চুম্বন ।

সঞ্জয় কুমার ১০ নভেম্বর ২০১৪, সোমবার, ০৯:৪৬:০৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১০ মন্তব্য

ব

চুম্বন

সম্প্রতি চুমু নিয়ে বেশ চিন্তা ভাবনা , চিৎকার আন্দোলন শোনা যাচ্ছে ।

প্রকাশ্যে চুমু কে আইনি বৈধতা দিতে হবে । প্রস্তাব মন্দ নয় , বিদেশে সৌজন্যবোধের উপলক্ষে একে অপরকে চুমু দেয় ।
সন্তান কে পিতা মাতা , বা সন্তান পিতামাতাকে , ভাই বোন প্রকাশ্যে চুমু খেতে বা নিতে পারে এতে কারও সমস্যা নেই । কিন্তু যদি একজন স্বামী স্ত্রী কে বা প্রেমিক প্রেমিকাকে প্রকাশ্যে চুমু খায় তাহলেই যত সমস্যা ।

কোথায় যেন পড়েছিলাম বাংলাদেশ আর বিদেশের মধ্যে পার্থক্য হল , বিদেশে প্রকাশ্যে ইউরিন মাইনাস করলে জরিমানা আর বাংলাদেশে প্রকাশ্যে চুমু খেলে জরিমানা । এমনকি প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়া ও তেমন অপরাধের পর্যায়ে পড়ে না । কোথাও এটা আবার অলিখিত নিয়ম ।

ভালবাসলেই অপরাধ প্রেম করা অপরাধ । টাকার কুমির বুড়াভামের অল্পবয়সী মেয়ে বিয়ে করে তাঁকে সারাজীবন ধর্ষণ করা অপরাধ নয় । কিন্তু ঐ মেয়ে যদি পাশের বাড়ির ছেলের সাথে পালিয়ে চলে যায় ওটাই অপরাধ ঐ মেয়ে কুলভ্রষ্টা ।

দিনের বেলা যে মেয়েকে দেখলে বারবার থু থু আসে । রাতের অন্ধকারকারে সেই মেয়ের শরীরে উষ্ণতা খোঁজা ,
এটাও অপরাধ নয় । বরং এক প্রকারের সেবা ।

যাক বাদদিন সে সব কথা ।

এবারে আসুন চুমুর স্বাথ্য উপকারীতা জেনে নিই

গবেষকদের মতে চুম্বন শরীরের জন্যও বেশ উপকারী। উদাহারণস্বরূপ ধরুন আপনি খুব মানসিক চাপে আছেন কোনো কিছু নিয়ে। এই সময়ে ভালোবাসার মানুষটির একটি চুম্বনেই আপনার মানসিক চাপ অনেকখানি কমে যাবে। নিয়মিত চুম্বনে মানুষের যৌবনও বৃদ্ধি পায়। আসুন জেনে নেই চুম্বনের শারীরিক উপকারিতাগুলো।

দুজন ব্যক্তি পরস্পরকে চুম্বনের সময়ে মুখের প্রায় ৩০টি পেশি ব্যবহৃত হয়। এতে রক্ত চলাচল বাড়ে এবং বয়সের কারণে সৃষ্ট মুখের বলিরেখা কমায়।

প্রায় ২ মিনিট ধরে চুম্বন করলে অন্তত ৬ ক্যালোরি ক্ষয় হয়।
চুম্বনে মেটাবলিজম বৃদ্ধি পায়, তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চুম্বনের জুড়ি নেই।

চুমু খাওয়া দাঁতের জন্যও উপকারী। চুম্বনের সময় মুখের সালাইভা ফ্লো বাড়ে এবং এর ফলে দাঁত পরিষ্কার হয় ও ভালো থাকে।

যারা চুমু খেতে ভালোবাসেন এবং নিয়মিত চুমু খান তাদের ইনসোমনিয়ার সমস্যা হয় না। অন্যদের তুলনায় তারা মানসিক ভাবে স্থির প্রকৃতির হয়।

চুম্বনের ফলে দেহে অক্সিটোসিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায় যা দেহকে প্রশান্ত রাখতে সহায়তা করে।

গবেষণায় জানা গেছে যে অনেকেই যৌনতার চাইতে চুম্বনকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। তাদের মতে চুম্বনে বেশি ভালোবাসা প্রকাশ পায়।

গবেষকদের মতে যারা নিয়মিত চুম্বন করে জীবন সম্পর্কে তাদের ধারণা বেশ ইতিবাচক। এসব যুগল অন্যদের তুলনায় বেশি দীর্ঘ ও সুস্থ্ জীবন যাপন করে।

নিয়মিত চুম্বনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দাম্পত্য সম্পর্ক আরো মজবুত হয়।

নিয়মিয় চুম্বনকারী দম্পতিরা অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ও সুখী হয়।

চুম্বনের সময় শরীর সুখাঅনুভূতির হরমোন তৈরি করে। যার ফলে তারা অন্যদের থেকে বেশি প্রশান্তিতে থাকে এবং যে কোনো লক্ষ্য সহজেই অর্জন করতে পারে।

চুম্বন করলে মেজাজ ফুরফুরে থাকে। প্রতিদিন সকালে মাত্র ২ মিনিট চুম্বন করলে সারা দিন আপনার মন-মেজাজ উত্ফুল্ল থাকবে।

এবারে বলুন আপনি কোন পক্ষে ।

0 Shares

১০টি মন্তব্য

  • মোঃ মজিবর রহমান

    নিজের বা বঙ্গীয় যে শালীনতা আছে তা বজায় রাখার পক্ষে।
    সব কিছুই জনসম্মুখে উজাড় করতে হবে তা নয়।

    এর পক্ষে বলতে বিভিন্ন রকম বঝাবে।
    জোর করে না একে অপরের নিজ ইচ্ছাই।

  • বন্য

    অনুসরণ করা ভালো তবে অনুকরণ নয়। আমরা বাঙালী জাতি পশ্চিমাদেশ্গুলোকে অনুকরণ করে চলতে হবে তা কিন্তু নয় যেহেতু আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে, রয়েছে একটি সমাজ ব্যবস্থা, বিদেশ বলতে আপনি কোন দেশগুলোকে বুঝতে চেয়েছেন তা স্পষ্ট নয়, যদি পশ্চিমাদেশগুলোর সাথে তুলনা করে থাকেন তাহলে বলবো এখানে আমাদের জাতিকে অন্যকোন জাতির সাথে তুলনা করা যায় না, কিছুদিন আগে শ্রদ্ধেয় ব্লগার জিসান শা ইকরামের একটি পোষ্টে আমাদের জাতি কত ধৈর্যশীল তা প্রমান করেছেন।একটি দেশের একটি নাগরিক হিসেবে আপনার সম্পূর্ণ অধিকার রয়েছে সমাজের রীতির উপর আপনার মুক্তমত তুলে ধরার তবে তা কোন জাতির সাথে তুলনা করে নয়। প্রকাশ্যে ঘুষ খাওয়া, হত্যা করা, ছিনতাই রাহাজানি, দুর্নীতি আমাদের দেশের পরতে পরতে হচ্ছে, তবে আপনি কি মনে করেন অন্যকোন দেশে তা হচ্ছে না? আপনি কি মনে করেন অন্যান্য দেশের তুলনায় আদৌ বাংলাদেশের জাতিগত সম্মানটুকু হারিয়ে গেছে এইসব ঘৃণিত দুর্নীতির জন্য?

    একটা সময় মানুষ উলঙ্গ চলাফেরা করতো, গাছের বাকল দিয়ে লজ্জা নিবারণ করতো, কালের বিবর্তনে আমরা সভ্যতা পেয়েছি, আধুনিকতার নির্যাস স্পর্শ আমাদেরও করেছে। আমরা বাঙালি জাতি সেই আধুনিকতার বাহিরে নই। পশ্চিমা দেশগুলোই (আপনার মতে বিদেশ) কি শুধু আধুনিক?আধুনিকতা হলো সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা তবে অবশ্যই তা হতে হবে চিন্তা ভাবনা, শিক্ষায়, মননশীলতায়। আপনি যতোই অনুকরণ করেন না কেন শিক্ষা, মননশীলতা না থাকলে আপনি কি নিজেকে আধুনিক হিসেবে দাবি করতে পারবেন? আমরা যে যুগ থেকে ফিরে এসেছি তা আর ফিরে যাবার মতো নয়, কালের বিবর্তনে আমাদের অবস্থান এখন অনেক দুরে। একটি পাবলিক ব্লগে আপনি যখন এমন একটি পোষ্টদিতে পক্ষ নির্বাচনের আহবান জানালেন তখন আমার অবস্থান তার বিপক্ষে। ব্লগিং জীবনে যতটুকু জানি এখানে যেমন লেখক থাকেন তেমনি পাঠকও থাকেন কেউ বোদ্ধা আর কেউ অবোদ্ধা, তবে প্রতিটি বিষয়ের সাথে উপযুক্ত রেফারেন্স দিলে আলোচনা করতে সুবিধা হতো। আপনার আহবানেই কিছু কথা বললাম।

    সব সম্পর্কগুলোকে এক সুতোয় বেধে দিলেন, সন্তানের প্রতি বাবা মায়ের চুম্বনে অথবা বোনের প্রতি ভাইয়ের চুম্বনে কোন যৌন আবেদন সৃষ্টি হয় না, যা সৃষ্টি করে স্বামী স্ত্রীর চুম্বনে, প্রেমিক প্রেমিকার চুম্বনে। হতে পারে চুম্বন ভালবাসার প্রতিক তবে তা সম্পর্কভেদে বহুরুপী এটুকু নিশ্চই আপনার ধারণা থাকার কথা, পৃথিবীতে খারাপ বলে কিছু নেই যা আছে ভালোর অভাব, ভালোর অভাবকেই খারাপ বলে যেমন আলোর অবর্তমানকে বলে আঁধার। উপরে একজনের মন্তব্যের প্রতিউত্তরে বললেন ঘুষ, দুর্নীতি প্রকাশ্যে হওয়ার চেয়ে এই চুমু প্রকাশ্যে ক্ষতির্কর কি না! না ক্ষতিকর নয় বরং ভালো এতে করে যুব সমাজ খব সহজেই অতলে তলিয়ে যেতে পারবে, দারুন যুক্তি আপনার চুমুর সাথে ঘুষের তুলনা।

    চুম্বনের উপকারিতা নিয়ে উপস্থাপিত তথ্যগুলোর কোন রেফারেন্স নেই। এটি পাবলিক একটি ব্লগ, এমন বিতর্কিত বিষয় উপস্থাপন করার পূর্বে রেফারেন্স ব্যবহার করাটা খুব জরুরী বলেই মনে করি যেহেতু সকলে নিশ্চই আপনার সাথে সহমত হবে না। একটি বিষয়ের দুটি দিক থেকে থাকে একটি ভালো আরেকটি মন্দ, আপনি ভালো দিকটি উপস্থাপন করে শুধু আঁধারের মাঝে অন্ধের মত বিশ্বাস করে আপনার সাথে একমত হওয়ার বল প্রয়োগ করছেন, হয়তো আপনি বলবেন যে আপনি বল প্রয়োগ করেননি তবে কেন একটি বিষয়ের শুধু ভালো দিকটি তুলে আনলেন? সুপ্রতিষ্ঠিত ব্লগার কে এম রাকিবের (সোনেলার ব্লগারও বটে) সম্প্রতি এক স্টাটাস খুব ভালো লেগেছে, উনি বলেছেন ” সন্দেহ হয়, সবসময় ইতিবাচক হতে বলার যে বিপুল প্রচারনা তার একটা কারন হতে পারে, প্রতিবাদের আর্জেন্সি নষ্ট করে দেওয়া, হালকা করে দেওয়া।”
    আপনিও একজন ব্লগার, আপনি যদি ভালো মন্দ দুটোই তুলে ধরতেন তাহলে দুটো বিবেচনা করে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতো। চুম্বনে মেজাজ ফুরফুরে থাকে ! হাহাহা একটি কথা বলার ছিলো (রেফারেন্স সহ) তবে পাবলিক ব্লগে তা বলা ঠিক হবে না ওটুকু বুঝার ক্ষমতা হয়েছে আমার।
    পরিশেষে একটি সংবাদ যা আপনাকে বলা প্রয়োজন মনে করছি। নজরে আসলো, বেশ কিছু অনলাইন পত্রিকা, চুম্বন, নারী পুরুষের মেলামেশা, ধর্ষণ, যৌন বিষয়ক খবরগুলো সজোরে প্রকাশ করছেন প্রায় প্রতিদিন। তবে এ শুধু সংবাদ নয় এই বিষয়গুলোকে পুঁজি করে নিজেদের প্রচারণার একটি অংশ।
    ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

    • সঞ্জয় কুমার

      @বন্য

      বাঙালী জাতীকে আমার তেমন বিশ্বাস হয়না । এরা মিরজাফর এর উত্তরসুরী ।

      যে জাতী নিজেদের স্বাধীনতার জনক কে হত্যা করতে পারে তাঁরা কতটা বেঈমান হতে পারে !!!!!!!!!

      এদেশে মুক্তিযোদ্ধারা না খেয়ে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে মরে । আর রাজাকার মিরজাফর রা সরকারি টাকায় গাড়িতে চড়ে , এসির নিচে জামাই আদর পায় ।

      মুক্তিযোদ্ধারা ভুল করছিল নিজেদের জীবনের বিনিময়ে এই অকৃতজ্ঞ জাতীকে একটা স্বাধীন পতাকা এনে দিয়ে ।

      ভাল থাকবেন ।

  • প্রহেলিকা

    কি মন্তব্য করবো বুঝতেছি না, মন্তব্য করতে গেলে পোষ্ট হয়ে যাবে, তাই ভাবছি খুব শিঘ্রই একটি পোষ্ট দিবো এই বিষয়ে।

  • সঞ্জয় কুমার

    সবার কমেন্টের উত্তর একসাথে দেয়ার চেষ্টা করলাম ।

    যত যুক্তি আর রেফারেন্স দেন না কেন ।

    এক একজনের পয়েন্ট অব ভিউ একেক রকম ।

    আমার দৃষ্টিতে স্বামী স্ত্রী এবং প্রেমিক প্রমিকার সব চুম্বনে যৌনতা থাকে না । ভালবাসা র পবিত্র ছোঁয়াও থাকে ।

    মৈথুন কালে চুম্বন এবং সাধারণ ভালবাসার প্রকাশে চুম্বন এক জিনিস নয় ।

    আমি কথনোই বোঝাতে চাইনি দম্পতি রা প্রকাশ্যে যৌনতা উপভোগ করবে । শুধু মাত্র ভালবাসার প্রকাশে প্রিয়জনের একটু ছোঁয়া , যাতে যৌনতা থেকে প্রেমের এবং ভালোবাসার প্রকাশ ই বেশী ।

    আপনাদের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে হয়তো বিষয়টি খারাপ লেগেছে । স্বাভাবিক ব্যাপার, পৃথিবীর সবার মানুষিকতা একরকম হবে না ।

    জেনে রাখুন যদি প্রতিটি স্বামী কাজে বের হওয়ার আগে স্ত্রী কে চুম্বন করত । তাহলে পৃথিবীতে ডিভোর্সের হার অর্ধেকের ও বেশী কমে আসত ।

    কাওকে ব্যাক্তি আক্রমণ করার মত যথেষ্ট সময় এবং ইচ্ছা কোনটাই আমার নেই ।

    আমি সবসময়ই গঠনমূলক সমালোচনার পক্ষে ।

    সবাইকে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ
    ভালো থাকবেন ।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ