: আমার এই জীবনটা নিয়ে কত আর নাটক’র জন্ম দিবে শকুনরা ? আমি বেঁচে থাকতে চাই হাজার,অজুত,নিযুত’র অনন্তকাল’র পথ ধরে। শুধুই আমার দেহটা চলে যাবে। কিন্তু আমি এই বিশ্বভৃমান্ডেই বিচরন করব হয়তবা অন্যরুপে। ভিন্নদেহে আমার মানবতাধর্মী চেতনা বিরাজমান থাকবে। মুক্ত চিন্তার জগতে মানবতার আর্দশ দূতি ছড়াবে বিশ্বময়। কন্টকাকীর্ন পথ বেয়ে চলার বিজ্ঞানমনস্ক মানুষের চেতনার প্লাটফর্মে আমি আছি থাকব। সমাজের সকল অন্যায়,অবিচার,শোষন,নিপীড়ন,নির্যাতনের যাতাকল থেকে মুক্তমনারাই লড়াই করে আসছে। কুসংস্কার,অজ্ঞতা ও ক্ষমতার দাপুটে প্রদশর্নের বিরুদ্ধে সর্বদা স্বোচ্ছার মানবধর্মী মানুষ। যেখানে ঠাঁই নেই কোন জাতপাতের বিভাজন। কোথা থেকে আসলো জাতপাতের বিভিক্তির রূপরেখা ? যা শোষন নামক এক কালো অধ্যায়। পৃথিবীতে হাজার হাজার ধর্ম,বর্নের মানুষ রয়েছে। আমরা ভিন্ন চোখে না দেখে সকলকে মানুষ হিসাবে ভাবতে পারি না ? পৃথিবীর সেরা সেরা দার্শনিকরা সাম্য’র কথা বলেছেন। বলেছেন, মানুষের কল্যানের কথা। তাহলে এখনও কেন এক শ্রেনীর মানুষ রয়েছে যাদের আষ্ট্রেপৃষ্টে সাম্যবাদ’র ঘোর বিরোধী ? এটা কি ওই যে গোরামী আখড়ে রাখতে হবে সেজন্যই ওদের চেতনা আদিম যুগ থেকে বেড়–তে পারেনি ? বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের মানুষ অর্থাৎ দারিদ্রতা যাদের নিত্য দিনের সঙ্গী এসব মানুষই প্রাচীনকাল থেকে সভ্য সমাজে রূপ নিতে পারেনি। পারছে না। কেন পারছে না ? দারিদ্রতা! আরো অনেক কারনই রয়েছে। এর জন্য রাষ্ট্রের গুরু দায়িত্ব থাকাটা কি সমাচীন নয় ? আমাদের বিবেগ সকলকে মানুষ হিসাবে দেখতে থার্ড ওয়ার্ল্ডের কাঠামো পরিবর্তন অত্যাবশ্যাক। আর তানাহলে যুদ্ধ,হানাহানি চলতে থাকবে। ধর্মের নামে রাজনীতি চলবে। ধর্ম মানে তো কল্যান। আর ধর্মের নামে যদি হয় লৌকিককে অলৈকিকের মাজেজা প্রচার করে মানুষকে অন্ধকারে রাখা। চাঁদে কি সত্যিই সাঈদিকে দেখা গেছিল!  অনেকে দেখেছোও। কি বিস্ময়কর বিষয়! এটা কি লৌকিক না অলৈকিক ? সাঈদি তো কারাগারে, চাঁদে গেল কিভাবে ? তিনি ধর্মবেত্তা এজন্য চাঁদে যেতেও পারেন! কত বড় একটা মাজেজা দেখানোর সুর তুলছিলেন আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীর অনুসারীরা। চাঁদে যখন প্রথম মানুষ যায় তখন এই বাংলাদেশে বিক্ষোভ মিছিল করার ঘটনা ঘটেছিল। অপপ্রচার করা হয়েছিল ওটা তো অলৌকিক একটা স্থান সেখানে যাওয়ার ঘোষনা দিয়ে ধর্মকে অবমাননা করা হচ্ছে। ওখানে কেউ যেতে পারে না। তৎকালীন সময়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ির ফেনা তুলে শিশু, কিশোর, যুবক ও বৃদ্ধদের মাঠে নামিয়ে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল ধর্মেকে ব্যবহার করে যারা ব্যবসা করেন। তখন চাঁদে মানুষ যাওয়াটা ছিল অলৈকিক নয় লৌকিক। যুগে যুগে অলৌকিক মাজেজার অপপ্রচার চালিয়ে মানুষদের বিভ্রান্ত করে আসছে ওরা। হত দারিদ্র নারী  পুরুষ সহসাই বিষয়টা বিশ্বাস করে আবার তর্ক যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে রক্তপাতের ঘটনা ঘটাতোই দ্বিধাবোধ করে না। এটার নামই ধর্মীয় সুড়সুড়ি দিয়ে এক ধরনের বিশ্বাস আকড়ে রেখে তাদের মননে উত্তেজনা বাড়িতে তোলা হয়। আমি চাই সাম্য’র কাতারে শামিল হয়ে সবাই বলবে “আমরা মানুষ”। সেই লড়াইয়ে শামিল হওয়াটাই যেন আমার জীবনে নেমে আসে বিভাষিকা। চারিদিকে যেন আমাকে ঘিরে রেখেছে মানুষরূপী শকুনরা। এসব শকুনদের মধ্যে সমাজের এলিটদাবীদার কিংবা পন্ডিতরাও রয়েছেন। এরাই যতসব কুটচাল এটে চলছে আমার বিরুদ্ধে। কত মিশন যে চলছে শকুনদের। কত ঝড় ঝাঁপটার কপলে পড়তে হয়েছে হচ্ছে শকুনদের সাজানো ফাঁদে। যত মিশনের মেকানিজনমই চলুক না কেন বিবেগবর্জিত শকুনদের জন্য আজন্ম আমার ঘৃনা। ক্ষমতাধর! ক্ষমতার অপব্যবহারে আমাকে নি:স্ব করে দেয়ার অবাক করার মতো পায়তারা। আমাকে হত্যা করবে!  নির্যাতনের খড়গ চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টায় আমি তিক্ত বিরক্ত। আমার মেধা প্রতিভা বিকাশের প্রতিবন্ধকতায় নোংরামী অব্যাহত রয়েছে শকুনদের। ওদের মনুষ্যত্ববিহীন কাজের জন্য ঘৃনা  আর ঘৃনা। আবারো বলছি আমি একজন মানুষ।
লেখক : আহমেদ জালাল (সাংবাদিক)
Mail : ahmedjalalbsl@gmail.com

0 Shares

৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ