জেদ

ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন ৩ জুলাই ২০১৫, শুক্রবার, ১১:২৮:২৩অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩ মন্তব্য

" এবিডি ! "

ডাক শুনে ফিরে তাকালাম। কণ্ঠ শুনেই বুঝে গেছি ডাকটা কে দিয়েছে ! এই কণ্ঠ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত আমার কানের কাছে কিছু বললে আমি না দেখেই বলে দিতে পারবো এটা কার কণ্ঠ !

" হুম। বলো। 🙂 "

- না কিছু না।

- এমনিই ডাক দিলে ?

- আসলে ... আসলে ...!

- কি আসলে ? আশ্চর্য ব্যাপার তো।

- তুমি এরকম উকিলের মত জেরা করো কেন সবসময় ? :@

- আজব কথাবার্তা ! :O আমারে ডাক দিলা এটার কারণ জিজ্ঞেস করলাম, এতেই জেরা হয়ে গেলো ?

- হইসে ... তোমারে ডাক দিয়ে অনেক বড় পাপ করসি। :@

- করসোই তো। তুমি মনে হয় ভুলে গেছো আমাদের মধ্যে এখন আর কোন সম্পর্ক নেই। তোমার অহেতুক ডাক শোনার টাইম আমার এখন নাই।

- ওহ ! আমি সরি। আসলে অভ্যাস তো এভাবে ডাক দিয়ে মজা করার। কিন্তু মনে ছিল না যে আমার সেই অধিকারটুকুও নেই এখন। 🙂

- ইয়ে মানে আমি কথাগুলো ভেবে বলি নি। রাগের মাথায় বলে বসছিলাম। সরি আমি। তুমি মনে কষ্ট নিয়ো না। 🙁

- আরে তোমার তো কোন দোষ নাই। সব দোষ আমার। 🙂

- হয়তো। কার কি দোষ সেটা নিয়ে আলোচনা না করে, বিশ্লেষণ না করে সবচেয়ে ভালো উপায় দোষটার সমাধান করা।

- কি বলতে চাও ?

- তুমি ভালো করেই জানো সেটা। 🙂
বলেই ঘুরে দাঁড়ালাম। চোখে পানি এসে গেছে আমার। সেটা ওকে দেখাতে চাই না। পৃথিবীর কাউকে আমি চোখের পানি দেখাতে চাই না। " পুরুষ মানুষের চোখের পানি কাউকে দেখাতে হয় না। " - আমার কোন এক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক কথাটা বলার পরে আমি অক্ষরে অক্ষরে সেটা পালন করে এসেছি।

খুব ইচ্ছে করছে আমার ঘুরে দাঁড়িয়ে তার হাত ধরে বলি, " যা হওয়ার হয়ে গেছে। আবার আমরা আগের মত এক হই না ?! "

কিন্তু অদ্ভুত এক জেদ মনের মধ্যে কাজ করছে। যার জন্য আমি সব আকর্ষণ ছেড়ে হাঁটা ধরলাম। জানি পিছনে কেউ তাকিয়ে রয়েছে, এমন কেউ যাকে আমি প্রচণ্ড ভালোবাসতাম ... এখনো বাসি কিন্তু সেই মানুষটার কোন এক কাজে পাওয়া কষ্টটা এত বেশি ছিল যে সবকিছু ফিকে হয়ে গেছে। তার থেকে দূরে থেকে কষ্ট সহ্য করতে রাজি আছি কিন্তু তার কাছে ফিরে যেতে রাজি নই।

খুব ইচ্ছে করছে ফিরে তাকাই, একটিবারের জন্য হলেও তাকাই। কিন্তু মনকে দাবিয়ে দিলাম। হৃদয়ের পাথুরে ভাবটাকে প্রকট করে এগিয়ে গেলাম ...
আমার জেদ, আমার ইগো এইযাত্রা জয়ীই হয়ে গেলো।

0 Shares

৩টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ