একটা চক্র প্রচারণা চালায় বর্ষবরণ হিন্দু সংস্কৃতি! আমার হাজার বছরের লালিত বাঙালী সংস্কৃতিকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই তাদের এই প্রচারণা। যদি হিন্দু সংস্কৃতিই হতো, তাহলে হিন্দুপ্রধান (হিন্দু রাষ্ট্র নয়) ইন্ডিয়ার সকল প্রদেশেই তা চালু থাকতো। আমার তো জানা নেই এমনটা চালু আছে। বাঙালী অধ্যুষিত একমাত্র পশ্চিমবঙ্গেই তা পালিত হয়। কারন পশ্চিমবঙ্গ আর তৎকালীন পূর্ববঙ্গ (বর্তমান বাংলাদেশ) মিলেই বাঙালীর বসবাস। আর তাই বাঙালী সংস্কৃতির চর্চাও প্রায় এক।

'৪৭ এ রেডক্লিফের ম্যাপ অনুযায়ী ধর্মের ভিত্তিতে ভারতবর্ষ ভাগের সময় হিন্দুপ্রধান পশ্চিমবঙ্গ ভারত অংশে আর মুসলিমপ্রধান পূর্ববঙ্গ থাকে পাকিস্তানের অংশে। পূর্ববঙ্গের নাম হয় 'পূর্ব পাকিস্তান'।

'৭১ এ 'পূর্ববঙ্গ' অর্থাৎ 'পূর্ব পাকিস্তান' স্বাধীন হয়ে নাম হয় 'বাংলাদেশ'। কেনো 'পূর্ব পাকিস্তান' মূল পাকিস্তান থেকে আলাদা হলো সে ব্যাখ্যায় আর যাচ্ছি না। মূলত সেকারণেই পাকিস্তানের বর্তমান প্রেতাত্মারা ১লা বৈশাখ বাঙালীর 'বর্ষবরণ' উৎসবকে হিন্দুয়ানী সংস্কৃতি বলে পাক বাহিনীর সেই জোর করে বাঙালীত্ব কেড়ে নেয়ার প্রবণতাকে আজো প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টায় মগ্ন।

যারা এখনো পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের উদ্দেশ্যকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোন থেকে দেখো, তারা বিষয়টি বুঝার চেষ্টা করো। ওরা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকেই ধর্মীয় লেবাস পরিয়ে বাঙালীর হাজার বছরের লালিত সংস্কৃতিকে হরণ করতে এই প্রচারণায় মুখর।

বর্ষবরণ হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে সার্বজনীন বাঙালী উৎসব।
'১লা বৈশাখ' হোক আপামর বাঙালীর প্রাণের উৎসব। শুভ নববর্ষ।
এসো হে বৈশাখ, এসো এসো.....

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ