আমি ডিজিটাল হতে চাইনা
আমি চাই ভাত ও বস্ত্রের যোগান
সুশিক্ষা , চিকিৎসা আর
সুনিশ্চিত রাত্রি যাপনের নিশ্চয়তা।
তোমরা প্রযুক্তির কথা বলো, তাই না ?
উন্নত জীবন আর নিরবচ্ছিন্ন বিলাসিতা ?
আলিশান বাড়ি লাক্সারী গাড়ী,
হাতের মুঠোয় বিশ্ব আরো কত কি ?
এই...ই, একবার ভেবেছ কি তোমরা ?
উৎপাদন বন্ধ থাকলে -
প্রক্রিয়াজাত ও বন্ধ হয়ে যায়,
আর পরজীবী যত বলিষ্ঠই হোক
একদিন তাকে উপড়ে ফেলে দেবেই।
যে দেশে দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত- মানবতা,
নিত্য ক্ষুদার জ্বালায় হাহাকার রটে,
নেই ন্যূনতম শ্রমবাজার ন্যায্য মজুরি
তোমরা কি সে দেশের কথা বলছো ?
আহা ডিজিটাল ! সে মুষ্টিমেয় মানুষের...
নিরন্তর প্রভাব বিস্তারের প্রক্রিয়া,
আমি ষোল কোটি বাঙালির কথা বলছি,
যারা সুবিধাবঞ্চিত আর হতভাগ্য।
আমরা বাঙ্গালীই থাকতে চাই,
আমাদের জীবনযাত্রা ত্বরান্বিত হোক -
আমাদের মতো করে-
সাম্রাজ্যবাদের অনুকরণে নয়,
জাগো বাঙালী,এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
© অনন্য অর্ণব
উত্তরা ঢাকা
১২টি মন্তব্য
মাহবুবুল আলম
ডিজিটাল না চাইলে হবে কি করে ভাই! ডিজিটাল হওয়ার কারণেই তো আমরা কত জায়গায় লিখতে পারছি। সোনেলার মতো একটা প্লাটফর্ম পেয়েছি। ভাল থাকবেন।
অনন্য অর্ণব
সবার আগে আমাদের চিত্ত চিন্তা চৈতন্যের ডিজিটালাইজেশন অতি জরুরী। ধন্যবাদ দাদাভাই 😍
সুরাইয়া পারভিন
যে দেশে দারিদ্রের কষাঘাতে জর্জরিত- মানবতা,
নিত্য ক্ষুদার জ্বালায় হাহাকার রটে,
নেই ন্যূনতম শ্রমবাজার ন্যায্য মজুরি
তোমরা কি সে দেশের কথা বলছো ?
চমৎকার লিখেছেন।
যে ক্ষুধার জ্বালায় মানুষ এখনো হাহাকার করে সে দেশ ডিজিটাল না হয়ে, খাদ্য সুশিক্ষা বস্ত্র বাসস্থান চিকিৎসা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
অনন্য অর্ণব
অনেক অনেক ধন্যবাদ 💓
কামাল উদ্দিন
এগুলো আমারও মনের কথা অর্ণব ভাই, এগিয়ে যান ভাই, ভালো লাগছে।
অনন্য অর্ণব
অনেক অনেক ধন্যবাদ দাদাভাই 😍
তৌহিদ
আপনার লেখার সাথে একমত হতে পারলাম না ভাই।
ডিজিটালাইজেশনের সাথে দেশের প্রযুক্তিগত উন্নয়নের স্বার্থ জড়িত কিন্তু কৃষকের ধান উৎপাদনের সাথে সম্পৃক্ত খুব একটা নয়। আবার ডিজিটাল না হলে কৃষকের অনেক কিছু যোগান দেয়াও সম্ভবপর নয়।
মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরন আর প্রযুক্তি, ভোগ বিলাস এর সাথে কি সম্পর্ক বলবেন? দেশে কে কিঊ না খেয়ে মরে যাচ্ছে?
দেশের ষোলকোটি বাঙালির মধ্যে আপনিও একজন, যিনি ব্লগ ব্যবহার করছেন আর তা কিন্তু প্রযুক্তির বিকাশের জন্যই। আপনি কি দরিদ্র? তা হলে মেগাবাইট কেনা আর ওয়াইফাই ব্যবহার করছেন কিভাবে?
একটি উন্নয়নশীল দেশে ন্যনতম মজুরী কত বলুনতো? দেশে সাম্রাজ্যবাদ চলছে কথাটি ভুল। তাহলেতো আপনার বাকস্বাধীনতা নেই এখন। তা এই লেখাটি প্রকাশ করতে সেসব সম্রাজ্যবাদীদের কেউ কি বাঁধা দিয়েছে ভাই?
আপনার, আপনার পরিবারের কারও ব্যাংক থেকে টাকা গায়েব হয়েছে কি? বলবেন?
লেখাটি সরকারকে খোঁচা দিয়ে লিখেছেন বোঝাই যায়। আপনার বাক স্বাধীনতা আছে নিশ্চই তবে কান নিয়ে গেলো চিলে এটা শুনে চিলের পিছনে অন্যান্যদের সাথে আপনার মতন একজন যোগ্য লেখকের দৌড়ানো কি ঠিক?
অনেক কিছু বললাম, একজন লেখকের প্রতি অন্য লেখকের সহমর্মিতার জায়গা থেকেই এসব বললাম। অন্যভাবে নেবেন না আশাকরি।
ভালো থাকবেন সবসময়।
সাবিনা ইয়াসমিন
” পরজীবী যত বলিষ্ঠই হোক
একদিন তাকে উপড়ে ফেলে দেবেই।” একমত। পরজীবি হয়ে নয়, বাঁচতে চাই নিজের স্বকীয়তা নিয়ে। ডিজিটাল বাংলাদেশ চাই সার্বিক অবস্থায়। যেখানে শিক্ষক-ছাত্র, কৃষক-ভোক্তা, সরকার-জনগণ, সমাজ-মানবতার সমন্বয়ে সুন্দর-সফল দেশ গড়ে উঠবে। আর এটা করতে হবে প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারে।
ভালো লাগছে সিরিজ কবিতা 🙂
এস.জেড বাবু
ডিজিটাল যুগের “বিলাসি” ব্যাবহার বন্ধ হউক।
ইনকাম বা আয়ের সাথে মানিয়ে আধুনিক তথ্য যুগের মধ্যে ডুব দিতে হবে।
যার আয় মাসে আট হাজার- তার হাতে ত্রিশ হাজার টাকার মোবাইল কতটা মানানসই ?
আমি চল্লিশ হাজার বেতন পায় এমন প্রবাসীর বৌয়ের হাতে লাখ টাকার মোবাইল দেখেছি, যার ঘরে শশুড় অসুস্থ, যার বাচ্চা স্কুলে যায়না। পড়নের পোষাক আধোয়া।
যে ছেলের দৈনিক আয় ছয়শত টাকা তার মোবাইলে দুইশ টাকার দৈনিক ডাটা খরচ কতটা মেনে নেয়া যায় ?
প্রযুক্তির উন্নয়ন অবশ্যই লাগবে। এ উন্নতির ধারায় ১০টাকার প্রতি মিনিট মোবাইল কল এখন পঞ্চাশ পয়সায় ও কম।
একটা কথা চমৎকার লিখেছেন-
এই…ই, একবার ভেবেছ কি তোমরা ?
উৎপাদন বন্ধ থাকলে –
প্রক্রিয়াজাত ও বন্ধ হয়ে যায়,
আর পরজীবী যত বলিষ্ঠই হোক
একদিন তাকে উপড়ে ফেলে দেবেই।
জিসান শা ইকরাম
আমরা আমাদের মতই ভালো থাকতে চাই,
ডিজিটালাইজেশন বা প্রযুক্তি যেন আমাদের পালটে না ফেলে।
লেখা ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা উন্নয়ন চাই, তবে উন্নয়ন সুবিধার অংশীদার যেন সবাই হতে পারি
সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে।
সুন্দর ভাবনা।
মনির হোসেন মমি
আমরা বাঙ্গালীই থাকতে চাই,
আমাদের জীবনযাত্রা ত্বরান্বিত হোক –
আমাদের মতো করে-
সাম্রাজ্যবাদের অনুকরণে নয়,
জাগো বাঙালী,এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।
একমত ভাইয়া। নিজের সত্ত্বাকে বিকিয়ে দিতে চাই না। খুব ভাল লিখেছেন।