অর্পিতা পর্ব ২৯ । ।

সঞ্জয় কুমার ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪, সোমবার, ০৯:৫৪:৫৩পূর্বাহ্ন অন্যান্য, গল্প, সাহিত্য ৯ মন্তব্য

Y

ভয়ে জয়ের আত্মা খাঁচা ছেড়ে যায় যায় অবস্থা ।

চলুন আমি আছি না , কোন সমস্যা হবে না ।

জয় তুই গ্রাম থেকে এছেছিস তাই না ? শহরে খুব সাবধানে থাকিস পদে পদে তোর জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে । তোর নতুন চাকরি হয়েছে না । কাল ডিউটি তে যাবি না । কোন প্রশ্ন করবি না । যা এখন ।

একি শাহিন ভাই ঐশি আমার সাথে এমন আচরণ কেন করল ?

ভাই ওর পক্ষ থেকে আমি আপনার কাছে ক্ষমা চাইছি , আর একটা অনুরোধ করব আপনাকে সেটা রাখতেই হবে ।
দেখুন আমার আর এখানে থাকার ইচ্ছে নেই । এসব গাজাখুড়ি গল্পে আমি বিশ্বাস করি না । আপনার বোন কে ভাল ডাক্তার দেখান প্লিজ এর মধ্যে আমাকে জড়াবেন না ।

জয় ভাই আপনার হাতে ধরছি প্রয়োজন হলে পায়ে ধরব । আপনি ঐশির কথা অমান্য করবেন না । চাকরির চেয়ে জীবন বড় নয় । কালকের দিন পর আপনি যা বলবেন তাই শুনব ।

আচ্ছা শাহিন ভাই । আমি স্বীকার করছি আপনি আমার জন্য অনেক করছেন । এখন আমার ভালোটা আমাকেই বুঝতে দিন । জ্বিন ভূতের ভয়ে আমি কাল চাকরি তে যাব না । এমন ধারণা আপনার কিভাবে হল ? আমি একটু পরই বাসা থেকে বেরিয়ে যাব ।

একঘন্টার মধ্যে জয় ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বের হল । শাহিন ভাই আর তাঁর স্ত্রীর দিকে তাঁকানো যাচ্ছিল না । দুজনেই কাঁদছেন ।

শাহিন সাহেবের স্ত্রী :
জয় ভালো থেক ভাই আল্লাহ তোমাকে সব বিপদ থেকে দূরে রাখুন ।

শাহিন সাহেব দরজা বন্ধ করছেন হঠাৎ সিঁড়ি দিয়ে ভারি কিছু গড়িয়ে পড়ার শব্দ হল ।

তিনি দ্রুত নিচে নেমে দেখেন জয় সিঁড়ি থেকে পড়ে সংগাহীন হয়ে পড়ে আছে ।

জয় এখন শাহিন সাহেবের বাসায় । ডাক্তার এসে দেখে গেছেন । আঘাত তেমন গুরুতর নয় । কয়েকদিন বিশ্রাম নিলেই ঠিক হয়ে যাবে ।

জয় ভাবছে এ কোন অনাহূত ঝামেলায় পড়লাম । এখানে আসাটাই ভুল হয়েছে । এমন সময় অর্পিতার ফোন

হ্যালো জয় । তুমি কেমন আছ ? আগের চেয়ে ফোন করাও কমিয়ে দিয়েছ । কথা বলছ না কেন ? তোমার শরীর খারাপ নাকি ?

জয় এই ভয়টাই করছিল । মেয়েরা সব কিছু আগে থেকেই বুঝতে পারে কিভাবে ?

না মানে একটু পরে গিয়ে হালকা চোট পেয়েছিলাম ।

তুমি সে কথা আমাকে বলোনি কেন ? সকাল থেকেই মন কু ডাকছিল আজ সন্ধ্যা প্রদীপ দেয়ার সময় হঠাৎ হাত থেকে পড়ে গেল । তখনই সন্দেহ করেছি নিশ্চয়ই আপন কারও বিপদ হয়েছে । যা হোক এখন কেমন আছ ? কাল তোমার চাকুরীর প্রথম দিন ঠিকঠাক মত অফিস যেও । আমি কিন্তু তোমার চাকরির প্রথম দিনের কল্যাণ কামনায় উপোষ (উপবাস ) রেখেছি । ঠিক আছে এখন তাঁরাতারি রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড় । কাল খুব ভোরে উঠবে । আমি তোমাকে ভোরে ফোন দিব । চাকরির প্রথমদিন যেন লেট না হয় ।
গুড নাইট ।

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ