তোমাকে ঘিরে একটি সকাল এসেছিলো আঁচলে পূর্বাকাশের সূর্যমেখে?
তোমার অনুভবের যোজন অভিসারের শেষে এসেছিলো শিউলি ঝরা ভোর।
হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা বিলুপ্তির ইতিহাসের খাতায় প্রেমিক নাম লিখেছে তা রাখালিয়া।
যে ভরদুপুরে বাজিয়ে ছিলো বাঁশি।
ঘাসের ডগায় শরৎ ছোঁয়ে যে শিশির এসেছিলো প্রেমিক ভালোবেসে তার নাম দিয়েছে দূর্বাদল।
তুমি তখন অট্টালিকার সাম্রাজ্য খুঁজতে গিয়ে সমুদ্রের তারুণ্য উত্তালকে হারিয়েছ।
প্রজাপতির ডানায় বসন্তের পলাশ খুঁজতে গিয়ে বর্ষার শিমুলকে হারিয়েছ তুমি বৈশাখের ভ্যাপসা গরমে।
জারুলের পাঁপড়ির গন্ধ ছোঁয়ে তুমি জীবনানন্দের বনলতাকে হৃদমন্দিরে আবাহন করতে পারোনি।
কেমন করে তুমি নাটোরের প্রকৃতি অনুভব করবে।
সভ্যতার চোরাচালানে আদিমতার স্থান অনেকের কাছেই অনাঘ্রাতা হলেও রক্তজবার যে বিবর্তন নেই।
আমি ভুল বুঝে ডুবেছি তোমার ঘ্রাণে অঘ্রাণে শতবর্ষের কোন এক পূর্ণিমার আলোকিত রাত্রিতে।
কাগজের নৌকায় ভালোবাসার কথা লেখা যে প্রেমিক বুঝতে পারেনি আসলে সে আদৌ প্রেমিক হয়ে উঠতে পারেনি। ডারউইনের বিবর্তনকে উপেক্ষা করে সভ্যতার পরিবর্তন চাইতে গিয়ে,
সৌন্দর্যের অনুপম নগরী শ্রাবন্তিকে হারিয়েছ তুমি স্মৃতির অপলকে।
নষ্ট দুপুরে যে কলঙ্ক গায়ে মেখেছ পাপী হওয়ার অনুতাপে, তুমি তো জানো না গভীর অনুতাপে পাপ মুছে যায়। বির্বতনের শেষ ধাপে এসেও আমাদের পরিবর্তন আজ ধরা ছোঁয়ার বাইরে!
এতো প্রেম, এতো ভালোবাসায় অবগাহন করে কে কাকে মানিয়ে নিলাম।
আজও তার হিসাব কষা হয় নি।
ভালোবাসায় যে হিসাব কষতে নেই।
তুমি চোখে কাজল আর খোঁপায় চাঁপাফুলের মালা পরবে বলে নদীর তীর ধরে হেটেছিলে,যদি নদীর স্রোত হতে বেসে আসে কোন অসমীয়া ছেলের দেওয়া রজনীগন্ধা ফু্লের মালা।
শূন্যের মাঝে আলপনা আঁকতে গিয়ে হিজলের ঝরে পড়া পাতার মরসুমকে তুমি ভুলে যাও।
কেমন করে তুমি শেষবিকেলের গোধূলির আরক্তভা গায়ে মাখবে।
এতসবের মাঝে চুলের খোঁপায় মহুয়ার ফুলের মালা বাঁধা মেদিনীপুরের সাঁওতাল মেয়েটিকে ভালোবাসতে গিয়ে তোমার স্মৃতিতে বিভোর হয়ে পড়ি।
কাটাঘুড়ির ভেসে বেড়ানো যে মুক্ততা রয়েছে তা ভাবনাহীনতায় অস্তরাগ হয়ে আছে।
একমুঠো ভালোবাসা বুঝি আজও পাওয়া হয়নি তোমায় থেকে এ বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়।

0 Shares

১৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ