গতবার লিখেছিলাম করোনার প্রভাবে বিশ্বের কি কি চেইঞ্জ আসছে, এইবারও তেমন কিছু নিয়ে শুরু করছি, আমরা সবাই জানি পুরা বিশ্ব এখন মরণব্যাধি করোনার সাথে যুদ্ধ করে চলেছে, কোথাও লকডাউন তো কোথাও কারফিউ, এ পর্যন্ত এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে এক লক্ষ পনেরো হাজারের অধিক মানুষ আর আক্রান্ত দশ লক্ষাধিক https://www.worldometers.info/coronavirus/?utm_campaign=homeAdUOA? ,
চারিদিকে এখন হাহাকার চলছে, গবেষকরা প্রাণান্ত চেষ্টা করে চলেছে কোভিড-১৯ করোনার ঔষধ বানানোর জন্য, আশা করা যাচ্ছে এই বছরের মধ্যে ঔষধ হাতে চলে আসবে।
এদিকে পুরা বিশ্বের পরিবেশে বিপুল পরিবর্তন এসেছে যার কিছু অংশ এইখানে তুলে ধরছি।
বাংলাদেশঃ
এই লকডাউন পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন এসেছে, যেইখানে বায়ু দূষণে ঢাকা এক নম্বরে ছিলো, সেই ঢাকা এখন ২৩তম স্থানে ফিরে গেছে, এর কারণ দেশের চলমান পরিস্থিতিতে ঢাকা শহরে যানবাহন বন্ধ থাকার কারণে বায়ু দূষণ কমে গেছে, সাথে সাথে ঢাকার গাছপালা গুলো সবুজে সবুজ হয়ে গেছে, আপনি যেদিকেই তাকাবেন সেদিকেই চোখে পড়বে।
এদিকে বুড়িগঙ্গা নদীর রঙ না বদলালেও দূর্গন্ধ চলে গেছে, হয়ত এইভাবে চলতে থাকলে আরও কিছু বদল আসবে বুড়িগঙ্গায়, তিস্তা সহ প্রায় সব নদীতেই বেশ কিছু বদল এসেছে শুধু মাত্র কলকারখানার দূষিত বর্জ্য নদীতে পড়ছেনা বলেই, পড়বে কোথা থেকে, সবই তো বন্ধ।
বাংলাদেশের বড় বড় শহর গুলোরও তদরূপ অবস্থা, এদিকে কক্সবাজারে সমুদ্রে যেসব ডলফিন খেলছিলো, দুঃখজনক ভাবে জেলেরা তাদের পিটিয়ে মেরে ফেলেছে, কিন্তু কক্সবাজারে এখন জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে যেন আর ডলফিন না মারে, কিন্তু ক্ষতি তো হয়েছেই।
সবচেয়ে লক্ষণীয় যে কক্সবাজারের বালিয়াড়িতে হারিয়ে যাওয়া লতা গাছ যাহা বালিয়াড়িরি সৃষ্টিতে প্রধান ভূমিকা রাখে, সেই লতা গাছ গুলো আবার জন্মাচ্ছে, তাও বিপুল পরিমানে, এই লতা গাছ গুলো বালি আটকে আটকে ছোটখাটো বালির পাহাড় সৃষ্টি করে যাহা ঝড় জলোচ্ছ্বাসের সময় সৃষ্ট বন্যাকে বাধাগ্রস্ত করে অনেকটা বাঁধের মতোই ধরতে পারেন,উক্ত লতা গাছ রক্ষার্থে সরকারের উচিত যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
এছাড়া সমুদ্র এলাকা গুলোতে লাল এবং সাদা কাঁকড়ারায় ভরে গেছে, এরা সমুদ এলাকার জীব বৈচিত্র ফিরিয়ে এনেছে, এদের সাথে সাথে ফিরে এসেছে সামুদ্রিক পাখিরা, ফিরে আসছে সামুদ্রিক কচ্ছপরা, এইসবের ফিরে আসা আগে পর্যটকদের কারণেই থমকে গিয়েছিলো।
সাথে সাথে সমুদ্রের পানি তার রঙ ফিরে পাচ্ছে, সমুদ্রের দূষণ মুক্ত হয়ে ফিরে আসছে।
বিশ্বঃ
সারা বিশ্বেই অনেক পরিবর্তন এসেছে লকডাউনের কারণে, দূষণ বন্ধ থাকায়, কলকারখানা স্থবির থাকায় বায়ু দূষণের মাত্রা প্রায় নেই হয়ে গিয়েছে।
আগেই বলেছিলাম ওজোন স্তর এখন বদলাচ্ছে, তার ছিদ্র অনেকটাই ঠিক হয়ে আসছে, মেরুর বরফ গলা বন্ধ হয়ে এসেছে, আগে আমেরিকার আকাশে তারা দেখা যেতোনা, এখন সপ্তর্ষি তারা সহ সকল তারাদের দেখতে সমস্যা হচ্ছেনা, শুধু কি আমেরিকা, বিশ্বের অনেক দেশ থেকেই তারাদের দেখা পাওয়া এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে, আর এক বছর যদি এইভাবে চলতে থাকে তাহলে আজ থেকে পাঁচশো বছর আগের পৃথীবি যেমন ছিলো, তেমনই অবস্থায় ফিরে যাবে।
বিশ্বের ফুসফুস খ্যাত আমাজন ফিরে যাচ্ছে তার পুরাতন চেহেরাতে, তদরূপ ভাবে বিশ্বের সকল বন ফিরে পাচ্ছে তার আদি রূপ।
সবচেয়ে মজার বিষয়টা কি জানেন?
আজ থেকে কয়েক সপ্তাহ আগে এই পৃথীবি তীব্র ভাবে কাঁপতো, এই কাঁপাকাঁপি হওয়ার কারণ আমরাই, আমরা তখন প্রচন্ড গতিতে বড় ছোটো গাড়ী ছুটাতাম সারা বিশ্বে, চলতো হাইস্পিড, লোস্পিড ট্রেইন, চলতো উড়ো জাহাজ থেকে শুরু করে বড় বড় পানির জাহাজ, যা এখন বন্ধ, চলতো বড় বড় দানবাকৃতির কলকারখানা, আমরা চলাফেরা করতাম, দানবের বংশধর বলে কথা।
এখন আমাদের এইসব চলাচল বন্ধ প্রায়, ফলশ্রুতিতে পৃথীবিও শান্ত হয়েছে, কাঁপাকাঁপি বন্ধ হয়ে গেছে, এতে লাভ হয়েছে আমাদের, কিভাবে?
খেয়াল করে দেখুন এখন কয়টা বড় ভূমিকম্পের খবর শুনেছেন?
গবেষকরা গবেষণা করে দেখেছেন, সকল ধরণের ফল্ট যা ভূমিকম্পের জন্য দায়ী তা এখন অনেকটা থেমে গেছে বা ধীর হয়ে গিয়েছে, কি ভালো না?
করোনার দাপটে দীর্ঘ লকডাউন পৃথিবীর প্রায় অর্ধেকাংশে, যার জেরে দূষণের অভিশাপকে কিছুটা রোধ করা গিয়েছে বলে হাতে-কলমে প্রমাণ মিলছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই?
এরই মধ্যে আরেক আশঙ্কার কথা শোনাল পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একটি দল। মাসখানেক ধরে সুমেরু অঞ্চলের বায়ুমণ্ডলের ওজন স্তরে তৈরি হয়েছে একটি বড়সড় ছিদ্র। যার কারণ এখনও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে।
ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ESA) একদল বিজ্ঞানীর মতে, ওজন স্তরে এত বড় মাপের ছিদ্র তৈরি হওয়া ব্যতিক্রমী ঘটনা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়ছে। আর এই ছিদ্র পৃথিবীর স্বাস্থ্যে বড়সড় প্রভাব ফেলবে। ওজন স্তরের কার্যকারিতা সম্পর্কে আমরা সকলেই ওয়াকিবহাল।
সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি শোষণ করে, তার ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করে। এখন মাত্রাতিরিক্ত দূষণের জেরে এমনতিই পাতলা হচ্ছে ওজন স্তর। তার উপর আবার এত বড় ছিদ্র তৈরি হওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বাধাহীনভাবে পড়বে সরাসরি ভূপৃষ্ঠের উপর। তার প্রভাব যে কী মারাত্মক হতে চলেছে, তা নিয়েই চিন্তিত বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু কেন ওজন স্তরে এই ক্ষত? বিজ্ঞানীদের একাংশের মতে, দূষণ কমতে থাকায় মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রা এবং বায়ুমণ্ডলে তেমন পরিবর্তন হচ্ছে না। উষ্ণ আর শীতল বায়ুর সংঘাতে মেরু ঘূর্ণাবর্তও কম। এই ঘূর্ণাবর্ত যত হয়, তত ঝঞ্ঝা থেকে বাঁচতে ওজন স্তরের বিস্তারও ঘটে। কিন্তু ঘূর্ণাবর্ত না থাকলে, বায়ুমণ্ডলের নির্দিষ্ট স্তরে ওজন গ্যাস থেকে যায়। ফলে তাকে ভেদ করা সহজ। এখন যা হচ্ছে।
তবে এই ঘটনার রেশ কতটা পড়বে পৃথিবীর আবহাওয়ার উপর কিংবা এই ছিদ্র পরে কীভাবে মেরামত হবে, সেই উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীদের একাংশ। - সূত্রঃ ঢাকা টাইমস/২৪
এরপরেও আশা করছি দ্রুত এই ছিদ্র আপনা আপনিই ভরাট হয়ে যাবে।
আমার মতে সকল দেশের জনগণ এবং তাদের সরকার একত্রিত হয়ে করোনার প্রকোপ বন্ধ হলে পৃ্থীবির এইসব বদলে যাওয়া প্রকৃতিকে এইভাবেই রাখতে তৎপর হওয়া উচিত, বায়ু দূষণ যেন বৃদ্ধি না পাই তার ব্যবস্থা করাটা খুবই জরুরী, আমাদের মনে রাখতে হবে এই প্রকৃতিই পারে আমাদেরকে রক্ষা করতে, পারে আমাদের ভবিষ্যত বংশধরদের সুন্দর এক পৃথীবি উপহার দিতে।
আসুন আমরা সবাই এই সুন্দর প্রকৃতিকে বাড়তে দিই।
সমাপ্ত।।
ছবিঃ গুগল।
জনস্বার্থেঃ
৪৭টি মন্তব্য
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব সুন্দর পোষ্ট। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। পৃথিবী ফিরে পাক তার সৌন্দর্য,আমরা প্রাণীরা বিশুদ্ধ বাতাস পাই, প্রকৃতি সাজুক রূপের ডালিতে । ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ ভাবে এই চাই আমিও আপু, পৃথীবি যেন তার সাজে সাজুক, কেউ যেন এর ব্যাতয় না ঘটায়।
ধন্যবাদ।
সুপায়ন বড়ুয়া
আপনার বিশ্লেষন ধর্মী লেখাগুলো ভালই লাগে
আবার ওজন স্তর নিয়ে ভয়ের কথা বলছেন
যা চিন্তার কারন।
যাক যাই বলেন না কেন
শান্তির নামে এই কবরের নিস্তবদ্ধতা ভাল লাগছে না।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ অবিরত দাদা, বিপদ তো থাকবেই কিন্তু খেয়াল করে দেখুন সৃষ্টিকর্তায় যেন সব ঠিক করে দেয়, তেমনি নিশ্চয় আগামীতে হবে।
শুভকামনা।
সাবিনা ইয়াসমিন
চমৎকার বিশ্লেষণ করেছেন ভাইজান। পুরো লেখা পড়ে ইচ্ছে হচ্ছে পাঁচ শত বছর আগের পৃথিবীটাকে এক নজর দেখতে। কিন্তু তার জন্যে যদি একবছর অপেক্ষা করা লাগে তাহলেই বিপদ। যেভাবে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পরেছে/ পরছে তাতে একবছর পর পৃথিবী থাকবে, তবে মানুষ থাকবে কিনা উপরওয়ালাই জানেন 🙁
সব মিলিয়ে সুন্দর পোস্ট। অল্প কিছু কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বানান এডিট করা লাগবে।
শুভ কামনা সব সময়ের জন্যে 🌹🌹
ইঞ্জা
আপু আপনিই এডিট করে দিন, আমার তো ভুল হয়।
সাবধানে থাকুন, ইনশা আল্লাহ নিশ্চয় নতুন পৃথীবি দেখতে পারবেন।
ইঞ্জা
আপু কিছু কারেকশন করেছি, একবার দেখবেন প্লিজ।
সাবিনা ইয়াসমিন
সব ঠিক আছে 🙂
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
“এ পর্যন্ত এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে দুই লক্ষেরও অধিক মানুষ ” একটু এডিট করে দিন।
https://www.worldometers.info/coronavirus/?utm_campaign=homeAdUOA?
আর এত্ত হত্যাযজ্ঞের পর অনেক সুখবর অবশ্যই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে,
আল্লাহ আমাদের সহায় হবেন, এই আশা নিয়ে-ই অপেক্ষা করি।
ইঞ্জা
ভাইজান লিংকটি দিয়েছি, ধন্যবাদ।
আল্লাহ নিশ্চয় সহায় হবেন এবং ইনশা আল্লাহ আমরা নিশ্চয় নতুন পৃথীবির রূপ আস্বাদন করতে পারবো।
সুরাইয়া পারভীন
দারুণ বিশ্লেষণ করেছেন ভাইয়া। করোনার ভালো-মন্দ দুটোই দিক আছে। আমরা ফিরে পেতে চলেছি পাঁচশত বছরে আগেই পৃথিবী এটা ভেবে আপ্লুত হচ্ছে মন। কিন্তু এক বছর করোনা থাকলে সেই পৃথিবী দেখার জন্য কি আর কেউ থাকবে? এ দিকে আবার ওজনস্তরে বড়সড় ছিদ্র। এটা যদি ক্রমাগত বাড়তে থাকে তবে ঝলসে যাবে সবকিছু।
মহান রাব্বুল আলামীন আমাদের রক্ষা করুন। আমীন
ইঞ্জা
আপু ঘরে থাকুন, পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন, নিশ্চয় আল্লাহ আমাদের হেফাজত করবেন।
ছিদ্রের কথা বলছেন?
আপু সব কিছুই যখন ভালো হচ্ছে, নিশ্চয় এইটিও প্রকৃতির ডাকে সারা দিয়ে তাও ঠিক হয়ে যাবে, ইনশা আল্লাহ।
ধন্যবাদ আপু।
নীরা সাদীয়া
অনেক আশার বানী পেলাম। সেই সাথে অনেক অজানা তথ্য জানলাম। বেশ ভালো লাগলো এ পর্বটি।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু। 😊
ফয়জুল মহী
অনন্যসাধারণ লেখা। শুভেচ্ছা । দোয়া করবেন।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
প্রদীপ চক্রবর্তী
খুবি ভালো বিশ্লেষণ দাদা।
পৃথিবী তাঁর সগর্ভে ফিরে আসুক।
সৃষ্টিকর্তা সকলকে রক্ষা করুক।
ইঞ্জা
শতভাগ সহমত দাদা।
ধন্যবাদ।
সুরাইয়া নার্গিস
অনেক গুরুত্বপুর্ণ ও তথ্যবহুল একটা পোষ্ট পড়লাম ভাইয়া।
ভালো থাকবেন,সাবধানে থাকবেন।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ আপু।
সাবধানে থাকবেন, ঘরে থাকবেন।
শুভকামনা।
তৌহিদ
যাক লেখা পড়ে মনে তবু আশার আলো জ্বলে উঠলো। এই পৃথিবী আবার সবুজের সমারোহে ভরে উঠছে, বাসযোগ্য হয়ে উঠছে এটাই বুঝি প্রকৃতির খেয়াল। তার সৃষ্টিকে তিনি যেভাবেই হোক বাঁচিয়ে রাখবেন।
ডলফিনগুলো মারা যাবার পেছনে অসচেতনতাই দায়ী। স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিলো। ওজোনস্তর অচিরেই ঠিক হবে এটাও আশাকরি।
চমৎকার পোষ্ট ভাই।
ইঞ্জা
সত্যিকার অর্থে মানুষ কেন অসচেতন আমি বুঝে উঠতে পারিনা, এইখানে লোভটাই বেশি কাজ করে, সরকারভতথা প্রশাসনের আরও সতর্কতার প্রয়োজন আছে।
ধন্যবাদ ভাই।
কামাল উদ্দিন
মন্দের ভালো এই যে, আমাদের পৃথিবী রিপেয়ার হচ্ছে। প্রকৃতি নিজেকে রক্ষার জন্য নিজেই যথেষ্ট, তবে ভাবনার বিষয় হলো মানব জাতির এতোটা ক্ষতি না করে কি প্রকৃতি নিজেকে রিপেয়ার করতে পারতো না?!
ইঞ্জা
দেখুন ভাই, কোভিড-১৯ কিন্তু পরিবেশের সৃষ্ট নয়, শুধু প্রকৃতিকে কেন দোষ দেবো?
ধন্যবাদ ভাই।
কামাল উদ্দিন
তাহলে ট্রাম্পের মতো আমাদের বলতে হবে চায়নিজ ভাইরাস?
ইঞ্জা
চায়নিজরা বলছে আমেরিকানরা নিয়ে এসেছে আর্মি গেমস উহানে, আমেরিকানরা বলছে চায়নিজ, আল্লাহই ভালো জানেন।
নাজমুল আহসান
চমৎকার লিখেছেন। কিন্তু মৃত্যুর পরিসংখ্যানটা একটু ভুল হয়েছে। এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজারের কিছু বেশি।
ইঞ্জা
পরিসংখ্যানটা গতদিন টিভিতেই পেয়েছিলাম যা আজ দেখছি অনেক কম, আপনার মতামতের পরিপ্রেক্ষিতে আমি সম্পাদনা করে দিলাম, ধন্যবাদ ভাই।
নাজমুল আহসান
এক লক্ষ আর দুই লক্ষে বিশেষ পার্থক্য নেই ভাই। পৃথিবীটা বড় বিপদে পড়েছে, এটাই আসল ব্যাপার।
ইঞ্জা
সত্যি ভয়ে আছি, এমন আতংক মনে হয় আর দেখিনি।
এস.জেড বাবু
“লকডাউন মাস” চালু করা উচিত-
এ নিয়ে পরিবেশবাদীরা জোড় তত্পরতা চালাতে পারে।
এমনিতেও পশ্চিমা দেশগুলোতে ১৫ থেকে ২১ দিন পর্যন্ত বাৎসরিক ছুটি থাকে। সে সময়টা আন্তর্জাতিক ভাবে একমাস করে সম্স্ত কিছু (বর্তমান সময়ের মতো) বন্ধ করে দেয়া উচিত।
ইঞ্জা
এ বিষয়ে সকল নেত্রী স্থানীয় গণ চিন্তা করতে পারেন, আমাদের উচিত পরিবেশকে রক্ষা করা, ধন্যবাদ ভাই।
হালিম নজরুল
চমৎকার তথ্যসমৃদ্ধ বিশ্লেষণধর্মী পোস্ট
ইঞ্জা
অক্লান্ত ধন্যবাদ ভাই।
রেহানা বীথি
একটু আশার বাণী শুনতে চায় এসময় মন। আপনার পোস্টের মাধ্যমে তা যেন পূরণ হল কিছুটা। চমৎকার বিশ্লেষণধর্মী লেখা ভাইয়া।
ভালো থাকুন সবসময়।
ইঞ্জা
আপু আশার বাণী দিয়েছি যেন মানুষ বাঁচতে চাই, এতে সবার বাঁচার স্পৃহা বাড়লে আমার লেখা স্বার্থক হবে।
ধন্যবাদ আপু।
জিসান শা ইকরাম
সুখবরের সাথে দুঃসংবাদও পেলাম এই পোষ্ট পড়ে।
ওজন স্তরের ছিদ্র কিভাবে ভরাট হবে? বা মেরামত হবে!
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মাঝে মাঝে এমন ভাবে সব কিছু বন্ধ করে দিলে মন্দ হয় না।
এমন ভালো একটি পোষ্টের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইজান।
ইঞ্জা
বিজ্ঞানীরাও অবাক বিষয়টি নিয়ে, তারা আশাবাদী যে দ্রুতই এটিও ঠিক হয়ে যাবে।
বিশ্বের বড় বড় মাথারা যদি এক হয়, তাহলে পৃথীবিকে রক্ষা করা নিশ্চয় সম্ভব।
ধন্যবাদ ভাইজান।
অপার্থিব
নুতুন পৃথিবীর আশা করতে দোষ কি ? দেখা যাক বিশ্ব মোড়লেরা কি করে। করোনার কৃতিত্ব এই যে সে দেখিয়েছে মানুষের মধ্যকার ধর্ম বর্ণ , জাতীয়তাবাদ কেন্দ্রীক আন্তঃ দ্বন্দের চেয়ে রোগ শোক, দারিদ্র সব দেশের সব মানুষের একক প্রধান শত্রু। সবাই নিজেদের মধ্যকার বিভেদ ভুলে এখন কমন শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে।
ইঞ্জা
খুবই সত্য বলেছেন, এক মানুষ সকল বিবেধ ভুলে একটা শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে, এখন যারা বেঁচে যাবে বা জয়ি হবে তারাই নতুন পৃথীবির স্বাদ নিতে পারবে।
ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
ভাইজান, করোনাবদ্ধ থেকে মানুষ যে শিক্ষা পাচ্ছে তা করোনাত্তোর সব ভুলে যাবে এটা শতভাগ সত্য। (আমাদের দেশে) প্রাণীকুল ও পরিবেশ তার নিজস্ব চরিত্র ও গতি ফিরে পাওয়াটা স্বাভাবিক। আজ থেকে আদিম যুগে চলে যাই। আদিম মানুষরা সারাদিন গুহায় থাকতো। শিকারের জন্য বের হতো। শিকার করেই আবার গুহায় ফিরে আসতো। তখন প্রকৃতি ছিলো সবুজ ও তার নিজস্ব গতিতে বহমান। পরিবেশ নষ্টকারী মানুষ। আর এই মানুষ যত পরিবেশের উপর আঘাত হানবে বা অত্যাচার করবে ততই মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। খুব কষ্টের ও ভয়ের ব্যাপার হলো ওজন স্তরের ছিদ্র ভরাট হতে অনেক সময় নিবে। করোনা ভাইরাসের ভেকসিন আবিস্কারের মতন।
সুন্দর একটি লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই, আমরা মানুষই আজকের এই অবস্থার জন্য দায়ী, পরিবেশ তার প্রতিশোধ নিতে শুরু করেছে, আমাদেরকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে, যদিও হবো বলে মনে হয়না।
গুরুত্বপূর্ণ কমেন্টের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শামীম চৌধুরী
ভালো থাকুন।
ইঞ্জা
শুভকামনা
মনির হোসেন মমি
সব মিলিয়ে চমৎকার আপডেট পূর্ন একটি পোষ্ট্। আসলে সতর্কতাই এখন এ থেকে একমাত্র রক্ষা পাওয়ার উপায়।
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত ভাই, এখন অসতর্ক হলেই বিপদ।
ধন্যবাদ ভাই।