বড়শিতে জোছনা লাগিয়ে উঁকি দিচ্ছে আদুল চাঁদ, মেঘ পুকুরে ধরবে তারা।
আবদার তার শীতল রামধনু আসনের, মুঠো ভর্তি সময়; চিবিয়ে যাবে ইচ্ছে মতন।
এক কুড়ি দুই, তারা ভর্তি কোঁচড় সূর্য ছুঁই ছুঁই; এই বুঝি উঁকি দিবে
ছটফটিয়ে লজ্জা পেয়ে মেঘ হাসলো, আদুল গায়ে সূর্যের আলেয়ান জড়ানো।
সেই যে ডুব দিলো সূর্যের পিছে, দিনান্তেও দেখা নেই আর।
মেঘবালিকার কান্না রোজ, তারা শিকারী খোঁজে;
ঐ দূর নিচে মৃত্তিকা, আদমের মেহনে মত্ত।
( শুন্যাপু, আকাশপানে লেখাটির Prologue বলতে পারো এই একলব্যকে)
উৎসর্গঃ শূন্যালয়ের শুন্যাপুকে
৩৪টি মন্তব্য
ফ্রাঙ্কেনেস্টাইন
ভালো হইছে (y)
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা ফ্রাঙ্কো ভাই। -{@
জিসান শা ইকরাম
আদুল শব্দটা অনেক দিন পরে পড়লাম।
মেঘ পুকুরে তারা থাকে নাকি ? 🙂
ভোরের শিশির
নীল আকাশ হচ্ছে মেঘের পুকুর আর ওখানে দেখা যায় তারা 😀
আমি অমন অনেক শব্দই ভুলে গিয়েছি, মাঝে মাঝে হেলাল ভাইয়া ব্যবহার করেন অনেক শব্দ যা মনে করিয়ে দেয় আমাদের বাংলা শব্দের ভান্ডার কতোটা সমৃদ্ধশালী।
শুভেচ্ছা জিসান ভাইয়া। :p -{@
জিসান শা ইকরাম
আমাদের শব্দ ভান্ডার আসলেই অনেক সমৃদ্ধ
শুভ কামনা -{@
ভোরের শিশির
শব্দগুলো আজকাল আর কেউ তেমন আনেন না কথায়, হেলাল ভাইয়াকে অনুরোধ করেছি শব্দগুলো ফিরিয়ে আনতে।
শুভেচ্ছা আবারো জিসান ভাইয়া। 😀 -{@
অরুনি মায়া
যদিও কবিতা বুঝিনি তবে মনে হচ্ছে ভাল হয়েছে , আপনার লেখা সব সময় ভাল হয় |
ভোরের শিশির
এটা যদিও ‘আকাশপানে’ লেখাটির বেশ আগের লেখা এবং ‘আকাশপানে লিখতে গিয়ে এই ‘একলব্যের কথা মনেই পড়েনি, তবে গতকাল পুরনোগুলো দেখতে গিয়ে বুঝি মনের কোথাও হয়তো রয়ে গিয়েছিলো একলব্য।
কিছুটা বুঝতে পারবেন ‘আকাশপানে’ পড়লেই। লিঙ্ক পোস্টেই দেওয়া আছে।
মূলত একজন মেহনতী শ্রমিক মানুষের কথা বলা হয়েছে যার কবিমন আছে, রোজ সে আকাশে উঁকি দেওয়া মেঘ, তারা দেখে নিজের কল্পরাজ্য বুনে যায় আর দিনের আলোতে শ্রমে।
ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা পোস্টে উপস্থিতির জন্য। -{@
ছাইরাছ হেলাল
বুঝিয়ে দিলে ভাল হয়।
ভোরের শিশির
একজন মানুষ বা একাধিক মানুষ মাটির সাথে মেহনে মত্ত থাকে ফসল ফলাতে। সেই মানুষটি দিনের আলোতে আকাশের দিকে তাকিয়ে একরকম ভাবে আবার সন্ধ্যা-রাতে অন্যভাবে। আমি সেই মানুষটির কথা বলতে চেয়েছি উর্ধ্বালোক হতে চেয়ে যার আছে কবিমন আবার কর্ষনের শক্তি।
Eagle Eye হয়ে ভাবলাম আর কি :p
ছাইরাছ হেলাল
উর্বর মানুষের কথা বলছেন, যে চোখ স্বপ্ন দেখে দেখায়!!
ভোরের শিশির
আপনি বরাবরই আমার চাইতে অনেক কাঠি সরেস হেলাল ভাইয়া। আমার এতো কথা দুই শব্দে এঁকে দিলেন ‘উর্বর মানুষ’! এইজন্যেই শুন্যাপু আপনাকে কবি বলেন 😀
আপনার রুপকথা পড়া হচ্ছে না অনেক দিন… ;?
ছাইরাছ হেলাল
উরে বাব্বা, সে তো নামি মানুষ,
তাঁর কাছেই তো শিখি।
রূপকথা এসে পড়তে কতক্ষণ!
ভোরের শিশির
নামী মানুষের গুণী সঙ্গ হচ্ছেন আপনি। তাই তো পারেন… 😀
আপনার কতো কি দেওয়া বাকি আছে হিসেব আছে? রূপকথা, ম্যানিলা ভ্রমণ, শিশির কণার বিবাহ ভ্রমণ সহ আরো কতো!!!
সব একে একে প্রতিদিন দেওয়া শুরু করেন… অনেক জমিয়েছেন :@
দীপংকর চন্দ
//এক কুড়ি দুই, তারা ভর্তি কোঁচড় সূর্য ছুঁই ছুঁই;//
অনেক ভালো লিখেছেন তো!
প্রতিমন্তব্যগুলোও আকর্ষণীয়!
আমার শুভকামনা জানবেন। অনিঃশেষ।
অনেক ভালো থাকবেন। সবসময়।
ভোরের শিশির
আনন্দিত হলাম দাদা।
আপনার সেই কবিতাটি পড়ার পর একলব্য মনে গেঁথে ছিল, নিজের পুরনো নোট খুঁজতে গিয়ে দেখি ২০১৪ সালের শেষ দিনে লিখে রেখেছিলাম এই শিরোনামে। খুলে দেখি ২০১৫ সালে লিখে রাখা আরো একটি পূর্ব রূপ/সূত্রধর এই একলব্যটি।
প্রতিমন্তব্য পড়েছেন জেনে খুশী হলাম।
আপনিও সব সময় ভালো থাকবেন এবং শুভেচ্ছা। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক আগে কোথায় জানি পড়েছিলাম একলব্যেরা কেবলই পরাজিত হয়। কারণ তাঁদের মনে কোনো কূট-কৌশল থাকেনা।
অনেক কঠিন লেখা, বোঝানোর পরেও বুঝতে পেরেছি অল্পই।
কিন্তু যেটুকু বুঝেছি ভালো লেগেছে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
কিন্তু নীতেশদা এভাবে কঠিন লেখা দিলে মাথা তো আউলাইয়া যাবে। ^:^
ভোরের শিশির
আমি নিজেই নিজের লেখা বুঝিনা।
শুভেচ্ছা দিদি। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
ভালো থাকুন -{@
ভোরের শিশির
শুভেচ্ছা আবারো -{@
আবু খায়ের আনিছ
ওরে বাবা! একে বাড়ে বড়শিতে ঝুলিয়ে দিলেন জোছনাকে?
ভালো লেগেছে, লেখা দেখছি, পড়ছি। ভালো লাগছে, লিখতে থাকুন অবিরাম।
শুভেচ্ছা নিবেন।
ভোরের শিশির
শুভেচ্ছা নিলাম লেখক সাহেব এবং শুভেচ্ছা দিলাম। ধন্যবাদ। -{@
ব্লগার সজীব
ছাইরাছ ভাইয়ের মন্তব্য এবং জবাব পড়ে বুঝলাম কবিতা।নতুবা এই কবিতা আমার মাথা শুধু নয়,মেঘের উপর দিয়েই যেতো 🙂
ভোরের শিশির
:D)
সজু বাইয়া :D)
তবে হেলাল ভাইয়া আমার দুই কবিতাকেই দুই শব্দে বর্ণনা করে দিলেন ‘উর্বর মানুষ’ নিয়ে বলা হয়েছে 😀
শুন্য শুন্যালয়
রাত্রিকালীন স্বপ্নে মত্তে মেহনতি মানুষের চাঁদ ডুবে গেলে আর দেখা মেলা ভার।
এক একটা তারা গুনে গুনে কোঁচর ভর্তি করছে, এক কুড়ি দুই। উহ্ তুই এমন করে লিখিস কেন? এ আমার পেতে ইচ্ছে করে আমারই দুনিয়ায়। জেগে জেগে কিংবা ঘুমের মধ্যে।
মুঠো ভর্তি সময় যদি ইচ্ছে মতন চিবিয়ে খাওয়া সত্যিই যেতো, মিলতো যদি রাংধনূ আসন!!
তবে এই সকালেই ছুটতাম সূর্য্যের আয়নাপানির পুকুরে।
বাস্তবতার শেষ লাইনটা না আনলেই চলতো না !! 🙁
অদ্ভূত অদ্ভূত দাদাভাই। এতো সুন্দর উপহারে মাথা কিঞ্চিত আউলানো। আসবো পরে আবার। -{@
ভোরের শিশির
তোমাকে কিছু দিতেই তো মাথা আউলে যায় আমার 😀
যেমন করে বলেছো তেমন করে সবাই পায়, খেয়াল করে না অথবা সেই মন নেই… আমি শুন্যালয়ের সব আলোর খেলা আর প্রকৃতিকে খুব অনুভব করি তাই এমন করেই লিখি (3
আর শেষ লাইন? এটাই তো এই পৃথিবীর সত্য, এ না হলে শুধু আকাশপানে তাকিয়ে ওসব দেখবে কি করে!
কত্তোদিন পরে তোমাকে পেলাম শুন্যাপু!!!! -{@
শুন্য শুন্যালয়
চাঁদ, সূর্য্য, মেঘ, জোছনা–শব্দগুলো সবই তো শুনেছি বলে মনে হচ্ছে কিন্তু এইভাবে কস্মিনকালেও শুনিনি। যার মাথায় এমন করে আসে তার মাথা এমনিতেই আউলানো, নতুন কিছুনা।
আমি বরশিতে চাঁদটাকেই ঝুলিয়ে দিয়েছি, সেই যে খেয়ে গেলো হা হা করা হাসি, এরপর থেকেই তার চাঁদের হাসির বাঁধ ভেঙ্গে গেলো। সময় যখন কুড়মুড়িয়ে চিবুচ্ছি, তখন পাশ থেকে জল বলে উঠলো কি খাও? তার কথাতে গলায় বেঁধে গেলো, চুমুকেই এক ঢোঁক জল খেয়ে নিলাম। সেই থেকে সময় আর জল–এই দুইয়ে আমার বড়ই টানাটানি।
যাই ফুটি, এরপর আমার মাথা আরো বিগড়াবে। এরকম লেখা মস্তিস্কের জন্য ভয়াবহ। এরকম লেখকও ভয়াবহ।
দাদা মিস করি তোকে, আমায় কিছু সময় দিতে পারিস? 🙁
ভোরের শিশির
শুন্যাপু!
তুমি আরো অদ্ভুত সহজ করে বলেছো!!! এইজন্যেই তোমার নাম শুন্য শুন্যালয় 😀
এই চাঁদ, সূর্য, তারা, মেঘ, জোছনা নিয়ে আমার এলোমেলো অদ্ভুত ভাবনা কাজ করে কিন্তু শব্দে আনতে পারি না ঠিকঠাক 🙁
আমি তোমাকে তোমার চাইতে বেশী মিস করি শুন্যাপু :'(
তোমার সাথে যোগাযোগের পথ চাইলাম একবার, জানালে না আজও :'( :'(
শুন্য শুন্যালয়
এইযে একলব্য, শুভ নরবর্ষ ২০১৬। বছরের প্রথম দিনে, ছিপ দিয়ে ভালো করে ধরা চাই। এইবার একটা একটা করে স্মৃতি আর ছায়া ধরবি। পোস্ট না দিলে দেখিস তোরে।
ভালো থাকিস গাব্দু দাদাভাই। হ্যাপ্পপ্পপ্পপ্পি নিউ ইয়ার। 🙂 -{@
ভোরের শিশির
দেখসো কান্ড!!!
তুমি আজকে আসবে ভেবে রাত প্রহরী হলাম, হলাম ভোর প্রহরী। আর উনি এলেন দুপুর পলাতক হয়ে ^:^
শুভ নববর্ষ ২০১৬ শুন্যাপু 😀 😀
পোস্ট দেওয়ার মতো কোন কিছুই আসে না। জোর করে পারি না… দেইখা নিলে খুশী হমু :p
তুমিও ভাল থেকো গোলগাপ্পা হেডমাস্টার শুন্যাপু 😀 হ্যাপ্পী নিউ ইয়ার ২০১৬ এগেইন টু ইউ টু এন্ড অল -{@
মৌনতা রিতু
সব শব্দ বুঝতো বাংল অভিধান বের করতে হয়েছে।এই শব্দগুলো আসা উচিৎ ফিরে,এই ভাবে।
ভোরের শিশির
আমি নিজেও স্মৃতিচারণ করে এইসব শব্দ বের করার চেষ্টা করেছি। আজকাল এইসব শব্দ আর তেমন কেউ ব্যবহার করেন না, তবে আমাদের ছাইরাছ হেলাল ভাইয়া মাঝে মাঝে খুব সুন্দর করে আরো অনেক শব্দ নিয়ে আসেন যা পড়লেই আনন্দ লাগে।
ধন্যবাদ আপনাকে এবং শুভেচ্ছা সোনেলাতে 😀 -{@
সাঞ্জনা চৌধুরী জুঁথী
আহা! আহা! কি মিষ্টি…. মধু মধু 🙂
ভোরের শিশির
ধন্যবাদ পোস্টে থাকার জন্য। 😀