জ্বি হাঁ বাংলাদেশ এখন করোনা সংক্রমণের চতুর্থ স্তরে রয়েছে, অর্থাৎ সামাজিক সংক্রমণ শুরু হয়েছে, যার উৎস অজানা, কে এই ভাইরাস বহন করছে তা জানা না থাকায় দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে জানান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
রোগী বাড়ার কারণে, জুন মাস পর্যন্ত সচেতন থাকতে বলেন তারা, রোগী আরো বেড়ে গেলে চিকিৎসা দেয়াও কঠিন হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে যখন চীনের উহানে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হলো তখন থেকেই চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই রোগ প্রতিরোধে মানুষে মানুষে দুরত্ব মেনে চলতে হবে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও সাধারণ ছুটি দিয়ে মানুষকে ঘরে থাকার নির্দেশনা দেয় সরকার, যা মার্চ মাসের ২৬ তারিখ থেকে শুরু হয়ে এখনো চলছে।
চিন্তা করুন তো উপরের কথা গুলো, কোথায় কি বা কিসের ফাঁক রয়ে গেছে আমাদের মাঝে?
জ্বি সোস্যাল ডিস্টেন্স কি সত্যি কি আমরা মানছি, সত্যি দুঃখজনক যে কেউই মানছি না।
যে দেশের মানুষ একজন আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকলে সাথে সাথে হাজার জনও তার সাথে এক হয়ে আকাশ পর্যবেক্ষণ করতে থাকে, সেই দেশের মানুষের কাছে সোস্যাল ডিস্টেন্স মেনে চলার আহবান মানেই উলু বনে মুক্তো ছড়ানো।
এমন অবস্থা যে সবাই যেন পিকনিকে আছে, কিন্তু আজকের দিনের রেকর্ড শুনেন, গত চব্বিশ ঘন্টায় দুইশোত ছেষট্টি জন্য আক্রান্ত, পনেরো জন্য মৃত্যু বরণ করেছে।
সরকার ইতিমধ্যে পুরা দেশটিকেই করোনার জন্য ডেঞ্জার জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন
সত্যি দুঃখজনক যে আমি অবাক হই দেশের নীতিনির্ধারকদের গা-ছাড়া অবস্থা দেখে, এমন এক স্বাস্থ্যমন্ত্রী পেলাম যিনি খোদ ডাক্তার না হয়েই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গুরু দ্বায়িত্বে আছেন।
যিনি দেশের সরকারি হাসপাতাল গুলোর অবস্থা কি তা নিজেই জানেন না বলে প্রতীয়মান হয়।
বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পারলাম খোদ রংপুর হাসপাতালের ডাক্তার নার্সগণ কোনো পিপিই পাননি, তাহলে বুঝুন দেশের অন্যান্য হাসপাতালের ডাক্তার নার্সরা কিভাবে তাদের দ্বায়িত্ব পালন করবেন?
উনারাই যদি না বাঁচেন, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা কে দেবে ভেবে দেখেছেন একবার?
দেশের সরকারি হাসপাতালের আইসিউ এবং ভেন্টিলেশন ইউনিটের ইনস্ট্রুমেন্ট গুলো যথেষ্ট পুরানো, এগুলো দিয়েই যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া যাবে কিভাবে বলতে পারেন মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়?
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট সচেষ্ট দেশের এই বিপদে মানুষের সেবা করতে যা সত্যি উল্লেখযোগ্য, কিন্তু একা প্রধানমন্ত্রীর দ্বারা কি সব সম্ভব বলুন?
সত্যিকার অর্থে প্রধানমন্ত্রীকে এইসব মন্ত্রী, আমলারা যা বলছেন তাই শুনতে বাধ্য উনি, যেমন ধরুন উনারা বলছে সব কন্ট্রোলে আছে, যেভাবে চলছে তাতেই চলবে, প্রধানমন্ত্রীও তাতেই হয়ত পুরাপুরি সন্তুষ্ট না হলেও হতে বাধ্য উনি, কারণ সব দেখা উনার একার পক্ষে সম্ভব না, কিন্তু আমরা সাধারণ জনতা নিজ চর্মচোক্ষে যা দেখছি এবং উপলব্ধি করছি তা হয়ত উনার পক্ষে সম্ভব হচ্ছেনা, আর তাই আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই মুহূর্তে কি করা উচিত তার কিছু আলোকপাত করতে চাই।
যেহেতু দেশের মানুষ সোস্যাল ডিস্টেন্স মেইনটেইন করছেনা এবং ফলশ্রুতিতে দেশে করোনা আক্রান্তের হার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়তেই আছে, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর উচিত এই মুহূর্ত থেকেই পুরা দেশে জরুরী অবস্থা জারি করা, স্ট্রেইট কারফিউই হতে পারে করোনা আক্রান্তের হার কমানো, এর কোন দ্বিতীয়টি হবেনা।
দরকার হলে প্রতিদিন ঘন্টা দুয়েক শীতিল থাকতে পারে জরুরী প্রয়োজন মেটানোর জন্য।
প্রধানমন্ত্রীর উচিত জরুরী ভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যৌগ্য ব্যক্তিকে সোর্পদ করা, যিনি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জানবেন, বিশেষ করে একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে দিলে ভালো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উচিত এই মুহূর্তেই যত বড় বড় প্রজেক্টে ইনভেস্টমেন্ট করতে হচ্ছে তা বন্ধ করে দেওয়া এবং তা স্বাস্থ্যখাতে এবং কৃষিখাতে দেওয়া, এতে হবে কি, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা এবং খাদ্য সংস্থানের ব্যবস্থা হবে।
প্রধানমন্ত্রীর উচিত জরুরী আইন জারি করে দেশের সকল বড় বড় হাসপাতাল গুলোকে সরকারের আন্ডারে এনে সেইসব হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিট, ভেন্টিলেশন ইউনিট গুলো জরুরী ভাবে ব্যবহার করা, সাথে সাথে দেশের নার্সিং সেবাই জড়িতদের কোভিড-১৯ ভাইরাসের চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যসেবার ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা।
সাথে সাথে দেশের ছোটো বড় সকল হাসপাতালের চিকিৎসক নার্সদের জন্য জরুরী ভাবে পিপিই পর্যাপ্ত ভাবেই ব্যবস্থা করা।
এরি সাথেই আইসিইউ, ভেন্টিলেটর ইউনিটের জরুরী আনুষাঙ্গিক পার্টসের ব্যবস্থা করা।
প্রধানমন্ত্রী রিসেন্টলি ঢাকার ডাক্তারদের জন্য হোটেলের ব্যবস্থা করেছেন, আমার মতে দেশের প্রতিটি জেলার ডাক্তার নার্সদের জন্য হোটেল, মোটেল, অভিজাত রিসোর্ট গুলোকে সরকারের আয়ত্বে এনে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা।
এরই সাথে সাথে সকল মানুষের বা আপামর জনতার কোভিড-১৯ টেস্ট অবশ্যই করা উচিত, দরকার হলে ঘরে ঘরে যেতে হবে টেস্ট করার জন্য, এলাকা ভিত্তিক টেস্ট করার ব্যবস্থাও করতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, এখন শুধু দরকার স্বদইচ্ছার।
প্রধানমন্ত্রীর জানার জন্য বলছি, দেশের সকল সরকারি হাসপাতাল গুলোর রুগীদের জন্য সরবরাহকৃত খাদ্য সামগ্রী অত্যন্ত নিম্ন মানের, বর্তমান পরিস্থিতির বিবেচনায় যা খুবই বিপদজনক, এমত অবস্থায় দেশের সকল হাসপাতালে যেন উন্নত এবং পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা আবশ্যকীয় করা উচিত।
বর্তমানে অনেক ডাক্তার, ইন্টার্ন নিজেরা প্রাক্টিস করছেন, আমি অনুরোধ করবো তাদেরকে দ্রুত এবং জরুরী ভাবে কোভিড-১৯ চিকিৎসার জন্য আবশ্যিক ভাবে ব্যবহার করতে হবে বা বাধ্যতামূলক করা উচিত।
দেশে চলমান ত্রাণ বন্টন এখন হুমকির মুখে ত্রান চোরদের কারণে, আমার মতে সরকার এইসব ত্রাণ বন্টনের জন্য বিজিবি, র্যাব এবং আর্মিকে সংযুক্ত করতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
এছাড়া সকল ত্রাণ চোরদের দশ বছরের জেল এবং দশ লাখ টাকার জরিমানা করুন, দেখবেন সব সিধা হয়ে গেছে।
দেশে ল্যাবের অভাববোধ প্রকট, কোভিড-১৯ টেস্টের জন্য আরও বৃহত পরিসরে করার জন্য দেশের সকল প্রাইভেট হাসপাতালের ল্যাব ব্যবহার অত্যাবশকীয় করা উচিত, সাথে সাথে তাদের ল্যাব টেকনিশিয়ানদের ব্যবহার করা যেতে পারে।
দেশের খাদ্য সামগ্রীর দাম এখন উর্দ্ধমুখি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত সেনাবাহিনী দ্বারা খাদ্য সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যবস্থা করা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জেনে রাখুন এই দেশের মানুষ শক্তের ভক্ত, নরমের জম।
পরিশেষে আমি সকল আপামর জনতার প্রতি বলছি, ভাইলোগ আপনারা ঘরে থাকলে অসুবিধা কোথায়, আপনাদের কৃমির এতোই কি বেশি জোর যে চুলকায় ঘরের বাহিরে যাওয়ার জন্য, জানেন নিশ্চয় আপনাদের বাইরে চলাচলের কারণে করোনায় আক্রান্ত শুধু আপনি নন, আপনার প্রিয় সন্তান আক্রান্ত হতে পারে, স্ত্রী আক্রান্ত হতে পারে, সকল প্রিয়জন আক্রান্ত হতে পারে, পারবেন কি তাদের মৃত্যু সইতে?
যদি সইতে পারবেন বলেন, তাহলে মর, সইতে না পারলে ঘর ধর।
সমাপ্ত।
ছবিঃ গুগল।
৪২টি মন্তব্য
সাবিনা ইয়াসমিন
আমি ফার্স্ট 😊😊
ইঞ্জা
কমেন্ট কই আপু?
সাবিনা ইয়াসমিন
কমেন্ট দেইনিতো!
ফার্স্ট হয়েছি এটার জানান দিলাম আগে।
এখন কমেন্ট করবো 😀😀
ইঞ্জা
😂🤣
সুপর্ণা ফাল্গুনী
খুব ভালো বলেছেন। আপনার কথাগুলো খুবই যুক্তিযুক্ত, কিন্তু কাকে কি বলছেন? যে দেশের শিক্ষিত থেকে অশিক্ষিতের মধ্যে তেমন কোন পার্থক্য চোখে পড়ে না। আমরা মূর্খ বলে অন্যকে গালি দেই, গরীব বলে ঘৃণা করি অথচ নিজেরা যে কাজগুলো করি তার সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করিনা। দক্ষিণ সিটির প্রাক্তন মেয়র খোকন যখন বলেছিলো এপ্রিলের শেষে মহামারী আকার ধারণ করবে তখন আমরাই তার চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেছিলাম, যে লোক সবার জন্য ডাস্টবিন দিলো শহরকে পরিষ্কার রাখার জন্য ,সেই ডাস্টবিনের কিছু অবশিষ্ট রেখেছি আমরা? এই হলো আমরা। নিয়মের অভাব নাই কিন্তু মানার বেলায় কেউ নেই আবার অন্যের ভুল ধরি, গলাবাজি করি। ধন্যবাদ আপনাকে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন
ইঞ্জা
সমস্যা কি জানেন, আমরা জাতিটাই কুজাতি, যাকে বলে জংলির চেয়েও খারাপ, আদিমই বলতে পারেন, বাকিটা তো আপনিই বললেন আপু।
ধন্যবাদ, খুব ভালো মন্তব্য দিলেন আপু।
নীরা সাদীয়া
প্রধানমন্ত্রী একা সৎ থাকলেই কি হবে? বাকিগুলা চোর ছেচড়। এই করোনাকালেও তাদের চুরির স্বভাব যায় না! আমরা জনতাও কম না, পুলিশের সাথে খেলি লুকোচুরি। অবশ্য বের না হলে তারা খাবে কি? কী যে একটা কঠিন পরিস্থিতি!
ইঞ্জা
সবই সত্য বলেছেন, কিন্তু খাবারের ব্যাপারে সরকার সাহায্য করছে, ৩৩৩ নম্বরে কল করলেই হয়।
ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
প্রার্থনা করি এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস সংকটময় সময়ে আপনার সাজেশনগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী-সহ মন্ত্রী, এমপি মহোদয়ের নজরে পরুক! আপনার সুন্দর সাজেশন, সুন্দর উপলব্ধিতে লেখাটা সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় দাদা।
ইঞ্জা
আন্তরিক ধন্যবাদ দাদা, আমি অবাক হই আমার ক্ষুদ্র মাথা থেকে যে বের হয়, তা কেন নেতাদের মাথা থেকে কেন আসেনা?
তৌহিদ
আপনার সমস্ত যুক্তি যৌক্তিক আমি সমর্থন করছি। রংপুর মেডিকেলে গিতকাল আন্দোলনের পরে আজ ২০০ পিপিই এসেছে। আমরা নিরাপদ দূরত্ব মানছিনা বলেই এত সমস্যা প্রকট হয়েছে। কোন কিছুতেই সমন্বয় নেই।
সাহায্য বন্ধ করাই উচিত। এত সাহায্যের ফলে অনেকেই হাত গুটিয়ে বসে আছে যার ইফেক্ট পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।
এই মুহুর্তে বসুন্ধরা, আকিজ এদের হাসপাতাল বানানোর প্রয়োজন ছিলোনা। বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে সুযোগ সুবিধা দিয়ে নিজেদের আওতায় আনা যেত। বসুন্ধরা, আকিজ এরা এত ডাক্তার, নার্স কোথায় পাবে? আসলে এলসি খুলে শতকোটি টাকা মারার ধান্দা এসব।
রাগের চোটে বেশি কথা আর বেরোচ্ছেনা দাদা। সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
শুনে খুশি হলাম রংপুর মেডিকেলে পিপিই শেষ পর্যন্ত পোঁচেছে।
সোস্যাল ডিস্টেন্স মেইনটেইন করার জন্য সরকার বাধ্য না করলে এই জাতি তা মানবেনা, এ জন্যই বলছি কারফিউ দেওয়ার কথা।
বাকি কথা গুলোও অমূলক বলেননি, কিন্তু মানুষ যদি জীবিকার তাগিদে বের হয় তাহলে সোস্যাল ডিস্টেন্স কোন ভাবেই সম্ভব না, সে ক্ষেত্রে সরকারের ত্রাণ সরবরাহ আরও জোরদার করার প্রয়োজন আছে ভাই।
বাকি রইলো আকিজ, বসুন্ধরার কথা, সেগুলোর উৎকৃষ্ট ব্যবহার করতে হবে সরকারকেই।
ধন্যবাদ ভাই, বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করলেন।
তৌহিদ
শুভেচ্ছা জানবেন দাদা
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই।
সুপায়ন বড়ুয়া
করোনা চিকিৎসা করার জন্য যেহেতু ঔষদ ভ্যাকসিন কিছুই নাই। তাই Who অন লাইন ট্রেনিং দিচ্ছে। যেটা বাসায় বা হসপিটালে চিকিৎসা সেবা দেয়।
সুতারং আমরা ট্রেনিং টা নিলে বোধ হয় আতন্কটা কিছুটা কমবে।
আর শান্তিপুর্ন মৃত্যুর গ্যারান্টি আইসিও র কথা বাদ দিলাম।
এভাবে লকডাউন চলতে থাকলে ক্ষুধা আর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হারিয়ে ২০% লোক মারা যাবে। আর আমরা যারা লকডাউনে নিরাপদ ভাবছি তারা ও রক্ষা পাব না।
ইঞ্জা
দাদা অকপটে যা বলেছেন তা শুধু মনকে শান্তিই দিতে পারবে, সত্যিকার অর্থে আমরা যারা মিডেল এজেড আছি, তাদের জন্যই সব ইকুইপমেন্ট জরুর, নাহয় মৃত্যু অবধারিত।
খাওয়া দাওয়ার কারণেই বললাম সব ইনভেস্টমেন্ট বন্ধ করে এখন স্বাস্থ্য এবং কৃষিখাতেই ইনভেস্ট করতে হবে, তাহলেই হতে পারে এই বিপদ থেকে মুক্তি।
ধন্যবাদ অফুরান দাদা।
রেহানা বীথি
আমাদের যা করা উচিত তা করছি না, যা করা উচিত নয়, তা করতেই আগ্রহী আমরা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিদিনের ব্রিফিং থেকে বাস্তব অবস্থা অনুমান করা যাবে না। এখনই যদি কঠোর পদক্ষেপ না নেয়া হয়, পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে ভাবলেই গা শিউরে ওঠে।
খুব ভালো পোস্ট ভাইয়া।
ভালো থাকবেন সবসময়।
ইঞ্জা
অতি সত্য বলেছেন আপু, এ সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বৃহত পরিসরে চেইঞ্জের দরকার আছে।
অফুরন্ত ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
আমরা জাতি হিসাবে খুব কিউট, কোন কিছুর তোয়াক্কা করি না, কেউ-ই না।
ভয়াবহতা কেউ যেন গায়েই মাখতে চাচ্ছে না।
আপনাকে ধন্যবাদ, আপনি আমাদের লাগাতার সতর্ক করে যাচ্ছেন।
ইঞ্জা
কিউট বলছেন ভাইজান, আমি তো বলি সব কটাই আস্ত শয়তানের হাড্ডি এবং জংলি জাতি আমরা, সুযোগ পেলেই কাউকেই বাঁশ দিতে ছাড়িনা, ভয়াবহতা গায়ে মাখবো কেন, শয়তানের ভয় কিসে?
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইজান।
ছাইরাছ হেলাল
কিউট বলছি দুষ্ট অর্থে।
শয়তান তো ফ্যাক্টরি খুলে বসে আছে।
ভাল থাকবেন।
ইঞ্জা
হাঁ অতি সত্য বলেছেন ভাইজান।
সুরাইয়া পারভীন
আপনার সব পয়েন্ট যুক্তিসংগত। শতভাগ সহমত পোষণ করছি। এখনো সময় আছে জরুরি অবস্থা জারি হলে হয়তো বেঁচে যাবে এ দেশের মানুষ। মানুষ মানুষের জন্য না হোক অন্তত নিজের পরিবারের জন্য ও তো ঘরে থাকতে পারে। পুরো বিশ্বের করুণ অবস্থা দেখেও এতোটুকু সচেতনতা অবলম্বন করছি না। এ কেমন জাতি আমরা। আমাদের কী মরার ভয়ও নেই।একা সরকার আর কি বা করবে? যদি আপামর জনতার একটু হুঁশ না হয়।
দারুণ লিখেছেন ভাইয়া
ইঞ্জা
সম্পূর্ণ একমত আপু, সরকারের সাথে সাথে আমাদেরও সিচেতন হতে হবে।
ধন্যবাদ অনিঃশেষ আপু।
সুরাইয়া পারভীন
ভালো থাকবেন ভাইয়া
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু
হালিম নজরুল
অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক পোস্ট দিয়ে বারবার আপনি সচেতন করছেন, কিন্তু এদেশের মানুষ বড়ই অধম! কথা শোনে না। আল্লাহই জানেন আমাদের পরিণতি কি হতে যাচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই।
ইঞ্জা
পরিণতি আর কি, সব ম্যাসাকার করেই ছাড়বে এরা।
ধন্যবাদ ভাই।
ফয়জুল মহী
যথার্থ বলেছেন। ভালো লাগলো ।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ভাই।
সাবিনা ইয়াসমিন
দিন দিন পরিস্থিতি শুধু খারাপের দিকে যাচ্ছে। আর যত খারাপের দিকে যাচ্ছে সাধারণ মানুষেরা নিয়ম ভাঙার জন্যে আরও বেশি মরিয়া হয়ে পড়ছে। প্রথম দিকের এক সপ্তাহ বাদ দিলে লকডাউন প্রকৃত ভাবে কেউই ঠিকমতো মানছেন না। বিশেষ করে এক শ্রেণীর মানুষ শুধুমাত্র বাজার করে-করেই নিজের সহ গোটা পরিবারকে ঝুঁকিতে পৌঁছে দিচ্ছেন। আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তদের সংখ্যা বেশি। তাদেরকে ঘরে ঢোকানো এখন রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাস্তা ঘাটে বর্তমানে এদেরকেই বেশি বের হতে দেখা যায়। যদি কারণ গুলো জিজ্ঞেস করা হয়, তবে এরা সঠিক কোন উত্তর দিতে পারে না। এরা এলাকার বিভিন্ন মোড় থেকে শুরু করে শহরের প্রবেশ দ্বার পর্যন্ত নির্দিষ্ট কারণ ছাড়াই ঘুরে বেড়ায়। স্বাস্থ্যগত রীতিনীতি মানে না, প্রশাসনের তোয়াক্কা করে না। যা খুশি একটা নিজের মনে ভেবে নেয়, আর ঘুরতে থাকে। আর এর ফলে, গত তিন সপ্তাহে যে সংখ্যা ধিরে ধিরে বাড়ছিলো তার দ্বিগুণ হয়ে গেছে তিনদিনের মধ্যে। জানিনা সামনে কি দিন আসছে। যদি সঠিকভাবে মোট জন সংখ্যার বৃহৎ একটি অংশ মোটামুটি ভাবে নিয়ম গুলো মেনে চলতো তাহলে হয়তো আসলেই আতঙ্কিত হবার মতো পরিস্থিতি আসতো না।
নিয়মিত আপডেট পোস্ট দেবার জন্য ধন্যবাদ ভাইজান। আমরা আশা রাখি এই ধারাবাহিকতায় একদিন আপনার কাছ থেকেই আমরা সুদিনের সুসংবাদ পাবো ইনশাআল্লাহ।
ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
ইঞ্জা
আজকেই জানলাম আপু, বাংলাদেশে সুস্থতা হারের চাইতে মৃত্যু হার বেশি, একমাত্র কারণ হলো নিজেদেরকে অতি মাত্রায় চালাক ভাবি, এই চালাকি যে করোনার সাথে চলবেনা তা আমরা জেনেও জানিনা।
নাতিদীর্ঘ যুক্তিযুক্ত কমেন্টের জন্য অপরিসীম ধন্যবাদ আপু।
সুরাইয়া নার্গিস
চমৎকার পোষ্ট দাদা।
পড়ে খুব ভালো লাগলো কিছুই বলার ভাষা নেই।
আল্লাহ্ একমাত্র রক্ষাকারী তিনি আমাদের হেফাযত করুন।
শুভ কামনা রইল সবার জন্য।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ আপু, এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়ার দুইটিই উপায়, ঘরে থাকুন আর আল্লাহকে ডাকুন।
জিসান শা ইকরাম
খুব দুর্দিন আসছে আমাদের সামনে।
যতদিন জনগন বাসায় না ঢুকবে ততদিন এই করোনা আমাদের পিছু ছাড়বেনা।
প্রধানমন্ত্রী একা কতদিক সামলাবেন?
করোনার আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন আপনি। আমরা চাই এর সমাপনী বার্তাও আপনি দিন।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
দূর্দিন মানে হলো, আগামী এক মাসে প্রচন্ড শক্তিতে করোনা ভাইরাস আঘাত হানবে, এতেই যা হওয়ার হবে, বাকিটার জন্য ইতিহাস সাক্ষী থাকবে।
আমি সত্যি হতাশ এক কুলাঙ্গার হাইব্রিড মন্ত্রীকে দেখতে দেখতে, আল্লাহই জানেন কি হবে সামনে।
আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে নিশ্চয় আরও পোস্ট দেবো এবং এর শেষটাও ইনশা আল্লাহ আমিই জানাবো, দোয়া রাখবেন ভাইজান।
মাহবুবুল আলম
ইঞ্জা ভাই! করোনা নিয়ে আপনার গুরুত্বপূর্ণ লেখাটি পড়লাম। এতে আপনি করোনার বিস্তার ও করণীয় বিষয়ে বিশদভাবে আলোচনা করছেন তা করোনাক্রান্ত পৃথিবীর সচেতন মানুষের কাজে আসবে। কিন্তু বাংলাদেশের বিপুলসংখ্যক গোড়া অসচেতন মানুষের কাছে কামারের দোকানে কোরআন পাঠের শামিলই যদি না হবে কীভাবে লক্ষ মানুষ নিজের সমাজ তথা রাষ্ট্রের মানুষের চিন্তা না করে একজন ইসলামী বক্তা জুবায়ের আনসারির জানাজায় শরিক হতে পারে!!
এই জাতিকে কেউ কোনোদিন পথে আনতে পারবে বলে মনে হয় না। শুভেচ্ছা জানবেন!
ইঞ্জা
আমি এই বিষয়ে বিশদ ভাবে লিখতে চাইলেও লিখতে পারিনি বলে দুঃখিত, যদি লিখতাম এই ধর্মান্ধ কুলাঙ্গারদের কাছে খারাপ মানুষ হয়ে যেতাম ভাই, কিন্তু আমি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও কঠিন হোক, তাহলেই সম্ভব এইসব থেকে নিস্তার।
ধন্যবাদ অনিঃশেষ।
কামাল উদ্দিন
পুরা দেশটিকেই করোনার জন্য ডেঞ্জার জোন হিসাবে চিহ্নিত করেছেন তাতে আমাদের কিইবা আসে যায়। আমরা প্রতিদিন বাজার করা ছাড়াও আড্ডাবাজির জন্য ঘর থেকে বাইর হচ্ছি। বাপের জানাজায় না গেলেও মওলানা সাবের জানাজায় পঙ্গপালের মতো ঝাপিয়ে পরছি। ওপারে পার করতে পারে একমাত্র এই মওলানা সাবরা, সুতরাং………
ইঞ্জা
দুঃখজনক, এমন মনমানসিকতার কারণেই দেশটা ছারখার হয়ে যাবে, জানিনা বাঙ্গালীরা কখন বুঝবে এইসব?
আল্লাহ তুমি এই আবাল বাঙ্গালীদের বোধ বুদ্ধি দাও, আমীন।
চমৎকার এবং সত্য বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
ভয়ে আছি ভাইজন।আমার অঞ্চলের পাশের এলাকায় একজন লিষ্টটেড করোনায়। এমন লেখার জন্য ধন্যবাদ।
ইঞ্জা
ভাই আপনার এলাকা এখন ডেঞ্জার জোনে, আমার এলাকাতেও এখন ৪ ঘর কোয়ারেন্টিনে, আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজতে রাখুন।
পারতে ভর ঘর থেকে বের হবেন না ভাই, স্বাস্থবীধি মেনে চলুন।