অস্পর্শনীয় ভালবাসা

ড্রথি চৌধুরী ১৫ নভেম্বর ২০১৫, রবিবার, ১২:১১:৫৭অপরাহ্ন গল্প, বিবিধ ২১ মন্তব্য

অতসী ঘুম থেকে উঠে আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজে দেখে নিল। মনে মনে বলল, নাহ! এভাবে তো কোন অবস্থাতেই ইউনিভার্সিটি যাওয়া যাবে না!তাড়াতাড়ি বাথরুমে গিয়ে অনেকক্ষণ পানি ছিটা দিল মুখে । নাহ এখন ও বুঝা যাচ্ছে ! হাল্কা নাস্তা করে রেডি হয়ে গেল আর আজ পড়ল চোখে লেন্স আর মোটা করে কাজল দিল যাতে চোখের ফোলা টা বুঝা না যায়।
অতসী কে ক্যান্টিনে দেখেই মিলার ডাক এই অতসী এই দিকে আয়। অতসী নিয়ম মাফিক সুন্দর একটা হাসি দিয়ে চেয়ার টেনে বসল।
মিলা- বাহ সুন্দর লাগছে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে তুই আজ এই রঙের ড্রেস পড়েছিস কেন?!
অতসী- আমি যে সিঙ্গেল তাই সাইনবোর্ড লাগিয়ে ঘুরছি ...। বলেই হাসতে লাগল
মিলা- তুই সিঙ্গেল থাকতে চাস দেখেই সিঙ্গেল নয় তো তোর জন্য তো অনেক ই  লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছে যে কোন একটা কে বেছে নিলেই তো হয়। ঐ দেখ তোর রোমিও
অতসী বেশ মেজাজ খারাপ নিয়েই বলল দেখ এই সব ফাইজলামি ভাল লাগে না আমার
হুম ঐ ছেলেটা অতসীর ইউনিভার্সিটির প্রথম দিন থেকেই ফলো করছে । তবে আজ পর্যন্ত ওকে কিছু বলে নি শুধু দূর থেকে দেখে। তাই অতসীও কক্ষনো কিছু বলে নি। আগে ব্যাটা কিছু বলুক তারপর বুঝাবে কত ধানে কত চাল।

সারাদিন বন্ধুদের সাথে সময়টা ভালই কাটাল। আজ ভ্যালেন্টাইন্স ডে সবাই সবার মনের মানুষের সাথে অতসীর অন্য বান্ধবীরাও। হাতে গোনা দু একজন ছাড়া সবাই ব্যাস্ত এই দিনটি নিয়ে। অনেক ই অতসী কে ইনডাইরেক্টলি বোঝাবার ট্রাই করেছে যে ওকে তারা পছন্দ করে কিন্তু অতসীর এগুলতে মন নেই একেবারেই।

অতসী খুব মিস্টি একটা মেয়ে। আজ পর্যন্ত কেউ তাকে গোমড়া মুখে দেখেনি। পড়াশুনা, আড্ডা, মজা করাই ছিল ওর নেশা । সবার সাথে হাসি মুখে কথা বলাই ছিল ওর বড় একটা গুন ।
সন্ধ্যায় হয়ে গেছে বাসার সামনে আসার পরই ওয় সেই হাসি মাখা মুখ টা গম্ভীর হয়ে গেল। বাসায় ঢুকে ই নিজের রুমে চলে গেল । বুয়া এসে বলে গেল নাস্তা দেয়া হয়েছে আপুমনি খেতে আসেন ।
আসছি যাও।
অতসী ফোন টা হাতে নিল। ফোন বুকে নম্বর টা দিকে তাকিয়ে রইল । ফোন কি দিবে না দিবে না সোহান কে......

(১ম পর্ব )

0 Shares

২১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ