পরিবর্তন ডট কম-এ প্রকাশিত অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতির ‘শাহবাগ, এবং যারা বিভাজন করে’ শিরোনামের একটি লিখা প্রসঙ্গে কিছু মন্তব্য করার জন্য লিখা শুরু করতেই রেজাউল করিম রনির ‘নাগরিক আন্দোলন, শাহবাগ, সেনা ও হেফাজত’ শীর্ষক লিখাটি দেখি । এই লিখাটি সম্পর্কে মন্তব্য করে লিখলে জ্যোতিকা জ্যোতির লিখা সম্পর্কেও কিছু বলা হয়ে যায় বলেই আমার এই ক্ষুদ্র উদ্যোগ ।

জানিনা রেজাউল করিম রনি কোনও সংগঠনের প্রতিনিধি কি-না । একবার মনে হয় হাঁ, আবার যখন তার লিখার মর্মার্থ পড়ি, যা এরকম যে, তিনি জামাত-হেফাজত-লীগ-বিএনপি সকলের একযোগের মিলিত আন্দোলনের ফসল, শুদ্ধ একটি দেশ চান, তখন মনে হয় যে, তিনি আসলেই যেকোন দলের উর্ধ্বের কোন এক ব্যক্তি অর্থাৎ তিনি কোন দলীয় লোক নন ।

দেশের নাগরিক সমাজের প্রতি তিনি বিরুপ মন্তব্য করেছেন, বলেছেন এনজিও সংশ্লিষ্ট এরা গণশত্রু । আমার মতে এরা প্রত্যেকে এনজিওর সাথে সংশ্লিষ্ট নন এবং হলেও সুবিধাবাদী হতে পারেন, তবে গণশত্রু কিভাবে হন তা আমার বোধগম্য নয় । বরং দেশের বিপদে-আপদে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদেরই সমঝোতার উদ্যোগ নেয়া উচিত, যদিও তাঁরা তা করেননা । তাঁদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা (কমতি বলা হয়নি) থাকতে পারে, ভীতি থাকতে পারে  মনে, শুদ্ধ এবং উদারনৈতিক একটা দেশ গড়ার পথের সন্ধান তারা না পেয়ে থাকতে পারেন, কিন্তু তাঁদেরকে গণশত্রু কোনভাবেই বলা যাবেনা । দেশের মানুষের বর্তমানে কি-এমন সংগ্রামী কাযর্ক্রম আছে যে, সেটার বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করে তাঁরা গণশত্রুতে পরিণত হলেন ? কোথাও কি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন-সংগ্রাম চলছে নাকি দেশে ?

জনাব রনি বলছেন, শেখ হাসিনা আসলেই মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চায় কী-না তা-ই আগে গণজাগরন মঞ্চের কর্মীদের চিন্তা করা উচিত । খুব একটা পার্থক্য করিনা এই কথার সাথে, কারন তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থার মত নিরপেক্ষ একটা ব্যবস্থাকে তিনি গুঁড়িয়ে দিয়েছেন নিজেরা ক্ষমতার বাইরে চলে না যাওয়ার জন্য । তাই বিচারটা শুরু করার পেছনে ক্ষমতায় তাঁর পূণ:রায় যাওয়ার চিন্তাটাই কাজ করেছিল বলে জনাব রনির যে ধারনা, তা অমূলক না হওয়ারই কথা ।

তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাওয়া না চাওয়ার উপর কিন্তু নির্ভর করেনা গণজাগরন মঞ্চের চাওয়া না চাওয়া, যে কোন কারনেই হোক বিচারিক কাযর্ক্রমের শুরুটা যদিও করেছেন শেখ হাসিনাই । ২০১৩-র জানুয়ারী মাসজুড়ে জামাত-শিবির কর্তৃক আইন-শৃংখলা বাহিনীর উপর চোরাগোপ্তা হামলার প্রেক্ষিতে অথবা অন্য কোন কারনে একই সালের ৫-ই ফেব্রুয়ারী যখন সাড়ে তিনশ খুনের আসামী কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন শাস্তির রায় হলো, ক্রমশঃই উত্তপ্ত হতে শুরু করল শাহবাগ । বিয়াল্লিশ বছর আগে যুদ্ধাপরাধীদের দ্বারা যাঁরা চরম অত্যাচারিত হয়েছিলেন, হয়েছিলন যাঁরা স্বজনহারা, যে মা-বোনেরা আমাদের হয়েছিলন চরম নিযার্তিত ও অপমানিত, তাঁরা এবং তাঁদের উত্তরসূরী আজকের এই প্রজন্ম কাদের মোল্লার সেই রায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল । অনেকে বলেন, শেখ হাসিনার সৃষ্টি গণজাগরন মঞ্চ, এটা মোটেও ঠিক নয় ।

তারপর এতে সংযূক্ত হতে শুরু করল সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ । কেন? কারন ঐ একটাই, একাত্তরের অত্যাচারিতদের উপর সহমর্মিতা প্রদর্শন এবং সঠিক বিচারের নিশ্চয়তা বিধানে সংশ্লিষ্ট সকলকে চাপে রাখা । আস্তে আস্তে এই তারুন্য কিছুটা বেসামাল হয়ে পড়ে এবং এখান থেকে কিছু স্লোগান ওঠে, যেমন ‘একটা একটা শিবির ধর, ধইরা ধইরা জবাই কর’, এধরনের আরো কিছু । নিজেদের নেতাদের বিচারের সন্মুখীন করা এবং মঞ্চের এসমস্ত স্লোগান, এসবই চরম ক্ষুব্ধ করে তোলে জামাত-শিবিরকে । গণজাগরন মঞ্চের কর্মীদের নামে জিগির তোলে তারা নাস্তিকতার । জামাত-শিবির নিজেরা ততখানি সুবিধা করতে না পেরে কওমী মাদ্রাসার নেতৃস্থানীয়দের সহায়তা পেয়ে যায় গণজাগরন মঞ্চের নেতাদের নাস্তিকতার বিষয়টা তাদের সামনে জোরেশোরে বয়ান করে । গণজাগরন মঞ্চের নেতাদের নাস্তিকতার বিচার দাবীর মাধ্যমে এভাবেই হেফাজতে ইসলাম নামক সংগঠনটিকে প্রকাশ্যে দেখি আমরা ।

হেফাজতে ইসলাম যুদ্ধাপরাধী তথা মানবতাবিরোধীদের বিচার কখনই বাধাগ্রস্থ করেনি বা করার কোন চেষ্টাও করেননি তারা । ৫-ই ফেব্রুয়ারী  সৃষ্টি  না হলে  একাত্তরের  মানবতাবিরোধী  অপরাধীরা  পার  পেয়ে  যেত, এবিষয়ে কারো কোন সন্দেহ থাকার কথা নয় । কিন্তু এরপর জামাত-শিবিরের সন্ত্রাসী  কর্মকাণ্ড  বেড়ে  গেছে । এটা  কতটুকু  দেলোয়ার  হোসেন সাইদীর রায়ের কারনে, আর কতটুকু  শাহবাগী  প্রজন্মের কারনে তা বলা কষ্টকর । তবে এতে শাহবাগী তরুন প্রজন্মের কিছু কটাক্ষপূর্ণ স্লোগানেরও ভূমিকা রয়েছে । কমপক্ষে নাই, তা নয় । সেসময় এক টক শো-তে হেফাজতে ইসলামের যুগ্ন-মহাসচিব মুফতি ফয়েজুল্লাহ বলেছেন, ‘এই মঞ্চ থেকে ইসলামী পোষাক পরিধানকারীগনের  বিরুদ্ধে অশালীন কথাবার্তা বলা হয়েছে, কটাক্ষপূর্ণ স্লোগানও দেয়া হয়েছে’ । বিএনপির-ও  অনেকের  অনেক  অভিযোগ  আছে  এই  মঞ্চ সম্পর্কে । মনে রাখতে হবে, এগুলির  সবই  সকলে বানিয়ে বানিয়ে বলছেন না । কিছুটা তো হয়েইছিল । তবে লেখক রনি যেমনটি বলছেন যে, মঞ্চের কর্মীদের নাস্তিকতা ইসলাম বিদ্বেষের যে নজির স্থাপন করেছে, তার জন্য গোটা সমাজকেই মূল্য দিতে হচ্ছে, কথাটা মানতে পারলামনা । ইসলামী লেবাশধারীদের সম্পর্কে কারো কারো কটাক্ষপূর্ন কথাবার্তা বলা আর ইসলাম-বিদ্বেষ এক জিনিস নয় ।

আপনার লেখা নীচের প্যারাটা উদ্ধৃত করছি ।

”আমাদের সমাজে নাগরিক আন্দোলন বলে যা দেখি তা কোন ভাবেই নাগরিক আন্দোলন নয়। কিছু মাস্টার, টকশোর বক্তা, ক্যাডার সাংবাদিক -এরা আর যাই হোন নাগরিক সাম্য বা অধিকারের জন্য লড়েন না। এটা এতদিনে পরিষ্কার। এরা একাট্টা ইতিহাসকে ধসিয়ে দেবার কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায়ও নিজেদের সামিল করেন না। গণতন্ত্রের কথা তারা মুখের বুলি আকারে বলেন বটে। গণক্ষমতার প্রশ্নকে ব্যবহারিক দিক থেকে আগলানো ছাড়া গণতন্ত্র কথাটা হাসিনার মুখে যে অর্থ তৈরি করে টক শো’র বক্তার কথার অর্থেও তার কোনো হেরফের হয় না। অর্থাৎ এইসব টকশোজীবীরা গোষ্ঠীতন্ত্রের বাইরে আর কারো স্বার্থের দিকে নজর দিতে পারে না শেষ পযর্ন্ত। এই অবস্থার মধ্যে আবার অতি বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন যেহেতু রাষ্ট্র মানেই শাসন-শোষণ তাই তারা রাষ্ট্র চান না— বিপ্লব চান! এরা প্রকৃত অর্থেই আফিমখোর। মার্কসের নামে তারা একটা কিতাবি ধর্মতত্ত্বেরই চর্চা করেন। তারা ক্ষমতার প্রশ্নকে দেখে পেটি-মোরালিটি দিয়া। এবং পরিণত হয় সরকারি বাম বা বেহুদা কলাম লেখকে। আপাতত তাদের নিয়া বেশি কথা খরচা না করলেও চলবে।”

এতো বিষোদগার কেন মাননীয় রনি? আপনি যে উদারনৈতিক এবং ইনসাফের সমাজ গড়ার কথা বলেন, এ-বিষয়ে আপনার কি কোন ভূমিকা আছে? আপনি কি জামাত-শিবির-আওয়ামী লীগ-বিএনপি এগুলির মধ্যে কোন সমঝোতার চেষ্টা করেন? সমঝোতার উদ্যোগ নিলে তা কি সফলতা পাবে বলে আপনার মনে হয়? আমার মনে হয়, পাবেনা। কারন সমঝোতায় সব পক্ষের সন্মতি থাকতে হয়, কমপক্ষে প্রাথমিকভাবে ন্যুন্যতম একটা সন্মতির ইচ্ছা থাকতে হবে। দক্ষিন আফ্রিকায় নেলসন ম্যান্ডেলা এবং এফডব্লিউডি ক্লার্ক, উভয়েই সমঝোতা চাচ্ছিলন বলে সমঝোতা হয়েছিল। আপনি ডিজুস-কেএফসি মার্কা প্রজন্ম এবং মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর চাকর-বাকর বলছেন। এগুলি না করলে দেশের প্রজন্ম, খাস বাংলায় বলি, কী করে খাবে? আর মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী দেশের উন্নয়নে কি কোনই ভুমিকা রাখছেনা? কর্মসংস্থানটাও উন্নয়নের একটা অংশ নয় কি?

আমার স্বপ্নের কথা বলি। দেশের মাদ্রাসার শিশুদের সম্পর্কে আমি মনে করি, আমাদের প্রচলিত শিক্ষা-ব্যবস্থার সাথে পুরোমাত্রায় একই সিলেবাস হোক মাদ্রাসা-ছাত্রদেরও । তারাও সমান তালে শাহবাগী প্রজন্মই বলেন আর যে প্রজন্মই বলেন, তাদের মতো একই ধরনের শিক্ষার সুযোগ পাক । এদের মতো ওরাও ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার-গবেষক-শিক্ষক হোক । শুধুমাত্র মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জেন-মাদ্রাসার শিক্ষক হওয়ার মধ্যেই তাদের শিক্ষা যেন সীমাবদ্ধ না থাকে । যা-ই মনে করেননা কেন জনাব রনি, রাস্তায় চলতে চলতে মাদ্রাসার ছেলেদের যখন আমি দেখি, একে অন্যের ঘাড়-পিঠ জড়াজড়ি করে চলছে, কোথাও যাচ্ছে, তখন তাদের উপর আমার অন্যরকম এক অনূভুতির সৃষ্টি হয় । এজন্য সরকারকে উদ্যোগী হতে হবে এবং সাথে সাথে অর্থায়ণের ব্যপারে ইসলামী ব্যাংক, রেটিনা এসমস্ত সংগঠন এগিয়ে আসুক, এটা আন্তরিকভাবে কামনা করি । এরা যত শিক্ষিত-সহণশীল হবে, সারাবিশ্বে ইসলামী রাজনীতি তত বিস্তারলাভ করবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে মনে করি । আবার জামাত-শিবিরের তরুন প্রজন্ম সম্পর্কেও আমি একই ধারনা পোষন করি । তারাও শাহবাগী প্রজন্মের মতো একই ধরনের সিলেবাসের আওতায় শিক্ষা গ্রহন করবে এবং ওদের মতো করেই ভবিষ্যত গড়বে । তবে কথা আছে, যুদ্ধাপরাধী বলতে যে সামান্য কয়জনের নাম অথবা কথা আমরা জানি, বিচারে তারা দোষী সাব্যস্ত হলে তাদের পরিত্যাগ করতে হবে । এটার সাথে কোন আপোষ হবেনা । এটার সাথে আপোষ করলে একাত্তরে যারা চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন, তাদের আবেগ-অনূভুতির সাথে প্রতারণা করা হবে । এটা আমরা পারবোনা এবং যারা একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কাজ করা ছাড়বেনা, তাদের সাথে দেশের আপামর মানুষের ঐক্য হবেনা । তাদের মাথায় হাত দিয়ে আমরা বুঝাবো, ধ্বংসের পথ ছেড়ে এসে যে-কাজ করলে দেশের মানুষের মন পাওয়া যাবে, সে-কাজ করতে । নইলে উদারনৈতিক রাষ্ট্র-সমাজের জন্য, সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রামটা পরিণতি কেন, সূচনাই হবেনা এধরনের কোন ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম-আন্দোলনের ।

জামাত-শিবিরের মধ্যে সহনশীল রাজনীতির সূচনা হোক, এটা আমি দুর্নীতিবাজ সরকারগুলির উপর চাপ সৃষ্টির সহযোগী শক্তি হিসেবে দেখতে চাওয়ার স্বার্থেই চাই । আমি মনে করি, বাংলাদেশে ‘প্রেশারগ্রুপ’ জাতীয় একটি সংগঠন থাকতে হবে, যে সংগঠন সরকারের সকল অনায্য কাজের প্রেক্ষিতে (যখনই ঘটবে) প্রতিবাদ-আন্দোলন চালিয়ে যাবে যতক্ষন না অনায়্য কাজটি বাতিল হচ্ছে এবং সবসময় এভাবে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে গিয়ে অনায্য কাজটি বাতিল করতে হবে সরকারের উপর প্রচন্ড চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে । সারাদেশব্যপী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছেন এরকম অনেক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান । এগুলির সমন্বয় সাধন করে আমরা একটি শক্তি গড়ে তুলতে চাই, ‘প্রেশারগ্রুপ’ অথবা অন্য যেকোন নামে ডাকা যেতে পারে এই সংগঠনকে । ক্ষমতায় যাওয়ার কোন চেষ্টা কখনই করবেনা এই সংগঠন এবং মন্দ ভাবমূর্তির কোন মানুষ এই সংগঠনের সদস্য হতে পারবেননা । এধরনের কোন সংগঠন-ই শুধুমাত্র সুশাসন নিশ্চিত করে এদেশকে নিয়ে যেতে পারে সামাজিক ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরনের দেশে । মানুষ আর রাজনৈতিক দলের সংখ্যা বাড়াতে দিতে চায়না । এগুলি দিয়েই অর্থাৎ এদেরকে চাপে রেখেই সরকার পরিচালনার সকল পযায়ে সুশাসন নিশ্চিৎ করতে চায় । কারন মানুষ মনে করে নতুন দল গঠন করা মানে লুটপাটের আরেক সহযোগীর উদ্ভব হওয়া । বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তাৎক্ষনিক জণমত জরিপের ভাবার্থ এরকমই ।

আসলে হেফাজতে ইসলাম কখনও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকাযের বিপক্ষে কিছুই বলেনি । অথচ মঞ্চ এবং অন্যান্য বিভিন্ন পক্ষ এমনকি সুশীল সমাজেরও কিছু ব্যতিক্রম বাদে সকলে মনে করেন যে, হেফাজত জামাত-শিবিরের পক্ষের শক্তি । এজন্য এদের অনেকে চান জামাত-শিবির নিষিদ্ধ করতে । আমি মনে করি এটা কোন সমাধান নয় । আসল সমাধান হচ্ছে, তাদেরকে বুঝিয়ে যুদ্ধাপরাধী পরিত্যাগের সঠিক রাস্তায় নিয়ে আসা । সকল পক্ষ থেকে বুঝিযেও যদি তারা না ফেরে, একাত্তরের অত্যাচারিতদের মানবিকতাকে আবেগের সাথে ধারন না করে, আবেগীভাবে সমর্থন না করে তখন অবশ্যই সরকারের উচিৎ হবে কঠিন হার্ডলাইনে যাওয়া এবং তা আমাদেরকে অবশ্যই দারুনভাবে সমর্থন করতে হবে ।

সুশাসন যারা নিশ্চিৎ করার সংগ্রাম-আন্দোলন করতে চায, তাদের জন্য এটা জানা জরুরী নয় যে, হেফাজত জামাত-শিবিরের পক্ষের শক্তি কি-না। আপামর জণগনের মত তাদেরও যেটা জানা দরকার, তা হচ্ছে, সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধীদের তারা পক্ষাবলম্বন করলো কি-না, পরিত্যাগ করলো কি-না, তা। এটি হলেই হবে। মতপার্থক্য বাকী যা থাকবে, তা দুর হয়ে যাবে আপনাআপনি। কোন অসুবিধা হবেনা। কারন গন্তব্য যে একই জায়গায় আমাদের, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং অবশ্যই সুশাসন ।

0 Shares

৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ