পাহাড় ভাবে
আর একটু হলেই আকাশ ছোঁবে,
আকাশ ভাবে
ঐ তো পাহাড়, দৃষ্টি সীমায়।
সবুজ ভাবে
বৃষ্টি এলো বলে, ঐ তো মেঘ;
হাত বাড়ালেই
আসবে নেমে অঝোর ধারায়।
মেঘ আসে না
পাহাড় হাসে না,
নিশ্চল নিশ্চুপ পাহাড়ের
আকাশ ছোঁয়া হয় না।
সাগর ভাবে
ঐ তো বালিয়াড়ি
পা ছুঁয়ে দিলাম বলে,
পা আসে না।
পাহাড় কে কষ্ট দিয়ে পুষ্ট হওয়া
এ যেন নির্জনতায় মেঘেদের
মস্ত এক লণ্ডভণ্ড খেলা
বন হরিণীর বেশে।
৩৭টি মন্তব্য
খেয়ালী মেয়ে
আহা!!! এমন করে তো আমিও ভাবি 🙁
আকাশ হয়ে বিশালতার এক দৃষ্টান্ত হবো-
পাহাড় হয়ে অহংকারী হবো-
সাগর হয়ে সব নীল আমার করে নিবো-
বৃষ্টি হয়ে সব সৌন্দর্য্যেকে ছুঁয়ে দিবো-
———————————–আরো কত্তো কি ভাবি 🙁 শেষ পর্যন্ত আমি কিছুই হতে পারি না 🙁
চমৎকার লিখেছেন (y)
ছাইরাছ হেলাল
আপনই এভাবে কবিতার মত করে ভাবলে
অবশ্যই অনেক কিছু হতে পারবেন।
আপনি এখন অনেক সুন্দর করে মন্তব্য ও করতে পারেন।
মেহেরী তাজ
হুম মেঘেরা বড্ড দুষ্টু হয় তার প্রমান…..
পাহাড় বরাবরই ভদ্র ছেলে….. 🙂
ছাইরাছ হেলাল
বাহ, দারুণ মন্তব্য।
মেঘেরা দুষ্টু হলেও মেঘকে আমি খুব পছন্দ করি কিন্তু।
মেহেরী তাজ
দুষ্টা যে তাই পছন্দ করেন. ….
আমিও পছন্দ করি। 🙂
ভাইয়া গুড নিউজ না? আমি আপনার কবিতা বুঝতে শুরু করেছি। 😀
ছাইরাছ হেলাল
এর পর কবিতা লিখতে শুরু করবেন।
মেহেরী তাজ
আমি আর কবিতা??? :D) তা হলেই হয়েছে!!
ব্লগার সজীব
ভাবনা বাস্তবতা থেকে অনেক দুরেই থাকে,তারপরেও আমাদের ভাবনা থেমে থাকেনা।
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের অন্তহীন ভাবনা চালুই থাকবে,
বাস্তবতা কাছে বা যত দূরেই থাকুক না কেন।
শুন্য শুন্যালয়
মেঘ ছুঁয়ে গেলে ভুল করে পাহাড় ভাবে এইতো আকাশ। নিবিড় আলাপনে ছেড়া টুকরো মেঘের ফাঁকে আকাশ উঁকি দেয়। পাহাড়ের ভুল ভাঙ্গে, ঘুম ভাঙ্গে। আকাশও তেমনি করে মেঘের ওরনা খুঁটে চিঠি গুজে দেয়, ঠিকানার ঘরে পাহাড়ের নাম। অভিমানী মেঘ দূরে সরে যায়, কেঁদে ওঠে শশব্দে, দূরে সবুজ থেকে বহুদূরে যেথায় আঁটকে থাকে এক জোড়া পা। সযতনে বাঁচিয়ে রাখে সাগর বালিয়ারির মিছিমিছি খেলা থেকে। নির্জনতায় মেঘের নিজের কষ্টের সাথেই এ এক লন্ডভন্ড খেলা, কবির খামখেয়ালি কবিতার বেশে।
দিছি বারোটা বাজাইয়া 😀
আপনি সত্যি সত্যি ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া তো? এমন করেতো আগে কখনো লিখতে দেখিনি। মনে হচ্ছে অনেক কষ্টে ভারী হয়ে লিখতে গিয়ে কলমটাই বুঝি কেঁদে দিলো।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি শুধু বারোটা বাজিয়ে এ যাত্রা শেষ করছেন জেনে আপাতত খানিকটা সুখ সুখ লাগছে।
ভাগ্যিস তের/চৌদ্দ/আঠেরো বা কুড়িটা বাজানো হাতে রেখেছেন। অন্যের ফালতু দুঃসময়ে ছুরি চাকু থেকে
মোটা সুঁই পর্যন্ত যখন তখন যেখানে সেখানে চালানো নির্দয় ভাবে এমনকি স্পর্শকাতর জায়গাও বাদ দিচ্ছেন না এ ভারী অন্যায়ের ন্যায়। আপনাকে তো কিছুতেই লেডি ব্রুটাস ভাবতে পারছি না। শেষ পর্যন্ত আমার পাহাড় উঁচু ও আসমুদ্র ব্যাপ্ত ভালোবাসাকে আপনি খামখেয়ালি পর্যন্ত বানিয়ে দিলেন!! আপনি সীমারের আত্মীয় বই অন্য কিছু হতেই পারেন্না। ঈশ্বরের কাছে আবেদন রাখছি আপনার হৃদয়ের জন্য কিছু হিম বরফ ও কলমমুখের জন্য সামান্য হলেও চিনির মধু সরবরাহের।
যাক, অশেষ ধন্যবাদ সদা প্রভুকে আপনার চোখে কলমকান্না ধরা পড়িয়েছেন বলে।
আপনাকে ধন্যবাদ দিতে পারবো না, আপনার ভয়ে সে সাহস হারিয়ে ফেলেছি। ধন্যবাদ লেডি সীমার ।
প্লিজ লাগে দ্রুত আর একটি ‘আধ প্যাঁচাল’ দিন না। অপেক্ষা করতে চাচ্ছি না। এরকম একটি লেখা লিখতে চাই
আমিও আপনার অনুমতিক্রমে। ধৃষ্টতা ভাববেন্না যেন।
আমার জন্য সামান্য দোয়া- খায়ের করার জন্য হুজুরের কাছে প্রার্থনা করতেই আছি।
শুন্য শুন্যালয়
শেষ পর্যন্ত সীমার, যে কিনা চোর ছ্যাঁচোর কে পেটাতে দেখলেও কাঁদে ;( লাশঘরের দুয়ারে কি যেন হৃদয় না কি যেন কি বলে অইটা রেখেই ঢুকেছিলাম, আজো ফেরত পাইনি। অন্যের আবেদনে এবার যদি সাড়া দেয় আপনার সদাপ্রভু। 12am. বুঝলেন কিছু? ঘুরিয়ে ঘারিয়ে 12pm সেরেই এসেছি, তাই তের/চৌদ্দ/আঠেরো বা কুড়ি বাজাইনি বলে বগল দাবানোর কিছু নেই। ইন্টারনাল ফ্রাকচার ধরা একটু দেরি করেই পরে।
অনুমতি কি গো ভাউ, প্যাঁচালের ঘ্যান ঘ্যানে সোনেলা অস্থির হয়ে পড়ুক, জলদি দিন। আপনার হুজুরের কাছে পারলে আমার জন্যেও একটু দোয়া-খায়ের করুন, গোবরে যেন কিছু বাড়তি সার দেয়, নইলে একটা লিখেই জমি বন্ধ্যা হয়ে যায় কেন?
সাজ ভিন্ন হলেও এই রূপে আপনাকে ভালই মানিয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার স্ক্যানে সামান্য এতাল বেতাল ধরা নয়া পড়ে উপায় আছে!
বিশেষজ্ঞ বলে কথা। বগল বাজানোর প্রশ্ন করে বেঘোরে প্রাণ খানির হেস্ত নেস্ত করতে চাই না।
যাক আপনি সীমার না, অতি আদ্র দয়ালু। বিধাতা আপনাকে চন্দ্র সূর্য্য দান করে দিক এই প্রার্থনা
রাখছি। না, আপনি যেমন তেড়ে আসছেন তাতে সাহস হারিয়ে প্যাঁচাল পাশ কাটাচ্ছি।
বরং আপনি প্রতি সকালে উষ্ণ মধুপান চালু করতেই পারেন।
বলেন কী !! দেবীর বর পাওয়া জমি, বন্ধ্যা হতে যাবে কোন দুখে, বিনা চাষে মধু ফলে,
না না,আমাদের ভাগ দিতে হবে না। একাই বিশাল উদরের পূর্তি করুণ।
শুন্য শুন্যালয়
একা একা উদরের পূর্তি করবো? 🙁 কতো যে গালমন্দ শুনছি ভগবান, এবার অন্তত দয়া করো। চাইলেই যেন দিতে পারি পৃষ্ঠা ভরা শব্দ!
আপনি কিন্তু ইদানিং খুব ঝগড়াটে হয়ে উঠেছেন, তেড়ে তো আসিইনি, উল্টো চোখ কানা ছানাবড়া করে প্যাঁচালের জন্য অপেক্ষা করছি আপনার। আপনি যে আমার চাইতে প্যাঁচাল পেরে মাথা খারাপ করতে অভ্যস্ত প্রমাণ করতে ভয় পাচ্ছেন? চন্দ্র সূর্য সবই আছে এখন, বুইঝেন কিন্তু আবার তাবিজ কবচের এজেন্টের সাথেও দেখা মিলছে, তাই সাবধান। লেখা দিন জলদি।
শুন্য শুন্যালয়
মনে এত ভয় যে মুছে দিতে হলো? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমি খুব ভয় পাই, সবাইকে।
আপনি তা জানেন।
শুন্য শুন্যালয়
সবাইকে (?) ভয় পাওয়া ভালো ভাউ।
ছাইরাছ হেলাল
একবার ভয়, সব সময় ভয়।
সবাইকেই ভয় পেতে চাই, তা পারছি কৈ সব সময়!!
কেউ ভয় কাটিয়ে ও দেয় না ভাউ।
নীলাঞ্জনা নীলা
এই রে!!! ঘটনা কি? আমার তো মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। আপনি আমার ভাব নিয়ে লিখেছেন কেন বাপু? এটা ঠিক না।
আপনি আপনার মাহজাবীন-চিত্রাঙ্গদা নিয়েই লিখুন। চুল এমনিতেই প্রায় শেষ আমার, সমস্যা নেই তাও। যেভাবেই হোক চেষ্টা করবো বোঝার।
দেখুন এটা ঠিক না কবি ভাই, আমার নীলকে নিয়ে টানা-হ্যাঁচড়া। কি বিপদেই ফেললেন, আজই একটা কবিতা দেবো ভেবেছিলাম, লিখেও ছিলাম গতকালই। ব্লগে আসতে পারিনি তাই দেয়া হয়নি। এখন দিলেই সবাই ভাববে নকল করেছি আপনার লেখা। ;(
হায়রে কপাল এখন আমি কই যাই? কি করি?? ;?
যান কবিতায় কোনো মন্তব্যই করবো না ভালো। স্রেফ বলতে চাই আমার নীলকে নিয়ে টানাটানি চলবে না। হুম :@
পঁচা লেখা। (9)
ছাইরাছ হেলাল
আপনি হলেন ব্লগের লেডি কবিগুরু (বানী…শূন্য শূন্যালয়), আপনি কারো লেখা নকল করবেন তা ভাবাও
পাপ। বরং এ অধম সেটি করে, করেছে তা প্রমাণিত। চোখে কলমখোঁচা দিয়ে তা দেখানো হবে।
এমনিতেই একদঙ্গল পাপিষ্ট মেহজাবিনদের নিয়ে জ্বলছি, আপনার নীল-ফিল দিয়ে আমি কী করবো? (পেলে মন্দ হতো না,ঘাড় মটকে দিয়ে উল্লাস করা যেত)।
লেখা তো পঁচা বলবেন ই, আপনি ও মেহজাবিনকে কানপড়া দেয়ার দলে সগর্ভে যোগ দিয়েছে। তা তো দেখছি। তা না হলে শয়তানী নিত্য-নূতন ভাব কীভাবে ধরা শিখছে।
কার্বন টেস্ট করে দেখতে পারেন, এ লেখাটি এক কুড়ি দিন আগে লেখা, প্রায় সাত দিন
খসড়ায় ও পড়ে ছিল।
লেখার অপেক্ষায় রইলাম।
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালোই তো দেখছি তৈল দিতে পারেন! দেখুন ভেঁজাল তেল দিয়ে এখন আমায় অসুস্থ করবেন না।
যা অবস্থা হচ্ছে তাতে তো ভয়ই পাচ্ছি কবে কখন অক্কা যেতে হয়। নীল ছাড়া আমি নেই। খেয়াল করে দেখুন প্রায় ৯৯% লেখায় নীল শব্দটা আছে। তাই এভাবে অবহেলার সাথে এভাবে বললে (আপনার নীল-ফিল দিয়ে আমি কী করবো?) কিন্তু ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবো।
লেখার অপেক্ষায় থাকুন। দামী লেখক বলে কথা! অতো সহজেই চাইলেই লেখা দিয়ে দেবো, উহু সে তো হবেনা। :p
ছাইরাছ হেলাল
সে যাই বলুন, লেখা চাই ই।
নীতেশ বড়ুয়া
আচ্ছা…, আকাশ যদি কখনো বালিয়াড়ি ছুঁতে চায় তখন কি হবে!!!! ;?
ছাইরাছ হেলাল
বালিয়াড়ি বা আকাশ দুজনেই বেঁচে গেল।
তবে বেশি ছোঁইয়া-ছুঁয়ি করা ঠিক না কইলাম।
নীতেশ বড়ুয়া
ছোঁয়া বারণ নিতে না দিতে? :D)
ছাইরাছ হেলাল
দুটোই জ্বালাময়।
নীতেশ বড়ুয়া
একখান সিনেমা আইছে হলে কিছু মাস আগে ‘ছুঁয়ে দিলে মন’। চিন্তাইতেসি ছুঁয়ে দিবো নাকি শুধু দেখে যাব :p
প্রজন্ম ৭১
অসমাপ্ত সব ভাবাভাবির কবলে ভাবনাগুলো।কবিতা এতো সহজ কেনো? 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ভাবনারা এবার ভাবতে বসেছে, কঠিন লেখার বদনাম এড়ানোর বৃথা চেষ্টা।
জিসান শা ইকরাম
কবিতা উপভোগ করছি ভালোই
মন্তব্য সহ 🙂
ছাইরাছ হেলাল
উহা চালু থাকিবে।
লীলাবতী
আপনার লেখা মুগ্ধ হয়ে পড়ি।ইদানিং তো একটি পোষ্টের মাঝে মন্তব্যে আরো লেখা বোনাস পাচ্ছি।মজাই মজা -{@
ছাইরাছ হেলাল
ইদানিং ভত্তাবতীকে পাচ্ছি ই না।
আসলে এটিই ব্লগের প্রকৃত আনন্দ। সাথে থাকুন।
অরুনি মায়া
ভাল লাগল আপন প্রকৃতি আপনার দৃস্টি তে,,,,
ছাইরাছ হেলাল
পুরানো লেখা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
নাসির সারওয়ার
সম্ভবত এই কবিতা আমাকে ছুঁয়ে দিয়েছিলো। তখন কিছু বলার অবস্থানে ছিলাম না। আজও বলার কিছুই নাই। তবে আমি এটাকে গুছিয়ে রেখে দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
এটি অত্যন্ত আনন্দদায়ক যে এটি আপনাকে বা আপনি এটিকে ছুঁয়েছেন।
গুছিয়ে রাখার জন্য ধন্যবাদ।