উন্নয়ণের জোয়ারে দেশ ভাসছে তবুও শুষ্ক রাস্তায় ড্রেনেজ এর অব্যাবস্থাপনায় জলে ভাসে নৌকা।সরকারী বেসরকারী (গার্মেন্টস) বেতন ভাতার দফায় দফায় বৃদ্ধিতে অন্য সব নিন্ম,নিন্ম মধ্যবিত্তদের মাথায় বাজঁ।গৃহ কর্তার সংসার সচল রাখতে হিমসিম খেতে হয় প্রতিনিয়ত।বাজার দরে ছিলো না কোন সরকারী মনিটরিনং বা কন্ট্রোলিং ক্ষমতা।যে দেশের রাজনিতীবদদের মাঝে নব্বই ভাগ ব্যাবসায়ী তাদের দ্বারা বাজার দর কন্ট্রোল আশা করা আর উলু বনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা।যে কোন একটি দেশে দীর্ঘ দশটি বছর কোন রাজনিতী দল ক্ষমতায় থাকলে তার উন্নয়ণ চোখে পড়ারই কথা।আমরা যা আশা করেছিলাম উন্নয়ণের পরিধি তার চেয়ে কম করেননি বর্তমান সরকার।তাছাড়া পরবর্তী ক্ষমতায় এলে এ সরকার আরো কি কি উন্নয়ণ কাজ করবেন তার ফিতাও কেটে রেখেছেন।বিশ্বের গৌরবময় পুরষ্কার চ্যাম্পিয়ন অফ দা আর্থ নিজের দেশে এ সরকার এনেছেন।

রাজনৈতিক সচেতন এ সরকারের উন্নয়ণের কর্ম প্রণালীগুলো দেখলে বাহবা দিবেন তাতে কোন সন্দেহ নেই।হয়তো এ সরকার আবারো ক্ষমতায় এলে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকলে দেশে আরো উন্নয়ণ ঘটবে কিন্তু সু-শাসন!সু-শাসনের কি কোন উন্নয়ণের ছোয়া লেগেছে?আমরা যেই গণতন্ত্রের জন্য এতোটা কাল যুদ্ধ করে স্বৈরাচার হটিয়ে এনেছিলাম সেই গণতন্ত্রের স্বাদ কি পেয়েছি?বিচ্ছিন্ন কিছু সাফল্য ছাড়া এ সরকার পুরোই ব্যার্থ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে,নিরাপত্তা দিতে দেশের অর্থনৈতিক,শিক্ষা , ও দেশের সু-রক্ষা খাতগুলোকে।কিছু নেতা-কর্মীর অপকর্ম, প্রশ্ন পত্র ফাঁস, নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পারা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়গুলো ছিল অন্যতম৷এছাড়াও দেশের ভেতর স্থিতিশীলতা বজায় রাখাতে সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল জঙ্গিবাদ৷একের পর এক ব্লগার ও মুক্তমনাদের হত্যার পর যখন ২০১৬ সালের ১ জুলাই হোলি আর্টিজানের ঘটনা ঘটে, তখন সেটি অনেক বড় সংকট ছিল সরকারের কাছে৷ এই হত্যাকাণ্ডে প্রাণ হারান ১৭ জন বিদেশি ও তিনজন বাংলাদেশি৷ এছাড়া জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান দুই পুলিশ সদস্য৷পরে হামলাকারী ছয়জনও নিহত হন৷কিন্তু বিচারের বাণী এখনো অন্ধকারে।

জনতার সেবক নামক পুলিশ সদশ্য বরাবর এ দেশের আমজনতার ঘৃণার পাত্র।কারন তারা নিজেরাই।গুটি কয়েকজন ভাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা আর বেতন ভাতা বাড়ীয়ে দিলেই দেশে সু-শাসন বয়ে আসবে না।এর জন্য প্রয়োজন জবাব দিহিতা যা হয় না বললেই চলে।এমনিতেইতো আহলাদের বাটি তার উপর তেনা পেচানী।এ সরকার ৫৭ ধারা আইনটি পাশ করে যেন তাদের মুখে সোনার চাঁমচ দিয়ে দিলেন।যে কেউ যখন তখন যাকে তাকে গ্রেফতারের এমন আইন গণতন্ত্রের সঙ্গে সাংঘর্ষীক ছিল।যা পরবর্তীতে শীতল করা হয় তবে মানুষের মনে ক্ষোভটা এখনো আছে।আবার এ সেক্টরে দেশের কেউ ভাল করতে গিয়েই ফেসে গেছেন জীবন মরন প্রশ্নে।রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্রের স্বীকার এসপি বাবুল আক্তার তারই প্রমান।তাকে তার দেশপ্রেমকে দমাতে বলি দিয়ে হয়েছে তার স্ত্রী মিতুকে।

এ দেশের জনগণ মানুষের অধিকার নিয়ে দীর্ঘকাল আন্দোলন করে আসছিলেন।যে কারো ইন্দনে হউক কোটাবিরোধী আন্দোলন হয়েছিলৈ যা সরকার কঠোর হস্তে দমন করেন। এর পর জাতির বয়োজেষ্ঠদের ঘুমিয়ে রেখেই "নিরাপদ সড়ক চাই"আন্দোলনে নামে কিশোর তরুণরা সরকারের এদের উপরও ক্ষুব্ধ হলেন৷ এই ক্ষোভ সামলাতে সরকার বল প্রয়োগ করলেন ছোট ছোট কোমলমতী স্কুল কলেজের ছাত্রদের উপর৷ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী ছাত্র ও যুব সংগঠনের বিরুদ্ধেও এই তরুণদের উপর দমন পীড়নের অভিযোগ উঠে৷এ সব নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের ওপর কেন হামলা করা হয়েছে যারা আমাদের বড়দের ব্যার্থতাকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল,তার জবাবও পরিষ্কার হয়নি৷সরকার এ সব আন্দোলন দমালেও এর অসন্তোষ মানুষের মনে রয়েই গেছে।অন্তত দীর্ঘমেয়াদে তাদের এ সমস্যাগুলোর মূলে গিয়ে সমস্যার সমাধান করতে হবে এমন কিছু নমুনা দেখানো প্রয়োজন ছিল৷অবশ্য এরই মধ্যে নির্বাচন এসে গেল।তাছাড়াও এ সব দীর্ঘকালের অব্যাবস্থাপনাগুলো ব্যাবস্থাপনায় আনতে একটু সময় সরকারকেতো দিতেই হবে।
অন্তত গত এ পাঁচ বছরে ব্যাংক খাতে চরম বেহাল অবস্থা দেখা গেছে।রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে লুটপাটের যে চিত্র দেখা গেছে ভয়াবহ৷কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিয়ন্ত্রক হিসেবে কতটা ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন সহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা রীতিমত বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছিল৷আর রিজার্ভ ফেরত আনার বিষয়টি এখনো তেমন কোন অগ্রগতি নেই।হয়তো এ সরকার আবারো ক্ষমতায় এলে এর সমাধানে যাবেন৷

আমাদের জনগণের মাঝে একটি ধারনা ছিলো বিএনপি সরকারে যেহেতু অধিকাংশ সাংসদ মুসলিমপন্থি সে হিসাবে বিএনপির আমলের চেয়ে এ আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে একটু কমই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর হামলা হবে কেননা আওয়ামীলীগ সংখ্যালঘু বান্ধব।কিন্তু না ঠিক কম নয় আবার একেবারে বেশীও নয়।যদি আমরা ভারত মায়ানমার চীন সহ অন্যান্য রাষ্ট্রের অত্যাচারিত সংখ্যালগুদের  উপর নজর দেই তা স্পষ্টতঃ অনুমেয় হবে।তবে অত্যান্ত সফললতার সাথেই এ সরকার এ সব সংখ্যা লঘুদের উপর হামলার মোকাবেলা করেন।

আমি ঘর থেকে বের হলাম কোন এক কাজে।কখন পৌছবো আর ফিরে আসবো তার কোন ভরসা নেই।তদৎরূপ বর্তমান মহাজোট আওয়ামী লীগের সরকার এর অন্যতম প্রধান নির্বাচনী অঙ্গীকার ছিল সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা।দলটির নির্বাচনী ইশতেহারের ৫ নম্বর অনুচ্ছেদে সাতটি প্রতিশ্রুতি ছিল।তার কয়েকটি প্রতিশ্রুির চলমান ছাড়া একটি প্রতিশ্রুতিও সরকার পরিপূর্ণ রূপে বাস্তবায়ন করতে পারেনি।বিশেষ করে যেসব প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নে সমাজে স্বস্তি আনতে পারে,সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের আন্তরিকতা সম্পর্কে জনমনে তৈরি করতে পারে আস্থা,সেসব রয়ে গেছে প্রতিশ্রুতি হিসেবেই।ফলে সামগ্রিক ভাবে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের ব্যর্থতার পাল্লাই ভারী হয়েছে।দৈনিক দৈনিক পত্রিকাগুলোর তথ্যমতে,,,
সু-শাসন প্রতিষ্ঠা করা বলতে আমরা যা বুঝি- দলীয় করণমুক্ত অরাজনৈতিক গণমুখী প্রশাসন।ইশতেহারের ৫.৬ উপ-অনুচ্ছেদে এমনই একটি প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি কথা বলা আছে-যোগ্যতা,জ্যেষ্ঠতা ও মেধার ভিত্তিতে প্রশাসনে সব নিয়োগ ও পদোন্নতি নিশ্চিত করা হবে।কিন্তু বর্তমান সরকারের শাসনামলে যতগুলো নিয়োগ-পদোন্নতি হয়েছে,বিশেষ করে পদোন্নতি গুলো সম্পর্কে অতীতের মতোই দলীয়করণের অভিযোগ আছে।তবে এটাও ঠিক জাতে বাঙ্গালী আমরা যখন কোন ক্ষমতা পেয়ে যাই তখন সেই ক্ষমতার অপব্যাবহার করতেও দ্বিধাবোধ করি না।তাই হয়তো এ দেশে ক্ষমতার পালা বদলে এমন প্রক্রিয়াই চালু আছে বা থাকবে।
উপ-অনুচ্ছেদে প্রশাসনিক সংস্কার,তথ্য অধিকার প্রতিষ্ঠা,ই-গভর্নেন্স চালু করা ও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।যদিও এর মধ্যে তথ্য অধিকার ও আংশিক ভাবে ই-গভর্নেন্স চালু করা হয়েছে। এ ছাড়া সরকারের মেয়াদের একেবারে শেষ দিকে এসে স্থায়ী বেতন কমিশন গঠনের কথা ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।কিন্তু এখনো কমিশন গঠন করা হয়ে উঠেনি।

রাজনৈতিক প্রভাব মুক্ত,আধুনিক ও যুগোপযোগী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৈরী করা।ইশতেহারের ৫.৭ উপ-অনুচ্ছেদে জন জীবনের নিরাপত্তা বিধানে এমন একটি বাহিনী গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো তাদের বেতন-ভাতা,আবাসন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল।কিন্তু বাস্তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে আগের মতোই সরকারের দলীয় প্রভাবের মধ্যে থেকে কাজ করতে হচ্ছে।তবে তাদের বেতন-ভাতা, পদমর্যাদা ও অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হয়েছে।আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জন্য আধুনিক সরঞ্জামাদিও কেনা হয়েছে।কিন্তু ব্যাবহার করা হচ্ছে সরকার দলীয় স্বার্থে।

ধারা ৫.১ এ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে সুশাসন প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ছিলো সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ শক্ত হাতে দমন ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করার এই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সরকারের যথেষ্ট সাফল্য আছে।সরকারের ক্ষমতাকালে দেশে বাংলা ভাই,শায়খ আবদুর রহমান ও জেএমবির মতো কোনো জঙ্গিগোষ্ঠী তৎপর ও তেমন কোন নাশকতা সৃষ্টি করতে পারেনি।
আওয়ামীলীগ সরকারের নিকট এ দেশ এ দেশের জনগণ দ্বিতীয়বারের মতন কৃতজ্ঞ থাকবে প্রথমতঃ দেশ স্বাধীনের জন্য বঙ্গবন্ধুর প্রতি আর স্বাধীন দেশে দীর্ঘ কাল পর একাত্তরের মানবতা বিরোধী অপরাধীদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় কারানো এবং বিচারের রায় কার্যকরের সাহসী ভুমিকার জন্য।

৫.২ ইশতেহারে উপ- অনুচ্ছেদে প্রতিশ্রুতি ছিল বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করা;
বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বন্ধ করা;
বঙ্গ বন্ধু হত্যার বিচারের রায় কার্যকর ও জেল খানায় চার নেতার হত্যা কাণ্ডের পুনর্বিচার সম্পন্ন করা
এর মধ্যে বিচার বিভাগের প্রকৃত স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা সম্পর্কে জন মনে প্রশ্ন আছে।ক্রসফায়ার বা বিচার বহিভূর্ত হত্যা কান্ড শেষ দিকে কিছুটা কম দেখা গেলেও  তবে ‘গুম’ সু-শাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের সদিচ্ছাকে ব্যাপকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।হয়রানি ও নিহত হয়েছেন অসংখ্য মাদব সেবী নামের নিরীহ জনতা রাজনৈতিক প্রতিহিংসায়।অথচ মাদক সম্রাটরা ধরা ছোয়ারঁ এখনো বাহিরে আছেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের রায় আংশিক কার্যকর হয়েছে। এই মামলার বিদেশে পলাতক আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে পারেনি সরকার। এমন কি অনেক বার ফিরিয়ে আনার নানা প্রক্রিয়ার কথা বলা হলেও এ ক্ষেত্রে কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখতে পাইনি।এ ছাড়া জেল হত্যার পুনর্বিচারও সম্পন্ন করা হয়নি।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করা; আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা; স্বাধীন মানবাধিকার কমিশন গঠন ও ন্যায়পাল নিয়োগ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন কঠোর ভাবে বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি ছিল মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হলেও কমিশনের প্রায়োগিক ক্ষমতা প্রশ্নাতীত ছিল।২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচার করে তার শাস্তির রায় দেয়া ছিল এ সরকারের আরেকটি বড় সাফল্য।

৫.৩ ইশতেহারে উপ-অনুচ্ছেদে নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার অব্যাহত রাখা,জাতীয় সংসদকে কার্যকর করা ও সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছিল।বিরোধী দলকে নিয়ে সংসদ কার্যকর করার আন্তরিক উদ্যোগ সরকারের মধ্যে দেখা যায়নি।যার ফলে সংসদে সরকারের জবাব দিহিতা নিশ্চিত হওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।
ঐ সব ছাড়াও জনগণের কাছে জবাবদিহি করা ও বিশ্বাস যোগ্যতা অব্যাহত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী,মন্ত্রি সভার সদস্য,সংসদ সদস্য ও তাঁদের পরিবারের সম্পদের হিসাব ও আয়ের উৎস প্রতি বছর জন সমক্ষে প্রকাশের প্রতি শ্রুতি দেওয়া হয়েছিল যা আজও হয়নি তাই সামগ্রিক ভাবে সরকারের সততা ও বিশ্বাস যোগ্যতা প্রশ্ন থেকে যায়।

উন্নয়ণ এবং সু-শাসন একটি অনুন্নত রাষ্ট্রের উন্নয়ণের প্রথম শর্ত যা এ সরকার অনেকটাই সফল।তাছাড়া দেশের রাজনীতি পুরো নিয়ন্ত্রণ এখন এ সরকারের হাতেই।
গত তিন চার বছরে সরকারের উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে ছিল,
(y) নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করা,
(y) বিদ্যুতের লোডশেডিং ব্যাপকভাবে কমিয়ে আনা,
(y) যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে নানা প্রকল্প গ্রহণ,
(y) খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে পরিণত করা ,
(y) উন্নয়নের নানা সূচকের ইতিবাচক অগ্রগতি,
(y) জিডিপির প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি,
(y) নিম্নমধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া,
(y) শিল্পোৎপাদন বৃদ্ধি,
(y) নারীর ক্ষমতায়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ,

রাজনীতিতে আওয়ামী লীগের এখন একক আধিপত্য।স্থানীয় সরকারেও দলটি নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করেছে।ভোটের রাজনিতীতেও বেশ এগিয়ে।ক'দিন আগেও সরকার ইসলামপন্থী দলগুলোর সাথে তেমন সুসম্পর্ক ছিলো না যার প্রেক্ষাপট পুরোই বদলে যায় হেফাজতের সাথে আপোষ বলা যায় ভোটের রাজনিতীতে বিচক্ষণ সরকার।তবে এটাও প্রয়োজন ছিল।যে দেশে ৯০ ভাগ মানুষ ইসলাম ধর্মের অনুসারী সেই দেশে ইসলাম ধর্ম শিক্ষা কেন পিছিয়ে থাকবে।

চলবে...

গত পর্ব

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ