জয়িতা,
আজ আমিও অনেকদিন পর ছাদে এলাম । পুরোপুরি এক ফ্লাক্স চা নিয়ে । সাথে সস্তা সিগারেট । আজকাল সস্তা সিগারেট খাই । ইচ্ছে থাকলেও প্রিয় সাদা সিগারেট খেতে পারিনা । বরাবরই এমন হয় । ইচ্ছে থাকলেও প্রিয় জিনিসগুলো পাওয়া হয়না । আমার প্রিয় জিনিসগুলোর মধ্যে তুমি সচেতন ভাবে ঢুকে গেছ । আজকাল ইচ্ছে হলেও তোমাকে পাওয়া হয়ে উঠছেনা । তোমার সাথে সমস্ত খুলনা হেঁটে বেড়ানো যাচ্ছেনা। তোমাকে ফেসবুকে ক্ষুদেবার্তা দেয়া যায়না। আমার হাতে এই মুহুর্তে তোমার একটা চিঠি আছে। অদ্ভুত ব্যাপার হল তোমার চিঠির প্রতিটা লাইনেই প্রশ্নবোধক চিহ্ন। আমাদের গোটা জীবনটাই এমন। সারি সারি প্রশ্নবোধক চিহ্ন। আমাদের এই প্রত্যেকটা প্রশ্নবোধক চিহ্নের উত্তর আমরা জানিনা। জানলে বেঁচে থাকাটা অর্থহীন হয়ে যেত তাইনা?
আমি বারবার বলেছি আমি তোমার কাছে কিচ্ছুনা। আমি কিছু চিন্তা, সাম থটস, ফ্যান্টাসি। পানিতে হটাৎ ওঠা ঢেউয়ের মত। মিলিয়ে যেতে সময় লাগেনা। আমার মত অর্থহীন একজন মানুষকে কেউ অনুভব করতে পারে সেটা আমি ভাবতেও পারিনা। আমার সাথে কেউ তার ছাদে বসে উষ্ণতা ভাগাভাগি করে নিতে চায়! সেটাও রীতিমত বিস্ময়কর। আমাদের গন্তব্য যদি কোনদিন স্থির হয়ে যায় তবেই তোমার ছাদে আসব একদিন। গল্প করতে অথবা তোমার সাথে কফি খেতে।
সমস্যাটা সেখানেই। আমাদের গন্তব্য আসলে স্থির না। শুধুমাত্র মৃত মানুষের গন্তব্য স্থির। আমি একটি স্থির গন্তব্যের অপেক্ষায় আছি।
-রি।
৭টি মন্তব্য
নীহারিকা
কঠিন চিঠি।
অপ্রাপ্তির কথা ভেবে লাভ নেই।
স্বপ্ন যেন সত্যি হয়।
তেলাপোকা রোমেন
আপনার জন্য শুভকামনা। অপ্রাপ্তির কথা প্রাসংগিক তাই চলে আসে 🙁
শুন্য শুন্যালয়
এই না সেদিন বললেন সিগারেট ফেলে দিয়েছেন আবার কেন? নিজেকে ভালোবাসা কমিয়ে দিয়েছেন বুঝি?
আমার অস্থির না স্থির গন্তব্যই ভালো লাগে। দ্রুতগতির বাসে উঠলে সবসময় মনে হয়, ইশ বাস টা যদি না থামতো। কিন্তু তা সম্ভব না, আমাদের গন্তব্য স্থির।
আপনি খুব ভালো লেখেন ভাই।
তেলাপোকা রোমেন
আমি আমাকে ভালোবাসি। সবসময় না। কিছু কিছু সময়। বাকীটা পুরোটাই অবহেলা।
আমাদের গন্তব্য কিন্তু মোটেও স্থির নয়। অন্তত কোয়ান্টাম মেকানিক্স তাই বলছে 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
স্থির গন্তব্য নিয়ে ভাবনা আসেনা যে কেন আমার!
আসলে ওটা আমাদের জীবনের একমাত্র অনিবার্য যে, তাই হয়তো।
ছোট্ট অথচ গভীর, ভালো লাগে আপনার লেখা সবসময়েই।
তেলাপোকা রোমেন
আপনার কাছ থেকে মন্তব্য পেতে ভালোলাগে। সবসময়।’
শুভকামনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
অলঙ্কারহীন মন্তব্য, তাও ভালো লাগে! জেনে প্রীত হলাম। 🙂