আজাইরা ব্লগরব্লগর

আগুন রঙের শিমুল ১৪ মার্চ ২০১৭, মঙ্গলবার, ০৮:১৭:৫১পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১০ মন্তব্য

রুপের ডালি খেলার সের্গেইয়ের মতো এইসব রাতগুলোতে হেটে যাই, তার স্কেটিং রিংকের বাজনা ভালো লাগে বলে আর আমি গাড়ি পাইনি বলে। প্রায় কাছাকাছি হিমে একইরকম নির্জনতায় ডুবে।

কাছাকাছি সাজ পোশাকে, কর্ডুরয়ের পাৎলুন, ভারী জুতো, আর কাঁধের থলে ... সের্গেইয়ের সেই ফেল্টহ্যাটের অমিল কেবল।
তার বুকপকেটে হিমশীতল " পবেদা অর্ডার ক্রস" আর তার নীচে হাড়ের ফাকে আটকে থাকা বুলেটের সার্বক্ষণিক ভোতা ব্যথা, আর আমার বুকপকেটে শীতল কয়েন আর তার নীচে হৃদপিঞ্জরে আটকে পরা মৃত জোনাক। স্বপ্নের ঘুম।

অথচ আমার পাভেলের মতো বাচতে ইচ্ছে করে, নিদেনপক্ষে ইভান, আয়ত্রুশকা, অথবা খামখেয়ালি রুটিওয়ালা বরিসভ।

অথচ, সের্গেইয়ের যুদ্ধদিনের মতো একটা দুরত্ব কেবলই রুপকথার রাতগুলো খুন করে যায়। আর আমি হিমে ডুবে ডুবে একা হেটেই যাই .... প্রতিরাতে আর ছায়ার ভেতর থেকে যখুনি পা রাখি আলোয় তখুনি বুকের সিন্দুকে আড়মোড়া ভাঙ্গে, বালুচরি নকশার সাপ -
বুকের ভেতর মুচড়ে ওঠে গোপনে লালিত, নীলরঙ এক পাপ।

বিড়বিড় করে আউড়ে যাই
- না মরে না মারে,
ন হন্যতে হন্যমান শরীরাঃ

তারপর কানে আসে " হর মুলাকাত ..... জাগতে জাগতে এক উমর কাটি হো য্যায়সে "
এইসব কিংখাবে মোড়া টলটলে জোছনার রাতে - জগজিৎ সিংয়ের গান গায় বেপথু ইন্ডিয়ান মাতাল, রোমের রাস্তায় চিল্লায়ে .... আকাশ অন্ধকার, কাল সারাদিন মুখভার থাকবে আকাশের, রোম, অসলো, ঢাকা সবাইকে আগলে রাখে অখণ্ড আকাশ।

আর খন্ডিত জীবনের চৌখুপিতে অবিরাম আলো আধাঁরি এক্কাদোক্কা খেলে।

 

নোট - ছোট বেলায় বাবা প্রগতি প্রকাশনীর বই এনে দিতেন, রাশিয়ান সাহিত্যের চমৎকার সব অনুবাদ। সেইসব গল্পের চরিত্রেরা এই এতদিন পরেও মাথায় ঘুরপাক খায় .... অনেককাল কেউ বই দেয়না 🙂

0 Shares

১০টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ