(এই ব্লগে এইটা আমার প্রথম লেখা, তাই এইটু মায়ার দৃষ্টিতে দেইখেন)

আমি - আচ্ছা বাবা, এইবার আওয়ামীলীগ এত উন্নয়ন করার পরও মানুষ বিএনপিতে ভোট দিচ্ছে ক্যান?

আব্বা – আওয়ামীলীগ দুর্নীতি করছে তাই।

আমি – বিএনপি তো আরও অনেক বেশী করছিল। সামনে আসলে কি এরা আওয়ামীলীগের চেয়ে ভাল দেশ চালাবে? না দুর্নীতি কম করবে? এরা ক্যান এইটা বোঝে না?

আব্বা – আরে পাগলা... ওরা জানে বিএনপি আরও খারাপ দেশ চালাবে এবং আরও বেশী দুর্নীতি করবে কিন্তু মানুষ বিএনপিরে ভোট দিচ্ছে যাতে তারা ক্ষমতায় বসে আওয়ামীলীগকে সায়েস্তা করতে পারে, আবার পরের বার একই কারণে আওয়ামীলীগকে ভোট দিবে যাতে তারা বিএনপিকে বাঁশ দিতে পারে।

আমি – কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, রাজাকারের বিচার...

আব্বা – তুই বাঙালীকে এখনও চিন্তে পারিস নাই, শুনতে খারাপ লাগলেও সত্যি আমরা মুক্তিযুদ্ধ দেশপ্রেম থেকে করি নাই। প্রতিশোধ নেবার জন্য করেছি। নারী নির্যাতন আর আর অর্থনৈতিক শোষণ না ঘটলে আমাদের বাঙালী জাতীয়তা বোধ কোন দিনই বাইর হত না। বঙ্গবন্ধুর যখন দরকার ছিল তিনি দেবতা ছিলেন কিন্তু স্বাধীনতার পরের ইতিহাস দেখলে বুঝতে পারবি তার প্রতি কেমন অবিচার করা হয়েছে...

আমি – আমরা কিন্তু ভাষা আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের এই ভাবে স্বার্থপর বলা ঠিক হচ্ছে না।

আব্বা – তোদের মত কিছু বাচ্চা ছেলে ছিল এবং আছে, যারা কোন দিন বড় হয় না। তাই এই আন্দোলন গুলো হয়েছিল।

আমি – (আব্বার এই বিশ্লেষণ শুনে মনটা বেশ খারাপ হল) ভবিষ্যৎ-তে মনে হয় আর হবে না। শিবিরের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে! আমিও না শিবিরে যোগ দিই।

আব্বা – হা হা হা... শিবিরকে এত সিরিয়াসলি নিস কেন বুঝি না। এক সময় ছাত্র মৈত্রী ছিল এখন হয়েছে শিবির; ক্ষমতায় যারা থাকে তাদের আমরা শত্রু মনে করি। তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতা থেকে যারা কিছুটা দূরে থাকে, তাদের প্রতি মায়া অনুভব করি। তাই এইসব ছাত্র সংগঠন শক্তিশালী হয়। তবে এদের শক্তি অস্থায়ী!

আমি – তাহলে সামনে কি আছে?

আব্বা – শনিবারে তোর গণিত পরীক্ষা(মাসিক পরীক্ষা) আছে। যা পড়তে বস...

নোট: আমার বাবা একজন সরকারী আমলা; দয়া করিয়া তারে ট্যাগ মারবেন না।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ