চারঃ

বিশ মিনিটের মাথাতেই রি-ইনফোর্সমেন্ট চলে আসলো। ক্যাম্পটাকে তিনদিক দিয়ে সেনাদের ঘিরে ফেলতে বললাম। চতুর্থদিক দিয়ে কমান্ডোরা গুপ্ত হামলা চালাবে। পরিকল্পনামাফিকভাবে আক্রমণ শুরু হলো। তীব্র প্রতিরোধ করছে আরাকান আর্মিরা তাদের ঘাঁটি থেকে।

প্রায় ঘণ্টা তিনেক ব্যাপক বন্দুক যুদ্ধের পর আস্তে আস্তে স্তিমিত হয়ে আসছিল তাদের প্রতিরোধ। এবার পালা কমান্ডোদের। নির্দেশ পেতেই আক্রমণ চালালো তারা। প্রতিরোধের সর্বোচ্চ চেষ্টাটাই করে দেখালো আরাকান আর্মির সদস্যরা। কিন্তু বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সুদক্ষ কমান্ডোদের তীক্ষ্ণ রণকৌশলের সাথে পেরে উঠলো না। পরবর্তী মাত্র আধা ঘণ্টার মধ্যেই ক্যাম্পটা সম্পূর্ণরূপে দখল করে নিল বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী। পাহাড়ের গভীর থেকে তাদের রি-ইনফোর্সমেন্ট আসতে পারে এই ভেবে আমাদের বেজ ক্যাম্পে মেসেজ দিলাম যেন অতিরিক্ত দুই প্লাটুন সৈন্য পাঠানো হয়। আপাতত ক্যাম্প পাহারায় সতর্কভাবে নিয়োজিত রয়েছে আক্রমণকারী সৈন্যরাই।

কমান্ডোদের নিয়ে পুরো ক্যাম্প তন্নতন্ন করে সার্চ করা হলো। আরাকান আর্মির প্রায় ১৮ সদস্যের মৃতদেহ পাওয়া গেলো। আহত অবস্থায় গ্রেফতার করা হলো আরো ৩৯ জনকে। এছাড়াও ক্যাম্পের অন্যান্য কাজে নিয়োজিত ১১ জন পাহাড়িকে গ্রেফতার করা হলো। এদের অনেককেই জোর করে কাজ করানো হয়। কিন্তু মেজর ওয়ালিদের কোন অস্তিত্ব নেই। তবে এক পাহাড়ির জবানবন্দি অনুসারে উদ্ধার করা হল আরিশা চাকমাকে।

শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকায় তাকে দ্রুত বেজ ক্যাম্পে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। বেজ থেকে তিন প্লাটুন সৈন্য এসে ক্যাম্পের দায়ভার নিতেই আমরা রওনা দিলাম। বেজ ক্যাম্প পৌঁছে প্রথমেই আরিশাকে মেডিকেল ক্যাম্পে নেওয়ার নির্দেশ দিলাম।

আমাদের পৌঁছানোর খবর শুনে ছুটে এলেন ক্যাম্প কমান্ডার কর্ণেল ফারুক।
আরিশা কে দেখেই বলে উঠলেন, “ আরে এই তো সেই মেয়ে! ”
- কোন মেয়ে ??
অবাক হয়ে জানতে চাইলাম।

“ আপনাকে বলা হয়নি। মেজর ওয়ালিদ নিখোঁজ হওয়ার পর বেশ কয়েকবার এসেছিল তার খবর নিতে। বেশ উৎলা হয়ে গেছিল। ওয়ালিদের সহযোগী এক লেফট্যান্ট জানিয়েছে যে তাদের মধ্যে ভালো প্রেমের সম্পর্ক ছিল! ”
- ইন্টারেস্টিং ব্যাপার তো!
- হ্যাঁ। এখন তো তাই মনে হচ্ছে। তখন তার আচরণ দেখে আমরা ভেবেছি একজন প্রেমিক হারিয়ে প্রেমিকার দুশ্চিন্তা মাত্র। কিন্তু এখন দেখি সিরিয়াস ব্যাপার। আমাদের ব্যর্থতা দেখে নিজেই গেছিল মনে হয় ওয়ালিদের খবর নিতে।
- নিশ্চয়ই কিছু অনুগত পাহাড়ি নিয়ে গেছিল। কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে আরাকান আর্মিদের হাতে ধরা পড়েছিল। তবে একটা কথা, উনি যদি চাকমা রাজার মেয়েই হন তাহলে চেহারা পাহাড়িদের মত না কেন? চেহারা তো পুরা খাঁটি বাঙালি নারী! এই ব্যাপারে কিছু জানেন?

“ জানি! এই এলাকার বিখ্যাত কাহিনী আছে এই মেয়ে নিয়ে। ”
- তাই নাকি ? কি এমন কাহিনী ?

“ স্যার, চট্টগ্রাম থেকে মেজর জেনারেল আনিসুর রহমান স্যার আপনাকে ডাকছেন? ”

কাহিনীটা আপাতত সময়ের জন্য বলা হল না কর্ণেল ফারুকের।
ছুটে গেলেন আমাদের এই বেজ ক্যাম্পের সকল অভিযানের সর্বশেষ খবর দিতে।

পাঁচঃ

ঘুম থেকে চোখ মেললো মেজর ওয়ালিদ। সরু খাটটার পাশে তাকাতেই চোখ পড়লো স্মৃতির উপর। একটা চেয়ারে বসে আপনমনে গুণগুণ করছিল। ওয়ালিদকে চোখ মেলতে দেখেই ব্যস্ত হয়ে উঠলো।

“ বাহ! ঘুম ভেঙেছে আপনার ? ”
- হ্যাঁ। কিন্তু ...
- কোন কিন্তু নেই। আগে বলুন আপনার কেমন লাগছে এখন ?
- আগের চেয়ে ভালো। তবে কেমন যেন ঘোরের মধ্যে আছি।
- ঠিক হয়ে যাবে। ভেষজ ঔষুধ তো, একটু এরকম লাগবেই।
- তাই বুঝি?
- জ্বি তাই।

এক মূহুর্ত চুপ রইলো মেজর ওয়ালিদ। মনে মনে বলার মত কথা খুঁজছে।
“ আচ্ছা, আজকে কত তারিখ ? ”
- ৫ তারিখ, অক্টোবর মাসের।
- কি?!
ভীষণ রকমের ধাক্কা খেয়েছে সে।

“ জ্বি ৫ তারিখে কোন সমস্যা আছে আপনার? ”
- না মানে আমাদের অভিযান ছিল অগাস্টের ২৬ তারিখে, আর আজকে ৫ তারিখ। পুরো ১০ দিন পেরিয়ে গেছে। তারমানে আমি নিশ্চিত সামরিক বাহিনী অবশ্যই আমার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। এইদিকে আসেনি তারা ?
- নাহ। এই এলাকা অনেক দূর্গম, আর সামরিক বাহিনী সম্ভাব্য আরাকান আর্মিদের থাকার জায়গা এবং ক্যাম্পগুলোতে অভিযান চালাচ্ছে, এই দিকে যে বসতি আছে এটা মনে হয় তাদের জানা নেই অথবা থাকলেও এখানে আপনি নেই এটা বোধহয় তারা অনুমান করে নিয়েছে।
- অসম্ভব। বসতি থাকুক আর না থাকুক তারা অভিযান চালাবেই। আমাদের নিয়মই এটা। বিন্দুমাত্র অনুমানের উপর নির্ভর করে না কেউ।
- কি জানি! হয়তো তারা ভীষণ ব্যস্ত। আরাকান আর্মিদের অনেক শক্ত ঘাঁটি আছে এই এলাকার মধ্যে।
- কোথায় আছে ? আপনি জানেন ?
- নাহ জানি না। তবে এই এলাকার লোকেরা বলেছে। তারা বিভিন্ন কাজে জঙ্গলে গেলে দেখে।
- তারা কি করে বুঝে কোনটা আরাকান আর্মি আর কোনটা বাংলাদেশ আর্মি।
- আপনি কি পাহাড়িদের এতই বোকা ভাবেন?
কণ্ঠে ক্ষোভটা স্পষ্ট স্মৃতির।

“ না মানে তারা তো অশিক্ষিত, তাই বলছিলাম আরকি। ”
- তারা অশিক্ষিত হতে পারে, মেজর কিন্তু তারা বোকা না। বাঙালি আর আরাকানি এই দুই জাতির চেহারা যে দেখলেই অনুমান করা যায় এটা তো পাহাড়ি একজন ১০ বছরের বাচ্চাও জানে।
- আচ্ছা তারা কি বাংলাদেশ আর্মিদের ওই জায়গাগুলো দেখিয়ে দিতে পারবে?
- নাহ।
- কেন ?
আরেকদফা অবাক হতে হলো মেজর ওয়ালিদকে।

“ কারণ তাদের অনেকেই আরাকান আর্মিদের ক্যাম্পে কাজ করে, ওইখানে কাজ করে ভালো বেতন পায়। আর আরাকান আর্মি যদি জানে এই এলাকার মানুষ কোন তথ্য দিয়েছে তাহলে ভয়ংকর অবস্থা হবে এদের। ”
- কেন ? বাংলাদেশ আর্মি তো আছেই।
- এটা আপনি বলছেন। কিন্তু বাস্তবতা এটা না। বাঙালিরা পাহাড়িদের প্রতি দরদ খুব কমই দেখিয়ে এসেছে। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকেই তারা জানে যে বাংলাদেশ আর্মি তাদের কতটুকু রক্ষা করবে। আপনার কি ধারণা এমনি এমনি তারা আরাকান আর্মিদের অত্যাচার সহ্য করে যাচ্ছে!
- অত্যাচার?
- জ্বি, ভয়াবহ অত্যাচার। এই বসতির এমন একটা মেয়েও বোধহয় বাকি নেই যে ওই ক্যাম্পে গিয়ে নির্যাতনের মুখোমুখি হয়নি।
- কি বলছেন এসব ?
- যেটা সত্যি।
- আপনিও কি তাহলে ...... ?
- নাহ। ওটা চাইলেও ওদের পক্ষে সম্ভব না।
বলেই একটা শীতল মুচকি হাসি দিলো স্মৃতি।

এইবার কেন জানি হাসিটা ভয়ঙ্কর লাগলো মেজর ওয়ালিদের! আশ্চর্যরকম ভয়ঙ্কর। গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো তার।

ছয়ঃ

থানছির বেজ ক্যাম্পে বসে আছি। আপাতত কোন কাজ নেই। গত দশ দিন ধরে একটানা অভিযানেও মেজর ওয়ালিদকে উদ্ধারে সম্ভব হয়নি। আপাতত চট্টগ্রাম থেকে নির্দেশ এসেছে এই অভিযান অল্প সময়ের জন্য বন্ধ রাখার। আমার উপর অবশ্য তদন্ত চালিয়ে যাবার নির্দেশ আছে। আর সেনাবাহিনীকে আরাকান আর্মিদের ক্যাম্প খুঁজে বের করে সেগুলো দখলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উপর থেকে এই নির্দেশ আসার কারণ গ্রেফতারকৃত আরাকান আর্মির সদস্যদের জবানবন্দি। সেই জবানবন্দি তে আসলে কি কি বলেছে তারা সেটা জানি না। তবে এটা জানি যে মেজর ওয়ালিদের নিখোঁজের ব্যাপারে তারা আমাদের চেয়েও অন্ধকারে আছে।

কি করে সম্ভব সেটাই ভাবছি। দীর্ঘ দশদিন ধরে নিখোঁজ একজন অফিসার এমন একটা এলাকায় যে এলাকায় সামরিক বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে পাশাপাশি রয়েছে একটা ভয়ংকর টেরোরিস্ট গ্রুপের তৎপরতা। এত কিছুর মধ্যে কি করে একজন সামরিক কর্মকর্তা নিখোঁজ থাকে!

যতই ভাবছি ততই অবাক হচ্ছি আমি। আচ্ছা আরিশা কি কিছু বলতে পারবে? সে কেন ছুটে গেছিল ওই জায়গাতে? কিভাবে তথ্য পেয়েছিল যে ওইখানে ওয়ালিদ থাকতে পারে। আর সে কি করে চাকমা রাজকুমারী হয়? সে তো পুরোদস্তুর বাঙালি কন্যা।

আচ্ছা কর্ণেল ফারুক যে বলেছিলেন এই মেয়ে নিয়ে কাহিনী আছে সেটাই বা কি! আপাতত উনি ক্যাম্পে নেই। চট্টগ্রামে গেছেন সেকেন্ড ইন কমান্ড, চার্লি কমান্ডের অধিনায়কসহ আরো কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। আমাকেও যেতে বলেছিলেন কিন্তু ইচ্ছা ছিল না। কিছুটা সময় ভাবার জন্য দরকার ছিল আসলে। সেজন্য আমার ইউনিট থেকে সহকারী একজন অফিসারকে পাঠিয়েছি।

এখন তাই বসে বসে ভাবছি। পুরো ব্যাপারটাই জট পাকাচ্ছে, যতই ভাবছি ততই নতুন নতুন জট লাগছে। সমাধানের কোন উপায় তো পাওয়াই যাচ্ছে না। খুব অসহায় লাগছে নিজেকে।

“ স্যার, আরিশা চাকমার জ্ঞান ফিরেছে। ” - নীরবতা ভেঙ্গে দিল একজন মেডিকেল ক্রু। ওদের বলে রেখেছিলাম যাতে আরিশার জ্ঞান ফিরলে সাথে সাথে আমাকে জানায়। সেটাই করেছে তারা।

ভাবনার জগৎ থেকে বাস্তবে ফিরে এলাম। যাই কথা বলে আসি তার সাথে। দেখি কি বলেন এই বাঙালি চেহারার চাকমা রাজকুমারী, যে কিনা আবার নিখোঁজ সামরিক কর্মকর্তার প্রেমিকাও !

মেডিকেল ক্যাম্পের তাঁবুর বিছানায় আধশোয়া অবস্থায় বসে আছে আরিশা। আরাকান আর্মির এক সদস্য তাকে মাথায় বন্দুকের বাঁট দিয়ে আঘাত করে বেহুঁশ করে দিয়েছিল। এখন অবশ্য তাকে অনেকটাই সুস্থ মনে হচ্ছে।

আমাকে দেখেই কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে বলে উঠলো,
“ ‍আপনিই কি সেই কর্মকর্তা যে ওয়ালিদের খোঁজে ক্যাম্প থেকে উত্তরে অভিযান চালিয়েছিলেন? ”
- জ্বি আমিই সেই কর্মকর্তা, কমান্ডার আব্দুল্লাহ। কিন্তু আপনি কেন সেখানে এত ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছিলেন?
- শুনুন, ওয়ালিদ এক ভয়ংকর দেবীর, না না দেবী বললে ভুল হবে, ডাইনী, হ্যাঁ এক ডাইনীর কবলে পড়েছে।
- দেখুন, আমি আপনার অবস্থা বুঝতে পারছি ...
কিন্তু কথা শেষ করার আগেই আরিশা বলতে থাকলো,

“ আপনি আমাকে পাগল ভাবছেন জানি আমি। সবাই ভাববে, এটাই স্বাভাবিক। সেইজন্যই আমি নিজেই ছুটে গিয়েছিলাম কিন্তু দূর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ডাইনী আরাকান আর্মিদের মধ্যে আমার খবর দিয়ে দিয়েছিল। আপনি ভাবতেও পারবেন না সে কতটা শক্তিশালী। মানুষের স্মৃতিশক্তি নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে তার। নামই তার স্মৃতিশ্বর। আমার কথা বিশ্বাস হোক না হোক আপনি দয়া করে ওই ক্যাম্পের পশ্চিমে ১০ কি.মি. দূরে অভিযান চালান। আমার কথার যথার্থতা পেয়ে যাবেন। আমি জানি আপনারা ওই এলাকাতে অভিযান চালাননি। আপনি হয়তো অবাক হবেন কিন্তু বিশ্বাস করুন সেই ডাইনী আপনাদের ওই এলাকার কথা ভুলিয়ে দিয়েছে। ”
- কিন্তু ...
- আর হয়তো ভাবছেন আমি এসব জানলাম কিভাবে। স্বাভাবিক প্রশ্ন। আমি স্বপ্নে দেখেছি। আমার কিছু অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা আছে। হয়তো এটাও ভাবছেন তাহলে আমি কেন আমার ক্ষমতা ব্যবহার করে আরাকান আর্মিদের হাত থেকে বাচঁতে পারলাম না। এখানেও ওই স্মৃতিশ্বরের ভূমিকা আছে। কিছু সময়ের জন্য সে আমার উপরেও প্রভাব রাখতে পেরেছিল। আমি তার মত অত শক্তিশালী না। সে তার শক্তিমত্তা দিয়েই ওয়ালিদকে আরাকান আর্মিদের থেকেও বাঁচিয়ে রেখেছে। তবে সে ওয়ালিদকে ভালোবাসলেও আমার মত ভালোবাসতে পারবে না।

আর সহ্য করতে পারলাম না আমি। আরিশার কাছ থেকে “ একটু আসছি ” বলে চলে আসলাম। কি সব কাহিনী বলছে মেয়েটা এগুলো। ভয়ানক ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেছি আমি।

এমন সময়েই দেখলাম হেলিকপ্টারে করে ফিরে এসেছেন কর্ণেল ফারুক সহ অন্যান্যরা। ছুটে গিয়ে চার্লি কমান্ডের অধিকনায়ক লেঃ কর্ণেল আসাদ কে জিজ্ঞেস করলাম, “ আচ্ছা আপনারা কি আরাকান আর্মিদের ওই ক্যাম্পের পশ্চিমে অভিযান চালিয়েছিলেন? ”

প্রশ্ন শুনে ভয়ানক একটা ধাক্কা খেলেন আসাদ।
“ না তো ওইখানে অভিযান চালানোর কথা তো আমার মাথাতেই আসে নি। ”

তারমানে কি আরিশা ঠিকই বলছে? এতজন দক্ষ সামরিক কর্মকর্তা একই ভুল করবে। অসম্ভব মনে হচ্ছে। একটাই উপায় এখন। ওই এলাকাতে অভিযান চালানো।

মন বলছে ভয়ানক এক বিপদে জড়াতে চলেছি। আমরা ট্রেইনড হয়েছি মানুষের সাথে লড়াই করার জন্য, কোন অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার বিরুদ্ধে আমরা কিভাবে লড়াই করব! আদৌ কি অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা নাকি অন্যকিছু? আরো ভয়ংকর কিছু?

জানতে হলে অভিযানের কোন বিকল্প নেই। সাথে সাথেই ডেল্টা কমান্ডের ৫ জন কমান্ডোকে প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিলাম আমি। দেখা যাক আরিশার কথা কতখানি যথার্থ তবে এটা ঠিক আমাদের একটা ভুল সে ধরিয়ে দিয়েছে। যদি অভিযান সফল হয় তবে আমরা সবাই তার কাছে কৃতজ্ঞ হয়ে যাব আজীবনের জন্য।

... (চলবে) ...
অনূসুয়া- অ্যান আনসলভড মিস্ট্রি (১)

0 Shares

৪৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ