রাজ আর নীতি এই দুইটি শব্দ যখন এক হয় তখন তাকে আমরা রাজনিতী বলি।আর যখনি দুটি শব্দে নীতি থাকবে না তখন তাকে আমরা কু-রাজনিতী বলি।কারন রাজনিতীর মুল উৎসহ হচ্ছে জনগণ যখন রাজগোষ্টির নীতি ভ্রষ্ট্য হয় তখন আর রাজনিতী শব্দটিকে শর্মিলদা মনে হয়।১৯৭৫ এর পর স্বাধীনতাত্তোর বাংলাদেশের ক্ষমতা বা রাষ্ট্রীয় পদটিতে একচ্ছত্র অধিপতি কেউ বেশী দিন স্থায়ী হতে পারেননি।শাষকগোষ্টির এক নায়কতন্ত্র শাষন ব্যাবস্থা জনগণকে দিতে হয়েছে বার বার বলি খেলতে হয়েছে রক্তের সাথে হলি।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখলের পর ক্ষমতার স্বার্থে ভঙ্গুর রাষ্ট্রের উন্নয়ণে কু-রাজনিতী ঘটিয়েছিলেন জেল হত্যা দিবস দিয়ে।স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকার যেমন এক দলীয় শাষস কায়েম করেছিলেন দেশের শান্তি শৃংখলার স্বার্থে তেমনি জিয়াউর রহমানও জনগণের বিপক্ষে নিয়েছিলেন বিভিন্ন পদক্ষেপ এ সবই রাষ্ট্রকে স্থিথিলতায় উন্নয়নের এগিয়ে নিতেই বিভিন্ন কু-পদক্ষেপ ছিল।তারা দুজনেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে মহিয়ান।যার ফল হিসাবে আমরা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে তারই কন্যা শেখ হাসিনা এবং জিয়াউর রহমানের সহধর্মীনি বেগম খালেদা জিয়ার এ যাবৎকাল শাষন দেখে আসছি।তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং দু’বার রানিং শেখ হাসিনার ক্ষমতাকালে বাংলাদেশের রাজনিতী আমজনতার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বার বার।তারা দুজনেই যেন ভুলে গেছেন এ দেশটি ত্রিশ লক্ষ শহীদের আত্মত্যাগের ফল কারো বাবার বা স্বামীর নয়।এখানে ইচ্ছে করলে জনতা কাউকে ক্ষমতায় বসান আবার কাউকে ইচ্ছে করলে আস্তাকুড়ে ফেলে দেন ডাষ্টবিনে।ডাষ্টবিনে।আরেকটি বিষয়ে খুব অবাক লাগে যিনি ক্ষমার স্বাধ পান তিনিই যেনো রাবন বণে যান।প্রতিপক্ষকে মামলায় ঝর্ঝরিত করে রাজ পথে দাড়াতে আর দিতে চান না।তিনি মনে করেন আমৃত্যু পর্যন্ত তিনিই ক্ষমতায় থাকবেন কিন্তু এ দেশের প্রেক্ষাপট বলে ভিন্ন কথা।

এক সময় রাজনিতীতে ছিলো দেশপ্রেম ছিলো নিঃস্বার্থ লোভহীন রাজনিতী।আমি তখন সম্ভবত ক্লাশ সেভেন এইটে পড়ি।বঙ্গ বন্ধুর কথা মনে নেই তবে শুনেছি…সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর কেউ একজনও ছিলো না জয় বাংলা কথাটি উচ্চ স্বরে বলার অথচ এই শ্লোগানটিই ছিলো দেশ স্বাধীনের সেরা শ্লোগান।মুরুব্বিদের কাছে শুনা মতে একপ্রকার সাহস যোগাত শ্লোগানটিতে।যখনি কোন প্রতিবাদ তখনি শুনা যেত জয় বাংলার শ্লোগান।বঙ্গবন্ধুর অতি মহানুভবতা সরলতা রাজনিতীতে অঢেল বিশ্বাসই একদিন তার জন্য কাল হলো।তা ছাড়া যুদ্ধে সবচেয়ে বেশী সহযোগি দেশ হলো ভারত সেই ভারতও ছিলো তখন নিশ্চুপ।ভারতের রা’য়েরা আগাম কোন দুঃসংবাদই দেননি বঙ্গবন্ধুকে বরং বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিষয়টি তারাও নীরব স্বাক্ষীর মতন অবলোকন করেছেন।অনেকে বলতে শুনি সদ্য ভুমিষ্ট বঙ্গভুমিতে বঙ্গবন্ধু ছিলেন সকলির বাপ সমান।তাকে কটুক্তি কিংবা তার শাষনের ভাল মন্দ দিক নিয়ে কোন আলোচনাই তার সামনে করেননি।বরং উল্টো জনগণের বিপক্ষে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্ভনে সুপারিশ করতেন যার ফলে বাকশাল নামক এক আতংক গ্রুপ সৃষ্টি হয়।শুরু হয় প্রশাষনের ভিতর নীরব আন্দোলন।যার সমাপ্তি ঘটে ১৯৭৫ ১৪ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে।

রাজনিতীর আসল ও শুভ চেহারা ছিলো তখন যখন কোন এক এলাকার নেতার ডাকে লক্ষ হাজারো ভক্ত  ভোটার ও কর্মীর আগমন ঘটে।তেমনটিই ঘটেছিলো ১৯৮৩ কি ৮৪ সালে আমার বসত ভুমি নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে।তখন এই ইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন বর্তমান বি এন পির নারায়ণগঞ্জ ৪ আসনের সাবেক সাংসদ জনাব আলহাজ্ব মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।সে কয়েক বারে নির্বাচীত সিইউপির চেয়ারম্যান ছিলেন।তখন তার ভক্তরা তার একটি কথায় জীবনের মায়া ত্যাগ করে জান দিতেও প্রস্তুত  ছিলেন।তার নির্বচনী পোষ্টার,মিছিল মিটিং নির্বাচনে সব ব্যায়ই বহন করতে স্থানীয় জনগণ।

আমার চোখে দেখা জনস্রোত ছিল তার প্রতিটি নির্বাচনী মিছিল মিটিংয়ে।জন সংখ্যার নগণ্যতা দিয়েই মিছিল শুরু হতো মিছিলটি যখন সিদ্ধিরগঞ্জ পেরিয়ে মিজমিজি হয়ে যেত তখন মিজমিজি এলাকার প্রতিটি বাড়ী জনতা ক্রমান্নে মিছিলে যোগ দিত আর মিছিলটি ক্রমান্নয়ে বড় হতে থাকত।এভাবে সানার পাড় মিজমিজি জালকুড়ি দিয়ে মিছিল যেতো আর শাপের লেজের মতন বড় হতে থাকত মিছিলের লেজ।এক সময় মিছিলের লেজ  আর মাথা এক সাথে দেখা বড় দুষ্কর হয়ে যেত।

বলা বাহুল্য সাবেক এই এমপি ছিলেন ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের একজন সফল মুক্তিযোদ্ধা।দেশ স্বাধীনের পর পর সে এবং অত্র অঞ্চলের গণ্যমান্যদের নিয়ে সমাজ সেবা মুলক “সিদ্ধিরগঞ্জ প্রগতি সংসদ” নামে একটি অরাজনৈতিক জন কল্যায়ণমুলক ক্লাব খোলেন।যদিও  ক্লাবটি ১৯৬৯ সালে  প্রতিষ্টিত হয় কিন্তু এর মুল জনকল্যায়ণ মুলক কার্যক্রম দেশ স্বাধীনের পরই দেখতে পাই।ঐতিহ্যবাহী এই সংসদটির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে রয়েছেন- আলহাজ্ব মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, রোটারী ক্লাবের কর্মকর্তা এবং রাখি টেক্সটাইল,ওল্ড টাউন ফ্যাশন,রানস এ্যাপারেলস এর চেয়ারম্যান,আব্দুর রব, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মতিউর রহমান বেপারী, সাবেক উপজেলা ফুড অফিসার সামসুদ্দিন আহাম্মদ, সমাজ সেবক ফিরোজ মিয়া,মিজান মাষ্টার, আমিনুল হক, পাওয়ার ষ্টেশনের সাবেক শ্রমিক নেতা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া, এটিএম মান্নান প্রমুখ।
যাত্রা শুরুর পর থেকেই এই সংগঠনটির মাধ্যমে এলাকায় সামাজিক ন্যায় বিচারের ভিত মজবুত করা হয়। প্রতিরোধ করা হয় অসামাজিক আর ব্যাভিচার সব কর্মকান্ড।দেশের বিভিন্ন খেলা ধূলায় ছিলো পারদর্শী। শুধু তাই নয় এই সংগঠনটির মাধ্যমে অত্র এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যার মধ্যে সে সময়ে অত্র অঞ্চলের  এক মাত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট হাই স্কুল যা বর্তমানে কলেজে রূপান্তরিত।প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই প্রগতি সংসদের গায়ে কোন রাজনৈতিক আঁচর পড়তে দেননি সংশ্লিষ্ট কম কর্তারা। অরাজনৈতিক এই প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছে দল মত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলের ও মতাদর্শের অনুসারীরাও যা এখন আমবশ্যার  চাদঁ।এই প্রগতি সংসদকে অনুকরণ করে সিদ্ধিরগঞ্জে গড়ে উঠে সিদ্ধিরগঞ্জ  আজিবপুর আদর্শ সংঘ,পাচঁ তারা সংসদ,সাইলো শাখার নব দিগন্ত,একতা ক্লাব,সূর্য শিখা  ক্লাব,সূর্য সেনা ক্লাব নামের আরো অনেক জনকল্যায়ণ মুলক ক্লাবগুলো।সে সময় যে কোন বিচার কার্য সম্পাাদন করতেন ক্লাবগুলোই।তখন থানার কোন পুলিশ এলাকয় প্রবেশ করতে হলে ক্লাব গুলোকে  খুব  গুরু্ত্ব দিতেন।যা এখন সেই রূপ নেই।ক্লাবটিতে বেশ ক’বার খুব ঘটা করে কার্যকরী পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল সম্ভবত ১৯৯৬ সালের পূর্বে পর্যন্ত এর পর হতে ক্লাবটিতে হতে থাকে সিলেক্টসন কমিটি।
সে সময় এ ক্লাবগুলোর উদ্দ্যেগে গ্রামের স্বেচ্ছায় আনন্দ উৎসাহ দানকারী অনেক সরল মনের মানুষেরা প্রায় প্রতিনিয়ত দেশের জাতীয় খেলা কাবাডি খেলায় মেতে উঠত।এর মধ্যে মরহুম নূরুল ইসলাম সহ আরো অনেকেই সারা গ্রাম বাজনা বাজীয়ে খেলায় স্বাগত জানাতেন।এই রেবতী মোহন মাঠ যা এখন মাঠ নেই বললেই চলে এখানেই হতো এ সব খেলা।বানিজ্যিক চিন্তাধারায় মাঠটি এখন অপরিকল্পিত শ্রেনী কক্ষ ও অফিস কক্ষে ঢেকে গেছে।ঢেকে গেছে তার এক সময়কার ঐতির্য্যবাহী কৃষ্টি কালচারের শোডাউনগুলো।

বেশী দিনের ঘটনা নয় ১৯৯৩ সাল।এলাকার গর্বিত মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ জনাব গিয়াস উদ্দিন তখনো নিদিষ্ট কোন দলে ব্যাপক ভাবে অন্তভুক্ত ছিলেন না।স্বৈরাচার পতনের পর এরশাদের নয় বছর শাষনামলে সে ছিলেন সারা বাংলাদেশের উপজেলার মহাসচিব।এছাড়াও সে দেশের বড় বড় বিভিন্ন প্রতিষ্টানের বিভিন্ন উচ্চ পদে অধিষ্টিত ছিলেন।স্বৈরাচার পতনের পর প্রথম বারের মতন বি এন পি জনগণের নির্বাচীত ভোটে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে।সে সময় ১৯৯৩ সালে জানুয়ারী মাসে এ দেশে এ প্রথম শিক্ষামেলা নামক একটি বিশাল মেলার আয়োজন করেন তিনি।উদ্ভোধনের দিন আসেন এ দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক কলমালিষ্ট ভয়েস অফ আমেরিকার সংবাদ দাতা জনাব গিয়াস কামাল চৌধুরী।মেলাটির পরিধি ছিলো পুরো রেবতী মোহন মাঠটি জুড়ে।মাঠের মধ্যে খানে ছিল সুউচ্চ একটি নিশানা টাওয়ার।মেলায় প্রতি দিনই ছিলো একটি করে নতুন অতিথীদের আগনের চমক।সে সময় ক্ষমতায় অধিষ্টিত প্রায় সব গুলোর মন্ত্রীরই পদ চারণ ছিল এই মেলায়।অত্যান্ত বিচক্ষণ গিয়াস উদ্দিন এ মেলাকে শিক্ষণীয় একটি মেলায় পরিণত করে দেশের বাংলা একাডেমী ও বিভিন্ন একাডেমী সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিদের দিয়ে মঞ্চে প্রতি দিনই বিভিন্ন শিক্ষা মুলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করানো হত এতে করে এলাকার বাসিন্দারা দেশের কৃষ্ঠি কালচারের সাথে পরিচিত হতেন।মাস ব্যাপি চলা এ মেলাটির খবর বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি দৈনিক পত্রিকায় হেড লাইন হিসাবে প্রকাশিত হয়েছিলো।

মেলায় স্টল প্রদানে যদিও শর্ত ছিল কোন রাজনৈতিক দলকে স্টল দেয়া হবে না হয়নিও তেমনটি শুধু আমারা জিয়া শিশু কিশোর “জিশাস” থানা শাখার পক্ষ হতে জিয়াউর রহমানের ছোট বেলার নাম “কমল” নামে একটি বইয়ের স্টল দেয়া হয়েছিলো কেননা সে সময় আমরা রাজনৈতিক অঙ্গণে নিঃস্বার্থ ভাবে জড়িত ছিলাম।আমি পরলোকগত আবুল বাশার ছিলাম থানা ছাত্রদলের আহবায়ক সদস্য আর আমি ছিলাম সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিশাসের সাংগঠনিক সমপাদক,সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুত কেন্দ্রের সিদ্দিক ছিলো সাধারন সম্পাদক আর সভাপতি ছিলো দুনম্বরের একটি মেয়ে তিতাস।আমাদের দলের পক্ষ হতে এ মেলায় স্টল নেয়ার বেশ উৎসাহ যুগিয়েছিলেন পরম শ্রদ্ধেয় পরলোকগত নারায়ণগঞ্জ ফুটবল মোহামেডান ও বি এন পির একনিষ্ঠ কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান প্রধান।তার বুদ্ধিতে অত্যান্ত কৌশলে স্টলটি নিতে হয়েছিলো।

সে সময়ে সাহিত্যে একক প্রভাব ছিল প্রখ্যাত লেখক সাহিত্যিক,রোমান্টিক কবি ইমদাদুল হক মিলন।তার এবং অন্যান্য রোমান্টিক ধাচের কিছু বই ছিলো,ছিলো কিছু রাজনৈতিক বইও।পাশেই ছিলো একটি ফুলের দোকান।মেলার এক স্থানে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের এক মঞ্চ যেখানে রাত বাড়লেই গাইতো দেশের দামী দামী শিল্পীরা গান।এ দেশে প্রকৃত প্রেম বা ভালবাসা বলতে যদি কিছু থেকে থাকে তার তখন ছিলো শেষ কাল কেননা তখনো এ দেশে মোবাইলের তেমন কোন চিহ্ন ছিলো না,ছিলো না আজকের এই ইন্টারনেট স্প্রীড ও এন্ড্রুয়েট মোবাইলের ছড়াছড়ি।পাঠক ভাবতে পারেন তাহলে প্রযুক্তি কি ভালবাসার শত্রু?কথাটা তা নয় আপনি যদি জন্মাব্দি শহরে বসবাস করে থাকেন আর শহরের সাকসব্জি ভাত খেয়ে বড় হন আর যদি কখনো গ্রামে গিয়ে কয়েক দিন থাকেন তখন বুঝতে পারবেন আপনার শহরের খাদ্য আর গ্রামের খাদ্যের স্বাধে কতটা পার্থক্য ঠিক ততটাই ছিলো তখনকার ভালবাসার মনের অনুভুতি।প্রযুক্তিহীন একটি চিঠির জন্য ব্যাকুল থাকতো মন আর যখন তা হাতে পেতো তখন;মনের ভিতরে মনে হতো এর চেয়ে সূখ বুঝি পৃথিবীতে আর নেই।সে সময় ছেলে মেয়ের দেখা খুব একটা হতো না।পাড়া পড়শীর লাজ লজ্জা ভেঙ্গে যখন দেখা হয়েই যেতো তখন মনে হতো এই বুঝি আকাশের চাদঁ নেমে এলো।এমন সব সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্টানে সে সময় এ সব প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য খুব উপকারে আসত।

মেলায় প্রতি দিনই বি এন পির একজন মন্ত্রীকে দিয়ে উদ্ভোধন করাতেন তাতে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার কোন দুরবিসন্ধি ছিলো কি না জানি না তবে এখানে তার একটি বিষয়ে সে সময় আমার খুব খারাপ লেগেছিলো।সে সময় রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিলো বি এন পি আর তিনি ছিলেন অরাজনৈতিক একজন জনপ্রিয় ব্যাক্তি,স্বভাবত ক্ষমতার কারনে মেলায় একটু সন্মান আশা করতে পারেন স্থানীয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বি এন পি মুল দলের নেতৃবৃন্দরা।কিন্তু পরক্ষণে যা হয়েছে তা হলো তারা যেমন থানা মুল দলের সভাপতি কামাল,সাধারণ সম্পাদক শ্রদ্ধেয় মরহুম ঈসমাইল হোসেন গাজী,সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম রবি ওরফে রবি চাচা এছাড়াও আরো ছিলেন এম এ হালিম জুয়েল,এম এ হাই রাজু, আরো অনেকে তারা সেই মেলায় দাওয়াত পেয়েছিলেন কি না জানি না তবে তারা হয়তো মেলায় এসেছিলেন দলের দলীয় নেতৃবৃন্দের খাতিরে হয়তো নতুবা মেলা চলাকালীন কখনোই এ সব লোকাল নেতৃ বৃন্দদের মঞ্চে ডাকা হয়নি তারা সাধারণ দর্শকের মত নীচে দর্শক সারিতে বসেই অনুষ্টানগুলো উপভোগ করতেন।এক বার সে সময়কার স্বররাষ্ট্র মন্ত্রী মরহুম মতিন চৌধুরী অতিথী হয়ে এসে মঞ্চে বসে বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়লেন।হঠাৎ সে কামাল ভাই সহ অন্যদের ডেকে মঞ্চে তুললেন।এ খবর রাজনৈতিক ডিপলি নোংরামি তাই আর সে দিকে গেলাম না।যার ফলে এর ফল স্বরূপ হিসাবে পরবর্তী বছর ১৯৯৪ সালে আয়োজিত শিক্ষা মেলাটির আলোর মুখ দেখেনি।মেলা আয়োজনে প্রস্তুতি সব শেষ ঠিক উদ্ভোধনের দিন অতিথী উদ্ভোধন করার সাথে সাথে খবর আসল এ মেলা দশ মিনিটের মধ্যে বন্ধ করতে হবে।তখন আমি বন্ধু আবুল বাশার হাবিবুর রহমান প্রধান ভাইয়ে/কাকার বাসা নারায়ণগঞ্জে।হাবিবুর সাহেব ফোন করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফোন দিলেন নারয়ণগঞ্জ অথবা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা প্রশাসনের বড় কোন কর্তাকে।এক্ষুণি যত ফোর্স লাগে নিয়ে’পাচ মিনিটের মধ্যে মেলা বন্ধ চাই।প্রশাসন ইচ্ছে করলে পারেন না এমন কোন কাজ নেই।মেলাটি বন্ধের অভিযোগ ছিলো গতবার ১৯৯৩ সালে শিক্ষা মেলা নামে প্রগতি সংসদ সহ গিয়াস উদ্দিনের গংরা প্রচুর চাদাবাজী করে টাকাগুলো নিজেরাই আত্মসাৎ করে এবারো ১৯৯৪ সালেও তাই সীমাহীন চাদাবাজীঁ হয়েছে যার কোন জবাব দিহিতা নেই।সেই যে সিদ্ধিরগঞ্জ হতে সাংস্কৃতিক অনুষ্টান বন্ধ হলো আজ ২০১৮ সাল চলে বিনোদনের তেমন কোন আকর্ষনীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কেউ আর আয়োজন করতে পারেননি।

গত ২য় পর্ব এখানে,,,,,,

0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ