পুরুষ জাতির প্রতি আমার বিশ্বাস দিন দিন শূণ্য হয়ে যাচ্ছে।
কী রাগ হলেন? নাকি হাসছেন!? রাগ হোন আর মজা পেয়ে বসেন তাতে আমার কিছু যায় আসে না।
এখন ভাববেন- নিশ্চই আমার বিএফ আমাকে ছ্যাকা দিয়েছে কিংবা লিটনের ফ্লাট থেকে বেড় হয়ে বলেছে বিয়ে করতে পারবে না।
আসলে তেমন কিছুই না বাপ-ভাই-খালু-মামা-চাচা-ফুফা-নানা-দাদা এবং আমার প্রেমিক , এসব পুরুষমানুষ আমার জীবনে আছে , তাই আমি বলি আল্লহামদুলিলাহ, আল্লাহ্ আমাকে ভালো রাখছে।
এখন বলবেন " আল্লহামদুলিলাহ তো বলেই ফেললেন তো কথা এতো প্যাঁচানোর কী হলো!? " তাই তো!,,, কথা প্যাঁচানোর কিছু হয় নাই। আমার সমস্যাটা আপনাদের মতো পুরুষদের নিয়ে হচ্ছে, রাস্তায় বেড় হলে আমার ঢোলা জামা তার উপর হিজাব এর উপর থেকে আমার বুক কতোখানি উচু তা দেখার কতো আগ্রহ আপনাদের বুঝিনা- যেন আমি মানুষ না ভিনগ্রহের প্রাণী, প্রেমে মেয়ে রাজি করাতে না পেরে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ , সাথে বৌ কিংবা জিএফ থাকার পরও অন্য মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকেন যেন আপনার সাথের মেয়েটা পুরানো জামা আর দূরের মেয়েটা শখের লাল জামা। একাধারে ৫/৬ টা প্রেম না করলে নাকি আজ কাল সমাজে পুরুষ পরিচয় পাওয়া যায় না, এতো বুড়ো বয়সেও নাতির বুকে -পিঠে-পাছায় হাত বুলান যেন জীবনে নারী স্বাদ কখনো গ্রহণ করেন নাই, বাসায় বৌ কিন্তু অফিসে নিজ কেবিনে নারী কর্মচারীদের ডেকে এনে বসিয়ে রাখছেন, বাবা হয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করছেন।
ঐ তো সেদিন পত্রিকায় পড়লাম " সতমা'য়ের সাথে দৈহিক সম্পর্ক দেখে ফেলায় বৌ'য়ের চোখ উপড়ে ফেলেছে স্বামী ", " শাশুড়িকে নিয়ে নিরুদ্দেশ্য স্বামী" এবং "মেয়ের সন্তানের বাবা নিজ বাবাই",,, হে, পুরুষ জাতি এ সমাজে এসব অবদান আপনাদের!?
গতপরশু দিন সকালের কথা, খুলেই বলি - রোজা রেখেছিলাম ঘুমিয়েছি ভোরের দিকটায়, পরীক্ষা ছিল সকালে ঘুম যখন ভাঙার পর ঘড়িতে তাকিয়ে দেখি পরীক্ষা শুরু হয়ে গেছে প্রচন্ড অস্থিরতায় তৈরী হয়ে ক্যাম্পাস মুখি হাঁটা দেই কারণ বাসা থেকে বেড় হয়ে রাস্তা পার হওয়ার পর কিছুক্ষণ হাঁটলেই আমার ক্যাম্পাস, কিন্তু রাস্তা পার হওয়ার পর একটা লোক আমার পিছু না বরং আমার সাথে পাল্লা দিয়ে হাঁটছিল আর ফোনে কথা বলছিল, তার কারণে আমি অনেক চেষ্টা করেও ঠিক মতো হাঁটতে পারছিলাম না, বার বার তাকে জায়গা করে দিচ্ছিলাম বা সুযোগ দিচ্ছিলাম যাতে আগে চলে যায়, একএ তো আমার পরীক্ষায় উপস্থিত হতে দেড়ি হচ্ছে, দ্বিতীয়তো আমি পা চালিয়ে হাঁটতে পারছি না তাই লোকটা থেকে বাঁচার জন্য বড় করে কয়েকটা কদম ফেলি কিন্তু লোক ফের আমার পাশে এসে পরে আর আমি খুব রকমের হোচট খেয়ে শরীলের ঝাঁকুনিতে বুকে চাপ খাই। বুঝতে পারছিলাম না আমার পা পর্জন্ত ঝোলানো ডোলা জামা আর উড়না হিজাবে ঢাকা শরীলটায় সে কেমন বুক পাছার লোভে আমার সাথে এমন করছে। কি করবো বুঝে না পেয়ে উঠে পিছন থেকে লোকটায় পায়ে একটা লাথি দিয়ে বললাম "আপনি সাইড হয়ে হাঁটুন, আমার হাঁটতে সমস্যা হচ্ছে ", লোকটা তখন এমন ভাবে তাকালো যেন নিষ্পাপ মানুষটাকে আমি অযথাই বিরক্ত করলাম তারপর আমি আমার ক্যাম্পাসে ঢুকে যাই ।কিন্তু কষ্টের বিষয় হচ্ছে বুকে চাপ লাগার কারণে আমি শেষ পর্যন্ত রোজা রাখতে পারি নাই। একই ঘটনা কয়েক দিন আগে শাহবাগ যাওয়ার সময় হয়েছিল, লোকটা ফোন কানে ধরে কিছু বিশ্রী ভাষা বলছিল আর আমার পাশে হাঁটছিল যখন আমি বুঝতে পারি ফোন - টোন কিছু না লোকটা আমাকে বলছে কথা গুলো তখন আমি ঘুরে তাকাই ট্রাফিক পুলিশের কাছে যাওয়ার আগেই লোকটা একটা বাসে উঠে পরে।
এখন আপনারা বলতে পারেন আমি ঐ সব লোকদের কিছু না বলে পুরো পুরুষ জাতিকে কেন দোষারোপ করছি, তাহলে বলি শুনুন, ঐসব পুরুষের সাথে ঝগড়া বা কথা বলতে গেলে রাস্তার সব পুরুষরা এসে কিছু নীতি বাক্য শোনায় যেমন : মেয়ে হয়ে খারাপ লোকটার সাথে কেন ঝগড়া বা তর্ক করছি, মেয়ে হয়ে কেন রাস্তায় একা চলাফেরা করি, মেয়ে হয়ে কেন সাহস দেখাতে চাই ইত্যাদি ইত্যাদি, তাই আমি এসব লোকদের সাথে কথায় জড়াতে চাই না।
কয়দিন আগে খুব ধর্ষণ বেড়েছিল, বাসে-ঘাটে-মাঠে সব জায়গায় ধর্ষণ। শিশু থেকে বুড়ি কেউ বাঁচেনি ধর্ষণের হাত থেকে কিন্তু পুরুষজাতি তখনও নির্বাক। তাদের যুক্তি হচ্ছে ছোট ড্রেস পরা মেয়েদের দেখলে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তাই বোরখা পরা মেয়ে, শিশু, বুড়ো এসব দূর্বলের উপড় ঝাপিয়ে পরে। অথচ আমি আজও ঢাকা শহরের রাস্তায় হাফ পেন্ট আর হাফ টপস পরা মেয়ে দেখি নাই তাহলে কী তারা সারারাত পর্ণ দেখে রাস্তায় বেড় হয়ে সব মেয়েদের দিকে তাকিয়ে রাতের কথা মনে করে আর কল্পনায় দেখে সামনে থাকা মেয়েটা শর্টস পরে আছে!?
এক প্রকার কাঠমোল্লা /হুজুর দল তো ঘোষণা দিয়ে বসলো "বোরখা ছাড়া নারীকে ধর্ষণ করলে জান্নাত হাতে", যখন তাদের বলা হলো তাহলে মাদরাসার হুজুর মাদরাসার ভিতর তার ছাত্রীকে আর আরবী পড়াতে গিয়ে হুজুর শিশুকে কেন ধর্ষণ করলো!? তখন তারা বলে বসলো, " হুজুরও পুরুষ তার চাহিদা আছে, মুসলিম মেয়েদের হুজুরের চাহিদা বুঝতে হবে, মুসলিম হয়ে এসব নিয়ে তর্ক না করলেই ভালো। আমি নির্বাক কী বলবো কাকে!?
বৌ পাশে ঘুমাচ্ছে ফেসবুকে অথবা ইমু বা হোয়াটস অ্যাপ এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঢুকে মেয়েদের পায়ে পরছে নুড ছবির জন্য, ছবি দিতে কেও রাজি না হলে যা ইচ্ছে তা ভাষায় গালাগালি করছে । তাদের বেশী দেখা যায় রেশমি এলন এর ভিডিও তে ভালোবাসা প্রকাশে আর কোন মেয়ের কমেন্ট বক্সে হাদিস দিতে । খুব হাস্যকর আর লজ্জার বিষয় হচ্ছে কয়েকদিন যাবত ফেসবুকে একটা গ্রুপ খুব আলোচিত হচ্ছে এবং সব পুরুষের মনে স্থান করে নিয়েছে কারণ গ্রুপটায় ইসলামিক ভাবে শরিয়াতের ভাষায় বহু বিবাহকে শুধু মাত্র ফরজ না বরং বাধ্যতামূলক করার মোটিভেশন দেওয়া হচ্ছে সবাইকে , গ্রুপটার কথা গুলো এমন - হে নারী তুমি তোমার স্বামীকে শারীরিক তৃপ্তি দিতে পারো না আবার অন্য নারীর কাছে যেতে দিচ্ছ না এতে মুসলিম নারী হয়ে তোমার লজ্জা হচ্ছে না ! আজ যদি তোমার স্বামী পরক্রিয়া করে তো ইহকালে বদনামি আর পরকালে জাহান্নামী তো তুমি হবে , তোমার কি জান্নাতে যেতে ইচ্ছে হয় না ! , যে নারী তার স্বামীকে ৪টা বিয়ে করার উপদেশ না দেয় সে নারী জাহান্নামী , নবী চার বিয়ে করেছিল তার এক এক বিবি ছিল এক এক বয়সের অর্থাৎ আমাদের বুঝতে হবে প্রতিদিন ভাত না খেয়ে এক একদিন কচি ফল ফলাদি খাওয়ার দরকার , নারী মুক্তি হবে আর নারী অধিকার সম্পূর্ণ ভাবে পাবে যদি তারা সতিনে আগ্রহী হয় , কারণ নবীর বিবিরা সতিন নিয়ে থাকতেন, ধর্ষণ কোন পাপ না কারণ বিয়ে করার বাঁধা আর বিবি সুখ না দিতে পারলে ধর্ষণ করা হয় এখানে পাপের কিছু নাই ইত্যাদি ইত্যাদি ।
আপনারা কি বুঝতে পারছেন কি হচ্ছে আমাদের সমাজে আর এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোতে , সারাদিন কর্ম বেস্ততার পর মানুষ অন লাইনে আসে একটু প্রশান্তির জন্য তখন যদি ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা আর এসব কথা পুরুষরা দেখে তো তাদের মাথা কীভাবে ঠিক থাকে বলুন ! এখানে নারীর কথা উল্লেখ্য করি নাই কারণ নারীরা বিশেষ করে বাঙ্গালী নারীরা খুব মানুসিক চাপ নিয়েও সমাজে নিজেকে ধরে রাখতে পারে ।
দেশে , সমাজে , পথে , ঘাটে , মাঠে , এমন কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোয় এসব দেখার পর আমার আর ইচ্ছে হয় না কোন পুরুষকে বিশ্বাস করতে । আমার প্রেমিক , যে কয়েকটা দিন পর আমার স্বামী হবে , পারিবারিক ভাবেই বিবাহ বন্ধনে আমরা আবদ্ধ হবো এখন তাকেও বিশ্বাস করতে ইচ্ছে হয় না কারণ আমার চারপাশে ঘটে যাওয়া পুরুষের করুণ অবস্থা দেখতে দেখতে আমি ক্লান্ত ।
এখন আপনারা অনেকে বলতে পারেন আমি শুধু কেন পুরুষের দোষ দিচ্ছি ! নারীর কেন দোষ দিচ্ছি না ! অনেক ক্ষেত্রে নারীদের অনেক দোষ আছে । আমি মানছি না নারীরা দুধে ধোওয়া তুলসি পাতা , বলছি না তাদের দ্বারা ভুল হয় না কারণ মানুষ মাত্রই ভুল কিন্তু নারীদের কথা এখানে বলছি না কারণ আমি আজ পর্যন্ত কোন নারীকে দেখি নাই রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছেলেদের দেখে শিস বাজাতে , কোন নারী স্বেচ্ছায় ৬ টা পুরুষের মাঝে গিয়ে দাঁড়িয়েছে দেখি নাই , কাওকে বলতে শুনি নাই " ছেলে টা পুরা খাসা মাল , পাছা আর বুক দেখে মাথা নষ্ট " , কোন মেয়ে কোন ছেলের ইনবক্সে নক দিয়েছে বলতে শুনি নাই , কোন মেয়ে উছিলায় ভীরের মাঝে ছেলেদের বুকে হাত দিতে দেখি নাই , কখনো শুনি নাই কোন মেয়ে ছেলেদের গালিগালাজ করছে ।পুরুষের মাঝে যে ভালো মানুষ নাই তা আমি বিশ্বাস করি না , পুরুষের মাঝেও ভালো মানুষ আছে , কিন্তু আপনারা কই ! ভালো মানুষ গুলো কোথায় আছেন ! আর কতোকাল এসব চোখ বন্ধ করে সহ্য করে নিবেন !?
এদেশ এ জাতির কাছে নারী ঘটিত নিত্য নতুন পুরুষের এতো সুন্দর সুন্দর কাজ দেখার পর , আপনি কীভাবে আমাকে বুঝ দিবেন এদেশের এ সমাজের পুরুষের উপর বিশ্বাস ধরে রাখতে !?
-গালিবা ইয়াসমিন
(৩১/০৫/২০১৮)

0 Shares

১৪টি মন্তব্য

  • মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)

    তারপরও পুরুষ পুরুষই এটা সব ধর্মের স্রষ্ট্রাই ঠিক করে দিয়েছেন যে প্রথমে পুরুষ অতপর নারী।সুতরাং জীবন সংসারের জন্য কোন না কোন পুরুষকে বিশ্বাসতো করতেই হবে নতুবা এ ক্ষণস্থায়ী জীবনের একটি দিক অপূর্ণতা থেকে যায়।বাকীটা যার যার বুঝ।
    লেখাটা বেশ ভাল হয়েছে …
    -{@

    • গালিবা ইয়াসমিন

      ধন্যবাদ 🙂

      কিছু কথা বলি খারাপ লাগলে দুঃখিত , এতো কিছুর পরও আমি একটা পুরুষ কে বিয়ে করে ঘর বাঁধবো , একটা সুন্দর সংসার করবো । কিন্তু ওপর দিকে আমি যখন রাস্তায় কাজে বেড় হবো অথবা নিজের সন্তানকে স্কুলে দিয়ে আসতে যাবো তখন তো ঠিকই আমাকে আরও হাজার পুরুষের কাছে লাঞ্চিত হতে হবে তখনও কি আপনি বলবেন ” পুরুষ পুরুষই এটা সব ধর্মের স্রষ্ট্রাই ঠিক করে দিয়েছেন যে প্রথমে পুরুষ অতপর নারী ” ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌ প্রত্যেকটা পুরুষের মা/ বোন / বৌ কোন না কোন কাজে ঘর থেকে বাহির হয় ্‌্‌সেক্ষেত্রে আপনাদের এসব কথা খুব খুব নিচু মানসিকতার পরিচয় দেয় ্‌্‌্‌্‌্‌্‌্‌এসব একটা নারীকে না বলে একটা পুরুষকে বলুন ” দেখুন ভাই , রাস্তা দিয়ে যে নারী হেঁটে যাচ্ছে সে আমার মা , বাসের চড়া মেয়ে টা বোন , অফিসে যাওয়া মেয়ে টা আমার মতোই আরেকটা পুরুষ ভাইয়ের বৌ , আসুন আমরা এদের বিরক্ত না করি , এরাও মানুষ আমরা যেমন পুরুষ ভেবে নিজেকে নিরাপদ মনে করি , এদেরকেও নিরাপদ ভাবতে দেই”

  • জিসান শা ইকরাম

    আজ এই লেখা পড়ে অন্য এক গালিবা ইয়াসমিনকে চিনলাম।
    আমি একজন পুরুষ, আপনার লেখার প্রতিটি শব্দ যেন চাবুক হয়ে পিঠে পড়ছে। ভাল পুরুষ হয়ে এসব বন্ধ করাতে পারিনা বলে লজ্জায় অবনত হই।

    লেখাটির বিষয়বস্তু ৩বং লেখনি একটি শক্তিশালী ব্লগীয় লেখা। এমন লেখা আরো চাই।

  • নাজমুল আহসান

    আপনার লেখাটা বড্ড একপেশে। লেখার মধ্যে দুয়েকটা অশালীন শব্দ ব্যবহার করে একটা তেজী ভাব আনার ব্যর্থ চেষ্টা করেছেন। এবং বলাই বাহুল্য, আপনি ধর্ম, বিজ্ঞান আর সংস্কৃতির দিকটা খোঁজখবর/পড়াশুনা না করেই এরকম একটা স্পর্শকাতর বিষয়ে লিখেছেন।

    আপনি যে কথাগুলো বলেছেন, তার বিষয়বস্তুর সাথে আমি একমত। পরিচিতজনেরা জানেন, শুধু মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অপরাধে আমি নিজে অন্তত দুই হালি ছেলেকে শাস্তি দিয়েছি। এই গতকালই একজনকে কানে ধরিয়েছিলাম। (মিরপুরে, বাংলা স্কুলের পিছনে। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে। জানিয়ে দিলাম, যদি ভেরিফাই করতে চান। হেহে!)

    বলার ভাষা, প্রতিবাদের ভাষা হতে হয় বুদ্ধিদীপ্ত। আপনার বলার ধরণটা পছন্দ হয়নি। যদিও বুঝতে পারছি আপনি ক্ষোভ আর দুঃখবোধ থেকে লিখেছেন।

    আমি নিজে ইভটিজিং কিংবা এজাতীয় অপরাধের সাধ্যমতো সর্বোচ্চ প্রতিবাদ করি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, শুধু মেয়েরা চাইলেই এসব ৬০ থেকে ৭০ ভাগ কমে যাবে।

    বিস্তারিত পরে একদিন বলব :=

    • গালিবা ইয়াসমিন

      আমি আমার চলার পথে , আমার জীবনে যা যা দেখেছি তা তাই লিখেছি , এখানে ধর্ম, বিজ্ঞান আর সংস্কৃতির দিকে তাকালে আমাকে পড়া – লিখা ছেড়ে দিয়ে সেই ঘরেই বসতে হবে কারণ আমি এসবে দেখি না কোথাও নারী নিরাপত্তা নিয়ে কিছু বলেছে বা করেছে কিনা সব জায়গায় নারীদের সব কিছু সহ্য করতে বলেছে , শুনুন বাঙালি মেয়ে সব কিছুসহ্য করেই থাকে , এখানে তাদের নতুন করে শেখানর কিছুই নেই । আর কথার মধ্যে খারাপ শব্দ গুলো ব্যাবহারের কারণ আমি যা শুনি যা দেখি তাই লিখি , নিজের আকাশ – কুসুম বানোয়াট খুম কম লিখি , আমার বাকী লিখা পড়লে বুঝতে পারবেন ।
      আপনার কর্ম কাণ্ড গুলোর জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ,
      আপনি পড়ে দেখুন আমি কয়েকটা লিখায় সুবুদ্ধি সম্পূর্ণ পুরুষদের এগিয়ে আসতে বলেছি এবং মেয়েরা যে দুধে ধোওয়া তুলসি পাতা না তা উল্লেখ্য করেছি – সেক্ষেত্রে আপনি আমার লিখাকে বড্ড একপেশে বলতে পারেন না ।

      ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য , ভালো থাকবেন 🙂

  • খসড়া

    একজীবনে অনেক লিখেছি, এখন আর লিখতে ইচ্ছে করেনা। দেখি আর ভাব কত নীচে নামতে পারে এরা। নিজেকে কত অপমান করে যায় নির্লিপ্তের মত। গত শনিবারেই একজন আমাকে বললো — আপনি সব উলটা বোঝেন? আমার ছোট আমাকে এমন কথা শুনতে হয় শুধু নারী বলেই।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ