্রমে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিত পায়। কিছু মানুষের বদ্ধমূল বিশ্বাস, যে কেউ একনিষ্ঠ নিয়তে এ মসজিদে কিছু দান-খয়রাত করলে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়। ফলে সাধারণ মানুষ এমন বিশ্বাসের আলোকে পাগলা মসজিদে প্রচুর দান-খয়রাত করে থাকেন।

মসজিদটি কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া নামক এলাকায় অবস্থিত। শহরের যেকোনো স্থান থেকে রিক্সাযোগে মসজিদে যাওয়া যায়। যাই যাই করেও এই মসজিদে যাওয়া হয়ে উঠছিলো না, তো এবার কোরবানীর ঈদের পর আর মিস করলাম না। আসুন দেখে নেই কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদটি।


(২/৩) নরসুন্দা নদীর পানি এখন আর আগের মতো স্বচ্ছ বা খুব একটা ব্যবহার যোগ্য নয়। তবু মসজিদের পাশে নদীতে নামার জন্য রয়েছে সান বাধানো ঘাট।


(৪) মসজিদের একটা সাইনবোর্ড।\


(৫/৬) মসজিদের দুটি প্রবেশ পথ।


(৭) মসজিদের ভেতরে।


(৮) দানের টাকার জন্য এমন বিশাল কয়েকটি সিন্দুক রয়েছে।


(৯) টাকা পয়সা সোনা দানা কারো হাতে না দিয়ে সিন্দুকে ফেলার কথা এখানে লিখা রয়েছে।


(১০) পাগলা মসজিদের অজুখানা।


(১১) মসজিদের পাশের দোকানগুলোতে অধিকাংশই কুরআন শরীফ, মোমবাতি টুপি এসব জিনিসের ব্যপক সমাহার।


(১২) নরসুন্দা নদীর উপর নির্মিত সুন্দর ব্রীজটার উপর দাঁড়িয়ে তোলা একটা ছবি।


(১৩) মসজিদ ছেড়ে একটু পুর্ব দিকেই গুরুদয়াল কলেজের পাশের পার্ক এটি।

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ