একজন অসহায় মেয়ের গল্প ।

সঞ্জয় কুমার ২৬ আগস্ট ২০১৪, মঙ্গলবার, ০৪:০৭:৩২অপরাহ্ন বিবিধ ৪ মন্তব্য

একজন অসহায় মেয়ের গল্প ।

গল্পের সুবিধার জন্য তার নাম ধরে নিলাম ফুলি ।

ফুলি মেয়েটা ফুলের মতই সুন্দরী । বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই তার ভিতরটা কতটা রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ।

প্রথম থেকেই শুরু করি ।
ফুলির বয়স যখন তের কি চৌদ্দ ঐ সময় ওর বিয়ে হয় । বর কনে দুজনের বয়সই কম । ওর স্বামী ওর সমবয়সী । বাল্যবিবাহ , গ্রাম অঞ্চলে যেটা বেশী দেখা যায় ।

এত কম বয়সী দু জনেই শারীরিক সম্পর্কের ব্যাপারে আনাড়ী। ওদের মধ্যে কোন শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়নি । কিন্তু বিয়ের দুই বছর ঘুরতে না ঘুরতেই ফুলি অন্তসত্তা!!!

তাহলে??

শ্বশুরের কু দৃষ্টি পড়েছিল ফুলির উপর । কিশোরী পুত্র বধুকে প্রায়ই সে ভয় দেখিয়ে তার বিকৃত কামনা পুরণ করত ।

অতপর শ্বশুর বাড়ি এবং বাপের বাড়ি থেকে নির্বাসিত হল ফুলি ।

মিথ্যা কলংকের বোঝা নিয়ে চলে আসল ঢাকাতে ।

তখন সে চারমাসের অন্তসত্তা । একদিকে পেটের ক্ষুধা আর একদিকে পেটের পাপের বোঝা ।

ঢাকায় এসে একটা ছেলের সাথে তার চুক্তি হল । সে নিজ খরচে ফুলির এবরোশন করাবে । কিন্তু শর্ত একটাই তাঁর সাথে একমাস স্বামী স্ত্রীর মত থাকতে হবে । অসহায় ফুলি তাতেই রাজি হয় ।

একমাস পর সে নেমে পড়ে জীবন যুদ্ধে । একটা গার্মেন্টসে চাকুরী নেয় । বেতন কম হলেও খাওয়া পরা চলে যায় কোন মতে ।

সুন্দর ফুলে ভ্রমরের অভাব হয় না । গার্মেন্টসের একটা ছেলের সাথে প্রেম হয় ফুলির বিয়েও হয় । কিন্তু জনম দুঃখিনির কপালে সুখ সহ্য হল না ।

বিয়ের কয়েক মাস পরে ওর স্বামী জানতে পারে ফুলির জীবনের অন্ধকার দিন গুলোর কথা ।
দেহের চাহিদা মিটে গেছে এখন সমাজ রক্ষা করতে ফুলির স্বামী ওকে তালাক দেয় ।

এখন ফুলি কেমন আছে ?

জানিনা । আগে আমি যে ফ্যাক্টারি তৈরি করছি ওটার হেড অফিসে চাকুরী করত এখন করেনা ।

নিষ্পাপ চেহারার মেয়েটি কে দেখলে যে কারও মায়া লাগবে ।

আমি এমন কোন মেয়েকেই ভালবাসতে চাই যার ভালবাসার খুব প্রয়োজন ।

ওর শারীরিক ভার্জিনিটি হয়ত নেই । । কিন্তু আমি হলফ করে বলতে পারি ওর মনটা এখনো ভার্জিন । দেহের আড়ালে যে মনটা ঢাকা পড়ে গিয়েছে । কেউ কখনো তাঁর কোন খোঁজ রাখেনি ।

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ