দিনাজপুরের ইয়াসমিনের কথা মনে আছে কি?

১৯৯৫ সালের ২৪ শে আগস্টের কথা, একটা সহজ-সরল কিশোরী কর্মস্থল ঢাকা থেকে মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছিল দিনাজপুরে। ভোরে পুলিশের জিম্মায় মায়ের কাছে যাবার কথা ছিল তার। কিন্তু পথিমধ্যে পুলিশ পিশাচগুলো তাকে ধর্ষণ করে লাশ ফেলে দেয় দিনাজপুর শহরের ৫ কিলোমিটার দুরে ব্র্যাক অফিসের পাশে রাস্তায়।

এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে প্রশাসন ইয়াসমিনকে পতিতা বলে ধামাচাপা দেবার চেষ্টা করেছিল কিন্তু জনতা আরো বিগড়ে যায়। ২৬ আগষ্ট রাতে বিক্ষুব্ধ জনতা কোতয়ালী থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা কালে পুলিশ লাঠিচার্জ করে ও বিক্ষুব্ধ জনতা কোতয়ালী থানার সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলে। ২৭ আগষ্ট বিক্ষুব্ধ জনতা প্রশাসনিক কর্মকর্তার বদলি সহ দোষী পুলিশ সদস্যদের শাস্তির দাবীতে বিশাল মিছিল বের করলে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এ সময় ৭ জন নিহত ও আহত হয় ৩ শতাধিক। বিক্ষুব্ধ জনগন শহরের ৪টি পুলিশ ফাড়ি জ্বালিয়ে দেয়। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে দিনাজপুরের ১৩ থানাসহ দেশব্যাপী।

সেই থেকে ২৪ আগষ্ট, দিনাজপুরের ইয়াসমিন ট্রাজেডি দিবস। দিনটি নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন হয়ে আসছে স্থানীয়, জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে। এমন প্রতিবাদ যদি প্রতিটা ধর্ষণের বিরুদ্ধে হতো, তাহলে এদেশ থেকে ধর্ষণ শব্দটা একদিন হারিয়ে যেতো। দয়া করে এই ঘটনা থেকে কিছু শিক্ষা নিন ও বাস্তবে কাজে লাগান।

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ