এই রাত্রি,
যা লিখি, যা কিছু লিখি, যা লিখতে চাই, যা লিখব,
ভাবো, সবই তোমার?
ঐ যে কুমারী চাঁদ, দুধজ্যোৎস্না, নীলাকাশ, কাচরাত্রি
আয়নাজলেভাষা পদ্ম;
এ সবই কি তোমার! ভাব?
একলা পাহাড়, জনারণ্যের কোলাহল,
জ্যোৎস্না ছোঁয়া জল, পায়রার বাকবাকুম,
আততায়ী বাতাস, অজস্রতম শিশির কণা,
এই যে কথা না রাখা, অবিশ্রান্ত শয্যা প্রহর,
মুহুর্মুহু ভাঙা হৃদপিণ্ড-পাঁজর!
শুধুই আমার, সে কারোরই নয়;
কন্দর্পকান্তি ঈশ্বরের বরপুত্র?
বৈকুণ্ঠ? অমরাবতী? ইরাবতী? ধানসিঁড়ি?
৩২টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সবই তার এমন হলে ক্ষতি কি?
তবে অনেকেই আছেন যারা নিজের আনন্দের জন্যই লেখেন, অন্যের ভাবনায় কিইবা আসে যায়!
বা ভাবনা হলো সুদ, আসল কমে যাবেনা।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, ক্ষতি কিছু নেই, ‘তারা’ যে অনেক!
আসল থেকে কিছু কমলেও অসুবিধা কিছু নাই, ওম শান্তি, শান্তি!
আনন্দেই লেখা, লেখা বেদনায়ও,
অলিভার
মুঠোতে থাকা সবই বিলিয়ে দিয়ে নিতে চান জ্যোৎস্না ছোয়া জল!
তবে কি আপনিও স্বার্থপরের মত আচরণ করলেন না? আপনিও কি মায়ায় আবদ্ধ করে তারপর তাকে একলা সমুদ্রে ভাসিয়ে দিলেন না?
দদি একসাথে হাতে হাত রেখে শিশির কণাগুলি গুনতে গুনতে পথ চলতেন, তবে কতই না মায়াময় হতো মুহুর্তগুলো।
তবে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত কিন্তু আমি সবই চাই 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এত্ত সুন্দর করে ভাবতে পারেন এবং তা বলতেও পারেন দেখে আনন্দিত হচ্ছি।
আসলেই আম্র অনেক অনেক চাই, নিজের মত করেই চাই।
নাসির সারওয়ার
না না, তাহার জন্য কিছুই নাই। থাকতে নাই, রাখতে নাই।
তবে অজস্রতম শিশির কণাদের একসাথে জড় করে একটা কচু পাতায় তাকে দেয়াই যায়। “এই নাও, এটা তোমার জন্য। যত্ন করে রেখে কিন্তু।”
আমি ভাবছি সে এই শিশির কণা দলাটাকে কেমন করে সে ধরে রাখবে। এত্তো ভালোবাসা কি সইবে তাহার!!
ছাইরাছ হেলাল
উথলে উঠে উছলে পড়া দরদ দেখতে কতনা ভাল লাগে!
সইবে সইবে সবই সইবে, তবে কচু পাতাটি তরতাজা হতে হবে।
বাহ বাহ্, কবতে আসি আসি করে এবার বুঝি এসেই গেল!
মিষ্টি জিন
হ্যা সবই তো তার..কোন সন্দেহ?
ধানসিডিরে ভাই ধানসিডি। 😀
এক “তুমি”আপনাকে তাডিয়ে বেড়াচ্ছে আর এক “তুই “আমাকে
মরন মরন ।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার তাড়ানোটি দেখতে পেয়ে ভালই লাগল,
আপনাকে আরও আরও তাড়িয়ে বেড়াক তা কিন্তু চাই।
মরণ মরন! এ যে সাধের মরণ, যা বারবার মরেও মরতে ইচ্ছে করে!
মরা-মরি গাঢ় হলে আমাদের জানান দিয়েন,
নীলাঞ্জনা নীলা
আমার মন্তব্য করলে আবার না কোন বিদ্রূপ করেন, ডরাই।
কুবিতা বড়োই সুন্দর হয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার প্রশংসা পেলে আনন্দিত হই, সব সময়ই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমি ধন্য হোলেম শুনে।
প্রশংসার বদলে নিন্দে পেলে মন তখন কি করে সেটাও জানার ইচ্ছে রেখে গেলাম। 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি নিন্দাসভা ডেকে পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।
নীলাঞ্জনা নীলা
নিন্দাসভা!!! জীবনে প্রথম শুনলাম এমন সভার নাম।
তার মানে এমন সভায় আপনি ছিলেন! ;?
ছাইরাছ হেলাল
অনেক কিছুই বাকী আছে শোনার দেখার!
সব কিছুতে থাকতে হবে কেন! আর থাকেই বা সমস্যা কী!
ইঞ্জা
আহা কি জোৎস্না উপভোগ্য, কি রোমান্টিকতায় ভরপুর আর সাথে আমি মুগ্ধই হতে পারি নাকি? -{@ (3
ছাইরাছ হেলাল
সে তো আমার দারুণ সৌভাগ্য নিঃসন্দেহে,
ইঞ্জা
😀
ছাইরাছ হেলাল
বুঝছি, ভাই,
মোঃ মজিবর রহমান
হৃদয় উজাড় করে তারই জন্য শুধু লিখলেন মনের রংমিশ্রিত রাংগাময় করলেন।
-{@ (3
ছাইরাছ হেলাল
না তো, তার জন্য এখানে তো কিছুই নেই। কিন্তু রাত্রি ভাবে সবই তার!
মোঃ মজিবর রহমান
শুধু রাত্রী ওহ! জস্বনাময়ী রাত্রি দেয় চক চকে একখণ্ড চাদনী চক মন হয়ে ওঠে আনচান, চায় আর আর মান ভাঙ্গিতে আর চায়। কবি ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
রাত্রির কাছ থেকে সাবধান হতেই হবে, ভাবছি।
আবু খায়ের আনিছ
প্রশ্ন করলেন ঠিক আছে, উত্তর কি পেয়েছেন তার কাছে?
ছাইরাছ হেলাল
নাহ, উত্তর পাইনি, পেলে সবাইকে জানিয়ে দেব।
আবু খায়ের আনিছ
প্রতিক্ষায় থাকিব?
ছাইরাছ হেলাল
সব প্রতীক্ষা কিন্তু মজাদার না, তাই ও পথে না থাকাই ভাল।
শুন্য শুন্যালয়
লেখা কিন্তু শুধু নিজের জন্যেই হয়। জানেন কী?
হারিয়ে যাওয়া স্মৃতি, কোনদিন পড়বেও না শ্বেতাঙ্গ প্রেমিকা, ঝুল বারান্দায় ঝুলে থাকা দড়ি, কোন এক রাত্রি, জাহাজ সন্ধ্যা এসব নিজের ছাড়া আর কারোরই হতে পারেনা, হবেও না। হয়তো আপনার নিজেরই ভুল, রাত্রি চলছে রাত্রির মতো। কখনো বেজায় গম্ভীর, কখনো আনন্দের হাহাকার, খুনসুটি নিদারুন ফরমালিন বিহীন বন্ধুত্বে। অথচ আপনি ভেবে বসেছেন সেসব রাত্রির নিজের করে ভাবা! ভুল আপনারই। অই যে মুহুর্মুহু ভাঙা হৃদপিণ্ড-পাঁজর এর মতো করে এ ভুলও আপনারই, আর কারোরই নয়।
এতো এতো নাম! সেও বুঝি আপনারই? 🙂
ভয়ে ভয়ে বলছি, প্রিয়তে নিতে পারি?
ছাইরাছ হেলাল
তাইতো দেখছি, কী না কী ভাবি! সবই ভুল! রাত্রি দেখছি সত্যি সত্যি কাকরাত্রি!
নিজেকে ছাড়া কিছুই বোঝে না, জানেও না,
কোজাগরী পূর্ণিমা সে সত্যিই দেখেনি, দেখবেও না। পাতালপুরিতে বসে নিজের হাত-পা খেতে থাকুক।
এত্ত নাম হতেই পারে, হবে না ই বা কেন!
আমিও ভয়ে ভয়ে বলছি, প্রিয়তে নেয়ার বাটন আছে নাকি!
অয়োময় অবান্তর
এই রাত্রি,
যা লিখি, যা কিছু লিখি, যা লিখতে
চাই, যা লিখব,
ভাবো, সবই তোমার?
এত সুন্দর লেখেন কিভাবে?? আমারও লেখক হতে মন চায়। টিপস চাই।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো কিছু হতে চাই না, তবে টিপস আমারও খুব দরকার।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
বিজ্ঞ ব্লগারদের মন্তব্যসহ পড়লাম। ভাল লেগেছে। -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক ধন্যবাদ পড়ার জন্য,