আজ এক বিশেষ দিন

আনন্দধারা বহিছে ভুবনে ১০ অক্টোবর ২০১৪, শুক্রবার, ১১:৫৭:৫৮অপরাহ্ন রম্য, সমসাময়িক ৪৯ মন্তব্য

১ . টেবিল টেনিস খেলার চুড়ান্ত পুরস্কার বিতরণীতে প্রধান অতিথির ভাষনঃ
আমি খালেক মিয়া, আপনাদের এলাকার সংসদ সদস্য। এই যে এতক্ষণ আপনারা খেলাধুলা করেছেন, এই খেলা আমি প্রথম দেখলাম। প্রথমে দুই পোলায় খেলেছে, এরপর দুই মেয়ে, এরপর চার পোলা আবার চার মেয়ে সব শেষে দুই পোলা আর দুই মেয়ে। কি চমৎকার ই না লেগেছে আমার কাছে। সারাক্ষণ টুক টুক শব্দ। খেলা দেখে আমারো ইচ্ছে হচ্ছিলো আমিও খেলি। ( হাততালি )
যারা যারা এতক্ষণ খেলেছেন তাদের সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। খেলায় হারজিৎ আছে, এই হারজিৎ মেনে নিতে হবে। কবি বলিয়াছেন ' ফেইলুর ইস ডি পিল্লার অপ সক্সেস' 🙂 [ মনে মনে আমি ইঙ্গলিস শিইক্ষ্যা ফালাইছি, সবাই যে হাসে ] তারপর আমার নেতা বলেছেন ' এই দিন দিন না আরো দিন আছে, এই দিনেরে টাইন্যা নেবো সেই দিনের কাচে '( হাততালি )
আমি বহুত খুশী হয়েছি আপনাদের খেলা দেখে। আপনাদের সবাইকে আবার ধন্যবাদ। তবে সবচেয়ে বেশী ধন্যবাদ দেই সেই মুরগীকে যে মুরগী এই ডিম পেড়েছে। সবাই মিলে যে বাইরান বাইরাইছেন ডিমটারে, ডিম টা ভাঙ্গে নাইক্কা । আমি এমন ডিম এই প্রথম দেখলাম। আমাদের ঘরে ঘরে এমন ডিম পাড়া মুরগী পালন করতে হবে। আমাদের দেশে বেকার সমস্যা দূর করতেই হবে। বাংলায় আজ এই জাতের মুরগী এসেছে। এই ডিম পরিবহনের সময়ে ভাঙ্গার কোনই চান্স নাইক্কা। ফ্রিজে ডিম, নেয়ার সময় হাত থেকে পরে গেলেও কিচ্ছু হবে না।আমার যত ক্যাডার আছে, সবার প্রতি নির্দেশ, এই ডিম পাড়া মুরগী পালবা। ডিম দিয়া ইটা মারার কাজ চলবে, মাগার ডিম ভাংবে না। হা হা হা হা [ মনে মনে হালার ডিম ভাইংগা ভাজবে কেমতে?]

২. আজ বিশ্ব ডিম দিবস 🙂

বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব ডিম দিবস পালিত হয়েছে। লিংকে ক্লিক করে দেখুন। ডিম নিয়ে সারা বিশ্বে কত কত আয়োজন। বাংলাদেশে এর আয়োজকরা বলেছেন, বিদ্যালয় গুলোতে টিফিনের সময় ভাঁজা পোড়া টিফিন না দিয়ে সিদ্ধ ডিম প্রদানের জন্য। ভালো আহ্বান নিঃসন্দেহে ।
আপনি সময় পেলে এই লিংক একটু ভ্রমণ করুণ। ডিমময় সাইট। ভালো লাগবেই এর সাজসজ্জা।

ডিম কথন :
কত ধরনের যে ডিম আছে এই বিশ্বে কে জানে? মুরগীর ডিম> সাদা, বাদামি, দেশী ,ফার্মের, অর্গানিক, কৃত্রিম, কচ্ছপ। মুরগীর এসব ডিম আমরা প্রায় সবাই খেয়েছি জেনে বা না জেনে।
এরপর আছে হাসের ডিম, দেশী হাস, রাজ হাস, চাইনিজ হাস। কোয়েলের ডিম। এসব খাই আমরা। এর বাইরে আছে বিভিন্ন পাখির ডিম, টিকটিকির ডিম। এসব খাইনা তবে দেখেছি প্রায় সবাই।

তবে যে ডিমের কথা আমরা সবাই বলি, ছোট বেলা থেকে যে কোন ব্যর্থতায় বলি, সেই ডিমের ঘোড়ার ডিম। যা আজ পর্যন্ত আমরা কেউ দেখিনি। এবার দেখে নিন, দেখে জীবন সার্থক করুণ 🙂

 

ডিমের ব্যবহারঃ
মুলত খাবার হিসেবে ডিম। ডিম সিদ্ধ, ফুল - হাফ , ডিম ভর্তা, মামলেট, আমলেট, পোজ , পুডিং, ডিমের কোর্মা, ডীম ভেজে চৌকা করে কেটে আলু বা কাঁচঅনেক ভাবেই ডীম খাওয়া যায়। কাঁচা ডিমও খেউ কেউ চকলার সাথে রান্না , নুডলসের সাথে ডিম। কনফেকশনারির বেশ কিছু আইটেমে ডিম দেয়া হয়। ডিমের পোলাউ অনেক সুস্বাদু। সেম্পুতে ডিম ব্যবহৃত হয়। মাথার চুল পরা বন্ধ করতে অনেকে কাঁচা ডিম গোছলের পুর্বে মাথায় দিয়ে রাখেন। কাঁচা ডিম আবার কেউ কেউ দুধের সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলেন। তবে ডিম খাওয়া উচিৎ আমাদের সবার । সান্ডে হো অর মান্ডে, রোজ খাও আন্ডে। 

ডিমের  আলাদা একটি ব্যবহারও আছে। কোন অনুষ্ঠান বা বক্তৃতা পছন্দ না হলে শ্রোতারা পচা ডিম নিক্ষেপ করে মনের ভাব বুঝিয়ে থাকেন। অবশ্য আজকাল পচা ডিম দুস্প্রাপ্য বিধায় এক্ষেত্রে ভালো ডিম নিক্ষেপ করা হয়। এখানে  ভেজাল হিসেবে ভালো ডিম ব্যবহারের নিন্দা জানাই।

যেমন লাক্সের এই অনুষ্ঠান যদি পাবলিকলি হতো, তাহলে আ। মি এর উপরে পচা ডিম নিক্ষেপ করে বুঝিয়ে দিতাম, ব্লাউজের এই ষ্টাইল ঠিকনা

ডিমের বিবিধ ব্যবহারঃ শুধু ছবি দিলাম, বুঝতে তো পারবেনই সব।






ডিমের একটি আলাদা ব্যবহারের কথা মনে পরেছে। ডিম থেরাপিও কিন্তু এই ডিম দিয়ে দেয়া হয়। কাদের ডিম থেরাপি দিলে আমরা মজা পাই, জানেন তো ?
🙂

0 Shares

৪৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ