আজ শুক্রবার। গত শুক্রবারের এক উদ্ভট ঘটনার কথা বারবার চোখের সামনে ভেসে যাচ্ছে।

বলি-----
মালিবাগের এইদিকে এক মসজিদে নামাজ পড়তে গেলাম। প্রথম সারির ডানপাশে একবারে শেষ সীমানায় বসা এক মুরুব্বি। চেয়ারে বসেই উনি নামাজ পড়বেন।

তাঁর ঠিক পিছনের সারিতে একজন মাঝ বয়সী ব্যক্তি। তিনি মাঝে মাঝে হাঁচি কাশি দিচ্ছেন। এটাই স্বাভাবিক কারণ অনেকের এসি কিংবা ফ্যানের বাতাসে হাঁচি কাশি আসতেই পারে।

হঠাৎ আনুমানিক দশবছর বয়সী দুটো ছেলে হাঁচি কাশি দেওয়া ব্যক্তিটিকে সর্তক করেন। তাদের ভাব ভঙ্গিতে বুঝতে পারলাম নিষেধ করছেন হাঁচি কাশি না দিতে। হাঁচি কাশি কী নিষেধ মানে? তবুও দেখতে পারছি ব্যক্তিটি দুই হাত দিয়ে নাক মুখ চেপে চেষ্টা করছেন হাঁচি-কাশির শব্দ নিয়ন্ত্রণ করার।

তারপর ঘটলো হঠাৎ মৃদু হট্টগোল। লক্ষ্য করলাম, প্রথম সারির মুরুব্বি হাঁচি কাশি ব্যক্তিকে বেশ জোরে সুরে ধমকাচ্ছেন।
মাঝ বয়সী লোকটি বেশ অসহায় ভঙ্গিতেই বললেন---
হাঁচি এসে গেছে আমি কী করবো?

সব লোকজনের তখন ঐদিকেই নজর পড়ে। কিন্তু আজ যদি করোনা আতংক না থাকত তাহলে এটা স্বাভাবিক হাঁচি কাশিতে ধরে নিয়ে হট্টগোল করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। অনেকেই আছে মসজিদে গেলে এসির বাতাস ও ফ্যানের বাতাসে একটু কাশি আসতে পারে। আমারও এই রকম সমস্যা আছে। গলা দিয়ে ঠান্ডা বাতাস ঢুকলে অনাঙ্ক্ষিত কাশি চলে আসে।

সুতরাং, যাদের এরকম ঠান্ডাজনিত সমস্যা মসজিদে গিয়ে হাঁচি দিলে গণপিটুনি না হোক গণদৃষ্টির শিকার হবেন নিশ্চিত থাকুন। তাছাড়া গণপিটুনি যদিও এদেশের মানুষের একটি কালচার বলা যায় না কখন কী হয়। অতএব, আপনি ভাবুন। আপনাকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে বিশাল লোক সমাবেশে- কার কী করণীয়?

[] নাজমুল হুদা

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ