অর্পিতা ৭

সঞ্জয় কুমার ২৬ জুন ২০১৪, বৃহস্পতিবার, ০৯:২৬:৩৮পূর্বাহ্ন গল্প, সাহিত্য ১২ মন্তব্য

দাদার ঘরে একজন অপরিচিত মহিলা দাদাকে উচ্চ স্বরে ঝাড়ি দিচ্ছে দাদা মাথা নিচু করে সব শুনছে ।

শোন এই চোর ছ্যাচরা দের সাথে তুমি থাকতে পার কিন্তু আমি পারব না । তোমাকে একদিন সময় দিলাম ভেবে চিন্তে ডিসিশন নাও । দুইটার মাঝে একটা তোমাকে বেছে নিতে হবে ।ওয়াসরুমের অবস্থা দেখ, বস্তির চেয়েও খারাপ । আমার বাড়ির চাকরাও এর চেয়ে ভাল ওয়াশ রুম ব্যাবহার করে । জঘন্য । রতন গাড়ি বের কর । আমি এয়ারপোর্ট যাচ্ছি । তুমি কাল সকালে গাড়ি নিয়ে চলে এস অথবা গাড়ির চাবিটা রতনের কাছে পাঠিয়ে দিও ।

মহিলাটি গাড়ি নিয়ে চলে গেল ।

বাড়িটা একদম শান্ত । চারদিকে পিনপতন নিরবতা । শুধু মাঝে মাঝে রাজুর কান্নার শব্দ শোনা যাচ্ছে ।

মা বাবা দুজনেই মন খারাপ করে বসে আছে । আমি রাজুর কাছে গেলাম ।

কি হয়েছে রে রাজু ? কাঁদছিস কেন?

দিদি ঐ মহিলা টা না আমাকে অনেক মেরেছে । দাদার সামনে মারল দাদা কিছু বলল না , বাবা মা কেউ কিছু বলল না । আমি কি দোষ করেছি???

মা বলে উঠল
সব তো তোরই দোষ আমরা তোকে না খাইয়ে রাখি ! আরেক জনের ব্যাগে হাত দিস ।

আরেক জনের হবে কেন ওটা তো দাদার ব্যাগ । দাদা ঢাকা থেকে আসলে আমার জন্য কতকিছু নিয়ে আসে । আমি দাদার ব্যাগ খুলেছি ।

এরপর দাদার সাথে বাবা মায়ের অনেক ঝগড়া হয় । বাবা এক পর্যায়ে প্রেসার বেড়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ।

দাদা পরদিন ঢাকায় চলে যায় ।

পরে শুনেছিলাম ঐ মহিলা কে দাদা বিয়ে করেছেন । আমাদের এলাকায় দাদার যত বন্ধু ছিল সবাইকে ঢাকার রিটার্ন এয়ার টিকেট সহ বিয়ের চিঠি পাঠিয়েছিল ।

দাদা বলতেন বৌদি নাকি তার উপরে উঠার সিঁড়ি । সত্যিই তাই সেই সিড়ি ধরে তিনি এত উপরে উঠে গেছেন যে আমরা আর তার নাগাল পাইনি ।

দাদা আমার জন্য একটা পাত্র ঠিক করছিলেন । কথাবার্তা সব প্রায় শেষ । কিন্তু বিয়েটা ভেঙ্গে গেয়েছিল ।

কেন ?

চলবে.......................

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ