নিকোটিন সখ্যতার ভাগাভাগি আর-নয়, নিশিথের যন্ত্রণা-দগ্ধতাও নয়-আর,
চোখ-ডুবিয়ে নোংরা ঘেটেছ, অসহ্য এ-দুর্ভোগ-দুর্বিপাক, যে যার পথে
হেঁটে যাব নিঃশব্দের মত, আর ফেরা হবে-না, ফিরে-ফিরে তাকানো-ও-না,
এক-চোখ খোঁজে গলি-ঘুপচি, অন্য চোখে মিথুন-মগ্নতা!! (শাখমৃগ)!!
কলুষবাজ-কূপমণ্ডূক-অকালকুষ্মাণ্ড কাঁচুমাচু্র কূজন-কুটুম্ব!!
তাও বলি, ঠিক আছে, চেঁছে-পুঁছে টেনেটুনে নিপুন হাতে,
দিলাম মাফ করে; এক ঝাঁক লাম্পট্য! মনে রেখ,
চোখ গেলে দেব এরপরে, জালি-বেতের কথাও মনে রেখ,
বুকে-চোখে পোষা হলদে সাপের তীব্র-ফনার নিকুচি করি,
বিদ্ধকরা-চোখের বিষ-দাঁত তুলে নেব, ভাব বুঝি নিজেকে, দারুণ ধূর্ত!!
এই শেষ, এই-ই শেষ-বার, ভেব-না যেন বসন্ত-জ্বরে, কাঁদছি
এঁকেবেঁকে মূর্ছিত হয়ে, ফোলা ঠোঁট উঁচু করে উল্টিয়ে;
কুচকুচে মিটমিটে কুসুম বাদমাশ,
কবর-চোখে বিষণ্ণতার ভুয়ো-ভাব নিতে হবে না,
এসো কাছে, এবার বিড়ি খাও, খাই!!
আলগোছে আলতো করে আবার একটুখানি
খুনো-খুনির নিকোটিন-খেলা খেলি;
*********************************************************
ইতিহাসের ধুম্র-সুন্দরীর বয়ান……..২
১৯টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
চোখ গেলে দেবার হুমকিধামকি পাইছেন? হা হা, তাইতো দুই চোখে দুইদিকে এতো কী দেখাদেখি? গলি, ঘুপচি, জোড়াজুড়ি, আর কিছুই দেখেন না বুঝি? জানিতো বলবেন, সবাই দেখে, কেউ বলে কেউ বলেনা।
এরকম এক ধুম্র সুন্দ্রী পাইলে সবাই অবশ্য এদিকেই মনোযোগ দিতো। তা কোন ব্রান্ডে দফারফা হলো শেষ পর্যন্ত? হাঁচিকাশি, হাসিখুশি? ধোঁয়ায় মিলিয়ে দেন নিতো আবার?
যাওয়া যাওয়ি ওসব থাকেই, শব্দে বা নিঃশব্দে তাই বলে হলুদ সাপ মানবে কেন?
লেখা হিজিবিজি টাইপ হইছে, 🙂
ছাইরাছ হেলাল
একদম সহি মন্তব্য, অবশ্য-ই হিবিজিবি!!
অন্যের কথা বললে একটু হিবিজিবি টাইপ হয়েই যায়, তা যাক, তবে এ-সব চালু থাকবে।
নাহ্, কিছুই মিলিয়ে যায়-নি, ভ্রমণ কাহিনী হয়ত শেষ হয়ে যাবে,
কিছু রেশ রেখে যাবে এ-সুন্দরী, তাঁর রেখে যাওয়া কিছু কথা তো আপনাদের শুনতেই হবে,ক্রমান্বয়ে;
লেখাটি সুন্দরী ভাবনার, তাঁর হয়ে উত্তর দিতে পারলে ভাল হতো, কিন্তু ভাবনা প্রকাশের দৌড়ে খামতি রাখতেই হচ্ছে, যা আছে, থাকেও; ব্র্যান্ড কুন ব্যাপার না। দেখতে থাকুন। এমন সুন্দরীদের সবাই পায়না, ধরাও দেয়-না, নেহায়েত কৃপা-টৃপা করেছে হয়ত!!
দেখি কে কোথায় কতদূর ভাসে বা ভাসিয়ে নিতে পারে।
ইঞ্জা
নিকোটিনে সখ্য, বাহ দারুণ তো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই দারুণ, দেখতেই পাচ্ছেন!!
ইঞ্জা
:D)
আবু খায়ের আনিছ
নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো বিড়ি সিগারেট খাওয়ার উপরে।
ছাইরাছ হেলাল
বিড়ি-সিগ্রেট খুব খারাপ, নিষিদ্ধ হওয়া উচিৎ!!
কিন্তু তা হচ্ছে না, হবেও না।
নীহারিকা
ধুম্রপান আমি দুই চোক্ষে দ্যাক্তারিনা। তাই কিছু কমু না।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও দ্যাক্তারতাম না, কিন্তু এহোন কিরাম কিরাম জানি মনে হয়!!
নীহারিকা
খুব ভালো :@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কিন্তু ধুম্র পান করে ট্রাই করে দেখতে পারেন।
মিষ্টি জিন
কুবিরাজের যে নিকোটিনের সাথে সখ্যতা আছে তা বুঝলাম। ইয়াক… নিকোটিনের গন্ধে গা গুলিতে উঠে। ধুম্র সুন্দরীর পাল্লার পডলে লেখার ধরন এমই হয়। :p
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই এখন দারুণ সখ্যতা অনুভব করছি, না করে উপায় আছে,
সবাই-কে সবসময় তো না-করা যায় না, না-করা ঠিক-ও না!!
আপনি সাবধানে থাকলে আপনার লেখাও ঠিক-ঠাক থাকবে!!
আগুন রঙের শিমুল
আমার একটা নিকোটিন সখী দরকার ছিলো।
আফসোস, বাড়ি গেলে মিন্ট চুইংগাম ওয়ালাদের ব্যবসা বাইরা যায় ;(
ছাইরাছ হেলাল
তাড়াতাড়ি মইরা গেলে চুইংগাম কোম্পানি-ও মইরা যাইবে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কুবিরাজ ভাই এইসব কী? এমনিতেই সিগারেটের গন্ধে বমি আসে, আর আপনি সেই যে ধূম্রসুন্দরী নিয়া পড়লেন!
কী মন্তব্য করমু, ও দেবী গো তুমি কই গো? আমারে মাইরালা রে! ^:^
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দ্রীর এত্ত কষ্ট-দুঃখে কথা শুনেও দিল নরম হইল না।
এখনই মরলে হপে না!! কত্ত কী দেখার-পড়ার বাকী!!
নীলাঞ্জনা নীলা
হায়রে মরণেও ডরাইয়া ভাগছে! ;(
ছাইরাছ হেলাল
কেউ-ই ভাগে নাই, ভাগবে-ও না,
দেখতে থাকেন।