অবশেষে (৬ষ্ঠ পর্ব)

আতা স্বপন ২১ মে ২০২০, বৃহস্পতিবার, ১১:২২:১৫অপরাহ্ন উপন্যাস ৮ মন্তব্য

তের.

মশাটির দিকে তার তিব্র নজর! ঠাশ করে একটা থাবরা দিলেই ল্যটা শেষ। কিন্তু সে আছে দুটানায় । থাবরা দিবে কি দিবে না।

দবির মোল্লা লক্ষ করল ডাক্তার সাহেব ইনজেকশনটা দেওয়ার পর থেকেই স্যার একটু একটু করে সুস্থ হয়ে উঠছেন। এইতো পেটের মধ্যে এখন হাত নাই। নিষ্পাপ শিশুর মতে ঘুমাচ্ছেন। মশাটা বসেছে স্যারের চাপার বরাবর।

ঠাশ করে একটা শব্দ হল! আহা! এখানে কত মশা! ডাক্তার নার্স সব কোথায় গেল?

কে? কে? লাফ দিয়ে উঠে বসেলেন রফিকুল ইসলাম।

আমি ! আমি! কোন সন্ত্রাসী জঙ্গী না।

ও তুমি! কখন আসলা?

এইমাত্র! মশাতো রক্ত চুষে বেলুন হয়ে গেছে। কারো কোন হুস নাই।

আমার নজর ছিল ম্যাডাম। কিন্তু স্যারের চাপায় কিভাবে.............

আপনি কথা কম বলেন। আমার স্বামী স্ত্রী কথা বলছি আপনি থার্ট পারসন বাম হাত ঢুকাচ্ছেন কেন? আর শুনুন আমরা কথা বলার সময় আপনি বাইরে থাকবেন। যান এখনই যান।

জি আচ্ছা!

ওকে এভাবে কেন বলছ। জান ও না থাকলে আজ আমার কি অবস্থা হত। ওইতো আজ আমাকে এখানে নিয়ে এসেছে।

সে জন্য জুনিয়রদেরকে তুমি মাথায় তুলে নাচবা?

একটু আস্তে আরজু! এটা হাসপাতাল! কুল ডাউন! কে জুনিয়ার কে সিনিয়র এটার চেয়ে বড় হল সবাই মানুষ। মানবিক আচরন করতে হবে। দেখ না আমি মানুষকে মানুষ মনে করি নাই। উপরের নির্দেশে আহা কত জনকে যে গুলি করে মেরেফেলেছি অন্যায়ভাবে। অভিশাপ আরজু অভিশাপ। আজ আমারতো শেষ দিনই ছিল। কিন্তু একজন ফেরেশতার মত মানুষ আমাকে সাড়িয়ে তুলল। আমি এই চাকরি আর করব না । গ্রাম গিয়ে পালং শাক লাগব, বেগুন লাগব, লাউ লাগাব। ওতেই সুখ।

এই তোমার কি হয়েছে? শুনেছিলাম তোমার পেটে অসুখ। এখনতো দেখছি মাথায়ও সমস্যা। ডাক্তার কোথায় ? নার্স কোথায়?

কি হয়েছে? জানতে পারি ।

আপনিই কি আমার স্বামীর ট্রিটমেন্ট করছেন।

হ্যা আমিই!

ওরতো পেটে অসুখ তাই না!

তাইতো! ফুড পয়েজনিং থেকে এমনটা হয়েছে।

ফুড পয়েজনিং! হবেইতো যা পেটুক লোক। খাওয়ার কথা শুনলেই হুস থাকে না।

খাবার দুর্বলতা সবার একটু আধুটু আছে। ওনি সেরে যাবেন । ঘাবরানোর কিছু নেই।

কি বলছেন? ওরতো পেটের সাথে মাথাটাও গেছে ? তা কি জানেন? আবোল তাবোল বলছে কিসব!

জানি আমি! ওনি যা বলছেন তা কিন্তু ওনার অপরাধ বোধ জাগ্রত হবার কারনে বলছেন। প্রতিটি মানুষের মাঝে ভাল মন্দ দুটোই আছে। এদের মধ্যে পরিবেশ পরিস্থিতির কারনে মাঝে মাঝে দন্দ্ব হয়।মন্দকে পরাজিত করে ভাল যখন বের হয় তখন দুনিয়ার জন্য ভাল হয়।ওনার মাথা আসলে আগে বেঠিক ছিল আজ ঠিক হয়ে গেছে এক উসিলায়।

এই যে বলছে চাকুরী করবে না । গ্রামে চলে যাবে।এটাকে কি ঠিক বলে?

ওটা কথার কথা ! ওটা ঠিক হয়ে যাবে।

ডাক্তার সাহেব আপনি কিন্তু আমাকে চেনেন না । আমি এক কথার লোক যেটা বলেছি সেটা কিন্তু করব।আর নো উল্টা পাল্টা কাজ। ব্যাক টু দ্যা ভিলেজ।

অবশ্যই করবেন! কিন্তু আপনি চলে গেলে আরেকজন এসে কিন্তু সেই উল্টা পাল্টা কাজ গুলোই করবে। তাতে লাভ হলো কী? তারচেয়ে আপনি থেকে যেটা সঠিক সেটা করে যান এতে পরবর্তী মানুষগুলোতো ন্যায়বিচার পাবে।

ঠিক বলেছেনতো। এভাবেতো ভাবিনি। আপনি আসলেই একজন জিনিয়াস! আরজু জান! ওনার সাথে এক বছর আগে একটা ঘটানর মধ্য দিয়ে পরিচয়। খুব ভাল ডাক্তার! সবচেয়ে বড় কথা একজন ভাল মানুষ বটে।

ভাই আমি নিতান্ত সাধারন একজন মানুষ। যাক আপনাকে রিলিজ করে দিচ্ছি । আপনি সুস্থ। বাসায় চলে যেতে পারেন। আমার বাসায় একটা ব্যক্তিগত পোগ্রাম থাকাতে চলে যেতে হচ্ছে।আমি রিসিপশানে বলে দিয়েছি সব ফরমালিটিস ওখানে কমপ্লিট করতে হবে।

যান ভাই ! ধন্যবাদ! তবে সুস্থ থাকলে আমি আপনাকে একা ছাড়তাম না। চলে যেতাম আপনার বাসার ব্যক্তিগত প্রোগামে। জমিয়ে খাওয়া দাওয়া করা যেত কি বলেন। হা হা হা।

এখনো যেতে পারেন। আর আপনিতো আমাদের দুজনেরই পরিচিত।

আর ধুর ! ওটাতো ঠাট্টা করে বলেছি। পুলিশ হয়েছি বলে কি একটু রঙ্গরসও করতে পারবো না। কিন্তু দুজনের পরিচিত মানে কি? বুঝলাম না!

আমি আর সেই মেয়েটা যে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল। আমরা দুজন বর্তমানে স্বামী স্ত্রী। আর আজ আমাদের বিবাহ বার্ষিকী।

কি বলেন! সেদিন আপনারা বিয়েও করে ফেলেছেন।ভেরী সর্ট টার্ম রিলেশন এন্ড বিয়ে।

হা তাই ! সিচুয়েশটা এমনই ছিল যে যা হবার হয়ে গেছে।

তাহলেতো যেতেই হয়।

কে না করেছে চলুন ! ভাবিকেও সাথে নিবেন।

আমিও আছি স্যার। বাহির থেকে দবির মোল্লার কন্ঠ শুনা গেল।

আপনি আবারও আমাদের কথা শুনছিলেন। বিরক্ত প্রকাশ করলেন লায়লা আরজুমান।

চৌদ্দ.

আলেয়া বেগম শাশুড়িকে সহ্য করতে পারে না। সবসময় একটাই চিন্তা বুড়ি কবে মরবে। সেই শাশুড়ির পাসে বসে আজ সে সেবা করছে। কিন্তু মনে মনে চলছে অন্য খেলা।

কি জ্বালা! বুড়ির কিনারে বইসা থাকতে হইতাছে সবসময়। আমার কি আর অন্যকোন কাম নাই। কিন্তু কিছু পাইতে হইলে এই কষ্টটা করা লাগব।

নাটক করছে সে। নাটক করার অবশ্য একটা কারণ আছে। অনেক গয়নগাটি আছে বৃ্দ্ধার।এগুলো কখনো হাতছাড়া করেনি সে। সেই গয়নগাটিগুলো শাশুড়িকে ভুলিয়ে ভালিয়ে যদি নিতে পারে সেই চেষ্টা চলছে।

অসুস্থ শাশুড়ি বিছানায় শুয়ে বিরবির করছে। সে কান পেতে শুনার চেষ্টা করছে। গয়নার কথা কিছু বলে কিনা!

মরন! কেমন রে তুই! এত কষ্ট কেন দেস! নিলে নিয়া যা! মালেকুল মউত তুই কই? আয় আয় আমারে লইয়া যা। যা্ওনের আগে একটা কাম ছিল কামডা করা হইলনাগো।এইডাই আফসুস।

আম্মা আমনে কার লগে কথা কন?

আমার মউতের লগে কতা কই। মউতরে কইতাছি আমার মা মরা নাতিন ডারে বিয়া দেওনের পড়ে আসলে সুখ পাইতাম।

দেখেন আম্মা আমনে এসব কি কন। ফারজানা মা মরা হইব কেন? আমি হের মা না। ওর বিয়া নিয়া আমনে ভাইবেন না।

বউ তুমি আমার সামনে থেইকা যাও।আমার লগে রঙ্গ করবানা। আমি মউতের মদ্যে আছি। এসময় রঙ্গ ভাল লাগে না। হারাজীবন কইলা আকাশের মা ডাকতে অখন কও… (হাফানির টান উঠে হাফাতে থাকে বৃদ্ধা) তবুও কথা বলতে থাকে। বুজি তোমাগো মতলব বুজি। আমার গয়নার দিকেতো নজর। এই গয়না আমার নাতিন এর জন্য ওর বিয়ায় দিমু। কি সুন্দর গয়না পইরা জামাইরে লইয়া আমারে সালাম করব। দেইখা আমার দিল খুশ হইয়া যাইব। ও আল্লাহ আমার পরানডা এরপরে লও।

মোবারক হোসেনে ভোট কেন্দ্র থেকে বাসায় পৌছে ভেবেছিল মেয়ে হয়তো বাসায় তার আগে চলে এসেছে। কিন্তু আসে নাই। বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে বারান্দায় দাড়িয়ে বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছিল সে কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই। মেয়ের চিন্তায় মগ্ন। বৃষ্টি থেমেছে এসময় বাহিরে এ্যামুলেন্সের আওয়াজ শুনা যায় । এম্বুল্যান্স থেকে ফারজানাকে নামানো হল।তিনি ভেবে পাচ্ছেন না তাকে বলা হলো মেয়েটারে পুলিশ ভ্যানে পাঠানো হয়েছে। এখন এম্বুল্যান্সে কেন?

ও এম্বুল্যান্সে কেন? কি হয়েছে ? ওর তো পুলিশ ভ্যানে আসার কথা।আর ওরতো নাকি কিছুই হয় নাই।চেয়ারে বসা কেন?

সে অনেক কথা! পড়ে শুনবেন। বলল ডাক্তার নাবিল।

আপনার পরিচয়?

আমি ডাক্তার নাবিল।

ঘটনা শুনে কিংকতব্যবিমুর হয়ে তিনি তার স্ত্রীকে ডাকলেন-

ফারজানার মা ! ফারজানার মা! বাহিরে আস তারাতারি।তোমার মাইয়া এক্সিডেন্ড করছে।

আলেয়া বেগম দৌড়ে বাহিরে আসে। পিছনে শাশুড়ি ডাকতে থাকে।

কই যাও বউ ! কই যা্ও। কি হইছে? আমারে কেউ কইবা কি হইছে? কেউ কিছু কয় না কেন? হাফানির টান বেড়ে যায় আরো।

আমারে না ফারজানার মা বলতে ….…. এটুকু মুখে এনে আর বলতে পারে না। সামনে হুইল চেয়ারে বসা ফারজানাকে দেখে ঢোক গিলে ফেলে। কি হইছে আমার আম্মাজানের! আহলাদে গদ গদ হয়ে দৌড়ে গিয়ে ফারজানার মাথায় হাত রাখে সে।

ঘরের ভিতরে ধরাম করে একটা শব্দ হলো!হঠাৎ শব্দে সবাই চমকে উঠল।

কিসের শব্দ হলো! ভিতর তো আম্মা আছে! মোবারক সাহেব সাহেবর গলায় উৎকন্ঠা।

ভিতরে যেয়ে সবাই দেখে বৃদ্ধা সুফুরা বিবি মেঝেতে উপর হয়ে পড়ে আছে। আর ফারু ফারু বলে ডাকছে।

দাদি! দাদি! আমি এইতো এইখানে দাদি; হুইল চেয়ার নিয়ে দাদির কাছে চলে যায়।

নাবিল ডাক্তার মানুষ। স্বভাব বসতই সে বৃদ্ধাকে কোলে করে খাটে শুইয়ে দিল। পালস দেখল।চোখ দেখল।পালস বিট অস্বাভাবিক মনে হলো।

ওনার অবস্থা খুব একটা ভাল মনে হচ্ছে না। ওনাকে এখনই হাসপাতালে নিতে হবে। এম্যাম্বুলেন্সতো সাথেই আছে।

আপনি যেমন ভাল বুঝেন ।বললেন মোবারক হোসেন।

সফুরা বেগম একটা ঘোরে চলে গেছেন তার সামনে বসা ছেলেটাকে তার নাতজামাই মনে হলো। সে ডাকছে ফারু ! ও ফারু জামাই আইছে ! ওরে কিছু খাইতে দে? শক্ত করে ছেলেটার হাত ধরে আরেক হাত দিয়ে ফারজানার হাত ধরে।থাকে।

নাবিল বলে ফারু কে?

আমার মেয়ে ফারজানার নামই ফারু।

উনিকি বিবাহিত?

নাতো ! কেন ডাক্তার সাহেব? একথা বলছেন কেন?

নাবিল নিজের হাতটা দেখিয়ে বলে ওনি আমার হাতটা ধরে দেখুন কি বলছে। জামাই জামাই….

মোবারক আর আলেয়া বৃদ্ধার মুখের কাছে যেয়ে শুনতে চেষ্টা করে। সফুর বেগম
বির বির করে বলছেন, জামাই আমার ফারুরে কষ্ট দিও না। ওরে দেইখা রাইখ। তোমার হাতে আমার ফারুর হাত দিলাম এইটা কখনো ছাইরো না।হাফাতে থাকে সাথে কাশি। নাবিল হাতটা ছাড়িয়ে নিয়ে আবার পালস দেখার চেষ্টা করে কিন্তু বৃদ্ধার হাত থেকে ছাড়াতে পারনি। আমারে জামাই কথা দাও ওরে দেইখা রাখবা।ফারু গয়নাগুলো পইরা একটু সাইজা আয় তোরে দেখি। প্রান ভইরা দেখি।

বৃদ্ধার এই অদ্ভুত আচরনে অস্থস্তিকর একটা পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে যায় সবাই।

কিন্তু এ অবস্থায়ও আলেয়া বেগম গয়ানার কথা ভুলেনি। গয়না তাইলে তোর কাছে!

হ্যা গয়নাতো দাদি আমার কাছেই রাখে সব সময়!

তোমাগো পেচাল বন্ধ করবা। ডাক্তার সাহেব কিছু মনে করবেন না ।আমার মাতো অসুস্থ বুঝতেই পারছেন। কিসব বলছে।

না না ঠিক আছে। ওনার পালসটা একটু দেখা দরকার। হাতটা ছাড়ছেন নাতো!

সায় দেন! ছাইরা দিব। আলেয়া বেগম বলে উঠল।

ঠিক বুঝ লাম না!

বাদ দেনতো ওর কথা। মা ! ছাড়ো ও তোমার নাতিন জামাই হয় কেমনে? ওনি ডাক্তার।

আসলে ওনি একটা ঘোরের মধ্যে চলে গেছেন। এই সময় কোনটা বাস্তব কোনটা কল্পনা সেটা বোঝা কঠিন। আমার মনে হচ্ছে ওনি ওনার নাতনির বিয়ে নিয়ে খুব ভাবতেন। এই বিয়ে নিয়ে ওনার মনের জগতে একটা আলদা স্বপ্ন ছিল। এখন সেটাই প্রকাশিত হচ্ছে।

জামাই কথা কও না কেন? আমার ফারুরে তুমি আজিবন দেইখা রাখবা কও দেইখা রাখবা?

আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে যাচ্ছে সফুরা বেগমের সার শরীর। নাবিল বুঝতে পারছে সময় শেষ।

আপনাদের ঘরে কুরাআন শরীফ আছে?

কি কন মুসলমানের ঘর ! আর কুরআনে পাক থাকব না! আলেয়া বেগমের উত্তর।

সুরা ইয়াসিন পড়েন । ওনার মাথার কাছে বসে। হাসপাতালে আর নেয়া যাবে না। ওনার শেষ সময় উপস্থিত মনে হচ্ছে।

মোবারক সাহেব কুরআন পড়ছিলেন।

সফুরা বেগম তখনও ক্ষীন স্বরে বলে চলছেন আমার ফারুর জামাই । আমার আদরের জামাই! কও ! কও! নিস্তেজ হয়ে যান একসময়।

কি জানি কি মনে করে নাবিল বলে ঠিক আছে। কিন্তু বৃদ্ধা সেই উত্তর শুনার আগেই পারি দেন অন্য এক ভুবনে।

লাশ দাফন কাফন করে গোরস্তান থেকে ফিরে নাবিল বলে, আপনাদের আপত্তি না থাকলে আমি আপনাদের মেয়েকে বিয়ে করতে চাই।তাছাড়া আমি এ মৃত মানুষটির কাছে ওয়াদা বদ্ধ হয়ে গেছি। আমি এখন বিয়ে যদি করি ওনাকেই করব । আপনাদের আপত্তি থাকলে আমাকে সারাজীবন বিয়ে না করেই থাকতে হবে।

না আপত্তি কিসের বলে উঠল স্থানীয় একজন । এটাতো মোবারক মিয়ার জন্য খুবই ভাল খবর। মোবারক তুমি কি কও?

না মানে! মৃত বাড়ি শোকের সময়!

তুমি রাজি থাকলে পড়েই বিয়া হইব!

ডাক্তার সাহেবের পরিবার পরিজন আছে না! ওনাদের একটা মতামত।

আমার পরিবারের বলতে আমার বাবাইতো তাকে জানানো হয়েছে।আমি চাই বিয়েটা আজই করতে। যেহেতু মৃত বাড়ী শোক। তাই আপাতত রেজিষ্ট্রীটা করব। আমার স্বাক্ষী হিসেবে থাকবে হাসান।আমার ছাত্র।

একবছর হয়ে গেছে দাদি চলে গেছে।দাদির কথা মনে করে ফারজানার কান্না পাচ্ছে। দাদির পাগলামীর কারনে সেই দিনেই স্থানিয় কাজী অফিসে তার রেজিষ্ট্রী বিয়ে হয়। এক মাস পড় সে স্বামীর বাড়িতে আসে।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ