কোরবানীর হাঁটে যাইবার প্রকৃত সার্থকতা নিহিত গরুর পশ্চাৎদেশে থাবড়া বসাইয়া আন্দাজ করা ইহা কোন ক্যাটাগরির তাহা নির্নয়ের মধ্যে। 😀
-স্মার্ট গরু :
গরুর পশ্চাৎদেশে প্রতি থাবড়ায় নতুন অভিজ্ঞতা হইবে। কিছু গরু আছে ইস্মার্ট। লাথি দিবে না, লেইঞ্জা দিয়া তোমারে পুনরায় থাবড়া বসাইয়া দিবে। এক্ষেত্রে নিউটন চাচারে গভীরভাবে মনে পড়িয়া যাবে। ইকুয়্যাল অ্যাকশন এবং রিঅ্যাকশন বুঝি ইহাকেই বলে!!
-ক্ষ্যাত গরু :
কিছু গরু আছে মহা ক্ষ্যাত। এদের পায়ের গোড়া হইতে লেইঞ্জা বড়ই নোংরা থাকে। এরা আদরের থাবড়া হৈতে বাঁচে। কিন্তু দেখা যায় এরাই শক্তিশালী গরু। এবং ভিতরে সব তাজা।
-পন্ডিত গরু :
পন্ডিত গরু বলিয়াও এক প্রকার গরু আছে। এরা পন্ডিতের মতো চতুর্দিকে তাকাইতে থাকে। কোন দুষ্টু বালক পুটুতে থাবড়া মারিলো কিনা তাহা লক্ষ্য রাখে এদের শিং খাড়া থাকে। সবাই এদের থাবড়া বসাইতে সাহস পায় না। দুস্টু বালকগন থাবড়া বসাইয়া দৌড় মারে। ফলাফল অন্য গরুর গোবরে পা ডুবাইয়া ধন্য হয়।
-মূর্খ গরু:
মুর্খ গরুর কথা সকলেরই জানার কথা। এরা যেখানে যায় সেখানেই জাবর কাটে। এতো সুন্দর ক্যামেরা, রং বিরঙ্গের মানুষ। কিছুই এদের নজরে পড়ে না। এরা খালি খাইতে শিখছে। খাইতে খাইতেই এরা শহীদ হয়।
-অলস গরু :
অলস গরু বলিয়া এক শ্রেণী আছে। আর অলস মানুষ বলিয়াও এক শ্রেণী আছে। যেখানে রাইত সেখানেই কাইত। এরা আপনাকে লাথি দিবে না, গুতা দিবে না, লেজ দিয়া বাড়িও দিবে না। এদের মনে অনেক টেনশন! হয়তো প্রেমের! হয়তো পরকালের! হু নোজ!!
-জিরো ফিগার গরু :
চিকনআলী! চিকনা বলিলে আসলে খারাপ দেখায়! বলা উচিৎ জিরো ফিগার গরু। এরা দুর্ভিক্ষের বছর জন্মাইছে কিনা সন্দেহ হয়। এক থাবড়া খাইলে তিন লাফ দিয়া উঠে। এদের কে বাচ্চাপোলাপাইন সেই খোঁচাতে থাকে। যেন দুলাভাই শালা সম্পর্ক।
-হ্যান্ডসাম গরু :
হ্যান্ডসাম গরুই হইলো গো হাঁটের বিষয়। সকলের নজর তাদের দিকেই থাকে। এরা দেখতে লম্বা, চওড়া, যেন শিং এ সিংহ মশাই! লেজ নাড়ানিতে বাঘ মামা! কাছে ধারে কেউ ঘেসে না। দূর থেকেই ছবি তুলে হোয়াটস অ্যাপ চলে। ফোনে চাচা চাচিরে বলে আমি পাইলাম! আমি উহারে পাইলাম
-ঘাড় ত্যাড়া গরু :
ডাকাত গরু কিংবা ঘাড় ত্যাড়া গরু দুটাই বলা যায়। এরা তিন চার বার ছুটবেই। কেউ দাম কম কইছে, কেউ জোরে থাবড়া দিছে, চামে সখিনা গাভী দেখছে। কাম সারছে। তাহারে শান্ত করা বড়ই কঠিন কম্ম
২৪টি মন্তব্য
লীলাবতী
:D) এত্ত প্রকার গরু আছে! মজা লাগলো ভাইয়া। অলস গরুর মনের টেনশন আবিস্কার করা কি সম্ভবই না?
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
😀
মজা পাইছেন জেনে ভালো লাগলো। জগতে কোন কিছুই অসম্ভব না। তবে কিভাবে সম্ভব সেটা খুঁজে বের করাই আসল কথা।
নীলাঞ্জনা নীলা
মজা পেলাম। গরুর রচনায় আপনি তো ২০-এ ২০ পাবার কথা। 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
তখনও পাইতাম এখন পাই 😀
হে হে হে :D) ধন্যবাদ।
নীলাঞ্জনা নীলা
😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনি দেখছি এ বিষয়েও বিশেষজ্ঞ,
গভীরতর পর্যবেক্ষণ দেখতে পাচ্ছি।
আপনার পছন্দের গরুর বিষয়টি কিন্তু আমাদের জানান দেননি।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
আসলে বহুত দিনের পর্যবেক্ষন।
আর আমার পছন্দের হইলো অলস গরু। গুতাগুতি নাই, লেজের বাড়ি নাই, অহংকার নাই। আহ্! আই জাস্ট লাভ অলস।
ইঞ্জা
😮 😮 ^:^ :D) :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
🙂 😀 :D) 🙁 ;( :p :@ :@ :c :v ^:^ := -:- 😮 (-3 (3 -{@ \|/
গাজী বুরহান
অঅনেকদিন পর গরুর রচনা।
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হুহ!!
এটা সৃজনশীল।
মিষ্টি জিন
ইস রে এবার কেন যে কোরবানিতে ঢাকায় থাকলাম না ^:^
আপনার এই পোষ্ট ভালই কাজে লাগতো। :p
আমার তিনি ২ বার গরু কিনেছেন এবং দুইবারই ঘার ত্যারা গরু আনছেন। :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
কুনু সমেস্যা নেই।
আবার যখন দেশে আসবেন তখন আমাকে জানাইবেন। সোনাইলে ফ্রেমে বাঁধাই করাইয়া আপনার ঠিকানায় প্রেরণ করিয়া দিবো।
আর আমার পরামর্শ হইলো অলস গরু।
মিষ্টি জিন
ভাইরে কেমনে কি কই ? রতনে রতন চিনে :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
সুনাম করলেন নাকি বদনাম করলেন বুঝি নাই। ;?
যাইহোক, ধন্যবাদ।
মিষ্টি জিন
সুনাম করছি ভাই,
আপনাকেও ধন্যবাদ।
লীলাবতী
গরুর এত রকমফের আছে! আমি তো তব্দা খেয়ে খেলাম। এত মজার মজার আইডিয়া আসে কিভাবে ভাইয়া? -{@ :D)
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
তা তো আছেই।
বহুত দিনের পর্যবেক্ষন বলে কথা
আইডিয়া চলে আসে কিভাবে তা তো জানি না।
লীলাবতী
আইডিয়া নিচ্ছি আপনার কাছ থেকে ভাইয়া 🙂
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
নিন নিন
কুনু সমেস্যা নেই।
যত লাগে তত নেইন।
সকাল স্বপ্ন
মজার তো এক গরু সংক্রান্ত—– আইডিয়ার খবর—–
ভালো লাগার—-
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
ধন্যবাদ সকাল স্বপ্ন ভাই।
সকাল বেলার স্বপ্ন নাকি ভালো না। অত্যান্ত অলস যারা তারাই নাকি সকালে স্বপ্ন দেখে।
মৌনতা রিতু
এতো চমৎকার এক গরুর রচনা !
এতো সুন্দর করে পর্যবেক্ষন করেছেন, খুবই ভাল পড়াশুনা হইছে।
থাবড় দিয়েন বুইজা শুইনা, ল্যাজ দিয়ে উল্টা দিলেও কিন্তু সমস্যা আছে।
মজার পোষ্ট। 😀
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
হে হে :D)
হে হে হে। ঐটা নিয়ে টেনশন করতে হবে না, বান্দা চালাক চতুর হে।
অনেক ধন্যবাদ।