অণুগল্প

নীরা সাদীয়া ১১ মে ২০১৭, বৃহস্পতিবার, ০৯:৩৬:৩২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি, কবিতা, সাহিত্য ১৭ মন্তব্য

ধূসর বালিকা হেঁটে চলে অজানার পথে
ধূলিময় তীর ঘেঁষে, আপনার সাথে।
এক নদী জল নিয়ে তিতাস দাঁড়ায়ে
বলল, হে বালিকা,যাবে হারায়ে!
তুমি আমি হারাব অজানা পাহাড়ে
পাশে রব গানে, স্নানে,নিদে,আহারে।
বালিকা ভেবে কয়, সাঁতার জানিনে,
তরী নেই, বৈঠা নেই, নিঃস্ব জীবনে।
এই বলে বালিকা ধরে ফের পথ,
নিঃস্ব বালিকার সঙ্গী মনোরথ।
একবার ভাবে মনে তিতাসের সনে,
মিশে গিয়ে পাব কি সুখ জীবনে?
নানারকম জল নিয়ে এসে দানিয়ুব
থামায় বালিকাকে ভালবাসে খুব।
বালিকা ভাবে তবে পরীক্ষা করি,
দানিয়ুব সৎ নাকি সব চাতুরী?
চুপ রহে বালিকা,খেয়াল গতিবিধী,
পরক্ষনে জানে সে বহুমুখী নদী।
কিছুদূর পাড়ি দিয়ে একা চুপচাপ,
ফিরে আসে তিতাসে,দেবে নাকি ঝাঁপ?
তিতাস তখন মশগুল গোমতীর সাথে
রাত্রিতে গোমতী,মনু প্রভাতে।
গোমতী যখন রাগে শোকে করে অভিমান,
তিতাস তখন ভাঙাতে যায় মেঘনার মান।
এভাবে ঘুরে ফিরে মনু কিংবা বালাই,
সবদিকে অভিসারে মজে রয় কানাই।
এসব দেখে বালিকা বিভ্রান্ত হয়,
শূণ্য জীবন ভাল তবু, দুষ্ট গরু নয়।
অতপর চুপচাপ নীল নদ বসে,
আকাশের তারা গুনে এক নিশ্বাসে।
নীল নদ একা রয় বালিকা যেমন
দুজনের ভাব হয় মজে প্রেমে মন।

দুজনে মিলে আজ একটি নদী,
নীল নদ বালিকা বহে নিরবধি।

.
নীরা সাদিয়া
০২.০৫.১৭
.
টুকিটাকি
★তিতাস, বালাই,মনু, গোমতী ইত্যাদি মেঘনার শাখানদী।
★দানিয়ুব আন্তর্জাতিক নদী, মধ্য ইউরোপের ১০ টি দেশ অতিক্রম করেছে।
★নীল নদ হলো পৃথিবীর দীর্ঘতম একক নদ।

0 Shares

১৭টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ