নির্ঘুম রাতের সংবিধান তারাদের নামে লিখে
সাঁঝের আলোতে স্বপ্নের রং চটে হয়ে যায় ফিকে,
এরই ফাকে সময়ের প্রশ্রয়ে চৌচির মন বাথানে
আস্তর ফেলে যায় আরও কিছু বেহিসাবি ধুলি,
ধূমায়িত জীবনের কাঁপে সন্ধ্যারা ফিরে এলে
মনে পড়ে ফেলে আসা গোল্ডফ্লেকের সেই দিনগুলি ।
রাতের বারান্দায় চুপিসারে নেমে আসা এলোকেশী রোদ,
কৈশোরের সবুজ দরোজায় মৃদু কড়া নেড়ে
একান্তে জানিয়ে যায় প্রথম পুরুষ হবার বোধ,
অবহেলে হেনে যাওয়া পনেরোর তির্যক আখি,
ঝরা বকুল লিখে রাখে হাতেখড়ির সেই রুপকথা অম্লান,
বারবার ফিরে আসে গোল্ডফ্লেকের সেইসব দিন ।
স্বপ্নেরা হিমঘরে পায়না খুঁজে উষ্ণতার পক্ষপাত,
অঙ্কুরিত কিশলয় ভেঙে ঘরে ফেরে কান্নার প্রপাত,
পরিচিত সুখেরা অবেলায় ছেড়ে যায় পরাজিত হাত,
ক্রন্দসী আষাঢ়ের ক্যানভাসে পাষাণের ছবি আঁকে
জীবনের বাক হেটে পোড়খাওয়া বুড়ো রংতুলি,
স্মৃতির চিলেকোঠায় বেঁচে থাকে গোল্ড ফ্লেকের সেই দিনগুলি ।
৭টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সোনেলায় স্বাগতম -{@
স্মৃতি ভালো লেগেছে।
মৌনতা রিতু
এলোকেশি রোদ ! দারুন। তাই তো কখনো মিষ্টি কখনো কড়া।
সপ্নেরা আসলেও হিমঘরেই পড়ে থাকে। কেউ যায়না উষ্নতা দিতে। চায় না দিতে একটু প্রান।
চমৎকার লিখেছেন।
ব্লগার সজীব
স্বাগত আপনি এখানে। আপনি তো দেখছি অনেক বড় কবি। ধন্য হলাম আপনার মত কবির কবিতা পড়ে।
লীলাবতী
চমৎকার স্মৃতি উপস্থাপন। মন্তব্যের জবাব দিবেন না ভাইয়া? আমাদের সোনেলায় স্বাগতম -{@
দীপংকর চন্দ
অনেক ভালো। অনেক।
অনিঃশেষ শুভকামনা কবি।
ভালো থাকবেন। সবসময়।
খসড়া
সিগার এর নাম দেখে কবিতাটা আর পড়লাম না। হয়ত ধূমপানের বিরুদ্ধে এ আমার প্রতিবাদ।
হ্যা এখন পড়লাম। সুন্দর কবিতা। শিরোনামটা আরও সুন্দর হতে পারে।আমাদের বাংলাভাষা শব্দভান্ডারে বেশ রাজকীয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
স্বাগতম সোনেলা নীড়ে।