আধুনিক যুগে এসেও আমরা আমাদের সমাজে ক্যারিয়ার, জব, ইনকাম, সামাজিক স্ট্যাটাস নিয়ে নানামুখী হীনমন্যতায় থাকি।

ক্যারিয়ার বলতে আমাদের সমাজ এখনো সেই আদিম যুগের চিন্তা চেতনা ধারণ করে আছে।

BCS ক্যাডার, সরকারি চাকরি বা এমন কিছুর বাইরে আমাদের সমাজ এখনো চিন্তা করতে পারেনা। পারবে কিভাবে? আমাদের শিক্ষা নীতি আমাদের চিন্তাশীল হতে দেয়না। ভালো একটা চাকুরির জন্য মেধা ও যোগ্যতার কি নিদারুণ অপচয় তা আমাদের দেশেই দেখা যায়।

 

যাক সেসব কথা, এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি কিছু স্বপ্নবাজ মানুষের কল্যাণে আজকে এতদূর এসে দাঁড়িয়েছে।

ঘরে বসে আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় একটা অবস্থান করে নেয়া। নিজের মেধা ও মননশীলতা দিয়ে উপার্জনের চুড়ান্ত কিছু এখন আর কল্পনা নয় বাস্তব রূপ নিয়েছে।

আমাদের দেশ পরিচালনা করতে অবশ্যই সব শ্রেণির পেশাজীবি মানুষের দরকার আছে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং অনন্য এক পেশার নাম। আমি কোন বিশেষ শাখা নিয়ে কিছু বলতে চাইনা। খুব সহজ ভাষায় যদি বলি, আমাদের মত দেশ থেকে অনেক পেশাজীবি মানুষ জীবিকার তাগিদে অন্য দেশে পাড়ি জমায় শুধুমাত্র অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনার জন্য। এই স্বচ্ছলতাটুকু ধরে রাখতে কত যে ত্যাগ স্বীকার করা লাগে তা ভুক্তভোগী মাত্র জানে।

আপনজন, মা বাবা স্ত্রী, পুত্র, পরিবার ছেড়ে একটা ভিন্ন পরিবেশে সারভাইভ করার সংগ্রাম কোন সহজ কাজ নয়।

অথচ এগুলো থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কতই না সহজ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য।

প্রবাসী বাংলাদেশীরা যদি স্কিল্ড হয় তাহলে বিদেশের মাটিতে সম্মান ও উপার্জন দুটোই ভালো করতে পারবে।

 

সেরকম কিছু  এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরেও সম্ভব যদি যে কোন একটা বিষয়ে আপনি নিজের স্কিল ডেভেলপমেন্ট করে নিতে পারেন। আপনাকে স্ত্রী, পরিবার ছেড়ে ভিনদেশের মাটিতে থাকতে হবে না। অনেক অনেক ভালো উপার্জন করতে পারবেন।

আপনার জীবন যৌবনের মহামূল্যবান সময় আপনি আপনার পরিবারের কাছে দিতে পারবেন।

আপনি পারবেন, কিছুই না এটা, শুধু একটু সিরিয়াস হোন আপনার কাজ নিয়ে। কি শিখতে চান? কোনটা শেখা আপনার জন্য উপযুক্ত তা আগে নির্বাচন করুন। এর পর সেই বিষয়ে পেশাদারিত্ব আনার জন্য কিছু প্রশিক্ষণ নিন।

মনে রাখবেন এই প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম। আপনাকে সমস্ত পৃথিবীর সাথে প্রতিযোগিতা করে কাজ বাগিয়ে নিতে হবে। আবার এতটাও কঠিন নয় যে আপনার প্রশিক্ষিত হতে জীবন ও যৌবন বাজি রেখে মুল্য দিতে হবে।

এখন ঘরে বসেই অনেক অনেক কোর্স করে নেয়া যায়। তাতে বাঁচে মূল্যবান সময়। অলস মস্তিষ্কে শয়তানের মহড়া বসানোরও সুযোগ থাকেনা। সময়কে কাজে লাগিয়ে ব্যস্ত থাকলে মনও ভালো থাকে।

আর এইসব কোর্সগুলোর মাধ্যমে ঘরে বসেই কাজ করার সুযোগ থাকে। কাজের আসলে অভাব নেই। নিজের কোন বিষয়ে আগ্রহ সেটা খুঁজে নিতে হবে। আর তারপর কাজকে ভালোবাসলে কাজের ভেতরের আনন্দে ভাসতে ভাসতেই দারুন একটা হ্যান্ডসাম আয়ের পথ গড়ে উঠবে।

আমার বিশ্বাস দেশ এখন যেভাবে ই-কমার্সের দিকে ঝুঁকে যাচ্ছে, তেমনি করে অফলাইন অফিস জবগুলোর চেয়ে এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরের দিকেও ঝুঁকে যাবে সিংহভাগ মানুষ। সময়কে কাজে লাগিয়ে দেশ ও দশের উন্নতি তো বটেই, নিজেকে সহ নিজের প্রিয় পরিবারের জন্য এক একজন সম্পদ হয়ে উঠবে।

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ