অবশেষে 'অদম্য বাংলাদেশ' এর চার সদস্যের মুক্তি মিললো!

গত ১২ সেপ্টেম্বর বনশ্রীর ‘সি’ ব্লকের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে পাচারকারী সন্দেহে ১০ শিশুসহ আরিফুর, জাকিয়া, ফিরোজ ও হাসিবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারপর থেকেই সংবাদপত্র, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে তাঁদের পক্ষে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। তাঁরা যে নির্দোষ সে ব্যাপারে আর কোনরকম সন্দেহ থাকে না।

এমনকি ওই ১০টি শিশুর মধ্যে ৯টি শিশুই প্রতিবাদ করে এবং জানায় যে, তারা এদের কাছে ভালো আছে। তবুও আরিফুর, জাকিয়াদের মুক্তি মিলে না।
আবার যে শিশুটির অভিভাবক এদের বিরুদ্ধে সন্দেহ পোষন করে অভিযোগ করেছিলো, তিনিও ওরা পাচারকারী নয় নিশ্চিত হয়ে মামলা তুলে নেন, তারপরও কেনো বা কি কারনে যেনো ওদের আর মুক্তি মিলে না।

শেষপর্যন্ত যখন একজন সাংবাদিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়ে ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন এবং মুহূর্তেই তা শত শেয়ারিং হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে তারপরই ওদের গারদের তালা খুলে যায় আর তাঁরা মুক্ত বাতাসে বেরিয়ে আসেন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে-
* সব ব্যাপার কেনো প্রধানমন্ত্রীকেই দেখতে হয়?
* তাহলে যাদের উপর দায়িত্ব দেয়া আছে তাঁরা কিজন্য সঠিক তথ্য পাওয়ার পরও কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন নি।
* নির্দোষ হয়েও কেনো যথাযথ সাক্ষি-প্রমাণ থাকার পরও তাঁদের এতোদিন জেলে আটকা পড়ে থাকতে হলো?

যাহোক, ব্যাপারগুলো অবশ্যই জানা দরকার।

এবার কি তাঁদের একটু পুরস্কৃত করা যায় না? নিজের খেয়ে, নিজের পরে, নিজের ঘাটের পয়সা খরচ করে সমাজ বিনির্মাণে সেচ্ছাসেবা দিতে গিয়ে ভুলক্রমে তাঁরা যে হাজতবাস করলেন! তাঁদের মন থেকে সে দাঁগ তো মুছে দেয়া জরুরী।
তা না হলে যে ভবিষ্যতে এমন কাজে কেউ এগিয়ে আসতে চাইলেও সাতবার ভাববে।

ভালো লাগছে, সেচ্ছাসেবী নিরপরাধ ছেলেমেয়েগুলো আজ কতোদিন পর মুক্তবাতাসে শ্বাস নিচ্ছে.......
ভালো থাকুক ওরা এবং ওদেরকে ঘিরে থাকা সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা!

0 Shares

১২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ