শিকড়-শুদ্ধ এই মাত্র যে চারাগাছটি ছিট্কে গেল,
কিছু ফুল সেখানে ছিল, ছিল মৌমাছিদের আনাগোনা,
কিছু ফলের কথাও ভাবনায় এলো,
মালী, উত্তপ্ত-ক্রোধ-বাষ্প ছাড়াই কাজ করে যাচ্ছে
নিয়ম মেনে,
এ-বাগানে কোন বুনো-কবিতার-জায়গা!!
হতেই পারে-না, নির্যাস নিংড়ে;
চারাটি কোন রক্ত-অভিশাপ দেয়-না, জীবন্ত পুড়িয়ে মারা
বা পাথর নিক্ষেপের কথাও ভাবনায় আনে-না।
এ-রক্তাক্ত ব্যভিচারের ঘাত-প্রতিঘাত বুকে বয়ে
সমাধি-ফলকে দাঁড়ায়, কাছ-ঘেঁষে, নত-মুখে,
জল-চোখে;
১২টি মন্তব্য
নীহারিকা
বুনো কবিতারাই চারাগাছদের শেষ করে দিচ্ছে।
আর আমরা দেখছি।
ছাইরাছ হেলাল
বুনোদের কষ্ট কেউ-ই বুঝতে চায় না।
নীলাঞ্জনা নীলা
“অঙ্কুরিত হইনি এখনও
তবুও মাথার ‘পরে ছাদ
প্রস্ফুটিত হবার পরে কোন বুকে থাকবো আমি!”—এ প্রশ্নের উত্তর আজও খুঁজে পাইনি। কিন্তু তারপরে আরও বহু প্রশ্নের জন্মও হয়ে গেছে। শৈশব নিরাপদ নয়, নয় তারুণ্যও, নিরাপত্তা তাহলে কোথায়? কোন বয়সে? কিংবা কোন সময়ে? রক্তাক্ত, ক্ষত-বিক্ষত আধুনিক এই সভ্যতার সাথে আদিমতার কি দারুণ যোগাযোগ! একসময় রোদ-শীত-বর্ষা থেকে শরীরকে বাঁচানোর জন্য মানুষ পোষাক তৈরী করলো। আদিম মানুষেরা সে কথা ভাবেনি শীত-গ্রীষ্মের থেকে ভয়ঙ্কর হলো মানুষ।
কি লিখছি আমি! আপনার লেখাটা পড়ে এতো দীর্ঘশ্বাস কেন আসছে কুবিরাজ ভাই? মন ভালো করা লেখা দিন একটা।
ছাইরাছ হেলাল
সত্যি করে বলুন-তো নূতন কোন দোকানের সদাই খান!!
আজকাল যা মন্তব্য করেন তা-তো সাধারণ (হাওয়া দিচ্ছি না),
এই যে বেঁচে থাকার ভাগ-দৌড় নিরন্তর, কী হয় কী না হয় কে জানে!!
সময়ের হাত-ধরে কে কোথায় কখন পৌঁছে যাব কে জানে।
কে কোথায় কখন কাঁদল-হাসল কে তার হিসাব রাখে!!
উহ্ লেখা তো দিয়েই যাচ্ছি, দেব-ও।
নীলাঞ্জনা নীলা
“সত্যি করে বলুন-তো নূতন কোন দোকানের সদাই খান!!”—ফুড বেসিকস, ন্যাশনস আর নীলা’স কিচেন।
“আজকাল যা মন্তব্য করেন তা-তো সাধারণ (হাওয়া দিচ্ছি না),”—অসাধারণ মন্তব্য করার চেষ্টা করিনা, জানেন না?
শেষ লাইনগুলোর ব্যাপারে একটাই কথা, গানটা শুনুন। https://www.youtube.com/watch?v=bChhiLwzPrU
ছাইরাছ হেলাল
গান শুনাই দিলে সব হয় না, কিছু লিখেও দিতে হয়।
বাপরে!!
রায়হান সেলিম
কবিতার চিত্রকল্পময়তার গভীরে যে অনুরণন, বেঁচে থাকার আস্বাদ আর মুক্তির দিগন্তে চোখ রেখে আবারও বন্দী হওয়া; জীবন বোধ হয় এভাবেই শেখায়। এমন করেই ভাবায় এবং বাঁচতে শেখায়।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি সুন্দর করেই বলেছেন,
বাঁচার আকুতি-ই আমাদের নূতন করে বাঁচার পথ দেখায়।
পড়ার জন্য অনেক কৃতজ্ঞতা।
শুন্য শুন্যালয়
মালীরা চায় সবকিছু সাজানো গোছানো হোক, টিপটপ পরিপাটি কৃত্তিমতা। বুনো চারাগাছ এর জায়গা এখন সমাধিফলকেও হয়না, সবাই শিখে গেছে সাজিয়ে রাখা।
ফুল, ফল কিংবা মৌমাছিদের আনাগোনা ওসব কবিদের নিত্য জঞ্জাল। এজন্য জল চোখের কী প্রয়োজন? সব বুনো চারাগাছেরই না হয় একটা বাগান হোক।
কবিতাটি চমৎকার, বাড়িয়ে বলছিনা কিন্তু।
ছাইরাছ হেলাল
চারাগাছটি হোক না সে বুনো, তবুও ফুল-ফলের সাধ বুকে নিয়েই
বাঁচতে চায়,
আহা লেখকের চোখ-জল বুঝি জল নয়!! আপনি কবি হয়ে কী করে এমন কথা বলেন!!
না না, আপনি বাড়িয়ে বলার লুক-ই না!!
শুন্য শুন্যালয়
শুধু সাধ কেন, বুনো চারাগাছের বুঝি ফুল ফল হয়না? হয়তো। উপড়ে ফেলা মালীর হাত থেকে সহস্র দূরে কবির বাগানে বেড়ে উঠুক।
লেখকের চোখ জল? এ আপনি কী বলছেন? লেখকের আবেগ বলে কিছু নেই, এতদিন তাও জানেন না? আমাকে কিন্তু মোটেও গাইল পাড়বেন না ভাউ, কবি না তাইতো কবিদের যা খুশি কইতারি, আল্লাহ্ বাঁচাইছে। পাওনাই দিতারি না, আবার বাড়িয়ে বলা!!
ছাইরাছ হেলাল
এইতো চারাগাছের মর্মযন্ত্রণা আপনি বুঝতে পারছেন, কবি বলেই।
ল্যাখক তো হইতারিনাই তাই জল-ফল কিছুই দেখলাম না।
আল্লাহ আপনাকে আসলে বাঁচায়-নি। আপনি সে কবেথথে আমাদের কাছে কবি হয়েই আছেন।