আমাদের জীবন প্রেমময় । প্রেমের এক প্রধান অঙ্গ চুম্বন । মানুষের জীবন প্রেম ভালবাসা ছাড়া অসাড় নিঃস্ব ভিখারী। ভিখারীরাও অনেক সুখী হয় উপযুক্ত ভালোবাসা পেলে ?
চুম্বনের গুরুত্বঃ
১)পারিবারিক জীবনে চুম্বনের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনার নিবিড় ভালোবাসা বোঝাতে ছেলেকে চুম্বন ,কোন ছোটবেলার বন্ধুকে অনেক দিনপর দেখলেন আদরে জড়িয়ে চুম্বন মাকে ভালোবেসে চুম্বন ভাইকে বোনকে চুম্বন বান্ধবীকে চুম্বন প্রেমিকাকে চুম্বন মোট কথা সব চুম্বনের মানে ও আলাদা আর সবকটা চুম্বনের মধ্যে একটা আবেগ জড়িয়ে থাকে আপনার মনের টান জড়িয়ে থাকে ?
২) আমরা কিন্তু যাকে তঁাকে চুম্বন করতে পারি না বা যাকে তাকে চুম্বন করতে দিতেও পারি না ! যদি কোন কারনে জোর করে বাধ্য হয় তাহলে তঁার মধ্যে যেটা থাকে সেটা উসকানিমূলক অশ্লিলতা আর ঘৃণা ছাড়া কিছুই না?
৩) আপনি সিনেমা দেখলেন ভাবলেন সলমান খান হবেন । বাড়ির বাইরে মেয়েদেখার কমপিটিশন করতে করতে ৪০ পার করে দিলেন ব্যাপারটা হচ্ছে এরকম ডিগ্রি ও হচ্ছে আর প্রেমিকা ঝাড়পোচ হচ্ছে ! বিয়ে করবেন না কিন্তু শোয়াতে কোন আপত্তি নেই ? এখন তো বান্ধবীকে চুম্বন ডালভাত হয়ে গেছে তাও আবার ঠোঁটে?
শহরের দিকে আবার আপনি বান্ধবী আর প্রেমিকার মধ্যে ফারাক খুঁজে পাবেন না !
কেমন গঁ্যাড়াকল সিস্টেম দেখুন ----একটা সুন্দর দেখতে ছেলে বান্ধবীকে দুবছর ধরে ব্যবহার করল পার্কে গলাতে গলাতে জড়িয়ে চুম্বন মাথা থেকে পা পর্যন্ত খুলে খুলে চেক করল সিনেমার বক্স সিটগুলো ও গরম হল কিন্তু ঠিক তিনবছরের মাথায় ছেলেটি অন্য কাউকে টোপ ফেলা শুরু করল । তখন মেয়েটিকে তো ঝাড়পোচ হয়ে গেল । সে এখন ছেলেটির শুধুই বান্ধবী !
আবার কিছু মেয়ে কিরকম দেখুন তাদের ঠিক ফুচকা সিস্টেমের প্রেম । মানে যার ফুচকায় যত ঝাল সেই ফুচকা চাই । বেশিরভাগ বড়লোকের খামখেয়ালী ও বদমেজাজী মেয়েরা এরকম হয়ে থাকেন । ইনারা হচ্ছেন সুখের পায়রা । এ ডালে মধু মধু শেষ ওই ডালে বসি আবার ওই ডালে শেষ আর এক ডাল খুঁজি মানে উনারা হচ্ছেন ফুচকা প্রিয় মানুষ । ঝাল ফুচকা যতদিন দেবেন ততদিন আপনার না দিতে পারলে বৌ র কাপড়টা আপনার কিন্তু বৌ র ভিতরটা আপনার না?
৪)তাই চুম্বন আপন পরিচিতদের জন্য মজুত থাকাটাই বাঞ্ছনীয় কোন রাজনৈতিক হাতিয়ার বানানো একদম উচিত নয় আর উসকানি দেওয়াটাও অনুচিত ? তাতে আপনার সুস্থ মানসিকতা ও মানবিকতার চরম অপমান হয় ?ঝুটা দেশপ্রেমের কলঙ্কের বোঝা চাপে ঘাড়ে যেটাতে আপনার ক্ষনিক জয় হয় বটে কিন্তু বিবেকের কাছে চরম অপরাধবোধে নিমজ্জিত থাকবেন যেটাতে আপনার মনের অনেক ক্ষতি হতে পারে?
চুম্বন কি প্রতিবাদের ভাষা হওয়া উচিতঃ
১)চুম্বন প্রতিবাদের ভাষা কখন হয় যখন আপনি আপনার প্রেম বঁাচাতে প্রেম কে স্বীকৃত দিতে আপন প্রেমিকাকে জড়িয়ে স্বেচ্ছায় প্রকাশ্যে চুম্বন করেন । কিন্তু কোন দাবী না মানার কারনে রাজনৈতিক ইস্যু তে উসকানি দিতে বান্ধবীকে ব্যবহার করে চুম্বন টা অপ্রাসঙ্গিক ও অবিধেয়?
চুম্বন প্রতিবাদের ভাষা হয় কিঃ
২) আপনি দলবাজি করছেন ভালো কথা আপনার বিপ্লবী চেতনা জেগে উঠেছে ভালো কথা সেটা আপনি অন্যভাবে আন্দোলন দেখাতে পারেন । দেশপ্রেম দেখাতে পারেন তা বলে চুম্বন কে অস্ত্র করে থুথু ছিটাছিটি আন্দোলন অপ্রয়োজনীয় ও অসহ্যণীয় ভাবাই আধুনিক মানবিক গুণ হওয়া একান্ত কাম্য। আমরা আধুনিক । আমরা উন্নত । তাই বলে শ রীরের পোশাক খুলে যেখানে সেখানে চুম্বন করে অহেতুক যৌন উসকানি দিয়ে কোন সুস্থ স্বাভাবিক আধুনিক মানুষের উপযুক্ত প্রতিবাদ বা দেশপ্রেম বা সফল ছাত্র রাজনীতি বলে মনে করছি না বরং এতে মেধাবী গরিব ছাত্র ছাত্রীদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে?তঁাদের ভবিষ্যত কে কুয়োর গর্ত বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে?
৩)ছাত্র রাজনীতি গান্ধীজি ও করেছেন নেতাজী ও করেছেন আবার রাজীব গান্ধী ইন্দিরা গান্ধী থেকে শুরু করে মোদি প্রণব মুখার্জী ?
উনারা ধৈর্যের সংগে লড়াই করেছেন?বাইরের ছাত্র নিয়ে এসে দল ভারী করে জটলা করেন নি?দেশপ্রেম টা উনাদের অন্তর থেকে ছিল কোন রাজনৈতিক দলের “মন্তর”থেকে নয় ?
কলকাতা থেকে...
অরুণিমা মন্ডল দাস
১০টি মন্তব্য
ইকবাল কবীর
আপনার কথায় যুক্তি আছে কিন্তু পরিবর্তনের স্রোতে গা ভাসিয়ে আমরা এতটাই আধুনিক হয়ে গেছি যে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে ভূলে গেছি।
ব্লগার সজীব
দিদি আমাদের সংস্কৃতিতে প্রকাশ্যে চুম্বন যায় না, চুম্বন কখনোই প্রতিবাদের ভাষা হতে পারেনা। এসব ষ্ট্যান্ডবাজি ব্যতীত কিছুই নয়।
একটা কথা দিদি, কিছু কিছু বাক্যে প্রশ্ন বোধক দেয়া হয়েছে, এতে বাক্যের অর্থই পালটে যাচ্ছে। এটি কি সচেতন ভাবেই করেছেন?
খসড়া
আপনার যুক্তি কোনটাই গ্রহন যোগ্য নয়। বুঝতে পারছিনা কোত্থেকে শুরু করব আর কি বলব। যাক বাদ দিলাম।
আবু খায়ের আনিছ
শুভ বুদ্ধির উদয় হোক, অন্যের হয়ে ব্যবহার হওয়ার আগে নিজের বোধ শক্তি জাগ্রত হোক।
স্বপ্ন
চুম্বন প্রতিবাদের ভাষা!? দিন সত্যি পালটে গিয়েছে।
নীলাঞ্জনা নীলা
চুম্বন প্রতিবাদের ভাষা? আমাদের সমাজে প্রকাশ্যে চুম্বন করা যায়না, কিন্তু টিজ করা যায়।
লেখায় শৃঙ্খলতার অভাব চোখে পড়লো।
দিদি আপনার কোনো লেখায় এমন দেখিনি, মন কি বিক্ষিপ্ত নাকি ব্যস্ততা দিচ্ছেনা অবসর?
লীলাবতী
অরুদিদি কি কোন কারনে বিক্ষিপ্ত মন নিয়ে আছেন? চুম্বন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারেনা।
জিসান শা ইকরাম
নিয়মিত লিখুন সোনেলায়।
অপার্থিব
যে কোন প্রতিবাদ বা আন্দোলন সংস্কৃতির সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হওয়া উচিত। প্রচলিত কালচারের বাইরে যেয়ে করা রিভল্ট ফলাফল সাকসেসফুল হয় না , তৈরী হয় কাউন্টার রিভল্ট। এই দুইয়ের দ্বন্দে পড়ে আসল উদ্দেশ্য হারিয়ে যায়। যাদবপুর আন্দোলনের ফলাফলও ভাল হয়নি।
মৌনতা রিতু
সন্তানকে যখন বুকে জড়িয়ে প্রকাশ্যে চুমু খাই তা সর্গীয় দৃশ্য। ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ প্রেমিক প্রেমিকা কিংবা স্বামী স্ত্রীর প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াটা বেহায়াপানা ছাড়া আর কিছুই না। যা একান্তই আমার তা বাইরে প্রকাশ করাটাই মনে হয় ছ্যাবলামি।
আমরা যখন বাচ্চা পেটে ধারন করি, তা কিন্তু লুকায়ই রাখতে চাই, যদুও এটা প্রতিটা মেয়েরই এক স্বর্গীয় অনুভূতি।
প্রেমিক প্রেমিকার এভাবে প্রকাশ্যে চুমু খাওয়াটা আমাল কাছে বেলল্লাহ্ পানা ছাড়া আর কিছুই না।