সে বলে, ‘আমি মরি নাইইই’
‘আমিও না’, আমি বলি;
কে-রাখে কার মরা-বাঁচার খবর!
কে কার হিশেব রাখে, কেউ বেঁচে বেঁচে মরে,
কেউ মরেই বাঁচে;
আমি কিংবা সে, কেউ-ই মরিনি, মরবো-ও না,
মরা কিংবা বাঁচা খুব-ই কঠিন এক খেলা,
বুকে ছুড়ি-গাথা দিয়ে কর্কশ হাওয়ায় মৃত ভেবে
বা মেরে ফেলে গেলে পাথরের অচেনা রাজ্যে!
মরিনি, মরেনি সে-ও, কেউ কেউ মরে-না,
মারে শুধুই মারে; দুঃখ আসে বারে বারে
কষ্টের জীবন নিয়ে;
শোকার্ত টিউলিপ উদ্বিগ্নতায় জেগে থাকে
আকাশের ছবিমালা বুকে নিয়ে,
জেগে জেগে হৃদ-চোখ বুজে থাকলে
আমরা মৃত-ই বলি তাকে;
২২টি মন্তব্য
নীলাঞ্জনা নীলা
“কে কার হিশেব রাখে, কেউ বেঁচে বেঁচে মরে,
কেউ মরেই বাঁচে”
কেউ নিকোটিনে হেঁচে-কেশে শ্বাসবন্ধ হতে হতে বাঁচে।
“কেউ কেউ মরে-না,
মারে শুধুই মারে;”
মৃত্যু নিজে কখনও মরেনা, কেবলই মারে।
“জেগে জেগে হৃদ-চোখ বুজে থাকলে
আমরা মৃত-ই বলি তাকে;”
প্রতিরাত চোখ বন্ধ হয় মৃত চোখের মতো।
কুবিরাজ ভাই আজ ব্যথা নিয়ে বসেছি মন্তব্য করতে। বুঝছেন? আরেকটা গিফট পাওনা রইলো কিন্তু! 😀
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, বেশ ভালই লাগছে পড়তে।
ব্যথা-বুথা কুন ব্যাপার না, সব ঠিক হয়ে যাবে,
আচ্ছা দিমুনে,
কত কিছুই-তো লিখে যাচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
ব্যথার বুঝবেন কি! সাপে যারে কামড়ায় হে না বুঝে! 🙁
ছাইরাছ হেলাল
ভাল ওঝার ঠিকানা জানি কিন্তু!
মৌনতা রিতু
বেঁচে থাকি। ভাবি বসে প্রাণ আছে তো এই বাঁচায়!
পাথরের মতো কঠিন হয়ে বসে ভাবি। জড় হয়ে তাকিয়ে দেখি।
দুঃখকে ঝেড়ে বেঁচে উঠি আবার।
কেউ মারে কেউ বাঁচায় এই তো জীবন।
ভাল, ভাল, বেশ, বেশ।
ছাইরাছ হেলাল
এমন করে জীবনের মানে খুঁজে নিতে সাবাই পারে না,
মরা আর বেঁচে ওঠা নিয়েই আমাদের জীবন সুন্দর বা ধূসর!!
মিষ্টি জিন
কেউ বেচে বেচে মরে , কেউ মরেই বাচে
কেউ রাখেনা কারো খবর
ভাল, সুন্দর।
ছাইরাছ হেলাল
কে আর কার খবর রাখে, যে যার মত মজা লয়,
এইতো জীবন, যা শুধুই ক্ষণিকের!!
মানি বা না-মানি।
নীহারিকা
হৃদ চোখ বুঁজে থাকলে সে মৃতই হয়। দারুন উপলব্ধি তো।
ছাইরাছ হেলাল
এই তো বুঝি-না বলার দিন শেষ হয়ে গেছে!!
দারুণ;
নীহারিকা
হাহাহা সহজ করে লিখলেই বুঝি। কঠিন লিখলে বুঝি না। এটা সহজ ছিলো 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আবার সহজ দিলাম,
আসলে সবই সহজ!!
জিসান শা ইকরাম
আমি কিন্তু মরি না, তবে বাঁচিও না না মরার মত।
ছাইরাছ হেলাল
ঝুল বারান্দায় শুধুই দুলে যাওয়া,
তাও বা মন্দ কি!!
মেহেরী তাজ
কেউ কেউ মরে আর বাঁকিরা সব বেঁচে থাকে?
আমি তো জানতাম কেউ কেউ বাঁচে বাঁকিরা সব বাঁচার অভিনয় মরে।
জানার অনেক বাঁকি। বুঝেছি।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি চক্ষুষ্মান ভূত,
বেঁচে আছেন, থাকবেন-ও!
ভূতেরা খুব জ্ঞানী হয়।
মেহেরী তাজ
১৭ সালের পর কি পুরা ১৮ আমি গায়েব ছিলাম? এতোদিন পর অদেখা মন্তব্য ।। ই আল্লাহ এতো জ্ঞ্যায়ানী( জ্ঞানী) ভূত হয়ে কি করলাম। ব্লগে এলাম না তো একটা বছর আমি ছিলাম কই। উহহহ নিজের উপর তো সত্যি সন্দেহ হচ্ছে। আমি আসল ভূত নয় তো?
ছাইরাছ হেলাল
বছর-ফছর কোন ব্যাপার না।
ভুত রাজ্য এক বছর কিছুই না।
ভুতদের আমরা সমানে ভালোবাসি থাকুক বা না থাকুক প্রকাশ্যে
অপ্সরা
আমি এত সহজে মরতে চাইনা। 🙁
ছাইরাছ হেলাল
প্রশ্ন-ই আসে না, আপনি অমর-অজর!!
আপনি আপনি!! আপনি আপনি-ই তা ভাবতে চাই, হোক তা অতি সাময়িক,
তবুও-তো স্বজন, যে থেকেই যায় অন্তরে (চিপা-চাপায় হলে)।
অচিরেই আরও ভাল থাকবেন এই কামনা-ই করি।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
খবর হয়তো তৎক্ষণাত কেউ না রাখলেও খবর একদিন কানে বাজবেই।তবুও এ পৃথিবী এমনি কেউ কারো খবর রাখার সময় নেই। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আসলেই আমরা খুবই ব্যস্ত!
তবুও আমরা আমাদের পরিণতিতেই পৌঁছাব,