অস্বীকৃত প্রবৃদ্ধি

খাদিজাতুল কুবরা ২০ জানুয়ারি ২০২২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৪২:০০অপরাহ্ন কবিতা ৮ মন্তব্য

 

তাচ্ছিল্য আর ভর্ৎসনায় উৎক্ষিপ্ত অগ্নুৎপাতে জ্বলছে  শরীরের আমাজন,
যুগপৎ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে রেইন ফরেস্ট খ্যাত মন!
সাংঘর্ষিক বক্তব্যের ব্যখ্যা নেই জানি,
তবুও দিনশেষে বঞ্চিত বুকের বাঁ পাশে  সংবহনতন্ত্র সহ বাকীরা সামিল নিজ নিজ কাজে।
স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস বলে বেঁচে আছি।
এককালে হয়তো  সত্যি না হলেও স্বপ্নীল আবেশে,
কলা পাতা সবুজ শাড়ির আঁচল ছেড়ে হারিয়ে গেছিলাম পাহাড়ের গা ঘেঁষে।
রাতের সাগর দেখবো বলে কল্পনার ভেলা ভাসিয়েছি বিপরীত স্রোতে,
ঘোড়া সদৃশ ঢেউ গুনতে অসমর্থ হয়ে, সফেদ কাফতার গায়ে জড়িয়ে মিশে গিয়েছি আছড়ে পড়া ঢেউয়ের অমতে।
এরই ধারাবাহিকতায় গঠিত বেঞ্চের চূড়ান্তপর্বে বোধিবৃক্ষ আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিপ্রেত__
বোবা ব্যথার মর্মর শোনার সময় হয়নি; জুরিবোর্ডের বড্ড তাড়া।
ফিরে আসা সহজ সরল স্বীকারোক্তি অনুযায়ী__
তখনো বাকী সব পরিযায়ী পাখি পোষা বোঝেনা অবুঝ মৃন্ময়ী।
আপন পৃথিবী ধারণ করে রুদ্রমূর্তি,
কি সর্বনাশ!
ছকে বাঁধা বলয়ের বেদিতল পার হয়ে গেছে সাবিত্রী।সর্বংসহা মহিরুহ, যার ছাল-বাকল খুবলানো অভুক্ত চিত্ত কেউ  শোনেনি তার চিৎকার,  শিৎকার!

সে-ও আর পাঁচটা গাছের মতোই প্রাণোচ্ছল উদ্ভিদ।কঠোর শুকনো কর্তব্যের কাছে মাথা নুইয়েই সুখের অভিপ্রায়  স্থানুবৎ।

এই সব বেওয়ারিশ আবেগীয় ঢেউ এক প্রকার অতর্কিত সুনামি বৈ তো নয়।

মূলত গভীর রাতের তন্দ্রাঘোরে ভোরের আলোর মনস্তাপ জুড়িয়ে দেয় সকল শোক।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ