গনগনে ধারালো কাচ নীরবতায় কে ডাকে দূর থেকে দূরে থেকে ??
রাত-বিরাতে খনখনে ঝাঁঝালো গলায়,চোখে আয়না ফেলে ঠোঁটের আড়ালে ঝুলিয়ে পোয়াতি হাসির হাসি শেষের ওবেলায় অবেলায়।কে?কে?
শান-বাঁধানো হিম-শীতলতায় একা থেকে ক্রমএকাকিত্বের স্বাদ নিয়ে নাছরিনের দেশে বেশ ভালই আছি অগুনিতক সময়ের কাছাকাছি।
বনলতা সেন কে খুঁজতে খুঁজতে হয়রান হয়ে ভাবছি চাদের বুড়ির বাড়ীতে একটু জিরিয়ে নেব,জবুথুবু শীতের কামড়ে লাগাব চাঁদ-বুড়ির গরম লেপের জরিবুটির প্রলেপ।বুড়ির জন্য এনেছি তবক দেয়া পান।ফোকলা বুড়ি খুশিতে হবে হেসে কুটিকুটি।
ডেকে যাচ্ছি বুড়ির নিরুত্তর উত্তর পেয়েও।বিরক্ত আমি উঁকি দেই আলতো আলোয় চাদের বুড়ির শীত বিছানায়। ক্ষীণতম হাসির শব্দ যেন শুনতে পাই,আমার ডাকাডাকি ফিরে আসে আবারও শব্দহীনতায়।আমার সাথে রাত-ইয়ার্কি!রেগে গিয়ে কাছে যাই,তুলে ফেলি শীত-কাঁথা।
একি!একি!
বুড়ির গলা জড়িয়ে বনলতা সেনের হিহি ধ্বনি।
====================================================================
সই-সতীনের এত-শত জ্বালায় মরেও শান্তি নেই।
৩৯টি মন্তব্য
কৃষ্ণমানব
সময়ের পিছে ছুটতে গিয়ে
বেশ নির্জীব দেখা যাচ্ছে…
কন্ঠের মাঝে ও কেমন যেন অপরিচিতার ভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে !
চাদেঁর বুড়িকে দেখতে বড় সাধঁ জাগে ।
যদিও মানুষের সব চাওয়া-পাওয়া কি পূর্ণতা পায় ??
তবুও মানুষ হিসেব কষতে বড্ড ব্যাস্ত !
বনলতা সেন
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হিসেব কষে সব হিসাব মেলানো যায় না।
মন্তব্যটি ভুলে নীচে করে ফেলেছি।
শুন্য শুন্যালয়
দাঁড়ান চোখ কচলে নিই, কাকে দেখছি?? লেখা নিয়ে কোন মন্তব্য নয়, ১ মাস ৬ দিন পরে এসে করবো।
বনলতা সেন
হি হি। এ কেমন কথা? যার জন্য করি কাজ, সেই বলে অকাজ!
এ ভারী অন্যায়।
শুন্য শুন্যালয়
হাসি দেখে জ্বলে যাচ্ছি, এ ভারী অন্যায়, এভাবে অপেক্ষা করিয়ে রাখা। একা একা এভাবে ফোঁকলা বুড়ির সাথে খাতির করে এলেন আমাদের ফেলে। নাছরিন গুন্ডি নিশ্চয়ই ভালো আছে?
এমন উপহার এনেছেন আমাদের জন্য, রাগ চলে গেছে। কিন্তু নিরুত্তর উত্তর কিভাবে হয়?
আবার কবে যাচ্ছেন? এবার গেলে কিন্তু আর ফিরিয়ে আনবো না। হুশিয়ারী ২।
বনলতা সেন
হাড় জ্বালিয়ে দিব সবার মনে থাকে যেন, যাচ্ছি না আর।
আমাকে ভয় পাইয়ে দেয়া ঠিক না। কান্নাকাটি শুরু করে দিলে কিন্তু সমস্যা হবে।
শুন্য শুন্যালয়
না সমস্যা হবেনা, ললি রেডি আছে ইশ্বরের হাতে। এবার হাড় আপনারই জ্বলবে, কাঁচ নিরবতা আর নিরুত্তর উত্তর কিভাবে হয়, বুঝিয়ে বলুন। আর এমন সব শব্দের উৎস রহস্য বলুন। এতোদিন পর এসেছেন, না ভুগিয়ে ছাড়বোনা। আপনাকে দেখে আনন্দ হচ্ছে খুব।
বনলতা সেন
আসুন হাড় না জ্বালিয়ে কাচ নিরবতা ভাঙ্গি। সোনেলার বনলতা সেন বা যদি ধরি বনলতা সেনের সোনেলা প্রায় একই অস্তিত্ব অন্যদের সাথে মিলিয়ে। লতা নেই, নেই তা জ্বলন্ত সত্যি। সে না ফেরার দেশে চলেই গিয়েছিল।কিন্তু তার লেখা-অলেখা গুলো সগর্বে জীবন্ত।লেখার মাঝে তাকে দেখা যাচ্ছে, তার অস্তিত্ব অনুভব করা যাচ্ছে শুধু।তাকে স্পর্শ করা যাচ্ছে না ভাবের আদান-প্রদান করা যাচ্ছে না। বাঁধা শুধু একটি দেয়াল, তা কাচের তৈরি। কাচের কথা বলে হিম শীতলতা বোঝানোর চেষ্টাও ছিল।
নিরুত্তর উত্তর বলতে উত্তর না দেয়া বোঝানো হয়েছে।
ফিরে আসতে পেরে আমিও সত্যি সত্যি আনন্দিত। তবে ফিরে আসতে পারা অনেক অনেক কঠিন ছিল।এখনও ধাতস্থ হতে সময় লাগছে আরও একটু সময় লাগবে সব কিছু ফিরে পেতে, লিখতে ও মন্তব্য করতেও পারছিনা ঠিক-ঠাক।
আপানার আছেন বলেই হয়ত বেঁচে উঠব আবার।লিখব মনের আনন্দে।
অবশ্য নাছরিন কে ধন্যবাদ, ঠেলে-ঠুলে ফিরতে সাহায্য করেছে।
শুন্য শুন্যালয়
হুম বুঝলাম, চলে যাওয়া টা তবে একেবারেই ছিলো। কিন্তু কেনো? সেই কারনটা অস্পষ্ট। সোনেলার বনলতা সেন কিংবা বনলতা সেনের সোনেলা, তবু সে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিল। থাক প্রশ্ন করবো না কেনো। ফিরে এসেছেন তাতেই অনেক খুশি। সময় নিন যতো খুশি, তবে সময় যে খুব বেশি নেই তাও মনে রাখতে হবে। উত্তর না দেয়াটা বুঝতে পেরেছি তবে কথা না বলে আপনার মতো সুন্দর করে উত্তর দেয়া কঠিন। নিরুত্তর উত্তর।
নাছরিনের সাথে কেমন মজা করলেন? কেমন আছে ত্রিমাছ?
বনলতা সেন
প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
হিসেব কষে সব হিসাব মেলানো যায় না।
কৃষ্ণমানব
অনেক অনেক স্বাগতম !
না টেলকম :v
আশা করি আর হারিয়ে যাবেন না !
বনলতা সেন
না ,হারাচ্ছি না আর।
মামুন
ভালো লাগা রেখে গেলাম।
শুভকামনা রইলো…
বনলতা সেন
আপনার জন্যও শুভ কামনা।
নুসরাত মৌরিন
এসেছেন তাহলে!!
“এতদিন কোথায় ছিলেন?”
ভাঙ্গলো তবে কাঁচ নীরবতা!
বনলতা সেন কে খুঁজেছি অনেক,তবে সে যে একেবারে চাঁদের বুড়ির কাঁথার নিচে লুকিয়েছিল তা কে জানত?
ফিরে এসেছেন দেখে খুব ভাল লাগছে… 🙂
বনলতা সেন
আমিও আপনাদের মাঝে ফিরে আসতে পেরে অনেক আনন্দিত।
সাথেই থাকব এখন থেকে।
জিসান শা ইকরাম
দারুন লেখা ।
‘ কাচ নিরবতা ‘ নুতন লাগলো ।
প্রত্যাবর্তন নিয়ে কিছুই বলবো না
নিজের কাছ থেকে কেউ হারাতে পারেনা, এটা জানি।
বনলতা সেন
কারো কারো হারিয়ে যাওয়া বেশ কঠিন, আরও কঠিন কারো ফিরে আসার ডাক উপেক্ষা করা।
নওশিন মিশু
আমি এই পরিবারে নতুন তাই পরিচয় নেই। যাইহোক ফিরে আসার জন্য অভিনন্দন…. -{@
বনলতা সেন
এই আত্মীয় বাড়ীতে নুতন-ফুতন বলে কিছু নেই। নির্ভেজাল আনন্দ সমুদ্রে ভেসে যাবেন
নিজের অজান্তে।অপেক্ষা মাত্র।
লীলাবতী
নাছরিনের দেশে ছিলেন ভালো কথা, নাছরিনের দেশটি কেম্ন,কেমন আছেন নাছরিন এসব জানতে বর মনচায়। জানতে চাই জানাতে হবে। এতদিন পরে বনলতাকে দেখে সত্যি ভালো লাগছে খুব।
বনলতা সেন
আপনাকে ও আপনাদের পেয়ে আমারও ভাল লাগছে।
অবশ্যই নাছরিন কথন চালু হবে আপনাদের সাথে।
স্বপ্ন
এত ডাকাডাকি খোঁজাখুজির পরে অবশেষে পাওয়া গেলো তাহলে বনলতা সেনকে?আমিও খুঁজেছি বনলতা সেনকে। অসাধারন।
বনলতা সেন
স্বজনরা এমন করে খুঁজলে না এসে কোন উপায় থাকে না।
আপনার লেখা চাই।
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্ বেশ বেশ। এসেই দেখি চাঁদের হাট বসিয়ে ফেলেছেন।
কী করে যান আমাদের ফেলে সে রহস্য জানতে চাই ই না। এ সোনেলা আপনার ,আপনাদের।
শব্দদের ঠিকানা জানতে মুঞ্চায় খুব।
সোনলা আবার সোনালা হয়ে ঊঠেছে, উচ্ছাসে আনন্দে।
বনলতা সেন
সোনেলা কে ভালোবাসি , তাই হয়ত ফিরেও আসি।
শব্দদের ঠিকানা আপনাকে বলা ঠিক হবে না, নিষেধ আছে।
প্রশংসা আমার খুব পছন্দ। চালু থাকলেই ভাল হয়।
আবির
শাণিত লেখা আবার মনে হয় কড়া এক কাপ কফি, খুব গরম, মন দিয়ে না পড়লে ঠোঁট পুড়ে যাবে। লেখা কিছু বুঝি নাই মনে হয় মাঝখানে আইছি আগেও কিছু না কিছু আছে।
বনলতা সেন
পুড়ে যাওয়ার কিছু নেই সাবধানীদের।
হ্যা আগে পিছে আরও কিছু অবশ্যই আছে।
মরুভূমির জলদস্যু
শেষ লাইনটা ভালো বলেছেন।
বনলতা সেন
এত কিছু থাকতে শেষ লাইনে চোখ গেল!
সায়ন্তনু
এখানে কী? কিছুই বুঝতে পারছি না। লেখা তো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য সহ।তবে একটি জিনিস দেখতে পাচ্ছি।
মডু মডু ডাক পারি, মডুরা সব আত্মীয় বাড়ী,পায়েস মণ্ডা হাড়ি হাড়ি, আমি বলি হরি হরি।
বনলতা সেন
আপনার মন্তব্য ও মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছে। এখানে মডু-ফডু এলো কোত্থেকে। আজব।
মিষ্টিও দেখতে পাচ্ছেন? যাক হাড়টি আস্ত থাকলেই খুশি।
বিড়ালের খবর দিয়েন।
মিথুন
গনগনে ধারালো কাঁচ নিরবতা? মাগো এ কেমন ডাক!!! ভয় লাগছে। আপনিও বুঝি অনেকদিন ছিলেন না? আপনাকে তবু ডাকার লোক আছে, আমি কতদিন আসিনি কেউ ডাকলো না 🙁
আপনার লেখায় কি একটা যাদু যাদু খেলা করে, অনেকবার পড়তে ইচ্ছে করে।
বনলতা সেন
ভাইরে যাদু-ফাদু কিছু নেই। আছে শুধু অখণ্ড আন্তরিকতা।
যাক, নিয়মিত আপনাকে আমি খুঁজে রাখব।
ব্লগার সজীব
যাক মন্তব্য পড়ে কবিতা বুঝতে পারলাম।না বুঝে মন্তব্য করতে পারছিলাম না।অপেক্ষা করেছি কখন বুঝিয়ে দেয়া হয় :p
আবার চলে যাবার কথা বললে সুইসাইড খাবো 🙁
বনলতা সেন
আর চলে যাওয়ার উপায় নেই। তাই চুইচাইড খেতে হবে না।
শিশির কনা
বনলতা আর সোনেলা দুজনে দুজনার।চলে যাওয়া এত সহজ না।ইচ্ছে করলেই আপনি যেতে পারবেনা।যেতে দেবোনা।
বনলতা সেন
চলে যাওয়া যায় না আসলেই এখন বুঝতে পারছি।
ভাল থাকুন আপনিও।
সাইদ মিলটন
বাঃ ডুব দিয়া উইঠাই আপ্নেরে দেখলাম 😀 ভাল্লাগলো 😀