সেই একদিন তুমি এসেছিলে!
সেই একদিন তুমি বলেছিলে!
সেই একদিন তুমি সন্ধ্যার মুখে প্রদীপ জ্বালিয়ে
মনের পিপাসা মেটাতে হৃদয় উজাড় করে দিতে!
তুমি এসেছিলে!
আজও মনে পড়ে সেই ভীতু চাউনি !
নরম আলিঙ্গন !
সেই শিউ রে উঠা প্রথমবার!
তারপর সেইদিন কেটে গেল
এক ঝাঁক বন্দী পায়রা উপর দিয়ে উড়ে গেল
মনে হল ,দুপুরের মেঘ কেটে নির্মল আলো ছড়িয়ে পড়ল আনাচে কানাচে!
লোহার বেদনা নিরব যন্ত্রণা
পরিষ্কার আকাশ অপেক্ষা করছে সোনা বৃষ্টির !
আষাঢ়ের প্রথম মেঘের অভিমানী বিদ্যুতের ঝলকানি!
নিরব থমথমে প্রকৃতি লুকোচুরি খেলছে!
কাজলা মেয়েটি
জলে ভরা চোখ নিয়ে শালুক তুলছে
এদিক ওদিক সাপেরা খেলা করছে
তবু সে নির্ভীক আপনমনে কাজ করে চলেছে
বিষাদেও হাসি আসে সে হাসি অমূল্য
বিবেকের চতুরতায় মন হাসে
কুটিলতার একশেষ দন্ডমূল্য!!!!?
========
কোলকাতা
২১ সেপ্টেম্বর
Thumbnails managed by ThumbPress
৩০টি মন্তব্য
ব্লগার সজীব
দুটোই ভালো লেগেছে,তবে প্রথমটি বেশী ভালো মনে হয়েছে আমার।
অরুণিমা
পাঠকের ভালো লাগাতেই আমার আনন্দ।ধন্যবাদ দাদা।
জিসান শা ইকরাম
আপনি নিয়মিত লিখছেন দেখে ভালো লাগছে।
কবিতা আপনি সব সময়ই ভালো লেখেন -{@
অরুণিমা
ধন্যবাদ দা আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
দ্বিতীয় লেখাটি আমার বালিকা সময়কে ছুটোছুটি করালো কিছুক্ষণ জানালা খোলা রোদ্দুরে। চারদিকে সাপ, এরই মধ্যে বেড়ে ওঠা, স্বপ্ন দেখা, হাল্কা যন্ত্রণা, বিষাদের গোপন জল আকাশের কাছে। যতো বড়ো হয় ততোই শেকল পড়িয়ে দেয়া হয়, পায়ের নূপুর কি আসলে সুরের জন্যে?
“মেয়ে তুমি কোন পথে যাও,
কোথায় তাকাও?
জানতে যে চাই
নূপুর বলে শব্দ শোনো
খবর ঠিকই পৌঁছে যাবে
যেখানেই যাই।”
প্রতিটি মেয়েই তো এমন জীবনকে আঁচলে জড়িয়ে নিয়ে চলে। দিদি খুব ভালো লাগে এমন লেখা তোমার। -{@
অরুণিমা
আপনার ভালো লাগায় আমি আনন্দিত দিদি।ধন্যবাদ আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অনেক ভালো লেখেন, ভালো না লেগে উপায় আছে? -{@
অরুণিমা
আবারো ধন্যবাদ 🙂 -{@
ছাইরাছ হেলাল
কত সহজে সব কিচ্ছু সুন্দর করে অবলীলায় বলে ফেললেন!!
দন্ডমূল্য আমাদের দিতেই হয়, অনিচ্ছায় হলেও।
অরুণিমা
ধন্যবাদ দাদা,লেখায় প্রেরণা যোগায় এমন মন্তব্যে।
ইমন
ইউ মেইড মাই মরর্নিং। অনেক ভালো হইছে। (3
অরুণিমা
ধন্যবাদ দাদা।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
সেই’….জিনিসটা বড়ই অভাব।কবিতা ভাল লাগল।ঈদ শুভেচ্ছা -{@
অরুণিমা
আপনাকেও শুভেচ্ছা দাদা -{@
সিকদার
দুইটিই সুন্দর হয়েছে তবে প্রথমটি হৃদয়ের অলিন্দে পুরনো হাওয়ার দোলা দেয় । প্রথম প্রেম কখনো ভোলা যায় না ।
অরুণিমা
হ্যা,ভোলা যায় না।ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
খুব সুন্দর দুটো কবিতাই। পরের টা বেশি ভাল লেগেছে।
কাজলা মেয়ে জল ভরা চোখে শালুক তুলছে, এদিক ওদিক সাপেরা খেলা করছে। দারুন দুটি লাইন। -{@
অরুণিমা
সাপদের চোখের দৃষ্টির সামনেই আমাদের দিন কাটে শুন্যদি।ধন্যবাদ আপনাকে।
অরুনি মায়া
পরিশেষে সেই একদিন হারিয়ে গেল,,,,,
দুটো কবিতাই সুন্দর হয়েছে,,,,,, 🙂
অরুণিমা
ধন্যবাদ মায়াদি -{@
অরণ্য
দুটিই আমার কাছে অসাধারণ লাগল। অনেকটা দুইটা যেন দুই মেরুর। (y)
অরুণিমা
দুই মেরুর বলেই কাছাকাছি 🙂 ধন্যবাদ দাদা।
মেহেরী তাজ
আপনার কবিতা গুলো আমি বুঝতে পারি, ভালো লাগে।
আমার ২য় টা খুব ভালো লাগছে। -{@
অরুণিমা
ধন্যবাদ আপনাকে দিদি -{@
মেহেরী তাজ
জীবনে দ্বিতীয় বার “দিদি” ডাক শুনলাম।
ডাকটার মাঝে এতো মায়া কেনো?
অরুণিমা
তা তো জানি না দিদি 🙂
মেহেরী তাজ
আবার বলে দিদি…. 😮 -{@
অরুণিমা
তাজ দিদি -{@ (3
লীলাবতী
ভালো লেগেছে (y)
অরুণিমা
ধন্যবাদ লীলাদি -{@