এক মুক্তিযোদ্ধা মা,
যে মা দিয়েছে জন্ম,
যে মা দিয়েছে দেশ,

তাঁরা আজ অবহেলিত,
তাঁরা আজ লাঞ্চিত ,
তাঁরা আজ সমাজচ্যুত,

এ লজ্জা কার আমার!
না সমগ্র সন্তানদের? 

যে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে, দিয়েছে আমাদের এই দেশটা, সেই মহীয়সী মা আজ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাসপাতালে মিত্যুর সঙ্গে করছে দিন পার। তাঁকে জানান হয় নাই তাঁর মরণ ব্যাধি ক্যান্সার তাঁকে অক্টোপাসের ন্যায় ঝাপটে ধরেছে, তাঁকে বাঁচাতে আজ অনেক টাকার প্রয়োজন।এই মা নেননি কোন মুক্তিযোদ্ধা সাটিফিকেট । আজ তিনি বড় অসহায়। তাঁর চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। এখন কাগজ তৈরি করতে অনেক সময়ের দরকার এর মধ্যে দরকার টাকার।

সোনেলা একটি মুক্তিযুধ্বের পক্ষে কথা বলে ব্লগ। তাই আমরা সবাই মিলে যদি তাঁকে অর্থের মাধ্যমে সহায়তা করতে পারি,তবে তিনি আমাদের মাঝে ফিরে আসবে সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে।

যে নারী আমাদের মা, আমাদের দেশের স্বাধীনতা আনয়নের সূর্য সৈনিক। যে যেমন তার সামর্থ অনুযায়ী এই মা এর পাশে দাড়াই। এব্যাপারে সোনেলার ব্লগারা এগিয়ে আসবেন। শুধু ব্লগিং ও কাগজে কলমে নয় বাস্তবে আসুন আমরা এই মা কে সহায়তা করি।

এক্ষেত্রে জিসান ভাইয়া এগিয়ে আসবেন বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস এবং অগ্রনী ভুমিকা পালন করবেন।

আমি বেশ কিছুদিন নেট বা এই জগত থেকে দূরে ছিলাম।

বিডি ব্লগের ব্লগারগন আমাকে ফোন করে  এই মুক্তিযোদ্ধা মা এর জীবন বাঁচানোর  জন্য আহবান করলে  নেমে পড়ি।গত ৩রা জানুয়ারী ২০১৫ বিএমএমইউ হাসপাতালের  সি ব্লকে লিফট ৫ এ দেখতে যায় তাঁকে। অস্ত্র হাতে ্লড়াকু আলমতাজ এখনো মনে প্রাণে দৃঢ় প্রত্যয়ী। কিন্তু তাঁকে শারিরীকভাবে কাবু করেছে।

আসুন ফিরে আসি তাঁর ১৯৭১ সালের কাহিনী। আলমতাজ মাত্র ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী। ১৬ বছর বয়স মাত্র। দেশের প্রয়জনে তিনি বঙ্গবন্ধুর ডাকে অস্ত্র তুলে সম্মুখ যুধ্বে করেছেন। ৯ নং সেক্টরের সাহসী গেরিলা যোধ্বা তিনি। যে পাকিস্তান বাহিনী ৩০ লক্ষ মানুষ হত্যা, ২ লক্ষ মা বোন ধর্ষণ করেছে সেই যুধ্বেই এই আলমতাজ নিজে অস্ত্র হাতে পাকিদের বিরুধে লড়েছে।

১৯৭১ সালের পর প্রয়োজন মনে করেননি মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেটের। দারুন কর্মঠ এই মা। এখন তাঁর মেয়ে তাঁর  দেখাশোনা করেন। তাঁর নিকট ৪ থেকে ৫ টি পেপারে তাঁর যুদ্ধের কাহিনীর কাটিং দেখেছি।

প্রতিমাসের ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার খরচ (জীবনযাপনের আনুসাঙ্গিক খরচ ও ওষুধপত্র, ব্যান্ডেজ ইত্যাদি মিলিয়ে),  আগামির চিকিৎসা খরচ, পুনরায় মেডিকেল টেস্ট, সম্ভাব্য অপারেশন খরচ কিভাবে জোগাড় করবেন শিমু তার মায়ের জন্য?

মেডিকেল টার্মে ক্যান্সার গোত্রের এই অসুখটিকে বলা হয় Carcinoma Recto-sigmoid Junction (কোলন ক্যান্সার)। ৮-৯ বছর ধরে শরীরে বেড়ে ওঠা অসুখটি ধরে পড়েছিল ২০১৪ সালে।  চিকিৎসায় কেমো থেরাপি সহ এ বছরের মাঝামাঝি (অপারেশন হয়েছিল জানুয়ারিতে, জুনে কেমো শেষ হয়) পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ৮ লক্ষাধিক টাকা। কিন্তু বর্তমান শারীরিক অবস্থার প্রেক্ষিতে আবারও একটি অথবা দু’টি অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।হ্যাঁ আবার অপারেশন দরকার তাঁর। হয়তবা আগামী সপ্তাহ বা তাঁর পরের সপ্তাহে তারিখ পড়তে পারে। তাই অতিদ্রত তাঁর টাকার প্রয়োজন।

আমি আশা করি সোনেলার ব্লগারগন এই বীর মাতার পাশে দাঁড়াবেন। আমি সব ব্লগার এর নিকট সবিনয় অনুরোধ করি, আসুন আমরা তাঁর পাশে দাড়াই, আর এরকম সুযোগ বেশিদিন পাবনা। জিশান ভাইয়ার নিকট অনুরোধ তিনি যেন অগ্রনী ভুমিকা পালন করেনন। তাঁর মেয়ে শিমু আপার মোবাইল নাম্বার আছে প্রয়োজন পোষ্ট এ সংযুক্ত করব।

 

0 Shares

২৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ